Home Blog Page 65

জুলাই আন্দোলনে অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীর পুরোনো ছবিকে গোপালগঞ্জের গতকালের দৃশ্য দাবিতে প্রচার

২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে এবছর জুলাই মাস জুড়ে দেশের প্রতিটি জেলায় পদযাত্রা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। উক্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ যায় দলটির নেতাকর্মীরা। তবে কর্মসূচিটির নাম দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা দেওয়া হলেও গোপালগঞ্জের কর্মসূচিটিকে তারা মার্চ টু গোপালগঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। এনসিপির এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। যাতে অন্তত ৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অনেকে আহতও হন। উক্ত সংঘর্ষের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মাঠে নামেন দাবিতে কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে গণমাধ্যম কর্মীদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের একই ছবি ফেসবুকে প্রচার করে ভিন্ন দাবি করতেও দেখা যায়। পোস্টটিতে দাবি করা হয়, অস্ত্রধারী এই ব্যক্তিরা এনসিপির সদস্য। যারা গতকাল পুলিশ ও সেনাবাহিনীদের সাথে একত্র হয়ে গোপালগঞ্জ বাসীদের ওপর হামলা চালায়। এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত ছবিগুলোর পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র হাতে কয়েকজন ব্যক্তির ছবিও ফেসবুকে প্রচার করা হয়। ছবিগুলো প্রচার করে দাবি করা হয়, এই ছবিগুলোও গতকাল গোপালগঞ্জে ধারণ করা। যাতে গতকাল এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণকারী আওয়ামী সমর্থকদের দেখা যাচ্ছে। এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের ছবিগুলো গতকাল গোপালগঞ্জের সংঘর্ষের সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, গতবছর কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন জুলাইয়ের বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের হামলার ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তিন ব্যক্তির ছবিগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম দৈনিক যুগান্তর ও খবরের কাগজ-এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের জুলাই ও সেপ্টেমর মাসে চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত ৩ এবং অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা সেই ফিরোজ গ্রেফতার শিরোনামে প্রকাশিত দুটি পৃথক পৃথক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনগুলোতে ব্যবহৃত ছবিগুলোর সাথে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ব্যক্তিদের ছবির হুবহু মিল লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, ছবিগুলো গতবছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় ধারণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি করা যুবকরা ছাত্রলীগের কর্মী। 

Image Comparison by Rumor Scanner 

অপরদিকে আরেক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হেলমেট পরিহিত অবস্থায় গুলি করতে দেখা ব্যক্তির নাম মো. ফিরোজ। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর যুবলীগ কর্মী। চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে সায়মন ওরফে মাহিন নামের দোকান কর্মচারী হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া, মূলধারার গণমাধ্যম ডেইলি স্টার-এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই ডেইলি স্টারের ক্যামেরায় সায়েন্সল্যাবে রামদা-লাঠিসোঁটা হাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত পোস্টে দেখতে পাওয়া দেশীয় অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের ছবির সাথে উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত দুটি ছবির হুবহু মিল রয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছবিগুলো গতবছর জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় ১৬ ‍জুলাই ধারণ করা হয়। ছবিগুলোতে দেখতে পাওয়া অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

সুতরাং, গতবছরের জুলাই মাসে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পুরোনো ছবিকে গোপালগঞ্জে অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ ও এনসিপি সমর্থকদের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

গোপালগঞ্জে নিহত ব্যক্তির ছবি দাবিতে জুলাই আন্দোলনকারীর ছবি প্রচার গণমাধ্যমে

গতকাল (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম রমজান কাজী বলে একাধিক গণমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়। এই প্রেক্ষাপটে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এক যুবককে বলতে শোনা যায়, “প্রয়োজনে জীবন দিব, আমার ভাই রক্ত দিয়েছে, আমিও রক্ত দিব।” ভিডিওটি আওয়ামী লীগের একজন সমর্থকের বক্তব্য দাবিতে প্রচার করা হয়। 

এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

পরবর্তীতে, ভিডিওতে থাকা ওই যুবকের একটি স্থিরচিত্র সংযুক্ত করে কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, তিনিই গোপালগঞ্জের সংঘর্ষে নিহত কোটালীপাড়ার রমজান কাজী। এই দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন: সমকাল, জনকণ্ঠ, মানবকণ্ঠ

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি গতকাল গোপালগঞ্জে নিহত রমজান কাজী নন। বরং, এটি গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে সিরাজগঞ্জে ধারণ করা একটি ভিডিও, যেখানে হৃদয় নামের এক আন্দোলনকারীকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Bondhu Mahol বন্ধু মহল’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ২৭ জুন প্রকাশিত এক পোস্টে হুবহু একই ভিডিও পাওয়া যায়। সেখানে ওই যুবককে “জুলাই যোদ্ধা হৃদয়” হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়।

Comparison: Rumor Scanner. 

