Home Blog Page 145

আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজিতে আটক ৫ জন শিবির নেতা নন 

0

সম্প্রতি, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজি, শিবিরের ৫ নেতা আটক” শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজির ঘটনায় আটক হওয়া পাঁচ ব্যক্তি শিবির নেতা নয় বরং, গ্রেফতারকৃত চক্রটির নেতৃত্বে রয়েছেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন, যাকে ঘটনার পর দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে সেগুলোতে প্রচারিত দাবিটির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ২৪ ডিসেম্বর,২০২৪ এ প্রকাশিত ‘আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজি, আটক ৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ঘটনার বিস্তারিত বিবরন এবং আটককৃতদের নাম পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কবরস্থানে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পুরোনো কবর সরিয়ে নতুন কবর স্থাপনের অজুহাতে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করে আসছিল। তারা প্রতি কবর থেকে মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করত। চাঁদা না দিলে কবরের অস্তিত্ব নিশ্চিত না রাখার হুমকি দেওয়া হতো। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪) দুপুরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে আটককৃতদের লালবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটককৃতরা হলেন— আরমান মিয়া (৫৪), মো. জাহিদ মিয়া (৩০), মো. জামিল হোসেন (৩৪), মো. আরমান ইসলাম (৩৭) এবং রবিন মিয়া (৩৪)। ভুক্তভোগীদের দাবি, চক্রটির নেতৃত্বে রয়েছেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন।

উল্লেখ্য, দৈনিক কালবেলা অনলাইন এর ‘আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপি নেতা আমিন গ্রেপ্তার’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ রাতে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর নিউ পল্টন এরিয়া থেকে আমিনুল ইসলাম আমিনকে গ্রেপ্তার করে লালবাগ থানায় সোপর্দ করে। 

বাংলা ট্রিবিউনের ‘গোরস্থানে চাঁদাবাজি করায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,  আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্বের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের লালবাগ থানাধীন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিনকে দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের নির্দেশক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়। 

সুতরাং, আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজি, শিবিরের ৫ নেতা আটক শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

রাবিতে কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় সমন্বয়ক ও শিবিরনেতা আটকের দাবিতে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড 

0

গত ১২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হল এবং কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে পোড়া কোরআন শরিফ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ফরিদ নামের একজন সমন্বয়ক ও ছাত্র শিবিরের নেতাকে আটক করা হয়েছে দাবিতে প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ফটোকার্ডটিতে দাবি করা হয়, উক্ত ব্যক্তি হিন্দু- মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টির জন্যে এই কাজটি করেন।

ফেসবুক প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাবিতে কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় আটককৃত ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এছাড়াও, আলোচিত দাবিতে প্রথম আলোও কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলোর লোগো এবং এটি প্রকাশের দিন হিসেবে ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত ওইদিন প্রচারিত এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে প্রথম আলো-র ওয়েবসাইটে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Prothom Alo

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে আটককৃত ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, রাবিতে কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে মো. ফেরদৌস রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। পুলিশের উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফেরদৌস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। 

এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে তার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পরবর্তী অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার ওয়েবসাইটে ৪ ফেব্রুয়ারি একই ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ব্যক্তির সাথে উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত আটককৃত ব্যক্তির ছবির মিল রয়েছে। 

Image Comparison by Rumor Scanner

এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, উক্ত শিক্ষার্থীর পুরো নাম ফেরদৌস রহমান ফরিদ। কোরআনে আগুন দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকেন। 

পাশাপাশি আরও জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে উক্ত শিক্ষার্থীর কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তবে উক্ত প্রতিবেদনেও তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘সে গত ১২ জানুয়ারি কুরআন পোড়ায় রাবিতে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় সমন্বয়ক ও শিবিরনেতা ফরিদ আটক, চেয়েছিলেন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধাতে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলোর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিনে প্রস্রাবরত কুকুরের ছবিটি সম্পাদিত 

0

পহেলা ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া অমর একুশে বইমেলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘৃণা স্তম্ভ’র ছবি যুক্ত করে ডাস্টবিন স্থাপন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এ নিয়ে ইন্টারনেটে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংযুক্ত সেই ডাস্টবিনে কুকুরের প্রস্রাবরত একটি ছবি ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হচ্ছে৷

Collage: Rumor Scanner 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন  এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷ 

একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংযুক্ত ডাস্টবিনে প্রস্রাবরত কুকুরের ছবিটি আসল নয় বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত ডাস্টবিনে প্রস্রাবরত কুকুরের ছবি যুক্ত করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Andrew Dandrew নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ‘Why do dogs pee on car tires?’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির থাম্বনেইলে ব্যবহৃত প্রস্রাবরত কুকুরের ছবির সাথে আলোচিত দাবির ছবিতে থাকা প্রস্রাবরত কুকুরের হুবহু মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

পরবর্তীতে একই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম News 18 এর ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ‘Do you know: কেন গাড়ির টায়ার বা ল্যাম্প পোস্টে প্রস্রাব করে কুকুর? জানুন আসল কারণ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই প্রস্রাবরত কুকুরটির ছবি খুঁজে পাওয়া যায়৷ 

অর্থাৎ, শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনের ছবিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় প্রস্রাবরত কুকুরের ছবিটি যুক্ত করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে৷ 

উপরোক্ত তথ্যাদি থেকে প্রস্রাবরত কুকুরের ছবিটির মূল উৎস জানা না গেলেও এটি নিশ্চিত যে ২০১৭ সাল থেকে ছবিটি ইন্টারনেটে রয়েছে। 

সুতরাং, শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে কুকুরের প্রস্রাব করার দৃশ্যটি এডিটেড বা সম্পাদিত৷ 

তথ্যসূত্র

বস্তাবন্দি লাশের দৃশ্যটি ‘নিখোঁজ’ কিশোরী সুবার নয়

0

মায়ের ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুর থেকে ১১ বছরের এক কিশোরী নিখোঁজ হয়েছেন। গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কৃষি মার্কেট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন আরাবি ইসলাম সুবা নামের ওই কিশোরী। এসময় তার পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও গোলাপি রঙের টি-শার্ট। এরই প্রেক্ষিতে অন্তত গতকাল (৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে বস্তাবন্দি এক কিশোরী উদ্ধারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, “আরাবি ইসলাম সুবা নামের একটি মেয়ে মোহাম্মদপুর প্রিন্স বাজার (কৃষি মার্কেট সংলগ্ন) তিন রাস্তার মোড় থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো-। মেয়েটি আরাবী ইসলাম সুবা কিনা জানা নাই!। হাওড়ের ব্রিজের নিচে একটি মেয়েকে বস্তাবন্দী অবস্হায় পাওয়া গেছে-। @ভিডিও টি কালেক্ট করা।”

উক্ত ভিডিওর সংযুক্তিসহ কিছু পোস্টে এছাড়াও দাবি করা হয়, “আজ বিকালে বিয়ানীবাজার হাওরের মাঝে বস্তাবন্দী একটি মেয়েকে পাওয়া গেছে, এই মেয়েটারও পরনেও কালো প্যান্ট গোলাপি রঙের টি শার্ট ।”

অর্থাৎ, দাবি করা হয়েছে বস্তাবন্দি কিশোরী উদ্ধারের প্রচারিত ভিডিওটি আরাবি ইসলাম সুবা হারিয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে বা গতকাল (৩ ফেব্রুয়ারি) ধারণকৃত।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আরাবি ইসলাম সুবা হারিয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে বা গতকাল (৩ ফেব্রুয়ারি) ধারণকৃত নয় বরং, ২০২২ সালের ধারণকৃত ভিন্ন একটি ঘটনার দৃশ্যকে আরাবি ইসলাম সুবা হারিয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে ধারণকৃত বলে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘জার্নালআই২৪’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ২১ জুলাইয়ে “ঠাকুরগাঁওয়ে টাঙ্গন ব্রিজের নিচ থেকে জীবিত বস্তাবন্দি কিশোরী উদ্ধার” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওটির সাথে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রচারিত ভিডিওটি আরাবি ইসলাম সুবা হারিয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ের নয় বরং, ২০২২ সালের। উক্ত ইউটিউব ভিডিওটির বর্ণনা অংশে ভিডিওটি সম্পর্কে বলা হয়, “ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজা খাতুন (১৪) নামের এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২০২২ সালের ২১ জুলাই) সকাল পৌরশহরের টাঙন নদী থেকে বস্তা বন্দি অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই কিশোরী। উদ্ধারকৃত মাহফুজা খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ক্বারী মোস্তফা কামালের মেয়ে। মাহফুজা খাতুন ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কাওমি মহিলা মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করতেন।…”

