১০ জুলাই এক সেনা সদস্যের চাকরি ছাড়ার খবরকে গোপালগঞ্জ ইস্যুতে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার

গোপালগঞ্জে গতকাল (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে দিনভর দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে একাধিক হতাহতের খবর এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত শোভন নামে এক সৈনিক চাকুরি ছেড়েছেন শীর্ষক দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবির কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

একই দাবির টিকটক ভিডিও দেখুন এখানে

একই দাবিতে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেনাবাহিনীর পরিচয়ধারী শোভন নামের এই ব্যক্তি গোপালগঞ্জের ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে চাকরি থেকে ইস্তফা দেননি বরং এই ঘটনার ছয় দিন পূর্বে গত ১০ জুলাই তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে চাকরি ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত পোস্ট দেন। উক্ত পোস্টটিই উক্ত দাবিতে প্রচার হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে কিওয়ার্ড সার্চ এবং এডভান্স টুল ব্যবহার করে গোপালগঞ্জের ঘটনার ছয়দিন পূর্বে গত ১০ জুলাই রাতে শোভন সৈকত নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত মূল পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টে তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকরি ছাড়ার তথ্য জানান। পোস্টটির কমেন্টে চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার বিষয়ে উল্লেখ করেন। 

Comparison: Rumor Scanner 

অ্যাকাউন্টটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাথমিক অনুসন্ধানে শোভন সৈকত সেনাসদস্য ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

এদিকে নিজেকে নিয়ে আলোচিত দাবিটি ব্যাপকভাবে প্রচারের প্রেক্ষিতে শোভন সৈকত গত রাতে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, আমি গোপালগঞ্জের ঘটনার আরো অনেক আগেই রিজাইন দিয়েছি দয়া করে কেউ এই সব গুজবে কান দিবেন না। বিশেষ করে আমি চাকরি ছেড়েছি আমার পড়ালেখার জন্য।

সুতরাং, গত ১০ জুলাই এক সেনা সদস্যের চাকরি ছাড়ার খবরকে ১৬ জুলাইয়ের গোপালগঞ্জের ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে উক্ত সেনা সদস্য চাকরি ছেড়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা  বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img