Home Blog Page 16

বাংলাদেশের নয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর হেনস্তার শিকার হওয়ার ভিডিওটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরের

গত ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। ২৪ আগস্ট (রোববার) দিবাগত রাতে তিনি ঢাকা ছাড়েন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে আসা পাকিস্তানি উপ প্রধানমন্ত্রীকে বিমান বন্দরে আপ্যায়নের দৃশ্য!!’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে। 

ভিডিওটিতে মোহাম্মদ ইসহাক দারকে উদ্দেশ্য করে কাউকে ‘You are a liar. You are a chor. thief’ বলতে শোনা যায়। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইসহাক দার বাংলাদেশের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার হননি। প্রকৃতপক্ষে, ২০২২ সালে ইসহাক দারের যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটন ডিসির বিমানবন্দরের একটি ঘটনার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে পাকিস্তানের গণমাধ্যম GTV NETWORK এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর ‘Finance Minister Ishaq Dar Harsh Welcome at USA Airport’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে যুক্ত ফুটেজের সাথে আলোচিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে পাকিস্তানের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হন। এসময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মাসুদ খানকে, ইসহাক দারকে হাত ধরে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। 

একই বিষয়ে ভারতের গণমাধ্যম ND TV এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর ‘Pak Finance Minister Heckled At US Airport, Called “Liar”, “Chor”’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই ধরণের চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়। 

জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক আলোচনায় যোগ দিতে পাকিস্তানের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার সেমসয় যুক্তরাষ্ট্রে যান। আলোচিত ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটেছিল। 

সুতরাং, বাংলাদেশের বিমানবন্দরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার হেনস্তার শিকার হয়েছেন শীর্ষক দাবিটা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কোনো ঘটনা ঘটেনি, এনসিপিকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। 

এরই মধ্যে ‘বিএনপির নেতা ফজলুর রহমান শোকজের পরে, গ্রামের বাড়িতে এনসিপির সন্ত্রাসীদের হামলা ও আগুন দিয়েছে।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে জাতীয় নাগরিক পার্টি ( এনসিপি) কর্তৃক আগুন দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া, এই ভিডিওটি ফজলুর রহমানকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে বিএনপি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার আগে থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২২ আগস্ট কিশোরগঞ্জের বৌলাই এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এটি সেই ঘটনারই ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Imam Hossain Milon’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২২ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, ‘কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে! আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পুরান বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলী আব্বাস ওরফে রাজন ও সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হকের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।’

উল্লিখিত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে আলোচিত ভিডিওর ঘটনার বিষয়ে গত ২২ আগস্ট বাংলাভিশন, চ্যানেল ২৪ -এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২২ আগস্ট কিশোরগঞ্জের বৌলাই এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

একই ঘটনায় প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে বলা হয়, ‘জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস ওরফে রাজন এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হকের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

অর্থাৎ, ভিডিওটি কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার।  

সুতরাং, কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের ঘটনায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ভিডিওকে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে এনসিপি কর্তৃক আগুন দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

জর্জ কস্তা নিহতের খবরে জর্জ কস্তা দাবিতে ডিয়োগো কস্তার ছবি প্রচার 

গত ৫ আগস্ট মারা যান পর্তুগিজ সাবেক ফুটবলার জর্জ কস্তা। এরই প্রেক্ষিতে জর্জ কস্তা নিহতের সংবাদ প্রচার করে নানা গণমাধ্যম। সংবাদে সদ্য প্রয়াত জর্জ কস্তার ছবি দাবিতে একটি ছবি প্রচার করা হয়। যেটি তার ছবি কিনা তা নিয়ে নেটিজেনদের সংশয় জাগে।

এরূপ দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ: দেশ টিভি (ফেসবুক), খবর প্রতিদিন২৪, জিনিউজবিডি২৪

স্বীকৃত গণমাধ্যম ছাড়াও কিছু ফেসবুক পেজ থেকেও আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি সদ্য প্রয়াত ফুটবলার জর্জ কস্তার নয়। প্রকৃতপক্ষে ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে স্পেনকে প্রতিনিধিত্ব করা ফুটবলার ডিয়েগো কস্তার যিনি এখনও বেঁচে আছেন।

