Home Blog Page 865

মঈন আলীর জার্সি থেকে মদের বিজ্ঞাপন সরানোর দাবিটি গুজব

0

সম্প্রতি “মঈন আলীর অনুরোধে জার্সি থেকে সরানো হলো মদের বিজ্ঞাপন” শীর্ষক শিরোনামের একটি তথ্য ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে বাংলাদেশী মূলধারার পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন নিচেঃ

ফ্যাক্টচেক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটার মঈন আলী’র সিএসকে’র জার্সি পরিহিত যে ছবিটিকে কেন্দ্র করে দিল্লিভিত্তিক বিয়ার ব্রান্ড SNJ 10000 এর লোগো সরানোর তথ্যটি ছড়িয়েছিলো তার উৎস খুঁজে পেয়েছে টিম রিউমর স্ক্যানার।

গত ০৩ এপ্রিল তারিখে সিএসকে’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘BTS – Lighta Cameras, Neraya Super Actions’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছিলো যেখানে ৩৭ সেকেন্ডের সময় মঈন আলীকে দেখা যায় এবং ক্যামেরা দৃষ্টিকোণের তারতম্যের কারণে মঈন আলীর জার্সির ডান হাতের লোগোটি সেখানে স্পষ্ট দেখা যায়নি।

মূলত ভিডিওটির ৩৭ সেকেন্ডের ওই স্ক্রিনশট টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তবে, গণমাধ্যমে মঈন আলীর জার্সির লোগো সরানোর দাবীটি ব্যাপকহারে প্রচারের পর ৫ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে সিএসকে’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাশী বিশ্বনাথ জানান ‘ মঈনের পক্ষ থেকে এমন কোনও অনুরোধ তারা পাননি’।

উল্লেখ্য, সিএসকে তাদের অফিসিয়াল টুইটার ও ফেসবুক আইডিতে গতকাল মঈন আলী ও সুরেশ রায়নার একটি ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে মঈন আলীর জার্সির ডান হাতে এবং প্যান্টে পরিষ্কারভাবে SNJ 10000 এর লোগো দেখা যাচ্ছে।

সুতরাং, মঈন আলীর অনুরোধে সিএসকে’র জার্সি থেকে মদের বিজ্ঞাপন সরানোর দাবীটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review:  মঈন আলীর অনুরোধে জার্সি থেকে মদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিলো চেন্নাই সুপার কিংস!
  • Claimed By: Web Portal, Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ছেলেটির ক্ষমা চাওয়ার তথ্যটি গুজব

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “আমি মিথ্যা বলেছি! অতঃপর কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাইলো অভিযোগকারী সেই ছেলে।” শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরের একটি সংবাদের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশট ও উল্লেখিত শিরোনাম সম্বলিত কোন প্রতিবেদন যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে খুঁজে পাওয়া যায়নি।তবে স্ক্রিনশটটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই দেখা যাচ্ছে সংবাদটি প্রকাশের সময় ০৫ এপ্রিল ২০১৮ এবং সংবাদটি প্রকাশ করেছেন বিশ্বনাথ (সিলেট প্রতিনিধি)।

০৫ এপ্রিল ২০১৮ সালে বিশ্বনাথ সিলেট প্রতিনিধির প্রকাশিত সেই সংবাদটি দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে এখনো রয়েছে যার শিরোনাম “যুবলীগ নেতার আস্তানায় দেহ ব্যবসা, পতিতা আটক”, দেখুন এখানে।

অর্থাৎ, দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত পুরনো সংবাদের স্ক্রিনশট এডিট করে গুজব প্রচারিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভুয়া স্ক্রিনশটে উল্লেখিত ছেলেটির ছবি গতকাল একটি ভিডিওর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়, ভিডিওটি দেখুন নিচে।

সুতরাং,”আমি মিথ্যা বলেছি! অতঃপর কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাইলো অভিযোগকারী সেই ছেলে।” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: অতঃপর কেঁদে কেঁদে মিথ্যা বলার জন্য ক্ষমা চাইলো মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সেই ছেলে!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