এরই প্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে মূলধারার গণমাধ্যম চ্যানেল২৪, ইত্তেফাক, আজকের পত্রিকা, ঢাকা মেইলসহ আরো একাধিক গণমাধ্যমে এ বিষয়ে ২০২২ সালে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়৷ প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙ্গন ব্রিজের নিচে বস্তার ভেতর থেকে বৃহস্পতিবার (২০২২ সালের ২১ জুলাই) সকালে এক জীবিত কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী একটা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। ব্রিজের নিচে থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধারকৃত ঐ কিশোরীর নাম মাহফুজা খাতুন ও তার বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামে।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আজ ০৪ ফেব্রুয়ারি কিশোরী সুবাকে নওগাঁ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমঘটিত কারণে সুবা সেখানে গিয়েছে।

সুতরাং, আরাবি ইসলাম সুবা হারিয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ের দৃশ্য দাবিতে ২০২২ সালে ধারণকৃত একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খানকে জড়িয়ে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

গত বছরের ১৪ অক্টোবর ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান। সম্প্রতি তার নামের একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়, যেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগ ফেরত চাওয়ার হয়। 

এর প্রেক্ষিতে ফারুক খানের ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মুখ খোলার শার্টে ফারুক খানকে জেলখানায় বসে ফেসবুক চালানোর সুযোগ দিয়েছি আমরা’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে দৈনিক প্রথম আলো’-র লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফারুক খানের কথিত ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মুখ খোলার শার্টে ফারুক খানকে জেলখানায় বসে ফেসবুক চালানোর সুযোগ দিয়েছি আমরা’ শীর্ষক মন্তব্য করেননি। এছাড়াও প্রথমআলোও উক্ত মন্তব্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড প্রচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম আলোর ব্যবহার করে আলোচিত ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলোর লোগো এবং এটি প্রকাশের দিন হিসেবে ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত ওইদিন প্রচারিত এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটিতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটিকে ‘মিথ্যা প্রচারণা’ ‍হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আলোচিত ফটোকার্ডের তথ্য এবং কার্ড উভয়-ই ভুয়া। প্রথম আলো এটি প্রকাশ করেনি। 

Screenshot: Facebook

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ফারুক খানের পোস্টটি নিয়ে আলোচিত মন্তব্যটি করেছেন কিনা জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধানেও গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ফারুক খানের পোস্টটির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সংক্রান্ত তথ্য জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ০৪ ফেব্রুয়ারি ফারুক খানের ফেসবুক পোস্টটি কারাগার থেকে দেওয়া সম্ভব নয়: কারা কর্তৃপক্ষ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Prothom Alo 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের ফেসবুক পোস্টটি কারাগার থেকে দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি কারা অধিদপ্তর থেকে এক বিবৃতি প্রদান করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে কারাগারে থেকে এ ধরনের প্রচার বা ফেসবুক চালানো সম্ভব নয়। ফারুক খান বর্তমানে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে বন্দী রয়েছেন। কারাগারে আটক কোনো বন্দীর পক্ষে সেখানে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয়। Faruk Khan নামের ওই ফেসবুক আইডিটি তাঁর কোনো স্বজন বা কারাগারের বাইরে থাকা অন্য কেউ পরিচালনা করছে কি না, সে সম্পর্কে কারা কর্তৃপক্ষ অবগত নয়। বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধও জানানো হয় বিবৃতিতে।

সুতরাং, ফারুক খানের ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মুখ খোলার শার্টে ফারুক খানকে জেলখানায় বসে ফেসবুক চালানোর সুযোগ দিয়েছি আমরা’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে দৈনিক প্রথম আলোর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

বাগেরহাটে সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় গ্রেফতার দুই ব্যক্তি যুবদল নেতা নন

