Home Blog Page 866

পুরনো ছবি ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যের পদত্যাগের গুজব ভাইরাল

0

“একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য ও ছবি গতকাল রাত হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায় গত ১০ জুলাই ২০১৯ ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ হতে “পরনে পুলিশের পোশাক, হাতে ওয়াকিটকি, ডাকাতিই ছিল তাদের কাজ” শীর্ষক শিরোনামে গ্রেফতার অভিযানে উদ্ধারকৃত পুলিশের পোশাক, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাপ ও একটি সিগন্যাল লাইটের ছবিসহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, দেখুন এখানে।

মূলত ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ সহ সেসময়ে এই ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশিত ওই ছবিকে ব্যবহার করে “একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শিরোনামে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ পুলিশ হতে কোন সদস্য পদত্যাগ করেননি বলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে টিম রিউমর স্ক্যানার টিম নিশ্চিত হয়েছে।

সুতরাং, “একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: হেফাজতের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক পুলিশ সদস্যের পদত্যাগ
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

পুরনো ছবিকে হেফাজতের আন্দোলনের দাবী করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার

0

“হেফাজতের আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে ছেলেটি ” শীর্ষক শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও কমবয়সী একজন বাচ্চার রক্তাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে জানা যায় ভাইরাল ছবিটি পূর্ববর্তী সময়েও ইন্টারনেটে প্রচার হয়েছিলো। মূলত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ছবিটি ইন্ডিয়া এবং চীনের দাবী করে একাধিক টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছিলো।

চীনের দাবি করে করা টুইট

ভারতের ঘটনা দাবি করে সালমান রিজভি নামের একজন ভারতীয়র টুইট দেখুন এখানে।

তবে, ছবিটি কোন দেশের এবং প্রথম কত তারিখ-সময়ে ইন্টারনেটে আপলোড হয়েছিলো সেটি পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি।

সুতরাং, এটা নিশ্চিত যে ভাইরাল ছবিটি হেফাজতের চলমান আন্দোলনের নয়।

অর্থাৎ, হেফাজতের আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে ছেলেটি দাবী করে প্রচারিত ছবিটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: হেফাজতের আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে ছেলেটি !
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

২০১৮ সালের ছবিকে হরতালের ছবি দাবী করে গুজব প্রচার

0

“এই অবুঝ বাচ্চাটিকে মাঠে নামিয়েছে হেফাজতের নেতারা! অথচ মামুনুল হকের ৩ সন্তানের সবাই-ই নিরাপদে ঘরে রয়েছে।” শীর্ষক শিরোনামে একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে জানা যায় উক্ত ছবিটি ২০১৮ সালে টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ের।

একই বছর ডিসেম্বরের ১ তারিখ দেশীয় গণমাধ্যমে ছবিটি প্রকাশিত হয়েছিলো, গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন হতে জানা যায়, “তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের বিরোধে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের অভিযোগ উঠে এবং সাদ অনুসারীদের ঠেকাতে বেশ কয়েকদিন আগেই ইজতেমার মাঠে বিভিন্ন কওমি মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের আনা হয় যাদের বয়স ১০ বছরেরও কম। বাংলা ট্রিবিউন এবং আমাদের সময়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।

মূলত ২০১৮ সালের সংঘর্ষের সেই ছবিটি কে গতকালের হরতালের ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে।

অর্থাৎ, “এই অবুঝ বাচ্চাটিকে মাঠে নামিয়েছে হেফাজতের নেতারা” শিরোনামে ব্যবহৃত তথ্যচিত্র টি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review:এই অবুঝ বাচ্চাটিকে মাঠে নামিয়েছে হেফাজতের নেতারা!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

 

Sent by Jahirul Islam

গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে ভিপি নুরের নিজ পেজেই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার

0

“মোদি বিরোধী মিছিলে ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত” এরকম শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য আজ দুপুর হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকটি পেজ ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল হতে প্রচার করা হচ্ছে। আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে।

ফ্যাক্টচেক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ঘিরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের পরপরই ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমানের ফেসবুক পেজ থেকে ১২.২৪ মিনিটে দেয়া একটি পোস্টে ভিপি নুরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা দাবী করা হয়। 

১২.৫৪ মিনিটে অর্থাৎ ৩০ মিনিট পরে ভিপি নুরের “Nurul Haque Nur” পেজটি থেকে ” ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ” দাবী করে আরেকটা পোস্ট শেয়ার করা হয়।