পুরনো খবরের শিরোনাম এডিট করে মামুনুলের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভুয়া তথ্য ভাইরাল

0

সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোর বরাত দিয়ে “মামুনুলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে না সরকার” শীর্ষক শিরোনামের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর্কাইভ দেখুন এখানে, এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার গত ৫ এপ্রিল তারিখের ওয়েবসাইট ও প্রিন্টেড কপি অনুসন্ধান করে “মামুনুলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে না সরকার” শীর্ষক শিরোনামে কোন সংবাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি।


টিম রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালের দৈনিক প্রথমআলো পত্রিকার ই-পেপারে প্রকাশিত প্রধান খবরের শিরোনাম এডিট করে এ বছরের ০৫ এপ্রিলের প্রধান খবর দাবী করে গুজব প্রচারিত হচ্ছে। ই-পেপারে প্রকাশিত খবর দেখুন এখানে।

সুতরাং, “মামুনুলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে না সরকার- প্রথম আলো” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মামুনুলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে না সরকার- প্রথম আলো
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

 

Sent by Ariful Islam

দৈনিক যুগান্তর ও সময় নিউজের ভুয়া স্ক্রিনশট ভাইরাল

0

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “এই মেয়েটি মামুনুল হকের স্ত্রী ছিল না, ভুল প্রচারের জন্য দুঃখিত।” শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক যুগান্তর ও সময় নিউজের দুইটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

সংবাদ দুইটি এবং স্ক্রিনশটগুলোর সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে রিউমর স্ক্যানার টিম এমন শিরোনামের কোন সংবাদের অস্তিত্ব ইন্টারনেটে খুঁজে পায় নি। তবে উক্ত স্ক্রিনশটদ্বয়ে ব্যবহৃত দুইটি ছবির প্যাটার্ন অনুযায়ী যুগান্তর এবং সময় নিউজে দুইটি ভিন্ন শিরোনামের সংবাদ পাওয়া যায়।

যুগান্তর নিম্নের এই শিরোনাম ব্যবহার করে খবর প্রকাশ করেঃ

মামুনুল হকের ‘একটি মানবিক বিয়ের গল্প’

সময় নিউজ নিম্নের শিরোনাম ব্যবহার করে খবর প্রকাশ করেঃ

মামুনুল কাণ্ড: জান্নাত আরার সাবেক স্বামী শহিদুল আটক

অর্থাৎ, সময় নিউজ ও যুগান্তরের ভিন্ন সংবাদের ফেসবুক পোস্ট এর স্ক্রিনশট নিয়ে শিরোনাম এডিট করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সুতরাং “এই মেয়েটি মামুনুল হকের স্ত্রী ছিল না, ভুল প্রচারের জন্য দুঃখিত।” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত স্ক্রিনশটটি সম্পূর্ণ গুজব ও বানোয়াট।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মামুনুল হককে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচারে ক্ষমা চেয়েছে সময় নিউজ ও যুগান্তর
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

মামুনুল হককে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এসপির ভুয়া বিবৃতি ভাইরাল

0

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের এসপি জায়েদুল আলমের বরাতে হেফাজত ইসলাম নেতা মামুনুল হক’কে নিয়ে “৭১ টিভি একটা ফোনালাপ প্রকাশ করেছে সেটা শুনে আমি কিছুই মিলাতে পারছিনা’ শীর্ষক শিরোনামে একটি বিবৃতি ভাইরাল হয়েছে। আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

নারায়ণগঞ্জ এসপি’র বিবৃতি দাবি করে তথ্যটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে রিউমর স্ক্যানার টিম তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে কাজ শুরু করে তবে কীওয়ার্ড সার্স ও রিভার্স ইমেজ সার্স পদ্ধতি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের এসপি’র এরুপ বিবৃতির কোন ভিডিও, ফেসবুক পোস্ট বা স্ক্রিনশটের অস্তিত্ব ইন্টারনেটে পাওয়া যায়নি।

