Home Blog Page 138

আয়নাঘর উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা দাবিতে বার্তা ২৪ এর নামে নকল ফটোকার্ড প্রচার 

0

গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি বহুল আলোচিত ঢাকার তিনটি গোপন বন্দিশালা বা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এরই প্রেক্ষিতে, “আয়নাঘর উদ্বোধনে প্রধান উপদেষ্টা” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার অনলাইন  গণমাধ্যম বার্তা২৪ ডট কমের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে  (আর্কাইভ ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “আয়নাঘর উদ্বোধনে প্রধান উপদেষ্টা” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে বার্তা২৪ ডট কম কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে বার্তা২৪ ডট কমের ডিজাইন নকল করে ভুয়া এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে বার্তা২৪ ডট কমের লোগো রয়েছেন এবং এটি প্রকাশের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

পরবর্তী অনুসন্ধানে বার্তা২৪ ডট কমের লোগো ও প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে ‘আয়নাঘর উদ্বোধনে প্রধান উপদেষ্টা’ শীর্ষক শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, বার্তা২৪ ডট কমের ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Comparison: Rumor Scanner

তবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইন ও ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির হুবহু মিল রয়েছে। তবে এই ফটোকার্ডের শিরোনামে ‘আয়নার পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা’ শীর্ষক শিরোনাম থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডে শিরোনামে ‘পরিদর্শনের’ পরিবর্তে ‘উদ্বোধনের’ শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে।

অর্থাৎ, বার্তা২৪ ডট কমের এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বিকৃত করে  আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বার্তা২৪ ডট কম তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে আলোচিত ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে নিশ্চিত করেছে।

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং,  “আয়নাঘর উদ্বোধনে প্রধান উপদেষ্টা” শীর্ষক শিরোনামে বার্তা২৪ ডট কমের নামে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

রুমিন ফারহানার বাসায় শিবির-সমন্বয়কদের হামলা দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘এই মুহুর্তে একদল শিবির সমন্বয়ক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বাসায় হামলা ও ভাংচুর করছে।। বিস্তারিত ভিডিওতে’ দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি রুমিন ফারহানার বাসায় হামলার সাম্প্রতিক কোনো দৃশ্য নয় বরং, গত বছরের আগস্টে বিগত সরকারের সময়ে রুমিনের বাসায় হামলার ঘটনার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে মূল ধারার গণমাধ্যম চ্যানেল২৪ এর লোগো লক্ষ্য করা যায়।

পরবর্তীতে চ্যানেল২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ‘রুমিন ফারহানার বাড়িতে হামলার অভিযোগ ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।

Video comparison by: Rumor Scanner

ভিডিওতে রুমিন ফারহানাকে হামলাকারীদেরকে বর্ননা দিতে বলতে শোনা যায়, ‘তারা ইতিমধ্যেই আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরিয়েছে, আমাদের বোনদের রক্ত ঝরিয়েছে, আমাদের স্টুডেন্টদের রক্ত ঝরিয়েছে।’ এ থেকে প্রতীয়মান হয় তিনি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনকে বুঝিয়েছেন।   

এছাড়া সংবাদ মাধ্যম (, ) থেকে জানা যায়, ০৩ আগস্ট দিবাগত রাতে একদল ছেলে লাঠি হাতে তার বাসার সামনে এসে বিশ্রী গালি দিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন রুমিন ফারহানা। রুমিন ফারহানা তার ফেসবুক একাউন্ট থেকেও এ হামলা সংক্রান্ত ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন।  

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। তাছাড়া, পুরোনো এই ঘটনার সাথে শিবির বা সমন্বয়কদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও রুমিন ফারহানা বা গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া যায়নি।  

সুতরাং, পুরোনো ভিডিওকে রুমিন ফারহানার বাসায় সাম্প্রতিক হামলা দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

ফেসবুকে ড. জাফর ইকবালের নামে ভুয়া পেজ, আসল ভেবে ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের নামে চালু থাকা একটি ফেসবুক পেজের একাধিক পোস্ট নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল অনেক ব্যক্তিই পেজটিকে ড. ইকবালের আসল পেজের পোস্ট ভেবে পেজের পোস্টগুলো শেয়ার করছেন, ক্ষেত্রবিশেষে করছেন সমালোচনাও। এমনকি কতিপয় গণমাধ্যমও পোস্টগুলোকে জাফর ইকবালের পোস্ট দাবি করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। 