এরপর, দুপুর ০১.১০ মিনিটে ( ১৬ মিনিট পর ) মশিউর রহমানের ফেসবুক পেজ “Md Mosiur Rahman” হতেও ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত জানিয়ে পোস্ট করা হয়৷

তবে, দুপুর ০১.১২ মিনিটে অর্থাৎ মশিউরের পোস্টের ২ মিনিট পর যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নিজের ফেসবুক পেজ “Md Tarek Rahman” এ লাইভে এসে দাবী করেন নুর সুস্থ আছেন এবং নুরের নামে ফেক পেজ থেকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পোস্ট করা হয়েছে। লাইভটি দেখুন নিচে।

 

অপরদিকে, সংঘর্ষের পর গনমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখার সদ্য সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘নুরুল হক নুর গুলিবিদ্ধ হননি। টিয়ার গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন সুস্থ আছেন। ফেসবুকে নুরুল হক নুর নামের একটি পেজ থেকে ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ উল্লেখ করে পোস্ট দিলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

শুধু নুরের নামের পেজটি নয়, মশিউর রহমানও গুলিবিদ্ধ হওয়ার একই দাবী করেছিলো।

অর্থাৎ, তারেক রহমান ও ইয়ামিন মোল্লা’র দাবিতে জানানো হয়েছে ফেক পেজ থেকে স্ট্যাটাসটি দেয়া হয়েছিলো।

উল্লখ্য “Nurul Haque Nur” নামের যে পেজটিতে প্রথম গুলিবিদ্ধের খবর প্রকাশ পায় সেটিকে ভুয়া দাবি করা হলেও পেজটি মূলত ভুয়া নয়। সংঘর্ষ পরবর্তী সেই পেজ থেকেই ০৩.২০ মিনিটে নুর লাইভে আসেন এবং পরবর্তীতে পেজ থেকে পোস্টটি ডিলেট করে দেয়া হয়।

অর্থাৎ, পেজটি ভুয়া নয়, আসল।

সুতরাং, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য প্রদান ও ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত
  • Claimed By: Facebook Post, Web Portal
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

না, পাকিস্তানে ৫ টাকায় বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছেনা

0

“রমজান মাস উপলক্ষে পাকিস্তানে প্রতি কেজি বাসমতি চাল ৫ টাকায় ও সাড়ে ১২ টাকায় দেড় লিটার তেল পাওয়া যাবে” এই মর্মে একটি সংবাদ বাংলাদেশের মূলধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং সূত্র হিসেবে জিও নিউজকে উল্লেখ করা হয়। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্ট চেক

জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে পাকিস্তান সরকার নিয়ন্ত্রিত ইউটিলিটি স্টোরের মাধ্যমে বিক্রির জন্য একটি ভর্তুকি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫০ কোটি টাকার মতো।

জিও নিউজের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ভর্তুকি দেওয়ার পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হবে চিনি প্রতি কেজি – ৬৮ রুপি, ২০ কেজির আটার বস্তা – ৮০০ রুপি এবং ঘি এর দাম হবে ২০০ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য চিনি – ৩৮ টাকা, ২০ কেজি আটার বস্তা – ৪৩০ টাকা এবং ঘি – ১১০ টাকা প্রায়।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে কিছু পণ্যের দাম উল্লেখ না করে শুধু কোন পণ্যে কত টাকা করে ভর্তুকি দেয়া হবে সেটা উল্লেখ রয়েছে। যেমনঃ প্রতি কেজি ভোজ্য তেলে ২০ রুপি (১১ টাকা), প্রতি কেজি ময়দায় ২০ রুপি (১১ টাকা) এবং প্রতি কেজি বাসমতি চালে ১০ রুপি (৬ টাকা)

উল্লেখ্য, এই মূল্যমান গুলো পণ্যের মূল্য নয় বরং এসকল পণ্যে সরকার কত পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ, পাকিস্তানে বাসমতি চালের কেজি ৫ টাকা, তেল সাড়ে ১২ টাকা দাবী করে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: পাকিস্তানে বাসমতি চালের কেজি ৫ টাকা, তেল সাড়ে ১২
  • Claimed By: Web Portal
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

ইয়েমেনের শিশু নির্যাতনের ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবী করে গুজব প্রচার