‘হৃদয়’ নামের সূত্র ধরে ‘Jubayer Hasan Jihad’ নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলে ১৭ জুলাই প্রকাশিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়। সেখানে ভিডিওর ওই যুবককে রমজান কাজী দাবি করে সমকালের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে জনাব জিহাদ জানান, ৪ নম্বর ছবিতে থাকা ব্যক্তি হৃদয়, যার বাড়ি সিরাজগঞ্জ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, একজন জীবিত মানুষকে রমজান কাজী দাবি করে গোপালগঞ্জের নিহত ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

রিউমর স্ক্যানার জনাব জিহাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, ভিডিওটি গত বছরের এবং ভিডিওর ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট জুলাই আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের জামতলী এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় আহত হন।

পরবর্তীতে হৃদয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া যায়, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি তিনিই। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ভিডিওটি গত বছরের ৪ আগস্ট ধারণ করা হয় এবং সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজে প্রচারের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সুতরাং, সিরাজগঞ্জে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া হৃদয় নামের এক ব্যক্তির পুরোনো ভিডিওকে গোপালগঞ্জে নিহত রমজান কাজী দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সাম্প্রতিক দৃশ্য দাবিতে গত বছরের আগস্টের ভিডিও প্রচার

গোপালগঞ্জে গতকাল (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে দিনভর দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে এখন অবধি ৪ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর গতকাল (১৬ জুলাই) রাত আটটা থেকে আজ (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

এরই প্রেক্ষিতে, গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযোগ দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটককৃত এক ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে একটি ভবনে অভিযানে গিয়েছেন। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে একই ভিডিও শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কেও শেয়ার করতে দেখা যায়। 

একই দাবি টেলিগ্রামে দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গতকাল (১৬ জুলাই) রাতে গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানের দৃশ্যের নয় বরং, ভিডিওটি গত বছরের আগস্ট মাস থেকেই ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। 

অনুসন্ধানে ‘Smart miraj 02’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত বছরের ১১ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টের ক্যাপশনের দাবি অনুযায়ী এটি গত আগস্টে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানের ভিডিও।

উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী শনিবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে গাড়ি আটকা পড়ে। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে কর্মরত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে সেনাসদস্যদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান তারা। সেনাসদস্যরা তাদের সড়ক থেকে সরতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেন সেনাসদস্যরা। এ সময় নেতাকর্মীরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে ভাঙচুর শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় সেনা সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে অতিরক্তি সেনা মোতায়েনের কথা জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

উল্লেখ্য, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এটি নিশ্চিত হওয়া গেলেও ভিডিওটি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ারই কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সুতরাং, গত বছরের আগস্ট থেকে ইন্টারনেটে বিদ্যমান সেনাবাহিনীর অভিযানের একটি দৃশ্যকে গতকাল ১৬ জুলাই রাতে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

গোপালগঞ্জের ১৬ জুলাইয়ের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো পুরোনো

0

গোপালগঞ্জে গতকাল (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে দিনভর দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে এখন অবধি ৪ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষাপটে, গোপালগঞ্জে জনগণের ওপর পুলিশের হামলার দৃশ্য দাবিতে তিনটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই ছবি গতকালের গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমস এবং ইন্ডিয়া টিভি

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো গতকাল (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, প্রচারিত তিনটি ছবির একটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের দিকে ডিবি পুলিশের এক সদস্যের গুলি করার দৃশ্যের। আর বাকি দুইটি ছবি গত বছরের আগস্ট মাসে গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিক্ষোভ মিছিলের। 

অনুসন্ধানের শুরুতে ডিবি পুলিশ সদস্যের গুলি করার ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে নিউজবাংলা ২৪ এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ০৭ সেপ্টেম্বর “সেই অস্ত্র কনকের নয়, গুলি করার সুযোগও ছিল না” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবির সাথে আলোচিত ছবিটির মিল রয়েছে। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ০১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনকের গুলি করার দৃশ্য এটি।


