Home Blog Page 24

ইরানের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের লাশের কফিন দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘ইরানের হামলায় ইসরায়েলের লাসের স্তুপ গোপন করে রেখেছিলো। ইসরায়েলের গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস হলো।’ শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইসরায়েলের পতাকা মোড়ানো কিছু কফিন উন্মুক্ত স্থানে রাখা হয়েছে। এসব কফিনের পাশে কিছু সৈন্য দাঁড়িয়ে আছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইরানের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের লাশের কফিন দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে কিছু অসঙ্গতি নজরে পড়ে। যেমন- ভিডিওটিতে একজন সৈন্যকে কফিনের ওপর দিয়ে  অস্বাভাবিকভাবে দৌড়ে যেতে দেখা যায়, সাধারণত একজন মানুষের পক্ষে এভাবে কোনোকিছুর ওপর দৌড়ানো সম্ভব নয়। একইভাবে, ভিডিওতে থাকা সৈন্যদের হাঁটাচলার মধ্যেই তাদের অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখা যায়, যা অস্বাভাবিক। এছাড়া, ভিডিওতে কয়েকটি কফিন একটির ভেতর আরেকটি ঢুকে ত্রিকোণ আকৃতি ধারণ করতে দেখা যায়।

এসব অসঙ্গতির কারণে ভিডিওটি ডিপফেক ভিডিও যাচাইয়ের টুল ‘DeepFake-o-meter’ এর মাধ্যমে যাচাই করা হয়। টুলটি ভিডিওটি যাচাই করে জানায়, এটি শতভাগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। 

Screenshot: DeepFake-o-meter Website 

সুতরাং, ইরানের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের লাশের কফিন দাবিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

চাঁদা না দেওয়ায় লঞ্চে সমন্বয়ক ও জঙ্গিগোষ্ঠীর ভাঙচুর ও লুটপাটের ভিডিও দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, চাঁদা না দেওয়ায় কথিত সমন্বয়ক ও জঙ্গিগোষ্ঠী লঞ্চে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি চাঁদা না দেওয়ায় লঞ্চে কথিত সমন্বয়ক ও জঙ্গিগোষ্ঠীর ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভোগান্তির শিকার যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের হওয়া দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার ভিডিওটির ডানপাশে উপরে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এশিয়ান টেলিভিশনের একটি লোগো দেখতে পায়।

উক্ত লোগোর সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Asian Television-এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১০ জুন লঞ্চগুলোতে চলছে অনিয়মের রাজত্ব? দেখুন বিস্তারিত | Asian Television শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত প্রতিবেদনের শুরুর ১০ সেকেন্ডের ফুটেজের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর হুবহু মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও উভয় ভিডিওর একই স্থানে এশিয়ান টেলিভিশনের লোগোও দেখতে পাওয়া যায়। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, উক্ত ভিডিওর শুরু অংশ কাট করে আলোচিত দাবিতে ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে পুরো প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, প্রতিবেদনটি ভোলা-ঢাকা-ভোলা লঞ্চ যাত্রীদের প্রতিদিনের ভোগান্তি নিয়ে। যথাসময়ে লঞ্চ সদরঘাটে না পৌঁছানোয় যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেও লঞ্চকর্মীরা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজিত যাত্রীরা লঞ্চে ভাঙচুর চালায়। আলোচিত ভিডিওর প্রথমে দেখতে পাওয়া চেয়ার ভাঙার দৃশ্যটি উক্ত ঘটনার। পরবর্তীতে লঞ্চটি সদরঘাটে পৌঁছালে লঞ্চকর্মীরা সাধারণ যাত্রীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই সময়ের ঘটনাটি ভিডিওর শেষাংশে দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে লাঠি হাতে দুইজন ব্যক্তিকে কয়েকজনের ওপর হামলা করতে দেখা যায়।

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি চাঁদা না দেওয়ায় কথিত সমন্বয়ক কিংবা জঙ্গিগোষ্ঠীর লঞ্চে হামলা চালানোর নয়। 

সুতরাং, ভোলা থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে হওয়া যাত্রী ও লঞ্চকর্মীদের পাল্টাপাল্টি হামলার ভিডিওকে চাঁদা না দেওয়ায় কথিত সমন্বয়ক ও জঙ্গিগোষ্ঠীর লঞ্চে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি ও সা. সম্পাদককে জড়িয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার 