ফেসবুকে প্রচার হওয়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সংবাদ দেখুন জনকণ্ঠ, আমাদের সময়। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত পেজটি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল দ্বারা বা তার অধীনে পরিচালিত হচ্ছে না বরং একাধিকবার বিভিন্ন নামের পরিবর্তন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা এই পেজটিকে তার নামে চালু থাকা ভুয়া পেজ বলে রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে কথিত পেজটির ট্রান্সপারেন্সি সেকশন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, পেজটি পূর্বে একাধিক বার নাম পরিবর্তন করেছে। ২০২৩ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর ‘শ্রাবণ সন্ধ্যা’ নামে পেজটি চালুর পর একাধিক বার নাম বদলে সর্বশেষ গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ‘ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল’ নাম রাখা হয়। 

Collage: Rumor Scanner 

ফেসবুকে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের এই মুহূর্তে কোনো অফিশিয়াল পেজ সক্রিয় নেই। ২০২৩ সালের ১২ মার্চ অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়, Muhammed Zafar Iqbal নামে চালু থাকা জাফর ইকবালের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি হ্যাক হয়েছে। পরবর্তীতে পেজটির নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এবং এটি বর্তমানে ফেসবুকের সার্চ ফলাফলেও প্রদর্শিত হচ্ছে না।

দাবিটির বিষয়ে জানতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাথে কথা বলেছে রিউমর স্ক্যানার৷ তিনি নিশ্চিত করেছেন, আলোচিত পেজটি ভুয়া। 

সুতরাং, ভুয়া একটি ফেসবুক পেজকে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের আসল পেজ দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

  • Statement from Muhammed Zafar Iqbal
  • Rumor Scanner’s own analysis 

বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার দাবিতে পুরোনো ছবি প্রচার 

0

গত ১০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শাহবাগ মোড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে, লাঠিপেটা ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

এরই প্রেক্ষিতে, আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও জল কামান দিয়ে ছত্রভঙ্গ করার সময়কার দৃশ্য দাবিতে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও জল কামান দিয়ে ছত্রভঙ্গ করার সময়কার দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে শুরুতে আলোচিত ছবিগুলো নিয়ে আলাদা আলাদা অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার। 

ছবি যাচাই-১

অনুসন্ধানে ‘আঁলো আঁধারের গল্প’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ছবির সাথে আলোচিত ছবিগুলোর একটি ছবির মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner

উক্ত পোস্টের ক্যাপশন থেকে ঘটনা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও এটা নিশ্চিত যে ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।   

ছবি যাচাই-২

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Mma Taher’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৩ সালের ০২ ডিসেম্বর প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ছবির সাথে আলোচিত ছবিগুলোর একটি ছবির মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, হরতাল সমর্থককারীদের ওপর পুলিশের হামলার দৃশ্য এটি। অর্থাৎ, এটিও সাম্প্রতিক সময়ের ছবি নয়। 

ছবি যাচাই-৩

অনুসন্ধানে ‘Ahsan Kamrul Mazumder’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা একটি ছবির সাথে আলোচিত ছবিগুলোর একটি ছবির মিল রয়েছে। 

Image Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টের ক্যাপশন থেকে ঘটনা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও এটা নিশ্চিত যে ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

ছবি যাচাই-৪

অনুসন্ধানে ‘Bongoj’ নামক একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে ২০০৯ সালের ২৭ মে প্রকাশিত একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবির সাথে আলোচিত ছবিগুলোর একটি ছবির মিল রয়েছে।

Image Comparison By Rumor Scanner

এই ছবিটি সম্পর্কেও কোনে তথ্য পাওয়া যায়নি ওয়েবসাইটটিতে। 

অর্থাৎ, আলোচিত ছবিগুলো অন্তত ২০০৯ সালে, ২০১৩ সালে এবং ২০১৬ সাল থেকে ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। এতে সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের সময়কার নয়। 

সুতরাং, ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও জল কামান নিয়ে ছত্রভঙ্গ করার সময়কার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তকর। 