এছাড়া, বাকি দুইটি ছবির বিষয়ে অনুসন্ধানে ছবিগুলো রিভার্স সার্চ করে ডেইলি দেশ সময় নামক একটি সংবাদ ভিত্তিক ওয়েবসাইটে গত বছরের ০৮ আগস্ট “গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলিতে শিশু আহত বিক্ষুব্ধ জনতা সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ছবি দুইটির সাথে আলোচিত পোস্টগুলোতে থাকা বাকি দুইটি ছবির মিল রয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ০৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গোপালগঞ্জের গোপিনাথপুরে জনতা সমাবেশের ডাক দেন। সেই সমাবেশের এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সাথে জনতার সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সময়কাল দৃশ্য এটি। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ছবিগুলো গোপালগঞ্জের গতকালের (১৬ জুলাই) সংঘর্ষের ঘটনার নয়। 

সুতরাং, ২০২২ সালে একটি ছবি এবং গত বছরের আগস্ট মাসের দুইটি ছবিকে গতকাল (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির গোপালগঞ্জ পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র 

গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে গণহত্যার ভিডিও দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার

গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে তাদের ঘিরে হামলার ঘটনার পর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “১৪৪ ধারা জারি করে রাতের আঁধারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে।”

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
উল্লেখ্য যে, উক্ত ভিডিওটি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিও (লাইভ) হিসেবেও প্রচার করতে দেখা যায় এবং আলোচিত দাবিতে প্রচারিত একটি পোস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কেও শেয়ার করতে দেখা যায়।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

এরূপ দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গত ১৬ জুলাইয়ে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের দৃশ্যের নয় বরং, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় ঘটা যৌথবাহিনীর অভিযানের দৃশ্য আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম ‘যমুনা টিভি’ এর ইউটিউব চ্যানেলে “মোহাম্মদপুরে চাঁদ উদ্যানের সেই অভিযানের ভিডিও” শীর্ষক শিরোনামে গত ২২ ফেব্রুয়ারিতে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে মিল পাওয়া যায়।

এছাড়াও, মূলধারার গণমাধ্যম সময় নিউজ টিভির ফেসবুক পেজসহ নানা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও সেসময় এ ঘটনার ভিডিওটি প্রচার হতে দেখা যায়।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করলে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে “মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানকালে ‘গুলিবিনিময়ে’ নিহত ২: পুলিশ” শীর্ষক শিরোনামে গত ২০ ফেব্রুয়ারিতে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, “রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানকালে ‘গুলিবিনিময়ে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান এই তথ্য জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত একটার দিকে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন জুম্মন ও মিরাজ। পুলিশ তাঁদের সন্ত্রাসী বলছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।”

এছাড়াও এ বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম ‘বিডিনিউজ২৪’ এর ওয়েবসাইটে গত ২০ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একইরকম তথ্য জানা যায়। পাশাপাশি, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকেও গত ২০ ফেব্রুয়ারিতে ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’ পোস্ট হতে দেখা যায়। পোস্টটিতে বলা হয়, “আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ০০৩০ ঘটিকায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় ছিনতাই এর প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা একটি গলির দুই পাশে ঘেরাও করলে সন্ত্রাসীরা একটি একতলা ভবনের ছাদ থেকে আভিযানিক দলটির উপর অতর্কিত গুলি চালায়। আভিযানিক দলটি আত্মরক্ষার্থে তৎক্ষণাৎ পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ৫ জন সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে, বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে ছাদের উপর থেকে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আটককৃত ব্যক্তিদের নিকট হতে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি এবং একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং প্রচারিত লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়টিও ভুয়া।

সুতরাং, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় ঘটা যৌথবাহিনীর অভিযানের দৃশ্যকে গতকাল ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে লাশ তোলার দৃশ্য দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার

গতকাল (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একাধিক হতাহতের খবর এসেছে। এরই প্রেক্ষিতে, গোপালগঞ্জে পুলিশের হাতে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে হত্যার পর লাশ গাড়িতে তোলার দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে, এখানে

এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি গোপালগঞ্জের নয়; বরং এটি গত ৪ জুন থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে এবং সেসময় ভিডিওটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর বাস স্ট্যান্ড গরুর বাজারে এক ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত হয়।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘প্রাণের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামের একটি ফেসবুক পেজ ও ‘Mohammad Sajon’ নামের একটি প্রোফাইল থেকে ৪ জুন প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উভয় পোস্টের ক্যাপশনে দাবি করা হয়, এটি ভাদুঘর বাস স্ট্যান্ড গরুর বাজারে এক ছিনতাইকারীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের দৃশ্য।

Comparison: Rumor Scanner. 

