দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কি বিনা অনুমতিতে কাবাঘরে প্রবেশ করতে পারবেন?

দীর্ঘদিন ধরে ‘সারা বিশ্বের ৫ জন লোক কাবা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে,তাৱ মধ্যে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেব একজন।‘ শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে।

২০১৫ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে
২০১৬ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে
২০১৭ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে
২০১৮ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে
২০১৯ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে
২০২০ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে
২০২১ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে
২০২২ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে
২০২৩ সালে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সহ সারা বিশ্বের ৫ জন লোক কাবা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বরং কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই দাবিটি দীর্ঘদিন ধরে প্রচার হয়ে আসছে।

গুজবের সূত্রপাত

দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসা এই তথ্যটির উৎস অনুসন্ধানে দেখা যায়, তথ্যটি ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর সাইফুল বিন নুরুল ইসলাম (আর্কাইভ) নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে সর্বপ্রথম পোস্ট করা হয়।

Screenshot: Rumor originator 

তবে পোস্টটিতে এই তথ্যের কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়নি৷ পরবর্তীতে এই তথ্যটি কপি-পেস্ট হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসলেও এর কোনো তথ্যসূত্র ও বিনা অনুমতিতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছাড়া কাবাঘরে আর বাকী চারজন কারা প্রবেশ করতে পারবেন এই সম্পর্কে কোনো তথ্য পোস্টগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সহ সারা বিশ্বের ৫ জন লোক কাবা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটির সত্যতা প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমেও সৌদি আরব সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

কাবাঘরে কারা প্রবেশ করতে পারে?

মক্কার মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী সম্পর্কিত তথ্যপ্রদানকারী ওয়েবসাইট ‘Haramain Sharifain’ এ “Inside The Holy Kaaba” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Haramain Sharifain

প্রতিবেদনটিতে কাবাঘর নির্মাণের ইতিহাস ও কাবাঘরের অভ্যন্তরের বিবরণ সম্পর্কে তথ্য থাকলেও কাবাঘরে প্রবেশ সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ব্রিটিশ নিউজ ম্যাগাজিন ‘The Week’ এ ২০১৯ সালের ৮ জুলাই “Inside the Kaaba: the centre of Islam’s most sacred place of worship” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: The Week

এই প্রতিবেদনটি থেকেও কাবাঘরে বিনা অনুমতিতে কারো প্রবেশের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বরং জানা যায়, বর্তমানে কেবল বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই কাবাঘরে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে থাকেন।

Screenshot: The Week

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘VOX’ এর ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট “Hajj, the Islamic pilgrimage to Mecca, explained for non-Muslims” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হজে আগত হাজীদের সংখ্যাধিক্যের কারণে হজের মৌসুমে কাবাঘর বন্ধ রাখা হয়। তবে বছরের অন্যান্য সময় যারা মক্কায় যান তাদের জন্য কখনো কখনো কাবাঘরের ভিতরে যাওয়ার সুযোগ হয়।

Screenshot: VOX

কাবাঘর সম্পর্কে এই প্রতিবেদনটিতে বিস্তারিত অনেক খুঁটিনাটি তথ্য পাওয়া গেলেও এই প্রতিবেদনটি থেকেও কাবাঘরে বিনা অনুমতিতে কারো প্রবেশের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

কাবাঘরে প্রবেশের বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে, সৌদি ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘Arab News’ এ ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর “Kaaba key keeper passes away at 82” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, পূর্বে কাবাঘর মাসে তিনবার মানুষের জন্য ভিতরে যেতে এবং প্রার্থনা করতে খুলে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়ে গেলে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Screenshot: Arab News

এছাড়া সৌদি আরবের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ‘Pilgrim’ এর ওয়েবসাইটে “What is inside the Kaaba? – Find out what is inside one of Islam’s holiest sites” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাধারণ মুসলিমদের পবিত্র কাবার ভিতরে যেতে দেওয়া হয় না। বরং পবিত্র কাবায় কে প্রবেশ করতে পারবে আর কে পারবে না সে ব্যাপারে সৌদি আরব সরকার খুবই কঠোর। এখানে অমুসলিমদের প্রবেশের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে বর্তমানে শুধুমাত্র মুসলিম গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরই প্রার্থনা করার জন্য কাবায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

Screenshot: Pilgrim

অর্থাৎ কাবাঘরে বর্তমানে সাধারণ মুসলমানদের জন্য প্রবেশের সুযোগ নেই। তবে সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে মুসলিম গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাবাঘরে প্রবেশ করতে পারেন৷ 

পাশাপাশি সৌদি সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দেশটির একটি ভ্রমণ এজেন্সি ‘zamzam.com’ এর ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ২৫ মে “Inside The Holy Kaaba – The House Of Allah” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও জানা যায়, পূর্বে সবার জন্য কাবাঘরে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও বর্তমানে কেবল মুসলিম গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গই কাবাঘরে প্রবেশ করতে পারেন৷ 

Screenshot: Zamzam 

উপরিউক্ত প্রতিবেদনগুলোতে কোথাও সারা বিশ্ব থেকে মাত্র পাঁচজনের বিনা অনুমতিতে কাবাঘরে প্রবেশ করতে পারা সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং দেখা যায়, একসময় যে কোনো মুসলমানের জন্য কাবাঘরে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও বর্তমানে শুধুমাত্র মুসলিম গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে কাবায় প্রবেশ করতে পারে।

মুসলিম গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাবায় প্রবেশের উদাহরণ 

