সাঈদীর মৃত্যু: পুরোনো ছবি-ভিডিও আর ভুল তথ্যে একদিন 

জামায়াতে ইসলামীর হয়ে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পর পর দুইবার বাংলাদেশের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ২০১০ সালের ২৯শে জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের একটি মামলায় তিনি গ্রেফতার হন। পরে ২ আগস্ট এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকেই কারাগারে ছিলেন জামায়াতের এই নেতা। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে আনা মোট বিশটি অভিযোগের মধ্যে আটটিতে তিনি আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দুটো অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আদালত ২০১৩ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। তবে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে ২০১৪ সালে আপীল বিভাগ সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও সাঈদীর পৃথক রিভিউ আবেদন খারিজ করে ২০১৭ সালের ১৫ মে আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। এরপর থেকে কারাগারে থেকেই সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।

গত ১৪ আগস্ট রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ৮৩ বছর বয়সী সাঈদীর। 

যুদ্ধাপরাধের দায়ে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়া, রাজনীতিতে সক্রিয়তা এবং ধর্মীয় বক্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়ার দরুণ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য এবং প্রাসঙ্গিক গুজব ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা ছিল রিউমর স্ক্যানার টিমের। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর একটি ফটোকার্ড নজরে আসার মধ্য দিয়ে এই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল। 

সাঈদীর মৃত্যুর পরের দিন সকালে ফেসবুকে ‘একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার সাইদীর মৃত্যু’ শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলোর আদলে একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

Screenshot: Facebook 

কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানে দেখেছে, সংবাদমাধ্যমটি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রচারই করেনি। প্রথম আলোর পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

গতকাল সাঈদীর লাশ ঢাকা থেকে পিরোজপুরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পিরোজপুরে লাশ নিয়ে যাওয়ার আগেই তার সমর্থকরা ঢাকায় জানাজার আয়োজন করার দাবি জানায়। এর জন্য তারা সাঈদীর লাশ বহনকারী ‘লতিফা রশিদ ফাউন্ডেশন’ এর অ্যাম্বুলেন্সটির চাকা পাংচার করে দিলে তার লাশ ‘ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল’ এর একটি অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তর করে সেটিতে করেই পিরোজপুর নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে ‘সিনা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস’ এর একটি অ্যাম্বুলেন্সের দুর্ঘটনার দৃশ্যকে সাঈদীর লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের দাবিতে ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

Collage: Rumor Scanner

তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, অ্যাম্বুলেন্সটি গতকাল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এটা সত্য তবে এতে কোনো লাশ ছিল না বলে নিশ্চিত করেছে অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া, দুর্ঘটনার সময় এই অ্যাম্বুলেন্সটির আশেপাশে কোনো পুলিশ বা সাঈদী সমর্থকদেরও দেখা যায়নি ভিডিওতে। 

জনাব দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে দেশ এবং দেশের বাইরে একাধিক ব্যক্তি এবং দলকেই শোক জানাতে দেখা গেছে। কিন্তু সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো শোক জানানোর তথ্য সাঈদীর দল এবং গণমাধ্যম সূত্রে না পাওয়া গেলেও ফেসবুকে দাবি করতে দেখা গেছে, সাঈদীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের সরকার (যুবরাজ বিন সালমান)। 

Screenshot: Facebook 

তবে এই তথ্য ছাড়াও শোক বিষয়ক আরেকটি তথ্য বেশ ভাইরাল হতে দেখা গেছে যেখানে দাবি করা হয়েছে সাঈদীর মৃত্যুতে কাবার ইমাম আব্দুল রহমান আল সুদাইস শোক জানিয়ে টুইট করেছেন। 

Screenshot: Facebook 

কিন্তু রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, আব্দুল রহমান আল সুদাইসের ফেসবুক এবং টুইটারে অফিশিয়াল কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। তাছাড়া, জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শোক বার্তার তালিকায় আল সুদাইসের নাম পাওয়া যায়নি।

গতকাল দিনের পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহগুলোয় নজর রেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। তারই ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমে বরাতে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্স বদলের পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিরোজপুরের ইঁদুরকানীতে  সাঈদীর প্রতিষ্ঠান সাঈদী ফাউন্ডেশনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ নেয়া হয়। পরবর্তীতে অসংখ্য মুসুল্লির অংশগ্রহণে জানাজা হয় বলেও খবর এসেছে গণমাধ্যমে। কিন্তু ফেসবুকের একাধিক পোস্টে দুইটি ছবি বেশ ভাইরাল হতে দেখা গেছে যেগুলো সাঈদীর জানাজার দৃশ্য বলে দাবি করা হয়েছে।  