তথ্যসূত্র 

হিরো আলম এবং উপদেষ্টা মাহফুজকে জড়িয়ে প্রথম আলোর নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার 

0

সম্প্রতি, “হিরো আলম আর মাহফুজ আলমের তফাত কী?”- শীর্ষক শিরোনামে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথম আলো “হিরো আলম আর মাহফুজ আলমের তফাত কী?”- শীর্ষক শিরোনামে কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, প্রথম আলোর ডিজাইন নকল করে উক্ত ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলোর লোগো এবং পত্রিকাটির মতামত বিভাগে এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে, আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Prothom Alo Facebook Page 

উক্ত পোস্টে আলোচিত ফটোকার্ডটি প্রথম আলো প্রকাশ করেনি বলে নিশ্চিত করা হয়। 

সুতরাং, “হিরো আলম আর মাহফুজ আলমের তফাত কী”- শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলোর নামে ইন্টারনেটে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

৬ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন হতে পারে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো মন্তব্য করেননি

0

সম্প্রতি অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দাবি প্রচার করা হয়েছে, “সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর : প্রধান উপদেষ্টা”।

উক্ত দাবিতে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ড দেখুন : দৈনিক সকাল, বার্তা বাজার

এছাড়া, উক্ত শিরোনামে সংবাদমাধ্যমের  ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে। 

সংবাদমাধ্যম ছাড়াও উক্ত দাবিতে নেটিজেনরাও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এরূপ পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৬ ডিসেম্বর জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি বলেছেন নির্বাচনের সবচেয়ে দ্রুততম সময় হতে পারে এ বছরের শেষ নাগাদ। তবে, তিনি কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে গণমাধ্যম নাগরিক টিভির ইউটিউব চ্যানেলে “৬ ডিসেম্বর নির্বাচন, প্রস্তুত ইউনূস সরকার ও নির্বাচন কমিশন” শীর্ষক শিরোনামে গত ১১ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের শেষের দিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জাপানের এনএইচকে টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে হোক তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনোভাবেই চান না। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আগামী ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র দিবসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে, উক্ত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়নি যে ৬ ডিসেম্বর তারিখটি প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।

এ বিষয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা প্রকাশের ওয়েবসাইটে গত ১১ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। পাশাপাশি এই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, “নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র দিবসেই নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে।”

নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ৬ ডিসেম্বর আলোচনায় আসার সূত্রপাতের বিষয়ে অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, আমার দেশ সংবাদপত্রের গত ১১ ফেব্রুয়ারির মুদ্রণ সংস্করণের ইলেকট্রনিক সংস্করণে “জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপানের এনএইচকে টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইতোমধ্যে বলেছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গত রাতে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। বিএনপি ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে হোক তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনোভাবেই চান না। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র দিবসে এ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পর ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।”

এরই সূত্র ধরে জাপান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনএইচকে টেলিভিশনের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করলে “Bangladesh interim leader lays out path ahead” শীর্ষক শিরোনামে গত ৬ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে এনএইচকে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের সবচেয়ে দ্রুততম সময় হতে পারে এ বছরের শেষ নাগাদ।

উক্ত প্রতিবেদনটিতে ড. ইউনূস নির্বাচনের কোনো সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়নি।

এ বিষয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম যোগাযোগ করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের সাথে। তিনিও নিশ্চিত করেন, ৬ ডিসেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো মন্তব্য করেননি।

সুতরাং, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৬ ডিসেম্বর শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আসিফ নজরুলের কথায় ছেড়ে দেওয়া হয় শাওন ও সাবাকে দাবিতে ডিবিসির নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিনেত্রী সোহানা সাবা ও মেহের আফরোজ শাওনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবি। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন দুজনকেই নিজ নিজ পরিবাবের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে, “উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথায় ছেড়ে দেওয়া হয় অভিনেত্রী শাওন ও সাবাকে” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ডিবিসি নিউজের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ )।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথায় ছেড়ে দেওয়া হয় অভিনেত্রী শাওন ও সাবাকে” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে ডিবিসি নিউজ কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ডিবিসি নিউজের ডিজাইন নকল করে ভুয়া এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে ডিবিসি নিউজ এর লোগো রয়েছেন এবং এটি প্রকাশের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে ডিবিসি নিউজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে ডিবিসি নিউজের ফেসবুক পেজে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ‘’জিজ্ঞাসাবাদের পর শাওন ও সাবাকে ছেড়ে দিল ডিবি’ শিরোনামে একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডে আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, ডিবিসি নিউজ এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, “উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথায় ছেড়ে দেওয়া হয় অভিনেত্রী শাওন ও সাবাকে” শীর্ষক শিরোনামে ডিবিসি নিউজের নামে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র