0

সম্প্রতি, “ডাকসুর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই বয়সসীমা, প্রার্থী হতে পারবেন যারা” শীর্ষক শিরোনামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি যুক্ত করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি যুক্ত করে ডেইলি ক্যাম্পাস কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডের ইমেজ পরিবর্তনের মাধ্যমে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে থাকা ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে ডেইলি ক্যাম্পাসের লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ১৬ জুন, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে। 

উক্ত তথ্যাবলীর সূত্র ধরে ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে গত ১৬ জুন তারিখে আলোচিত ছবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, ডেইলি ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত ছবি সম্বলিত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, গত ১৬ জুনে ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়, যেটির সাথে আলোচিত দাবিতে থাকা ফটোকার্ডের আংশিক সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

মূল ফটোকার্ডের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে থাকা ফটোকার্ডের তারিখ, লোগো এবং শিরোনামের মিল রয়েছে। তবে, উভয় ফটোকার্ডের ফিচার ফটোর ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ডেইলি ক্যাম্পাসের মূল ফটোকার্ডটিতে ছাত্রদল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ছবি না থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডে রয়েছে।

অর্থাৎ, ডেইলি ক্যাম্পাসের আসল ফটোকার্ডটির ফিচার ফটো ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত দাবির ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত ডেইলি ক্যাম্পাসের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, সান্ধ্যকালীন কোর্স, এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা ও ভাষা কোর্সের শিক্ষার্থীরা আর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন না। একই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে শিক্ষার্থীকে পূর্ণকালীন এবং আবাসিক শিক্ষার্থী হতে হবে। 

গত ১৯ জুনে অপর এক পোস্টে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটিকে ভুয়া বলে নিশ্চিত করে এবং আসল ফটোকার্ডটি পেতে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজ দেখার আহ্বান জানায়। 

তাছাড়া, দেশের অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমেও ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি ব্যবহারে আলোচিত দাবি সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ হয়তে দেখা যায়নি। 

সুতরাং, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি যুক্ত করে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র 

হাসনাত আবদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি থেকে কোটি টাকার গাড়ি জব্দ দাবিতে চ্যানেল২৪-এর নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার 

0

সম্প্রতি, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহ এর গ্রামের বাড়ি থেকে জব্দ করা হলো কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি’ শীর্ষক দাবিতে চ্যানেল২৪-এর ডিজাইন সংবলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি থেকে কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি জব্দের বিষয়ে চ্যানেল২৪ কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। দেশের অন্য কোনো গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং চ্যানেল২৪-এর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সাবেক এমপি আনারের গাড়ি উদ্ধারের একটি ফটোকার্ড ডিজিটালভাবে সম্পাদনা করে আলোচিত ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এতে চ্যানেল২৪-এর লোগো রয়েছে এবং প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১০ জুন ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

এই লোগো ও তারিখের সূত্র ধরে চ্যানেল২৪-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সাম্প্রতিক ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করা হয়। কিন্তু সেখানে আলোচিত দাবি-সংবলিত কোনো ফটোকার্ডের অস্তিত্ব মেলেনি। একইভাবে, চ্যানেলটির ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলেও এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন বা ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি।


তবে গত ১০ জুন চ্যানেল২৪-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে “সাবেক এমপি আনারের কোটি টাকার গাড়ি মিললো কুষ্টিয়ায়” শিরোনামে একটি ফটোকার্ড পাওয়া যায়। উভয় ফটোকার্ড তুলনা করে দেখা গেছে, আলোচিত ফটোকার্ডটির সঙ্গে মূল ফটোকার্ডের ডিজাইন ও ব্যবহৃত গাড়ির ছবির হুবহু মিল রয়েছে। মূল ফটোকার্ডের শিরোনাম ও সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ছবি পরিবর্তন করে ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, চ্যানেল-২৪ এই ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

চ্যানেল২৪-এর মূল প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুষ্টিয়া শহরের একটি বহুতল ভবনের পার্কিংয়ে একটি কালো রঙের ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়ির সন্ধান মেলে। গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কলকাতায় নিহত আনোয়ারুল আজিম আনারের বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৯ জুন রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িটি জব্দ করে।গাড়িটি থেকে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র,সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এছাড়া, হাসনাত আবদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি থেকে গাড়ি জব্দের দাবির সমর্থনে অন্য কোনো গণমাধ্যমেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, হাসনাত আবদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি থেকে কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি জব্দ করার দাবিতে চ্যানেল২৪-এর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