ভাইরাল হওয়া স্ট্যাটাসের বিষয়ে ‘জেলা পুলিশ নারায়ণগঞ্জ’ অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সোমবার দুপুরে বিষয়টিকে ভুয়া দাবী করে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে, পোস্টটি দেখুন এখানে। পাশাপাশি, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকেও বিষয়টি ভুয়া বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। যুগান্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে

অর্থাৎ, “মামুনুল হক’কে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এসপি’র ফেসবুক স্ট্যাটাস” শীর্ষক প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও গুজব ।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মামুনুল হক’কে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এসপি’র ফেসবুক স্ট্যাটাস
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check:False

[/su_box]

পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের পুরনো ভিডিও ব্যবহার করে ফেসবুকে গুজব প্রচার

0

“লকডাউনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর” শীর্ষক শিরোনামের একটি ভিডিও আজ দুপুরে ‘radiogulistan .com’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ টেলিকাস্ট করা হয়, যা মুহুর্তের মধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন পেজ ও আইডি থেকে একই ভিডিও প্রচারিত হতে থাকে।

ফ্যাক্টচেক

গাড়ি ভাঙচুরের যে ভিডিওটি ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে সেটি মূলত ২০২০ সালের মে মাসে প্রথম ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছিলো। ভিডিওটি দেখুন এখানে।

২০২০ সালের মে মাসের ১৩ তারিখে দক্ষিণখান কোটবাড়ি এলাকায় অবৈধ চলাচল বন্ধ করতে পুলিশ কয়েকটি ইজিবাইক আটক করায় স্থানীয় এক নারী বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে গালিগালাজ ও বাদানুবাদে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে তার সহযোগীরা এসে পুলিশের একটি গাড়ি আক্রমণ ও ভাঙচুর করে।

মূলত, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের সেই ভিডিওকেই ‘লকডাউনের প্রথম দিনেই পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর’ দাবী করে গুজব প্রচারিত হচ্ছে।

সুতরাং, “লকডাউনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর” শীর্ষক শিরোনামে ভাইরাল ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: লকডাউনের প্রথম দিনেই পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

চার নারীর ভাইরাল ছবিটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নয়

0

“১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যে গাড়ীতে তারা চারজন বসেছিলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বর্তমানে ২০২১ সালে সেই একই গাড়ীতে, একই জায়গায় তারা চারজন” এই মর্মে একটি তথ্য ও দুটি ছবি গতকিছুদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ প্রচারিত হচ্ছে। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্স পদ্ধতিতে দেখা যায় ভাইরাল হওয়া পুরনো ছবিটি ফেসবুকে Bangladesh Old Photo Archive নামের একটি পেজ থেকে ১৯ জুলাই ২০১৩ সালে আপলোড করা হয়েছিলো

মূলতঃ মানিকগঞ্জের জাহাজ ব্যবসায়ী শামসুদ্দীন আহমেদ ষাটের দশকে একবার শিকার থেকে ফেরার পর তাঁর মেয়ে ও ছেলেবউরা মিলে বন্দুক নিয়ে খোলা জিপে বসে ছবিটি তুলেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ঢাকায় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে সাদাকালো ছবির সেই চার নারীই উপস্থিত থাকায় একই ভঙ্গীতে আবার চারজনের ছবি তোলা হয়।

তবে, বর্তমানে ষাটের দশকের ওই ছবিকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন ছবি এবং ২০১৭ সালের ছবিটিকে ২০২১ সালের ছবি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গত ৩০ এ মার্চ Alt News এ বিস্তারিত ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ছবিগুলো ভুল তথ্যে ভাইরাল হওয়ার পর ওই চার নারীর স্বজনদের অনেকেই ফেসবুকে এই সম্পর্কে লিখেছেন,যা টিম রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, ভাইরাল হওয়া তথ্যটিতে তারা চারজনই এখনো বেঁচে আছেন দাবি করা হলেও তাদের মধ্যে দুই জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। অর্থাৎ, “চার বান্ধবী, তাঁরা চারজনই বীর মুক্তিযোদ্ধা” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: গাড়ীতে বসা চার বান্ধবী, চারজনই বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