নারায়ণগঞ্জে সেভ দ্য চিলড্রেন এর কর্মকর্তা নয়, খুন হয়েছেন কর্মকর্তার পিতা  

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রকল্প পরিচালক উৎপল রায়ের গলাকাটা লাশ নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় দাবিতে কতিপয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড , সময় টিভি, ঢাকা মেইল, আজকের পত্রিকা, নিউজ২৪, নয়া দিগন্ত, দেশ টিভি, একাত্তর টিভি (ভিডিও), ইনকিলাব, সমকাল, চ্যানেল আই, এনটিভি, সংবাদ, স্বদেশ প্রতিদিন, আমার সংবাদ, বাহান্ন নিউজ, খবরের কাগজ, সময়ের কন্ঠস্বর, বহুমাত্রিক, শেয়ার বিজ, সাম্প্রতিক দেশকাল, জবাবদিহি, আমাদের সময়, Bangla Scoop, লাইভ নারায়ণগঞ্জ, একুশে সংবাদ, ঢাকা জার্নাল। 

উক্ত দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন: এই মুহূর্তে, এইদিন। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে এক্স-এ প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইন্সটাগ্রাম প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

বণিক বার্তা, ডেইলি অবজারভার, বাংলা ট্রিবিউন, আরটিভি, চ্যানেল২৪ ও দেশ রূপান্তর একই দাবিতে সংবাদ প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে সেটি সংশোধন করে নেয়।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে নিহত ব্যক্তি উৎপল রায় সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রকল্প পরিচালক নয় বরং তার সন্তান সেভ দ্য চিলড্রেনে কর্মরত চিকিৎসক। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ‘নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার’ শিরোনামে প্রকাশিত এটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকার ফ্ল্যাট থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে উৎপল রায় (৬২) নামের এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ নিহত ব্যক্তির পরিবারের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই ফ্ল্যাটে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনে কর্মরত চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার রায় ও তাঁর বাবা উৎপল রায় ভাড়া থাকতেন। ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছেলে উজ্জ্বল বাসায় এসে দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে লক করা। পরে লক ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, তাঁর বাবার রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে।

অর্থাৎ, হত্যার শিকার ব্যক্তি উৎপল রায়ের ছেলে উজ্জ্বল কুমার রায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনে কর্মরত চিকিৎসক এবং তিনি বেঁচে আছেন৷ 

এছাড়া, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি পোস্টে জানানো হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে একটি সশস্ত্র ডাকাতিতে তাদের একজন কর্মী নিহত হওয়ার দাবি সম্পর্কে তারা অবগত আছে। তারা নিশ্চিত করেছে যে ভুক্তভোগী ব্যক্তি সেভ দ্য চিলড্রেনের জন্য কাজ করেনি৷ 

পরবর্তীতে, মৃত উৎপল রায় তাদের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন কি না জানতে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উৎপল রায় আমাদের সাবেক বা বর্তমান কর্মকর্তা ছিলেন না৷ তিনি আমাদের প্রকল্প পরিচালক উজ্জ্বল কুমার রায়ের বাবা৷ 

সুতরাং, নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধারকৃত গলাকাটা মরদেহের উৎপল রায় নামক ব্যক্তি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকল্প পরিচালক শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা৷ 

তথ্যসূত্র

যুক্তরাষ্ট্র ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা 

0

সম্প্রতি, ‘আলহামদুলিল্লাহ ড ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে অবমাননা করায় নিষেধাজ্ঞা।’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত ভিডিও যুক্ত করে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দেওয়া এবং শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে অবমাননার দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবিগুলো মিথ্যা বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিন্ন কয়েকটি ভিডিও একসাথে যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। প্রথম দুইটি ক্লিপে সংবাদ পাঠিকাদের সংবাদ পাঠ করতে দেখা যায়। রিভার্স ইমেজ সার্চ করে এটিএন বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৩ ফেব্রুয়ারি এবং যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ জানুয়ারি প্রচারিত দুইটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনগুলোর কিছু অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওর প্রথম দুইটি ক্লিপের মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner

এটিএন বাংলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের করা একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে এটিএন বাংলা। সেই প্রতিবেদনের কিছু অংশ কেটে আলোচিত দাবিতে আবার প্রচার করা হচ্ছে। 

এছাড়া যমুনা টিভির বুলেটিনের ৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে প্রচারিত ‘বাংলাদেশে বন্ধ হলো ইউএসএআইডি’র সহায়তা’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনের কিছু অংশ কেটে আলোচিত ভিডিওটিতে যুক্ত করা হয়েছে।

অর্থাৎ, আলোচিত দাবির সাথে প্রচারিত ভিডিও প্রতিবেদনগুলো ভিন্ন প্রেক্ষিতে করা প্রতিবেদন। 

পাশাপাশি, প্রচারিত ভিডিওটিতে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও বিএনপি নেতাফজলুর রহমান, গণ অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, গোলাম মাওলা রনি এবং সোহেল তাজের বক্তব্যের কিছু ক্লিপ দেখা যায়। তবে, বক্তব্যের উক্ত ক্লিপগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দেওয়া এবং শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে অবমাননার দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। 

এরপর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ২০ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কি না-এ বিষয়ে সত্যতা জানতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করেও এসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা দেওয়া এবং শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে অবমাননার দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত তরুণীর ছবিকে হিন্দু তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা দাবিতে প্রচার 

0

সম্প্রতি, “এই হিন্দু মেয়েটি স্বরসতী পূজা থেকে ফেরার সময় তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষন করে ঢাকা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। তাঁর সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুযায়ী মেয়েটির বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নে। মেয়েটির নাম “অংকিতা মজুমদার তৃষা’। ” শীর্ষক দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি নারীর ছবি প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

উক্ত দাবিতে এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল ছবিটি তরুণীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যাওয়ার কোনো ঘটনার নয়, বরং ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাওলা রেলগেটে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই তরুণীর মৃত্যু হয়। তার নাম অংকিতা মজুমদার তৃষা। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘Noyon Chatterjee’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে  গত ১৯ জানুয়ারি ‘ঘন্টাখানেক পূর্বে এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কাওলা রেলগেট এলাকায় একজন বোন রেললাইন পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায়  মৃত্যুবরণ করেছেন। মেয়েটির বাড়ী কুলিয়ারচর উসমানপুর ইউনিয়নে। মেয়েটির ভোটার আইডি কার্ড নাম অনুযায়ী অংকিতা মজুমদার তৃষা। আপনাদের কারো পরিচিত হলে দ্রুত যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো স্পটের স্থানে।’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের ছবির সাথে আলোচিত ছবির মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

এছাড়া, একই দিনে একই তথ্য ও ছবি সম্বলিত আরও কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট (,) খুঁজে পাওয়া যায়। 

উপরোক্ত পোস্টগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মূলধারার গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের ওয়েবসাইটে গত ১৯ জানুয়ারি ‘রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই নারীর মৃত্যু’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।  

উক্ত প্রতিবেদনে ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বজলুর রশিদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ১৯ জানুয়ারি (রবিবার) সকালে কাওলা রেলগেট এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান অংকিতা মজুমদার। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিনি আরও বলেন, অংকিতা ৬ বছর আগে হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নয়ন ইসলামকে বিয়ে করেন। চাকরির সুবাদে তার স্বামী বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর গ্রামের মো. উজ্জ্বল মজুমদারের মেয়ে অংকিতা। স্বামী নয়ন ইসলাম। বর্তমানে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টর ১৮ নম্বর রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এছাড়া, একই ঘটনায় মূলধারার গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও এই তরুণীর বিষয়ে একই তথ্য জানা যায়। 

তবে, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে উক্ত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, রাজধানীর কাওলা রেলগেটে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় তার মৃত দেহের ছবিকেহিন্দু তরুণীকে ধর্ষণ করে ফেলে রাখা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র