সম্প্রতি চিত্রনায়ক জায়েদ খান তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি গাছের ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন, গাছটি নিউটনের সেই বিখ্যাত আপেল গাছ, যেটি লন্ডনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে অবস্থিত।
জায়েদ খানের পোস্টটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। তার পোস্টটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজারের অধিক রিয়েক্ট পড়েছে।
এ সংক্রান্ত আরো কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত গাছের ছবিটি স্যার আইজ্যাক নিউটন যে আপেল গাছের নিচে বসেছিলেন সেই প্রকৃত আপেল গাছ নয় বরং এটি আসল আপেল গাছ থেকে কলম করে তৈরি একটি গাছ। তাছাড়া, প্রকৃত আপেল গাছটির অবস্থান ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে আইজ্যাক নিউটনের বাড়ির নিকটে।
মূলত, ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে নিউটনের বাড়ির সামনের বাগানে দাঁড়িয়ে থাকা আপেল গাছটিকেই ব্যাপকভাবে নিউটনের বসে থাকা সেই আপেল গাছ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ধারণা করা হয়, গাছটি ১৬৫০ সাল নাগাদ রোপণ করা হয়েছিল এবং ১৮১৬ সালের দিকে ঝড়ের ফলে গাছটি আংশিক ভেঙ্গে গিয়েছিল। কিন্তু গাছটি পুনরায় শিকড় দেয় এবং প্রায় ৩৫০ বছরের বেশি পুরোনো এই গাছটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে। অন্যদিকে, ফেসবুকে যে গাছের ছবিটি প্রচার করা হচ্ছে, তা যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ট্রিনিটি কলেজের প্রধান ফটকের পাশে অবস্থিত। এই আপেল গাছটি ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে নিউটনের বাড়ির সামনে অবস্থিত আসল মাতৃগাছটি থেকে কলম করে তৈরি করা হয়েছিল। নিউটনের অবদানকে স্মরণ রাখার জন্য ১৯৫৪ সালে এই গাছটি সেখানে রোপণ করা হয়েছিল। এই গাছটি থেকে সবুজ আপেল পাওয়া যায়। সরাসরি খাওয়া না গেলেও সেটি রান্না করলে খাওয়ার উপযোগী হয়। আর নিউটন যে মাতৃগাছটির নিচে বসেছিল সেই গাছটির ফল হচ্ছে লাল আপেল, যা সরাসরি খাওয়ার উপযোগী। শুধু ট্রিনিটিতেই নয়, নিউটনের সেই মাতৃগাছটির এমন ক্লোন সারাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই রয়েছে।
এ বিষয়ে ২০২৩ সালে প্রকাশিত রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক পড়ুন এখান থেকে।