উল্লেখ্য, এ বছর ৭ জুন সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। কোরবানির পশুর হাট কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে সেসময় দেশজুড়ে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সুতরাং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি পুরোনো ভিডিওকে গতকাল গোপালগঞ্জে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে পুলিশের গাড়িতে তোলার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

জুলাই ঐক্যের প্রতীকী কফিন মিছিলের ভিডিওকে গোপালগঞ্জে নিহত মানুষের লাশ নিয়ে জনতার মিছিল দাবিতে প্রচার 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জের পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল (১৬ জুলাই) দিনভর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪ জন নিহতের খবর গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে ‘গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী ও পুলিশে দ্বারা হত্যা হওয়া লাশ নিয়ে সাধারণ মানুষের মিছিল’ শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।  

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গোপালগঞ্জে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহতদের লাশ নিয়ে সাধারণ মানুষদের মিছিলের নয় বরং, এনসিপি নেতা-কর্মীদের ওপর গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদে জুলাই ঐক্য নামক একটি সংগঠনের প্রতিকী কফিন ও মশাল মিছিলের ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে দেশীয় মূলধারার ইলেক্ট্রনিক সংবাদমাধ্যম ‘Jamuna Television’ এর ফেসবুক পেজে গতকাল (১৬ জুলাই, ২০২৫) ‘রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিল’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে ব্যবহৃত দৃশ্যের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে যুগান্তরের ওয়েবসাইটে ১৭ জুলাই ‘৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকায় জুলাই ঐক্যের প্রতীকী কফিন ও মশাল মিছিল’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল ১৬ জুলাই রাতে রাজধানীর সাইন্সল্যাব সিটি কলেজের সামনে থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের পুনর্বাসন, প্রশাসন, গণমাধ্যম, সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির সংস্কারের দাবিতে ও গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের উপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ পর্যন্ত প্রতিকী কফিন ও মশাল মিছিল করেছে জুলাই ঐক্য নামের একটি সংগঠন। 

অর্থাৎ, স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে যে, প্রচারিত ভিডিওটি গোপালগঞ্জে নিহত মানুষের লাশ নিয়ে সাধারণ মানুষের মিছিলের নয়। 

সুতরাং, গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে জুলাই ঐক্যের প্রতীকী কফিন ও মশাল মিছিলের ভিডিওকে গোপালগঞ্জে লাশ নিয়ে সাধারণ মানুষদের মিছিল দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

মুসলিম শিশু নিহতের খবর হিন্দু হত্যার ঘটনা দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি শিশুর ছবি সংযুক্ত করে দাবি প্রচার করা হয়েছে, “বাংলাদেশে আরো একটি মর্মান্তিক হিন্দুহত্যার ঘটনা। ফুটফুটে এই বাচ্চা মেয়েটা ৫ দিন যাবত নিখোঁজের পর গতকাল তার অর্ধগলিত দেহ পাওয়া গেছে বাড়ির পাসের একটি পাট ক্ষেতে। বাবা মা স্পষ্ট বলে দিয়েছিল দরকার হলে বাড়ি বিক্রি করে দিবে যদি কেউ যদি সন্ধান দিতে পারে, কতটা নির্মম  গ্রাম : চরমারিয়া, কিশোরগঞ্জ সদর | বাবা মা পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দান করুন।”

এরূপ দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত পোস্টগুলো প্রায় ৩২ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং অ্যাকাউন্টের তথ্যানুসারে উক্ত অ্যাকাউন্টগুলো ভারত থেকে পরিচালিত হয়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ঘটনার শিশুটি হিন্দু নয় বরং, মুসলিম। তার নাম রোজা মনি। সে মোহাম্মদ সুমন মিয়ার মেয়ে।

অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম ‘সময় নিউজ’ এর ওয়েবসাইটে “নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার” শীর্ষক শিরোনামে গত ১১ জুলাইয়ে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে একটি শিশুর ছবির সংযুক্তি পাওয়া যায় যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোতে সংযুক্ত শিশুর ছবির মিল পাওয়া যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত পোস্টটি মূলত উক্ত শিশুর বিষয়ে করা হয়েছে। 

Comparison : Rumor Scanner

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “কিশোরগঞ্জে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর পাটক্ষেত থেকে রোজা মনি (৬) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে বাড়ির পেছনে একটি পাট ক্ষেত থেকে রোজা মনি (৬) নামে শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত রোজা মনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের চরমারিয়া গ্রামের মোহাম্মদ সুমন মিয়ার মেয়ে।” এছাড়াও, প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শিশুটির ফুপাতো ভাইয়ের নাম নাইম মিয়া।

এ বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম ‘আরটিভি‘ এবং ‘কালবেলা‘ এর ওয়েবসাইটেও গত ১১ জুলাইয়ে একইরকম তথ্যসমেত সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ হতে দেখা যায়।

এছাড়াও, উক্ত তথ্যের পাশাপাশি এ বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম ‘আজকের পত্রিকা’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিহত শিশুর দাদির নাম গুলনাহার বেগম।

অর্থাৎ, নিহত হওয়া শিশু রোজা মনি ও তার পরিবারের সদস্যের নাম পর্যবেক্ষণ করে তাদের সকলেই মুসলিম বলে প্রতীয়মান হয় এবং নিশ্চিত হওয়া যায় যে, নিহত শিশু রোজা মনি মুসলিম ও মুসলিম পরিবারের সন্তান ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলোতে নিহত শিশু রোজা মনির ছবি ছাড়াও ক্ষেত সদৃশ একটি ছবিরও সংযুক্তি রয়েছে। ক্ষেত সদৃশ উক্ত ছবিটি রোজা মনির দাবিতে ফেসবুকে নানা পোস্ট পাওয়া গেলেও গণমাধ্যম সূত্রে এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সুতরাং, মুসলিম পরিবারের মুসলিম শিশু রোজা মনির নিহত হওয়ার ঘটনাকে হিন্দু শিশু নিহতের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

১০ জুলাই এক সেনা সদস্যের চাকরি ছাড়ার খবরকে গোপালগঞ্জ ইস্যুতে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার

0

গোপালগঞ্জে গতকাল (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে দিনভর দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে একাধিক হতাহতের খবর এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত শোভন নামে এক সৈনিক চাকুরি ছেড়েছেন শীর্ষক দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবির কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

একই দাবির টিকটক ভিডিও দেখুন এখানে

একই দাবিতে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেনাবাহিনীর পরিচয়ধারী শোভন নামের এই ব্যক্তি গোপালগঞ্জের ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে চাকরি থেকে ইস্তফা দেননি বরং এই ঘটনার ছয় দিন পূর্বে গত ১০ জুলাই তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে চাকরি ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত পোস্ট দেন। উক্ত পোস্টটিই উক্ত দাবিতে প্রচার হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে কিওয়ার্ড সার্চ এবং এডভান্স টুল ব্যবহার করে গোপালগঞ্জের ঘটনার ছয়দিন পূর্বে গত ১০ জুলাই রাতে শোভন সৈকত নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত মূল পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টে তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকরি ছাড়ার তথ্য জানান। পোস্টটির কমেন্টে চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার বিষয়ে উল্লেখ করেন। 

Comparison: Rumor Scanner 

অ্যাকাউন্টটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাথমিক অনুসন্ধানে শোভন সৈকত সেনাসদস্য ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

এদিকে নিজেকে নিয়ে আলোচিত দাবিটি ব্যাপকভাবে প্রচারের প্রেক্ষিতে শোভন সৈকত গত রাতে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, আমি গোপালগঞ্জের ঘটনার আরো অনেক আগেই রিজাইন দিয়েছি দয়া করে কেউ এই সব গুজবে কান দিবেন না। বিশেষ করে আমি চাকরি ছেড়েছি আমার পড়ালেখার জন্য।

সুতরাং, গত ১০ জুলাই এক সেনা সদস্যের চাকরি ছাড়ার খবরকে ১৬ জুলাইয়ের গোপালগঞ্জের ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে উক্ত সেনা সদস্য চাকরি ছেড়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা  বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

