বৃহস্পতিবার, অক্টোবর 3, 2024
spot_img

ড. ইউনূসের আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি, “অগ্রীম শুভেচ্ছা স্যার। আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী। আবার রুখে দাঁড়াবে বাংলাদেশ” শীর্ষক দবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী

ফেসবুকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রচারিত এমন একটি ভিডিও দেখুন ভিডিও (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনূস শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গত ৬ আগস্ট আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার বিচারকার্যের আদেশ দেন। এই দিনে আদালতে হাজির হওয়ার সময়কালীন একটি ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে উক্ত ভিডিওটিতে থাকা চ্যানেল ২৪ এর লোগো ধরে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল ২৪’ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত জুন মাসে “শ্রম আইন লংঘন:নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসের বিচার শুরু। Dr Yunus। Channel 24” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ৪ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওটির ৩ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড থেকে পরের অংশটুকুর সাথে দাবিকৃত ভিডিওটির হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

photo Comparison by Rumor Scanner 

পরবর্তীতে ভিডিওটির সূত্র ধরে চ্যানেল ২৪ এর অনলাইন সংস্করণে গত ৬ জুন “শ্রম আইন লঙ্ঘন : নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসের বিচার শুরু” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।উক্ত মামলায় অভিযোগ গঠন করে ২০২৩ সালের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর উপস্থিতিতে উক্ত মামলার বিচারকার্য শুরু করার রায় দেন আদালত।

পাশাপাশি উক্ত প্রতিবেদনে থাকা তথ্য অনুযায়ী আরো অনুসন্ধানে গত ৬ জুন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণে ” শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনেও একই বিষয় তুলে ধরা হয়। 

অর্থাৎ, গত ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার সময়কালীন একটি ভিডিওকেই বর্তমানে আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

এছাড়া অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী বিষয়ক কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মূলত,গত বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের ৯ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। উক্ত মামলায় অভিযোগ গঠন করে চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর উপস্থিতি উক্ত মামলার বিচারকার্য শুরু করার রায় দেন আদালত। এই দিন আদালতে উপস্থিত হওয়ার সময়কার একটি ভিডিওকে সম্প্রতি আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শীর্ষক দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া নির্ভরযোগ্য কোনো গণমাধ্যমেও আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিষয়ক কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস কে কেন্দ্র করে প্রচারিত একাধিক গুজব নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। 

এমন কিছু প্রতিবেদন দেখুন  

সুতরাং, আগামী তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী ড.মুহাম্মদ ইউনূস শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

RS Team
Rumor Scanner Fact-Check Team
- Advertisment -spot_img
spot_img
spot_img