Channel24: Facebook Post

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিয়ের দৃশ্য দাবিতে সম্পাদিত ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর ও কনের বেশের একটি ছবি প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “লা-গা-তে গিয়ে ধরা খেয়ে বিয়ে বসলেন শিশু উপদেষ্টা-”। উক্ত পোস্টে সংযুক্ত ছবিতে থাকা বরবেশে থাকা আসিফ মাহমুদের চেহেরাটা সম্বলিত একটি ছবি দেখা যায়। অর্থাৎ, দাবি করা হয়েছে যে ছবিটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিয়ের ছবি। এছাড়াও, উক্ত দাবিতে প্রচারিত কিছু পোস্টে ‘মোঃ জাহাঙ্গীর আলম’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত একটি পোস্টের সদৃশ একটি স্ক্রিনশটও সংযুক্ত করা হয় যেখানে জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন তার নির্বাচনী এলাকার শাহরাস্তীর নাহারার জলিল মোল্লা (টিভিএস জলিল মোল্লা)’র একমাত্র কন্যা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত পান্নার সাথে অত্যন্ত গোপনীয়তায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার বিয়ে হয়েছে।

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিয়ের ছবি নয় বরং, ভিন্ন এক ব্যক্তির ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে তাতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মুখচ্ছবি সংযুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ছবিটি আসিফ মাহমুদের বিয়ের ছবি এরূপ দাবির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রচারিত ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘Cute Profile Pic’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে ‘স্বপ্ন ছোঁয়া’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে “জামাই বউ” শীর্ষক ক্যাপশনে গত ১৬ জুনে প্রচারিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে সংযুক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে আসিফ মাহমুদের মুখের ছবি ব্যতীত বাকী সবকিছু হুবহু মিল পাওয়া যায়। আসিফ মাহমুদের জায়গায় ভিন্ন এক ব্যক্তির ছবি দেখা যায়।

Comparison : Rumor Scanner

উল্লেখ্য যে, আসিফ মাহমুদের ছবি দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো গত অন্তত ২২ জুন থেকে প্রচার হয়েছে এবং আসিফ মাহমুদের বিয়ে গত শুক্রবার অর্থাৎ ২০ জুনে হয়েছে দাবি করা হলেও উক্ত ছবিটি তারও প্রায় ৬ দিন পূর্বে গত ১৬ জুনে প্রচার হতে দেখা যায়। এছাড়াও, উক্ত ছবি দিয়ে তৈরি একটি ভিডিও পোস্ট ‘Ajmal’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে গত ২২ জুনে প্রচার হতে দেখা যায়।

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে মূলত উক্ত ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে তাতে আসিফ মাহমুদের ছবি সংযুক্ত করে আসিফ মাহমুদের বিয়ের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এছাড়া, গোপনীয়তার সাথে আসিফ মাহমুদের বিয়ে হয়েছে দাবি করা ‘মোঃ জাহাঙ্গীর আলম’ নামক উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটির বিষয়ে অনুসন্ধান করলে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও আসিফ মাহমুদের বিয়ে হওয়ার সপক্ষে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি মূলধারার গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিয়ের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

এসিল্যান্ডের গাড়িতে করে সারজিস আলমের বাড়িতে ঈদের গরু আনার দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, “সারজিস আলম এর বাড়িতে এসিল্যান্ডের গাড়িতে পৌঁছে দেয়া হলো ইদের গরু” শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে সবচেয়ে ভাইরাল ফেসবুক পোস্টটি ৫ লক্ষেরও অধিক বার দেখা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সারজিস আলম এর বাড়িতে এসিল্যান্ডের গাড়িতে করে ঈদের গরু পৌঁছে দেওয়ার দাবিটি সঠিক নয় এবং এরূপ দাবিতে কোনো মূলধারার গণমাধ্যমও ফটোকার্ড প্রচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে, “ইউএনওর কোরবানির গরু আনা হলো এসিল্যান্ডের সরকারি গাড়িতে” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম “ঢাকা পোস্ট” এর প্রচারিত ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে এবং সম্পাদিত ফটোকার্ডে ঢাকা পোস্টের লোগোও মুছে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে দাবিটির সপক্ষে গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে কোনো গণমাধ্যমের নাম বা লোগোও পাওয়া যায়নি। আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে কেবল ফটোকার্ড প্রচারের তারিখ হিসেবে ‘০৬ জুন ২০২৫’ দেখা যায়। পরবর্তীতে আলোচিত ফটোকার্ডটির ডিজাইনের বিষয়ে অনুসন্ধান করলে দেখা যায় এটি মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘ঢাকা পোস্ট’ এর ফটোকার্ডের আদলে তৈরি ফটোকার্ড।