অনুসন্ধানে জর্জ কস্তার বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এর ওয়েবসাইটে ‘Former Porto captain Costa dies aged 53’ শিরোনামে গত ৫ আগস্টে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “সাবেক পোর্তো অধিনায়ক জর্জ কস্তা ৫৩ বছর বয়সে ক্লাবের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। এই ডিফেন্ডার ২০০৪ সালে কোচ হোসে মরিনহোর অধীনে পর্তুগিজ ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতিয়েছিলেন এবং পর্তুগালের হয়ে ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন।” প্রতিবেদনটিতে জর্জ কস্তার একটি ছবিরও সংযুক্তি পাওয়া যায়। ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে প্রাথমিকভাবে দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি বলে প্রতীয়মান হয়।

Comparison : Rumor Scanner

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক খেলাধুলা সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্ম ‘স্কাই স্পোর্টস’ এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে একটি ছবির সংযুক্তি পাওয়া যায় যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে হুবহু মিল পাওয়া যায়। ছবিটিতে থাকা ব্যক্তির বিষয়ে প্রতিবেদনটিতে থেকে জানা যায়, তিনি ডিয়োগো কস্তা এবং সেসময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব উলভসে ফিরেন৷ এর আগে তিনি একই লীগের ক্লাব চেলসির হয়ে খেলে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে দুইবার লীগ শিরোপা জিতেছেন।

Comparison : Rumor Scanner

এছাড়াও, ২০২২ সালে ফুটবল ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গোল’ এর ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই ছবির সংযুক্তি পাওয়া যায় এবং তার নাম বলা হয়, ডিয়োগো কস্তা।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করলে ফুটবলারদের ট্রান্সফার ও ডাটা সংক্রান্ত প্ল্যাটফর্ম ট্রান্সফারমার্কেটের ওয়েবসাইটে ডিয়েগো কস্তার প্রোফাইল পাওয়া যায়। প্রোফাইলে দেখা যায় ডিয়েগো কস্তার বয়স ৩৬ বছর এবং এখনও বেঁচে আছেন। তার জন্ম ব্রাজিলে হলেও আন্তর্জাতিক ফুটবল পর্যায়ে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

উপরোল্লিখিত তথ্যপ্রমাণ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, জর্জ কস্তা মারা যাওয়ার খবরে সংযুক্ত ছবিটি প্রকৃতপক্ষে ডিয়েগো কস্তা নামক আরেক ফুটবলারের।

সুতরাং, সদ্য প্রয়াত পর্তুগিজ সাবেক ফুটবলার জর্জ কস্তার ছবি দাবিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্পেনকে প্রতিনিধিত্ব করা ফুটবলার ডিয়েগো কস্তার ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ফরিদপুরে আ. লীগ নেতাদের ধরতে এলে পুলিশকে জনতার ধাওয়া দেওয়ার দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি ‘ফরিদপুরে ভাংগা পৌরসভার আওয়ামীলীগ নেতাদের ধরতে এসে, এলাকা বাসির ধাওয়ায় পালিয়ে গেলো পুলিশ।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ভিডিওটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলারও নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের সমর্থনে নোয়াখালীর সেনবাগে মিছিলরত বিএনপি সমর্থকদের ধাওয়ায় পুলিশের পালানোর ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে কামরু জ্জামান নামক ফেসবুক প্রোফাইলে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশনে ‘আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার নোয়াখালীর সেনবাগে অবরোধের সমর্থনে মিছিলরত বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালালো পুলিশ….’ সূচক তথ্য উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে, BNP Official Vlogs নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ‘নোয়াখালী বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালালো পুলিশ’ শিরোনামে আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

গণমাধ্যম (, ) সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সমর্থনে মোড়ে মোড়ে ঝটিকা মিছিল করেছে নোয়াখালী বিএনপি।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ২০২৩ সালের নোয়াখালীর ভিন্ন একটি ঘটনার।

সুতরাং, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ধরতে এসে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় পুলিশের পালিয়ে যাওয়ার এই দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ময়মনসিংহে উদ্ধার হওয়া এই মৃতদেহটি হিন্দু নারীর নয় 

0

সম্প্রতি ধানক্ষেতে পড়ে থাকা এক নারীর মরদেহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে ওই নারীর নাম উপমা রায় দাবি করে বলা হয়েছে— অনেক বোঝানোর পরেও কয়েক মাস আগে মেয়েটি মুসলমান প্রেমিককে বিয়ে করে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছিল, সুখে থাকার আসায়। ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কবিরাজ বাড়ির কচুক্ষেতে তার লাশ পাওয়া গেল। পোস্টগুলোতে বলা হয়েছে, এক মুসলিম যুবকের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উপমা রায় ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে সালমা আক্তার নাম হয়ে ওই যুবককে বিয়ে করে। ধর্মান্তরের ফলাফল হিসেবেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে এসব পোস্টে উল্লেখ করা হয়।