0

সম্প্রতি, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “বাগেরহাটে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ যুবদলের ২ নেতা গ্রেফতার” শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাগেরহাটের ফকিরহাটে গুদাম থেকে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি যুবদল নেতা নয় বরং, গ্রেফতারকৃত একজন ঐ চালের গুদামের মালিকের ছেলে এবং একজন সেখানকার কর্মচারী। তাদের যুবদলের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে সেগুলোতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আলোচ্য ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ এর মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যম ‘খবর প্রতিদিন’-এর ওয়েবসাইটে গত ২৩ জানুয়ারি “বাগেরহাটে ওএমএসের ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, গ্রেপ্তার-২” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনের ফিচারে ব্যবহৃত ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির হুবুহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, বাগেরহাটের ফকিরহাট বাজারের একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ খোলা বাজারের বিক্রির (ওএমএস) ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে। এসময় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ফকিরহাট বাজারের মেসার্স মজুমদার ভান্ডারের সুপারিপট্টি এলাকার চালের গুদাম থেকে এসব চাল জব্দ করে পুলিশ। এসব চাল বগুড়ার একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিনেছেন বলে চাল ব্যবসায়ি প্রফুল্ল মজুমদার দাবি করেছেন। পরদিন সকালে ফকিরহাট থানার এসআই আব্দুল আলিম বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন। তারা হলেন, ফকিরহাট বাজারের মেসার্স মজুমদার ভান্ডারের মালিক প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে আশাতীত মজুমদার (২১) ও কর্মচারি আব্দুর রসূল (৪৫)।

এছাড়া, একই ঘটনায় মূলধারার অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটে গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ‘বাগেরহাটে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, গ্রেপ্তার ২’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনেও ভিন্ন এ্যঙ্গেল থেকে তোলা আলোচিত গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের একটি ছবি পাওয়া যায়। 

তবে উপরোক্ত দুইটি প্রতিবেদনের কোথাও গ্রেপ্তারকৃত এই দুই ব্যক্তির কোন রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। একই বিষয়ে অন্যান্য মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও (,) তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।  

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত দুই ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবীরের সাথে যোগযোগ করে রিউমার স্ক্যানার টিম। তিনি জানান এই দুই ব্যক্তির যুবদলের সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। 

সুতরাং, বাগেরহাটের ফকিরহাটে সরকারি চাল জব্দ করার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি যুবদল নেতা শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

তাসকিনের প্রথমবারের মতো বিপিএল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাওয়ার দাবিটি সত্য নয়

0

গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিপিএল ম্যাচে তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রাজশাহী দল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে। এই জয়ের ফলে তাসকিন আহমেদের দলের সামনে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনার তৈরি হয়। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে যে, এটি তাসকিন আহমেদের জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর প্লে-অফে খেলার প্রথম সুযোগ।

উক্ত দাবিতে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, তাসকিন আহমেদের প্রথমবারের মতো বিপিএলের প্লে-অফে খেলার সুযোগ তৈরির তথ্যটি সত্য নয়। বরং, তিনি ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরেই চিটাগং কিংসের হয়ে প্লে-অফে খেলেছিলেন।

অনুসন্ধানে ২০১৩ সালের বিপিএল আসরে প্লে-অফের প্রতিটি ম্যাচের স্কোরকার্ডে তাসকিন এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রথম সেমিফাইনালে ৩ ওভারে ৩১ রান খরচা করে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৪ ওভার বোলিং করে ২৪ রান খরচা করে ১ উইকেট তুলে নেন তিনি। ফাইনাল ম্যাচের স্কোরকার্ড থেকে জানা যায়, চিটাগং কিংসের হয়ে ঢাকা গ্লাডিয়েটরস এর বিরুদ্ধে বল হাতে ৪ ওভারে ২ উইকেট তুলে নেয় তাসকিন। এবং ব্যাট হাতে এক বল খেলে শূন্য রানে ফিরে যান তিনি। অতএব এর আগেও একবার বিপিএল প্লে-অফে খেলেছিলেন তাসকিন। 

উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালের বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে তাসকিন আহমেদ দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলেছিলেন। যদিও সেই সময়ের টুর্নামেন্ট পদ্ধতি বর্তমানের মতোই ছিল, তবে ম্যাচগুলোর নামকরণ ছিল ভিন্ন। তৎকালীন “১ম সেমিফাইনাল” বা “এলিমিনেশন ফাইনাল” ছিল এখনকার “এলিমিনেটর”, যেখানে পয়েন্ট টেবিলের ৩য় ও ৪র্থ স্থানের দল মুখোমুখি হয়। বর্তমানে প্রচলিত “কোয়ালিফায়ার-২”, যেখানে “কোয়ালিফায়ার-১”-এ পরাজিত দল ও এলিমিনেটরে জয়ী দল মুখোমুখি হয়, সেটি তখন “২য় সেমিফাইনাল” নামে অনুষ্ঠিত হতো। অন্যদিকে, বর্তমানে “কোয়ালিফায়ার-১” নামে পরিচিত ম্যাচটি সে সময় “প্লে-অফ রেস টু দ্য ফাইনাল” নামে পরিচিত ছিল। অর্থাৎ, প্লে-অফ পর্বে মোট তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মধ্যে দুটি ম্যাচে তাসকিন আহমেদের দল খেলেছিল এবং তিনিও উভয় ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন।