নরেন্দ্র মোদির সাথে মামুনুল হকের ছবি ইডিট করে গুজব প্রচার

0

“ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মামুনুল হকের ২০১৫ সালের ছবি” দাবী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে পরেছে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে দেখা যায় মুল ছবিটি মূলত ২০১৯ সালের। ভারতের নয়াদিল্লীতে অবস্থিত একটি ইসকন মন্দিরে ‘বিশ্বের বৃহত্তম ভাগবত গীতা’ উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময়ে নরেন্দ্র মোদির ট্রেন যাত্রীদের সাথে কুশল বিনিময়ের সময় ছবিটি তোলা হয়। দ্যা কুইন্টের করা প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

অর্থাৎ, ২০১৯ সালের নরেন্দ্র মোদির ট্রেনযাত্রীদের সাথে তোলা ছবিকে এডিট করে সেটিকে মামুনুল হকের সাথে মোদির ২০১৫ সালের ছবি দাবি করা হচ্ছে।

সুতরাং, ” ২০১৫ সালে মোদীর সাথে মামুনুল হক ” শিরোনামে প্রচারিত ছবিটি ভুয়া ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ২০১৫ সালে মোদীর সাথে মামুনুল হক
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে রিটকারী ওয়াসিম রিজভীর নামে গণধোলাইয়ের ভুয়া ভিডিও ভাইরাল

“কুরআনের ২৬ আয়াত পরিবর্তনের দাবীতে রিটকারী শিয়া নেতা ওয়াসিম রিজভীকে গঙধোলাই দিয়ে উলঙ্গ করা হয়েছে ” শীর্ষক একটি তথ্য ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

গণধোলাইয়ের যে ভিডিওটি রিটকারী শিয়া নেতা ওয়াসিম রিজভীর নামে প্রচারিত হচ্ছে সেটি মূলত এক বিজেপি এমএলএ’র গণধোলাইয়ের ভিডিও।

গত শনিবার বিজিপি’র এক সভায় এমএলএ ‘Arun Narang’ বহুল সমালোচিত কৃষি বিল ২০২০ এর সমর্থনে বক্তব্য দেয়ার প্রেক্ষিতে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা আক্রমণ করে তাকে গণধোলাই দেয়। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাও এর প্রতিবেদন দেখুন নিচেঃ

অর্থাৎ, বিজিপি নেতা Arun Narang এর গণধোলাইয়ের এই ভিডিওকেই শিয়া নেতা ওয়াসিম রিজভীর দাবী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

ছবিটি ভালোভাবে লক্ষ্য করুণ

সুতরাং, কুরআনের ২৬ আয়াত নিয়ে রিটকারী ওয়াসিম রিজভীকে গণধোলাইয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ভারতে কুরআনের ২৬ আয়াত বাতিলের দাবীতে রিটকারী ওয়াসিম রিজভী গণধোলাইয়ের স্বীকার
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

পুরনো ছবি ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যের পদত্যাগের গুজব ভাইরাল

0

“একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য ও ছবি গতকাল রাত হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায় গত ১০ জুলাই ২০১৯ ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ হতে “পরনে পুলিশের পোশাক, হাতে ওয়াকিটকি, ডাকাতিই ছিল তাদের কাজ” শীর্ষক শিরোনামে গ্রেফতার অভিযানে উদ্ধারকৃত পুলিশের পোশাক, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাপ ও একটি সিগন্যাল লাইটের ছবিসহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, দেখুন এখানে।

মূলত ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ সহ সেসময়ে এই ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশিত ওই ছবিকে ব্যবহার করে “একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শিরোনামে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ পুলিশ হতে কোন সদস্য পদত্যাগ করেননি বলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে টিম রিউমর স্ক্যানার টিম নিশ্চিত হয়েছে।

সুতরাং, “একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: হেফাজতের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক পুলিশ সদস্যের পদত্যাগ
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]