অনুসন্ধানে তুরস্ক ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘TRT World’ এ ২০২১ সালের ১০ মে “In pictures: the doors of Kaaba open for Pakistan’s Prime Minister” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার স্ত্রী বুশরা বিবি সহ সৌদি আরবে সরকারি সফরে গিয়ে ওমরা পালন করেন৷ এসময় তিনি ও তার স্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণে কাবার ভিতরে প্রবেশের সুযোগ পান।

Screenshot: TRT World 

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘The Siasat Daily’ এ ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল “Video: Senegal President enters Holy Kaaba” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেনেগালের রাষ্ট্রপতি ম্যাকি সালকের মক্কায় ওমরাহ পালনকালে কাবাঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

Screenshot: The Siasat Daily

প্রতিবেদনটিতে যুক্ত একটি ভিডিওতেও দেখা যায়, সেনেগালের রাষ্ট্রপতি ম্যাকি সালকে কাবাঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশের দৃশ্য দেখা যায়। 

ইন্দোনেশিয়ান গণমাধ্যম ‘Coconuts Jakarta’ তে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল “President Jokowi meets royal family, enters the holy Kaaba during Umrah pilgrimage in Saudi Arabia” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি জোকোই উইডোডো সৌদি সফরে যান৷ এসময় তিনি উমরাহ পালনকালে কাবাঘরে প্রবেশের বিশেষ সুযোগ পান। 

Screenshot: Coconuts Jakarta

প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, তাত্ত্বিকভাবে সকল মুসলমানই কাবা ঘরে প্রবেশ করতে পারে। তবে এই পবিত্র ঘরে সহস্র মুসলমানের প্রবেশ রোধে কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। 

Screenshot: Coconuts Jakarta

হযরত মুহাম্মদ সা. এর যুগ থেকে কাবাঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব একটি সৌদি পরিবারের উপর অর্পিত এবং বাদশাহ সালমান এর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আছেন। অর্থাৎ কাবাঘরে প্রবেশের জন্য ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকোই উইডোডোকে তাঁর অনুমতি নিতে হয়েছিল। 

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও অনুমতি নিয়েই কাবাঘরে প্রবেশ করতে হয় এবং অনুমতি ছাড়া কারো পক্ষেই কাবাঘরে প্রবেশ সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘Al Arabiya’ তে ২০১৮ সালের ২৮ মে “Who holds the key to the Holy Kaaba?” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসলামের আগমনের পূর্ব থেকে প্রায় ষোল শতক ধরে কোয়াশি বিন কিলাব বিন মুররাহের উত্তরসূরীরা কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণ করা সহ এটির দেখভাল করছেন৷ হযরত মুহাম্মদ সা. এর মক্কা বিজয়ের পর তিনি এই মুররাহ পরিবারের অন্যতম শাখা আল শাইবা গোত্রকে কাবাঘরের চাবি প্রদান করেন। 

Screenshot: Al Arabiya

বর্তমানে এই আল শাইবা গোত্রের কাছেই কাবাঘরের চাবি সংরক্ষিত রয়েছে। তারাই কাবাঘর খোলা-বন্ধ করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সহ সার্বিক বিষয়াবলির দেখভাল করে থাকে।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কি কাবাঘরে প্রবেশ করেছেন?

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২২ সালের মার্চে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী’র কাবা শরীফ থেকে বের হওয়ার সময়কালীন দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

কিন্তু সে সময় রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ছবিটি দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর নয়। প্রকৃতপক্ষে নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদু বুহারী এর কাবা ঘর থেকে বের হওয়ার সময়কালীন একটি ছবিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় বিকৃত করে উক্ত ছবিটি সম্পাদন করে প্রচার করা হয়েছিল। এ নিয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনও প্রকাশ করে। 

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ঐ ছবিটি নিয়ে অনুসন্ধানকালে তার ছেলে মাসুদ সাঈদীর ২০১৮ সালের ৩০ মে তে নিজের ফেসবুক একাউন্টে দেওয়া একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Masood Sayedee FB

পোস্টটিতে মাসুদ সাঈদী তাঁর বাবা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর একাধিকবার কাবাঘরে প্রবেশের ব্যাপারে তথ্য দিলেও সেখানে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সহ সারা বিশ্বের ৫ জন লোক কাবা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে এমন কোনো তথ্য উপস্থাপন করেননি।

মূলত, পবিত্র মক্কায় অবস্থিত কাবাঘরের অভ্যন্তরে একসময় সকল মুসলমানের প্রবেশের সুযোগ থাকলেও পরবর্তীতে কাবাঘরে ঢুকতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই সুযোগটি সীমিত করা হয়। এর পরিবর্তে মুসলিম গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সৌদি সরকার কাবাঘরের ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দিয়ে থাকলেও বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার করা হচ্ছে, বাংলাদেশের দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সহ সারা বিশ্বের ৫ জন লোক কাবা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এই দাবির পক্ষে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি এই সুযোগপ্রাপ্তির তালিকায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছাড়া বাকী চারজন কারা এমন কোনো তথ্যও ফেসবুকের পোস্টগুলো থেকে পাওয়া যায়নি। বরং অনুসন্ধানে, বিভিন্ন দেশের মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে কাবাঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির তথ্য বলছে ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে পুলিশ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এর মধ্যে দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। পরবর্তীতে, আদালতে ঐ সাজার রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। বর্তমানে তিনি ঐ মামলায় সাজাভোগ করছেন।

সুতরাং, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সহ সারা বিশ্বের ৫ জন লোক কাবা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে দাবিতে প্রচার হয়ে আসা তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img