আরও উল্লেখ্য যে, তাসকিন আহমেদের দল দুর্বার রাজশাহী এবারের বিপিএলে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারেনি। পয়েন্ট টেবিলে ৫ম স্থানে থেকে তাদের বিপিএল অভিযান শেষ হয়েছে।

সুতরাং, চলতি বিপিএলে প্রথমবারের মতো বিপিএল প্লে-অফে তাসকিন আহমেদের খেলার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ১০ ব্যক্তি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী নন

0

সম্প্রতি ‘কুমিল্লায় অভিযান চলাকালীন সময় জান্নাতি দলের জামাত-শিবির নেতাকর্মীর কাছ থেকে কিছু বেহেশতে যাওয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার’ শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ১০ জন জামায়াতে-শিবিরের নেতা-কর্মী নন। কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতারকৃতরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইটে গত ২৬ জানুয়ারি ‘কুমিল্লায় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ১০’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনের ফিচারে আলোচিত দাবিতে ব্যবহৃত ছবিটির অনুরূপ একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়৷ 

Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা আদর্শ সদর সেনাবাহিনীর একটি দল বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলভার, তিনটি শর্টগান, ৯ রাউন্ড শটগানের বুলেট, ৪ রাউন্ড পিস্তল ও রিভলবারের বুলেটসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- নগরীর ঝাউতলা এলাকার মো. নাইমুল ইসলাম নাঈম (৩৬), মো. জাবেদুর রহমান (২৯), কালিয়াজুড়ির আবির হামিদ মাহি (২১), মো. রাকিব (২১), ছোটরা এলাকার মো. সাজিদুল ইসলাম (২১), মোহাম্মদ আলী (২৪), মো. সাব্বির হোসেন (২১), ধর্মসাগর পাড় এলাকার অভিজিৎ রায় সরকার (৩০), মো. অপু (৪২) ও বুড়িচংয়ের সাদকপুর এলাকার মো. আবুল খায়ের (৩৯)। প্রতিবেদনে গ্রেফতারকৃতদের কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি৷ 

পরবর্তীতে একই ঘটনায় মূলধারার সংবাদমাধ্যম দেশ রূপান্তরের ওয়েবসাইটে গত ২৬ জানুয়ারি ‘কুমিল্লায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১০’ শিরোনামে একই ছবি ব্যবহার করে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়৷ তবে উক্ত প্রতিবেদনেও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি৷

এ বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে রিউমর স্ক্যানার টিমের পক্ষ থেকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহিনুল ইসলাম ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “গ্রেফতারকৃতদের কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।”

সুতরাং, কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ১০ ব্যক্তি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা৷ 

তথ্যসূত্র

ছাত্রদল সভাপতি হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার বিচার চেয়েছেন দাবিতে ভুয়া তথ্য প্রচার

0

গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে  উভয়পক্ষের তোপের মুখে পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

এই প্রেক্ষাপটে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ছাত্রদল সভাপতি বলেছেন “হাসনাত আব্দুল্লাহ’র উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচার করতে হবে”। পোস্টটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।  

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “হাসনাত আব্দুল্লাহ’র উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচার করতে হবে” শীর্ষক কোনো মন্তব্য ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব করেননি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আলোচিত পোস্টগুলোতেও এই দাবি সপক্ষে কোনো তথ্য বা প্রমাণ দেওয়া হয়নি। এছাড়া, রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

তাছাড়া, আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও হাসনাত আবদুল্লাহর ছবি তাদের নিজ নিজ ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। দেখুন এখানে এবং এখানে। 

Collage: rumor scanner 

সুতরাং, “হাসনাত আব্দুল্লাহ’র উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচার করতে হবে” শীর্ষক মন্তব্য ছাত্রদল সভাপতি করেছেন বলে প্রচারিত দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Own Analysis

শবে বরাত উপলক্ষে দেশের সবাইকে সরকারের ৫৩০০ টাকা অনুদান দেওয়ার দাবিটি ভুয়া

0

গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি “আসন্ন পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে সরকার দিচ্ছে দেশের সবাইকে ৫৩০০ টাকা অনুদান, যা সরাসরি বিকাশে প্রদান করা হবে।” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আসন্ন পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে দেশের সবাইকে সরকারের ৫৩০০ টাকা অনুদান দেওয়ার কোনো ঘোষণা সরকার বা বিকাশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বরং, ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই প্রলোভন দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত পোস্টগুলোতে থাকা ওয়েবসাইট লিংকে প্রবেশ করলে উপরে বিকাশের লোগো এবং “শবে বরাতে সরকারের বিশেষ উপহার” শীর্ষক একটি লেখা পাওয়া যায়। 

