সম্প্রতি, “বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে ডলার গায়েব! পরিমাণ কত এখনো জানা যায়নি” শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ) এবং পোস্ট (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত এই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ফেসবুকের নিজস্ব মনিটরিং টুলস ক্রাউডট্যাংগেল ব্যবহার করে জানা যায়, Maruf Sikder’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব শীর্ষক দাবিতে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। লক্ষ্য করে দেখা যায়, উক্ত পোস্ট তিনি কোনো তথ্যসূত্র ব্যবহার করা হয়নি।
এছাড়া একই দাবিতে অন্যান্য ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত পোস্টে কোনো তথ্যসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে দাবিটি নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও দেশের কোনো নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যম সূত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব হওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকে পূর্বে অর্থাৎ ২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তবে তা ভল্ট থেকে নয়। এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’ এর অনলাইন ভার্সনে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
মূলত, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব শীর্ষক একটি দাবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটি সঠিক নয়। উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো কোনো প্রকার তথ্যসূত্র ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়া, গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ০৩ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামে থাকা লকার থেকে ৫৫ কেজির বেশি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটে।
প্রসঙ্গত, পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য প্রচার করা হলে সেই বিষয়গুলো চিহ্নিত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রতিবেদন গুলো দেখুন,
- বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (সাবেক মহাব্যবস্থাপক) বিষ্ণু পদ বিশ্বাস ভারতীয় নন
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে চাকরি হয়নি জয় ভট্টাচার্য্যের
- বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের এলসি গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
সুতরাং, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে ডলার গায়েব শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Prothom Alo – বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির আদ্যোপান্ত