ফেসবুক ও এক্সে প্রচারিত এমন দাবির কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত নারীর নাম উপমা রায় নয় বরং তার নাম হোসনে আরা আক্তার এবং তিনি জন্মগতভাবেই মুসলিম। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Firoz Shai নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ০২ জুলাই প্রকাশিত এক পোস্টে একই স্থানে ওই মৃতদেহের আরো দুটি ছবি পাওয়া যায়। পোস্টে ওই নারীকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের কাওলাঠিয়া গ্রামের হোসনে আরা বেগম হিসেবে এবং তাকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

Screenshot: Facebook 

একইদিন গৌরীপুর টিভি নামের ফেসবুক পেজের পোস্টের ভিডিওতে মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া নারীর মাকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এবং তার বাবার নাম ওই পোস্টে আব্দুল গণি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে উক্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনার ওপর মানবজমিনের গত ৩ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে হয়, “ময়মনসিংহের গৌরীপুরে হোসনে আরা খাতুন (৩৫) নামে এক যুবতীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের কাউলাটিয়া কবিরাজবাড়ী এলাকার এক কচুক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি একই গ্রামের মৃত আব্দুল গণির কন্যা। বিষয়টি নিশ্চিত গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দিদারুল ইসলাম। তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে কলাগাছের ডাউগা দিয়ে গলা ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতের মা রাবেয়া খাতুন জানান, তার মেয়ে ৩টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। তার মানসিক সমস্যা ছিল। তাকে কেন এভাবে হত্যা করা হয়েছে জানিনা। এ ঘটনার বিচার চাই। ”

Comparison: Rumor Scanner 

সুতরাং, ময়মনসিংহে উদ্ধার হওয়া এই মৃতদেহটি হিন্দু নারীর শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

তিন মাস নয়, তৌহিদ আফ্রিদি বিয়ে করেছেন অন্তত নয় মাস আগে

0

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আন্দোলনকারীদের হত্যার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গত ২৪ আগস্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাকে গ্রেফতারের সময়কার একটি ভিডিওতে তৌহিদ আফ্রিদিকে বলতে দেখা যায়, “আমি শুধু ভয় পাইতেছি, আমার ওয়াইফটা ছয় মাসের প্রেগন্যান্ট”

এরই প্রেক্ষিতে, সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট  ইলিয়াস হোসেন গত ২৫ আগস্ট তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘তৌহিদ আফ্রিদি বিয়ে করেছে তিন মাস আগে আর তার বউ ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা! ৫ তারিখের পর দেশ থেকে পা’লিয়ে যায় আফ্রিদি এরপর এপ্রিলে সে দেশে ফিরে আসে৷ এখন আগস্ট মাস তার মানে ৪ মাস আগে আফ্রিদি দেশে এসেছিলো তাহলে ৬ মাসের বাচ্চা কিভাবে পয়দা হুয়া৷’

এছাড়াও, উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, তৌহিদ আফ্রিদি তিন মাস পূর্বে বিয়ে করেননি। প্রকৃতপক্ষে, তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে ২০২৪ সালের নভেম্বরে। গণমাধ্যম ও সামািজক মাধ্যমে তার বিয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার প্রেক্ষিতে সেই সময় তৌহিদ নিজেও তার নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন। সম্প্রতি, তার গ্রেফতারের সময় বলা “আমি শুধু ভয় পাইতেছি, আমার ওয়াইফটা ছয় মাসের প্রেগন্যান্ট” কথার প্রেক্ষিতে আলোচিত ভুয়া দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে মাই টিভি -এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর ‘বিয়ে নিয়ে বিস্তারিত জানালেন তৌহিদ আফ্রিদি নিজেই’ শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে তৌহিদ আফ্রিদিকে নিজের বিয়ে সম্পর্কে কথা বলতে দেখা যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটিতে বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ আফ্রিদিকে বলতে শোনা যায়, ‘আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহতালা লিখে রাখেন। কার কখন, কোথায় বিয়ে হবে, এটা সম্পূর্ণ আল্লাহর উপরে। আমি দেখতে গেছি আমার মাকে নিয়ে, ফ্যামিলিকে নিয়ে আমি দেখতে গেছি। আর দেখে আসলে ওখানেই বিয়েটা মানে কাবিন যেটা বলি, কাবিন হয়ে গেছে।’