Screenshot : Scamming website

এরপর বিস্তারিত অংশে বলা হয়, “সারাদেশের সবাই পাবে। প্রত্যেক নাগরিক এই সুযোগ একবার পাবে। ৫৩০০ টাকা পেতে আপনাকে নিচের ফর্মটি পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণ করার পর সরাসরি ৫৩০০ টাকা আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এই অফারটি সীমিত সময়ের জন্য! তাই দেরি না করে এখনই নিচের ফর্মটি পূরণ করুন এবং অফারে অংশ নিন।”

Screenshot : Scamming website

আরেকটু নিচে স্ক্রল করলেই টাকা পাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়। ফর্মটিতে নিজের নাম, জেলা, এই মূহুর্তে (ফর্ম পূরণ করার মুহূর্তে) বিকাশ অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, বয়স, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন/স্টুডেন্ট আইডি নম্বর, বিকাশ সার্ভিস কেমন লাগে ইত্যাদি তথ্য জানতে চাওয়া হয়।

Screenshot : Bkash payment page, redirected from Scamming website

রিউমর স্ক্যানার টিমের একজন অনুসন্ধানকারী নিরাপত্তাজনিত কারণে ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত ফর্ম পূরণ করে জমা দিলে এটি আরেকটি নতুন পেজে নিয়ে যায়। উক্ত নতুন পেজটিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করে রিউমর স্ক্যানার টিম। নতুন পেজের ইন্টারফেসটি হুবহু বিকাশে পেমেন্ট করার ইন্টারফেসের মতো। তাছাড়া, দাবি অনুসারে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারীর ৫৩০০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও নতুন ইন্টারফেসটি হচ্ছে কাউকে টাকা পেমেন্ট করার ইন্টারফেস। অধিকন্তু, এখানে পেমেন্ট গেটওয়ের জায়গায় বিকাশ কর্তৃপক্ষের কোনো কিছুর বদলে “sagor enterprise” নামটি দেখা যায়৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পূর্ববর্তী ফর্মে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে আছে হিসেবে উল্লেখ করা ২৪০০ টাকাই এখানে পেমেন্টের পরিমাণ। এরপর বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার চাওয়া হয়। 

এ পর্যায়ে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারী বিকাশহীন নিজের একটি নাম্বার দিলে “The input wallet is not eligible” লেখাটি প্রদর্শন করে, যা প্রমাণ করে এটি বিকাশের আসল পেমেন্ট পেজেই নিয়ে এসেছে৷ তাছাড়া এ বিষয়ে বিকাশের ডোমেইন নাম দেখেও নিশ্চিত হওয়া যায়৷

Screenshot : Bkash payment page, redirected from Scamming website

তবে, উক্ত একই ফর্ম একটু পর পুনরায় পূরণ করলে এবার পেমেন্ট গেটওয়ের জায়গায় “BABU ENTERPRISE” নামে ভিন্ন আরেকটি নাম দেখা যায়। তবে আগের বারের মতো এবারও বিকাশ অ্যাকাউন্টে সর্বমোট উল্লেখ করা টাকার পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেমেন্টের পরিমাণে চলে আসে।

Screenshot : Bkash payment page, redirected from Scamming website

তারপর সঠিক বিকাশ নাম্বার দিলে ওটিপি চাওয়া হয়। সঠিক ওটিপি দিলে পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়৷ অর্থাৎ, বিকাশ নাম্বার, ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড ঠিকভাবে বসালে অ্যাকাউন্টে থাকা তথা ফর্মে উল্লেখ করা টাকা প্রতারকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। কিন্তু, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারী সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়ে সর্বশেষ ধাপটি সম্পন্ন করেন নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে, দেশের সবাইকে ৫৩০০ টাকা অনুদান দেওয়ার কোনো ঘোষণা সরকার বা বিকাশ দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড সার্চ করলে বিকাশের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, গণমাধ্যম বা বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, আসন্ন পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে দেশের সবাইকে সরকারের ৫৩০০ টাকা অনুদান দেওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র