লাঠি হাতে শিশুর ছবিটি গোপালগঞ্জের নয়, গাজীপুরে তোলা পুরোনো ছবি

0

২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া জনসাধারণের কথা শুনতে এবছরের পুরো জুলাই মাস জুড়ে দেশের সব জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কর্মসূচিটির নাম দেওয়া হয় ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’। উক্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ অর্থাৎ, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে সমাবেশ করে এনসিপির নেতাকর্মীরা। আজকের কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা প্রস্তুতি নিচ্ছে দাবিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে লাঠি হাতে একটি শিশুর ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে ছবিটি আজকে গোপালগঞ্জে ধারণ করা।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

একই দাবিতে ছবিটির এআই সংস্করণ ফেসবুকে শেয়ার করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে অনলাইনে সক্রিয় এক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদার। তার শেয়ার করা পোস্টটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ইউটিউবে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, লাঠি হাতে শিশুর ছবিটি গোপালগঞ্জের নয়। এছাড়াও ছবিটি আজ ১৬ জুলাই ধারণ করাও নয়। প্রকৃতপক্ষে, গাজীপুরের সফিপুর এলাকায় ধারণ করা একটি ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। যেটি গত বছরের আগস্ট মাস থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে দেখা যায়।


আলোচিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Md Juel Rana M নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওতে দেখতে পাওয়া লাঠি হাতে শিশুর পোশাক এবং পারিপাশ্বিক অবস্থার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির শিশুর হুবহু মিল রয়েছে। যা থেকে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে উক্ত ভিডিওর স্ক্রিনশট নিয়ে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো আজকের নয়।


পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানের মাধ্যমে সফিপুর বাজার,কালিয়াকৈর,গাজীপুর.নামক একটি ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট প্রচারিত একই শিশুর ভিন্ন আরেক স্থানে ধারণ করা আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর শিরোনামে দাবি করা হয় ভিডিওটি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা নামক এলাকায় ধারণ করা। উল্লিখিত তথ্যের সূত্র ধরে গুগল ম্যাপের সহায়তায় উক্ত এলাকার স্ট্রিটভিউ পর্যালোচনার মাধ্যমে ভিডিওটির জিওগ্রাফিক লোকেশন শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ভিডিওটির বামপাশে দেখতে পাওয়া নির্মানাধীন ভবনের পাশাপাশি এর পেছনের সাদা এবং আকাশী রঙের ভবনটির পাশাপাশি ডানপাশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভবনটিও গুগলের স্ট্রিটভিউয়ে দেখতে পাওয়া যায়

যেহেতু গুগলের ছবিগুলো ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তোলা এবং ভিডিওটি সম্ভবত আগস্ট মাসে আন্দোলনের যেকোনো একটি ধারণ করা তাই ‍দুই জায়গায় পরিবেশের কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। 


পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আলোচিত ছবির ভিডিওটি যে স্থানে ধারণ করা হয়েছে সেই স্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করে রিউমর স্ক্যানার। এক্ষেত্রে শনাক্তকৃত স্থানের পেছনের দিকে অর্থাৎ শফিপুরের দিকে অগ্রসর হয়ে দেখা যায়, শফিপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমী সংলগ্ন এলাকার একটি স্থানের সাথে আলোচিত ভিডিওটির স্থানের মিল রয়েছে। উক্ত স্থানেও ভিডিওর সবুজ বাউন্ডারি দেওয়া লাল রঙের বাসাটি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ফুটপাতে যে স্থানে শিশুটি দাড়িয়ে ছিল সেটিও শনাক্ত করা যায়। এ থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, শিশুটি সেদিন গাজীপুর জেলার শফিপুরের এই স্থান থেকে হেঁটে হেঁটে চন্দ্রা নামক এলাকা পর্যন্ত যায়।

অর্থাৎ, গোপালগঞ্জে লাঠি হাতে শিশুর দাঁড়িয়ে থাকার ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি গাজীপুরের সফিপুর নামক এলাকায় ধারণ করা। 

সুতরাং, এনসিপির কর্মসূচি প্রতিহত করতে গোপালগঞ্জে শিশুর লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি দাবিতে গাজীপুরে ধারণকৃত পুরোনো দৃশ্য প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র  

  • Md Juel Rana M Facebook Page Post
  • সফিপুর বাজার,কালিয়াকৈর,গাজীপুর Page Post
  • Google Map Street View
  • Google Map Street View
  • Rumor Scanner’s Analysis