Screenshot: Rumor Scanner

কিন্তু অনুসন্ধানে আমরা দেখেছি, ছবি দুইটি ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার আড়াইবাড়ী দরবার শরিফের পীর ও ইসলামিক বক্তা মাওলানা গোলাম সারোয়ার সাঈদীর জানাযার দৃশ্য। 

জানাজা বিষয়ক একটি পুরোনো ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম, যাতে দাবি করা হয়েছে, জনাব দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজায় লক্ষ কোটি মানুষ সমবেত হয়েছে।

Screenshot: Tiktok  

কিন্তু রিউমর স্ক্যানার এই ভিডিও যাচাই করে দেখতে পায়, এটি চলতি বছরের ১৮ মে সিলেটের প্রবীণ আলেম শায়খুল হাদিস মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল হকের (গাছবাড়ি) জানাজার দৃশ্য।

Screenshot collage: Rumor Scanner 

শুধু দেশেই নয়, সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র কাবা শরীফকে জড়িয়েও সাঈদীর বিষয়ে গতকাল দিনভর একাধিক ভুল তথ্য ছড়াতে দেখা গেছে। 

গত ১৪ আগস্ট সাঈদীর মৃত্যু খবর আসার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তি কাবা শরীফ থেকে ফেসবুক লাইভে এসে জানান, মাগরিবের পর সেখানে গায়েবানা জানাজা হবে, যাতে তিনি সাঈদীর জন্য গায়েবানা জানাজা পড়বেন। তার এই লাইভ ভিডিওকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে ‘সাঈদীর জন্য কাবায় গায়েবানা জানাজা হয়েছে’ শীর্ষক তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এর সাথে ‘পৃথিবীর ইতিহাসে ৩ জন ব্যক্তির কাবায় গায়েবানা জানা হয়েছে এবং ৩য় ব্যক্তি মাওলানা সাঈদী’ শীর্ষক দাবিটি যুক্ত হয়ে গতকাল ফেসবুকে অসংখ্য পোস্ট ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। 

Photo Card: Rumor Scanner

কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের এ বিষয়ে করা অনুসন্ধানে কাবা শরীফের সেসময়ের লাইভ স্ট্রিম বিশ্লেষণ করে সাঈদীর নাম উল্লেখ পূর্বক তার জানাজার কোনো ঘোষণার উল্লেখ পাওয়া যায়নি। রিউমর স্ক্যানার টিম সৌদিতে অবস্থানরত একাধিক ব্যক্তির সাথেও যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছে, মূলত এটি ছিল ব্যক্তি উদ্যোগে আদায় করা গায়েবানা জানাজা। তাছাড়া, প্রাসঙ্গিকভাবে ছড়ানো ‘কাবায় শুধুমাত্র ৩ জনের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার’ দাবিটিও মিথ্যা। নিয়মিতই মৃত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা পূর্বক গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার নজির রয়েছে কাবা শরীফে। 

সাঈদী যখন বেঁচে ছিলেন তখনও তাকে নিয়ে হরহামেশাই-ই ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখা যেত। চাঁদে তাকে দেখতে পাওয়ার গুজবটি এর মধ্যে বেশ ভাইরাল ছিল। তবে গতকাল এ বিষয়ে পুনরায় গুজব ছড়াতে দেখা না গেলেও বিগত বছরগুলোয় প্রচার হওয়া দুইটি গুজব ফের নতুন করে আলোচিত হতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। মজার বিষয় হচ্ছে, দুটোই সাঈদীর কাবা শরীফে প্রবেশ কেন্দ্রিক তথ্য। প্রথমটিতে দাবি করা হয়, ‘সারা বিশ্বের ৫ জন লোক কাবা’শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবেন। তার মধ্যে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেব একজন’।

Screenshot: Facebook 

তবে অনুসন্ধান বলছে, সকল মুসলমানের জন্য পূর্বে কাবা শরীফে প্রবেশের সুযোগ ছিল, তবে বর্তমানে শুধু গণ্যমান্য মুসলমান ব্যক্তিদের কাবায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তাছাড়া, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তার জীবদ্দশায় একবার কাবায় প্রবেশ করেছিলেন বলে তার পুত্র সূত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে পূর্বেও বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। 