0

”জাতি কি দেখবে এগুলো? এই ছেলেটা কিন্তু কোনো মাদ্রাসায় হিফজ খানায় পরেনা বা মাদ্রাসায় পরেনা। সে স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র। তার অপরাধ সে কেন ১০ মিনিট দেরি করে স্কুলে আসলো। আর অমনেই বেধরক মাইর” উপরোক্ত শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও একজন অর্ধনগ্ন শিশুর ছবি ‘হাটহাজারি মাদ্রাসা’ নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে প্রকাশিত হয় এবং বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।

আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে

ফ্যাক্ট চেক

গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে জানা যায়, ভাইরাল ছবির বাচ্চাটির নাম Shamakh Rashid Al-Qahaili এবং সে ইয়েমেনের বাসিন্দা। বাচ্চাটির বাবা তার নিজ সন্তানকে মানুষ করার জন্য এইভাবে পিটিয়েছিলো এবং পরবর্তীতে ইয়েমেনের পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো তাকে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ৪ তারিখে ইয়েমেনের সংবাদপত্রগুলাতে এই খবর ছবিসহ প্রকাশিত হয়।

ইয়েমেনের পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

উল্লেখ্যঃ গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি একই ছবি Imazighen d’origine إمازيغن دوريجين নামের একটি পেজ থেকে আপলোড করে দাবী করা হয় বাচ্চাটার সৎ মা তাকে এভাবে পিটিয়েছে।

আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাটহাজারি মাদ্রাসা ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত ছবিকে বাংলাদেশের স্কুলের শিশু নির্যাতনের ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে।

সুতরাং ”১০ মিনিট দেরি করে স্কুলে আসলো। আর অমনেই বেধরক মাইর” শীর্ষক শিরোনামে ভাইরাল ছবি এবং তথ্যটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ১০ মিনিট দেরি করে স্কুলে আসলো। আর অমনেই বেধরক মাইর!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

Article Written by Guest Author:

Jahirul Islam

মেট্রোরেলের বগি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ছবি ও তথ্য প্রচার

0

“চলে এলো আমাদের মেট্রোরেল,
চট্টগ্রাম পোর্টে ক্লিয়ার হচ্ছে আমাদের মেট্রোরেলের বগি” উপরোক্ত শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও কিছু ছবি বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

ইঞ্জিন সংকট কাটাতে যুক্তরাষ্ট্র হতে ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম ধাপে এর আটটি গত ৬ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এ নিয়ে বেশ কিছু জাতীয় অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদন করা হয়েছে। যুগান্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে , কালেরকণ্ঠের “রেলের নতুন একঝাঁক ব্রডগেজ ইঞ্জিন এলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।

ব্রডগেজ ইঞ্জিন

মূলত, পোর্টে আসা ওই ইঞ্জিন গুলোর খালাসের ছবিগুলোকেই মেট্রোরেলের বগি বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের ট্রেন জাপানের কোবে পোর্ট থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জাইকা বাংলাদেশ জানিয়েছে, ২৪ সেট ট্রেনের মধ্যে প্রথম সেটটি গত ৩ মার্চ রাতে জাপানের কোবে পোর্ট থেকে জাহাজে উঠেছে। মেট্রোরেলের ট্রেন আসা সম্পর্কিত প্রথমআলোর “জাপান থেকে মেট্রোরেলের যে ট্রেন আসছে” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে। 

মেট্রোরেল ইঞ্জিন

অর্থাৎ, চট্রগ্রাম পোর্টে আসা বগিগুলো মেট্রোরেল প্রজেক্টের দাবী করে প্রচারিত বিষয়টি সত্য নয়।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: চলে এলো আমাদের মেট্রোরেল,
    চট্টগ্রাম পোর্টে ক্লিয়ার হচ্ছে মেট্রোরেলের বগি
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর পুরনো ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার

0

“১০ বছরের ছেলেটা প্রায়ই ঘুমের মধ্যে বলতো ‘হুজুর আর মারবেন না। আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন।’ আজ মরেই গেছে ছেলেটা” উপরোক্ত শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও কিছু ছবি আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্ট চেক

নির্যাতনে মারা যাওয়া মাদ্রাসা ছাত্র তাওহিদুলের ঘটনাটি মূলত ২০১৮ সালের। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক নির্যাতনে গুরুতর আহত হয় হিফজ বিভাগের ছাত্র তাওহিদুল ইসলাম এবং পরবর্তীতে শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে রাজধানীস্থ বক্ষব্যাধী হাসপাতালে আনা হয়।