এরই সূত্র ধরে ‘ঢাকা পোস্ট’ এর ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করলে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, ‘ঢাকা পোস্ট’ এর ফেসবুক পেজে গত ৬ জুন ‘ইউএনওর কোরবানির গরু আনা হলো এসিল্যান্ডের সরকারি গাড়িতে’ শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। 

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের লোগো, শিরোনাম, ফন্ট ও সারজিস আলমের ছবি ব্যতীত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে। সারজিস আলমের ছবির জায়গায় উক্ত ফটোকার্ডে এক নারীর ছবি দেখা যায়। এবং ঢাকা পোস্ট এর উক্ত মূল ফটোকার্ডটিতে ‘ইউএনওর কোরবানির গরু আনা হলো এসিল্যান্ডের সরকারি গাড়িতে’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘সারজিস আলম এর বাড়িতে এসিল্যান্ডের গাড়িতে পৌঁছে দেয়া হলো ইদের গরু’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে। 

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ‘ঢাকা পোস্ট’ এর আসল ফটোকার্ড সম্পাদনা (এডিট) করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত ‘ঢাকা পোস্ট’ এর পোস্টে মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভার কোরবানির গরু রাজশাহীর একটি হাট থেকে আনা হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির (এসিল্যান্ড) সরকারি গাড়িতে করে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকার সিটি হাট থেকে গরুটি কেনা হয়। সরকারি গাড়িতে গরু আনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে জেলার সচেতন মহলে সমালোচনা শুরু হয়।

সুতরাং, সারজিস আলম এর বাড়িতে এসিল্যান্ডের গাড়িতে পৌঁছে দেয়া হলো ইদের গরু শীর্ষক দাবিটি ভুয়া এবং উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

ইরানের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান ধ্বংস দাবিতে এআই তৈরি ছবি প্রচার

0

গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এ প্রেক্ষাপটে, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি বি-২ বোমারু বিমান ধ্বংস করেছে দাবিতে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইরানের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বি-২ বিমান ধ্বংস হওয়ার দাবিটি সত্য নয়। বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ছবি ব্যবহার করে এ দাবি প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে বিশ্বস্ত কোনো সূত্রেই ইরানের হাতে বি-২ বিমান ধ্বংসের তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং ২৩ জুন ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইরান মিশনে অংশ নেওয়া বি-২ বিমানের পাইলটরা নিরাপদে মিসৌরিতে ফিরে এসেছেন।

একই দিন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস একটি প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় অংশ নেওয়া সাতটি বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান হুইটম্যান এয়ার ফোর্স বেসে অবতরণ করেছে। সেই প্রতিবেদনে বিমান অবতরণের ছবি ও ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়।

পরবর্তীতে আলোচিত ছবিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ছবিটির সঙ্গে আসল বি-২ বিমানের নকশায় কিছু পার্থক্য রয়েছে। এসব অসঙ্গতি সাধারণত এআই দিয়ে তৈরি ছবিতে দেখা যায়, কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি বাস্তব উপাদান হুবহু অনুকরণে প্রায়শই ব্যর্থ হয়।

Comparison: Rumor Scanner. 


বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে ছবিটি ‘সাইটইঞ্জিন’ নামের একটি এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী টুলে পরীক্ষা করলে দেখা যায়, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।

Screenshot: Sightengine. 

সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ছবি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ধ্বংস করেছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ঢাবির কার্জন হলে তরুণ-তরুণীর চুম্বনরত অবস্থার দৃশ্য দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

ভিডিওটিতে দুজন নারী পুরুষ একে অপরকে চুম্বন করতে দেখা যায়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, তরুণ-তরুণীর চুম্বনরত অবস্থার এই ভিডিওটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশের কোনো স্থানের নয় বরং, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, এটি ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ক্যাম্পাসের ভিডিও। 

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস -এর মারাঠি ভাষার সংবাদ ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২৬ জুন ‘Viral news: कॉलेजच्या आवारात लव्हबर्डचं घाणेरडं कृत्य; किसिंग अन् अश्लील कृत्य करतानाचा व्हिडिओ व्हायरल’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ফিচার ইমেজের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর নির্দিষ্ট ফ্রেমের সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। প্রতিবেদনটিতে ভিডিওটি প্রাথমিকভাবে ভারতের নয়ডার একটি ক্যাম্পাসের ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয় । এছাড়াও, প্রতিবেদনে নেটিজেনদের সামাজিক মাধ্যমের প্রতিক্রিয়ার বরাতে বলা হয়, অনেকে দাবি করেছেন যে এই ভিডিওটি পুরানো। কেউ কেউ বলেছেন যে এই ভিডিওটি এর আগেও ভাইরাল হয়েছিল।