Photo Card: Rumor Scanner

অন্যদিকে, সাঈদীর কাবা শরীফ থেকে বের হওয়ার দৃশ্য দাবিতে একটি ছবি বেশ ভাইরাল গেল কয়েক বছর ধরেই। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই ছবি আবারও গতকাল প্রচার হতে দেখা গেছে। কিন্তু অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদু বুহারীর কাবা শরীফ থেকে বের হওয়ার সময়কালীন তোলা একটি ছবিকে এডিট করে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুখমণ্ডল যুক্ত করে এই ভুয়া ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাঈদীও ২০১৮ সালে ছবিটিকে নকল/এডিটেড হিসেবে চিহ্নিত করে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছিলেন।

Photo Card: Rumor Scanner

তবে এতসব ভুল তথ্য আর ছবির ভীড়ে পুরোনো একটি ছবি গতকাল বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ভাইরাল ছবিতে এক ব্যক্তিকে মার্ক করে দাবি করা হচ্ছে, উক্ত ব্যক্তিই রাজাকার দেলু সিকদার (বর্তমানে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী), যাকে পিরোজপুরে আটক করা হয়েছে। এটাও দাবি করা হচ্ছে যে, এটি ১৯৭১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ‘দৈনিক সংবাদ’ এ প্রকাশিত ছবি।

 Screenshot: Facebook 

রিউমর স্ক্যানার টিমের সদস্যরা গতকাল দিনভর এ বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে, জানার চেষ্টা করেছে এ বিষয়ে আসল সত্যটি কী। অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা ছবি শেয়ারিং এবং স্টোরেজ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট গেটি ইমেজে মূল ছবিটি খুঁজে পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ছবিটি তুলেছেন ফটোগ্রাফার উইলিয়াম লাভলেস। ছবিটি Prisoners Last Moments শিরোনামে গেটিতে পাওয়া যায়। যা থেকে বোঝা যায়, এটি কয়েকজন বন্দী রাজাকারকে হত্যার আগ মুহুর্তের ছবি। ছবিটির বিস্তারিত বর্ণনাতে এ বন্দি ৫ (মতান্তরে ৪) রাজাকারকে হত্যার তথ্য পাওয়া যায়। ছবির বর্ণনায় ছবির রাজাকারদের কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে ছবির রাজাকারদের হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়। একই ব্যক্তিদের বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) একটি প্রতিবেদন, নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন এবং মুক্তিযুদ্ধের আর্কাইভভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘সংগ্রামের নোটবুকে’ একই তথ্যের উল্লেখ পেয়েছি আমরা। অর্থাৎ, ছবিতে থাকা সেই রাজাকার তার অন্তত ৩ জন সঙ্গীসহ ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর কাদেরিয়া বাহিনীর হাতে নিহত হন এবং এই ব্যক্তি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নয়। 

Banner: Rumor Scanner

দ্বিতীয় দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে সংবাদটির আর্কাইভ খুঁজতে গিয়ে ‘দৈনিক সংবাদ’ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের কোনো আর্কাইভ খুঁজে পাওয়া যায়নি।  দৈনিক সংবাদের ১৯৭২ সালের জানুয়ারি এবং এর পরের আর্কাইভ পাওয়া যায়৷ পরবর্তীতে অনুসন্ধানে দেখা যায়, দৈনিক সংবাদ যুদ্ধকালীন প্রায় ৯ মাস বন্ধ ছিল। ১৯৭১ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দৈনিক সংবাদের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং এতে তাদের এক সিনিয়র সাংবাদিক আগুনে পুড়ে নিহত হয়। এরপর ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর এর ৯ জানুয়ারির আগ অব্দি দৈনিক সংবাদ এর প্রকাশনা বন্ধ ছিল। অর্থাৎ, ১৯৭১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঐ ছবি দৈনিক সংবাদে প্রকাশের দাবি করা হলেও প্রকৃতপক্ষে ঐ সময় দৈনিক সংবাদের প্রকাশনা বন্ধ ছিল। 

এমন করেই যুদ্ধপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরোনো ছবি-ভিডিও আর ভুল তথ্যে ঘটনাবহুল একটি দিন পার করলো বাংলাদেশ। 

আরও পড়ুন

spot_img