সেখানেই, ওই বছরের ৪ মার্চ রবিবার শিশু তাওহিদুল মারা যায়। তৎকালীন সময়ে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সকল পত্রিকাতেই প্রতিবেদন ও সেই শিক্ষক ও শিশুটির ছবি প্রকাশিত হয়েছিল সমকাল এবং বিডি প্রতিদিন অনলাইন পোর্টালে।

তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটির মৃত্যুর ঘটনাটি আজকের দাবী করে পূর্বের তথ্য ও ছবি পুনরায় ছড়িয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্যঃ গত ৯ ই মার্চ ২০২১ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্রকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল, ফলশ্রুতিতে সেই শিক্ষককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আজ গ্রেফতার করেছে এবং নির্যাতিত শিশুটি এখন সুস্থ আছে।

অর্থাৎ, মাদ্রাসা ছাত্র তাওহিদুল আজ মারা গেছে দাবী করে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মাদ্রাসা ছাত্র তাওহিদুল আজ মারা গেছে
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

ভাইরাল হওয়া গাড়িটি মামুনুল হকের নয়

0

“মামুনুল হকের দেড় কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি : ফেসবুকে বিতর্কের ঝড় ” শীর্ষক শিরোনামের একটি তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। এমন কিছু ভাইরাল ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

(টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো – ঢাকা ৭৬৪/অ) নাম্বার প্লেটের যে গাড়িটির সাথে মাওলানা মামুনুল হকের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পরেছে সেই গাড়িটির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারের মাধ্যমে স্বত্বাধিকারী যাচাই করতে গিয়ে জানা যায় উক্ত নাম্বারের তথ্য নিবন্ধন ডাটাবেইজে এখনো সংযোজিত হয় নি।

গাড়িটির নাম্বার প্লেটের নিচে Faishal International নামে একটি গাড়ি বিক্রি প্রতিষ্ঠানের নাম দেখা গেছে এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ” গাড়িটি সিলেটের ছাতকের এখলাস খান নামে একজন ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করা হয়েছে এবং গাড়িটির রেজিস্ট্রেশনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ”

উল্লেখ্যঃ সাইফ রহমান নামে সিলেটের একজন বাসিন্দা মামুনুল হকের গাড়িবহল থেকে ছবিটি তুলেছিলেন এবং তিনি জানান ” এখলাস খান নিজের গাড়ি উদ্বোধন ও বরকতের জন্য মামুনুল হককে মাহফিলে নিয়ে যাচ্ছিলেন ”

অর্থাৎ ‘হেফাজত নেতা মামুনুল হকের দেড় কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ভাইরাল হওয়া গাড়িটি মামুনুল হকের নয়
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

সুচির কান্নার পুরনো ছবি ব্যবহার করে গুজব প্রচার

0

“সেই দিন রোহিঙ্গা মুসলমানদের আর্তনাদে চোখের পানিতে আরশ কেঁপেছিল, এখনো বেশী দিন হয়নি আজ সেই শান্তির নেত্রী অশান্তিতে!! ১৪ দিনের রিমান্ডে! তাই কষ্টে এভাবেই চোখের পানিতে চোখ ভিজে ” এমন শিরোনাম সম্বলিত তথ্য অংসান সুচির একটি ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। এমন কিছু ভাইরাল ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্ট চেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা যায় উক্ত ছবিটি ‘গেটি ইমেজেস’ এর ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালের ১৭ই আগস্ট আপ্লোড করা হয়েছিলো এবং ছবির শিরোনামে লেখা রয়েছে ” মিয়ানমারের রাজ্য কাউন্সেলর অং সান সুচি ইয়াঙ্গুনে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের সাবেক চেয়ারম্যান অং শোয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বা কুলখানিতে যোগ দেওয়ার পর রওনা হয়েছেন”। গেটি ইমেজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্ট দেখুন এখানে।

মিয়ানমারসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছবিটি বর্তমানের দাবী করে গুজব ছড়িয়ে পরলে মিয়ানমারের ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান এএফপি এবং বুম ইন্ডিয়াও উক্ত গুজবটি ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে।

অর্থাৎ, অংসান সুচির রিমান্ড সম্বলিত তথ্যের সাথে ব্যবহৃত ছবিটি পুরনো এবং বিষয়টি বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: সেই শান্তির নেত্রী আজ অশান্তিতে!! ১৪ দিনের রিমান্ডে!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]