Comarison: Rumor scanner 

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ভারতের কান্নাডা ভাষার সংবাদ চ্যানেল ‘TV9 Kannada’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এই বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, ঘটনাটি ২০২৩ সালে নয়ডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছিল।

এছাড়াও, ভারতের সংবাদ মাধ্যম ‘IBC24’ এর ওয়েবসাইটেও ২০২৩ সালের ২০ মে এই বিষয়ে প্রতিবেদন খুঁজে পাওযা যায়। তবে, প্রতিবেদনটিতে ঘটনাটি নয়ডার একটি পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বলে জানা গেছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং শেষে বলা হয়, IBC24 এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত হতে পারেনি।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উক্ত ভিডিও নিয়ে প্রকাশিত আরও কিছু প্রতিবেদন দেখুন – এখানে, এখানে, এখানে

এছাড়া, আলোচিত ভিডিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশের এমন দাবির সপক্ষে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশের কোনো ক্যাম্পাসের জায়গার ভিডিও নয়।

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় তরুণ-তরুণীর চুম্বনরত অবস্থার ভিডিও সংগ্রহ করে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নিহা দাবিতে ভারতীয় অভিনেত্রীর সম্পাদিত ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নিহা দাবিতে কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ছবিগুলো দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো নাজনীন নাহার নিহার নয়। বরং, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক অভিনেত্রীর ছবি সংগ্রহ করে তাতে প্রযুক্তির সাহায্যে নাজনীন নাহার নিহার মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন করে আলোচিত ছবিগুলো প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে Anjali Tatrari নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২১ মে প্রকাশিত কিছু ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। ছবিতে উক্ত নারীর মূখমণ্ডলে পার্থক্য ছাড়া অন্য সব উপাদানে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভারতে বসবাসকারী আন্জেলি টাট্রারি নামের এই নারী একজন অভিনেত্রী।  

অর্থাৎ, মূল ছবিগুলো আন্জেলি টাট্রারি নামের ভিন্ন এক নারীর। 

অনুসন্ধানের স্বার্থে রিউমর স্ক্যানার বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্জেলি টাট্রারির ছবির ওপর নাজনীন নাহার নিহার মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এতে সম্পাদিত ছবির মতোই অনুরূপ ফলাফল পাওয়া গেছে।

সুতরাং, অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নিহা দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ছবিগুলো সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র 

ইরানের ওপর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার 

গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানের মাধ্যমে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রেক্ষাপটে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হয়, ভিডিওটি ইরানে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দৃশ্য।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি ইরানে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দৃশ্য নয়। বরং, এটি ইরানে হামলার পূর্বে গত ১৪ জুন ‘নো কিংস’ নামে একটি আন্দোলনের ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে গত ১৪ জুন ‘Keithroberti’ নামের একটি ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে হুবহু একই ভিডিও পাওয়া যায়। এছাড়া, ‘Jess Porter’ নামের আরেকটি প্রোফাইলে ১৫ জুন একই ভিডিও পোস্ট করা হয়। পোস্টের বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি গত ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগোতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দৃশ্য।

Comparison: Rumor Scanner. 

সান দিয়েগোর স্থানীয় টিভি চ্যানেল সিবিএস ৮-এ ১৫ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিওর সঙ্গেও আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যগত মিল পাওয়া গেছে। ভিডিওর শিরোনাম ও বর্ণনা থেকে জানা যায়, ‘নো কিংস’ বার্তা নিয়ে সান দিয়েগোর কেন্দ্রস্থলে আয়োজিত বিক্ষোভে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।

আইনিউজসোর্স নামের একটি পোর্টালের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৪ জুন ‘নো কিংস’ নামে দেশব্যাপী বিক্ষোভের অংশ হিসেবে সান দিয়েগোতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীরা অভিবাসন নীতি, মেডিকেডে কাটছাঁট এবং সাংবিধানিক সুরক্ষার উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

অর্থাৎ, ভিডিওটি ১৪ জুন সান দিয়েগোতে ‘নো কিংস’ আন্দোলনের দৃশ্য, যা ইরানে ২২ জুনের হামলার পূর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সুতরাং, ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ভিডিওকে ইরানে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র