যখন আপনি দেখলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ বলছে গোপনে বিয়ে হয়ে গেছে, আসলে এটার সময় আপনার রিঅ্যাকশনটা কী ছিলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ আফ্রিদি বলেন, ‘আমি মনে মনে হাসি। টু বি অনেস্ট, এগুলো দেখলে আমার হাসিই লাগে। আমি আপলোডই দিতাম। এমন একটা মোমেন্টে আমি আপলোড দিতাম যে, আমি একটু বাসায় যাইতাম তারপরনা আপলোডটা দিতাম। তার আগেই আমি গাড়িতে শুনি নিউজ হয়ে গেছে যে ‘গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি’। তো এটা আমার কাছে অবাক লাগে কিন্তু এটা আসলে গোপনে না। এটা আসলে সবার দোয়াতে আসলে এটা হইছে, আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়েছে আর কী’। 

তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ে নিয়ে সেসময় সমকাল, প্রথম আলো, যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

উল্লিখিত তথ্যপ্রমাণ থেকে এটি নিশ্চিত যে তৌহিদ আফ্রিদি অন্তত ৯ মাস আগে বিয়ে করেছেন।

সুতরাং, ‘তৌহিদ আফ্রিদি বিয়ে করেছে তিন মাস আগে’ শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ইসলামী ব্যাংকের কর্মী ছাঁটাই প্রসঙ্গে প্রথম আলোর নামে প্রচারিত এই প্রতিবেদনটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, বেসরকারি আল-আরাফাহ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামীসহ কিছু ব্যাংকের কয়েকশো কর্মী চাকরিচ্যুত হন। ২০২১ সাল থেকে ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে বেশ কিছু অনিয়ম রয়েছে অভিযোগ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তাদের রেগুলাইজ করার জন্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে যারা অনুত্তীর্ণ হয় শুধু তাদেরই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, মূলধারার গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ‘ইসলামী ব্যাংকে বড় ধরনের ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দাবিতে এমন একটি প্রতিবেদনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে (আইবিবিএল) বড় ধরনের ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখে অভ্যন্তরীণভাবে একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে মূলত ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এ পরীক্ষার ভিত্তিতে অন্তত ৬ হাজার কর্মকর্তা ছাঁটাইয়ের মুখে পড়তে পারেন। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো এমন কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার করে তৈরি করা ভুয়া এই প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটটি ফেসবুক প্রচার করা হয়েছে। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্দেশ্যে ইসলামী ব্যাংকের আগামী ২৯ তারিখে পরীক্ষা নেওয়ার একটি তথ্য গণমাধ্যমে পাওয়া যায়। 

অনুসন্ধানের ‍শুরুতে আলোচিত প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার। পর্যালোচনায় দেখা যায়, এতে প্রতিবেদনটি প্রকাশের তারিখ উল্লেখ নেই। প্রথম আলোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল পর্যবেক্ষণ করে এমন কোনো প্রতিবেদনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সাথে আলোচিত প্রতিবেদনের বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে আলোচিত প্রতিবেদনের ফন্টের ভিন্নতা রয়েছে। পাশাপাশি উভয় প্রতিবেদন প্রকাশের প্যার্টানও ভিন্ন।

Comparison by Rumor Scanner 

পরবর্তীতে ইসলামী ব্যাংকের পরীক্ষার বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে খবরের কাগজের ফেসবুক পেজে গত ২০ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে তাদেরকে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ভিডিওটি থেকে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে একটি চিঠি জারি করা হয়েছে। যাতে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ‘কনডাকশন অফ স্পেশাল কম্পিটেন্সি অ্যাসেসমেন্ট ফর এমপ্লয়িজ অফ দ্য ব্যাংক’ শীর্ষক একটি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়। উক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি বলেও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়। এছাড়াও প্রতিবেদনটি বলা হয়, আগামী ২৯ আগস্ট পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

অর্থাৎ, ইসলামী ব্যাংকের কর্মী ছাঁটাই দাবিতে প্রথম আলো এমন কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

সুতরাং, ‘ইসলামী ব্যাংকে বড় ধরনের ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি’ শিরোনামে প্রথম আলোর নামে প্রচারিত প্রতিবেদনটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

ড. ইউনূসকে অবৈধ ঘোষণা করে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা গ্রহণের দাবিটি ভুয়া

সম্প্রতি, সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার উজ জামান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবৈধ ঘোষণা করে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছে দাবিতে ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

ইউটিউবে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবৈধ ঘোষণা করে সেনাপ্রধান কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। প্রকৃতপক্ষে, সাংবাদিক মাসুদ কামাল ও কাজী রুনার ভিডিওর সাথে ভারতীয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মনজ দাসের অপ্রাসঙ্গিক একটি ভিডিও ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার এতে মোট তিনজন ব্যক্তির ভিডিও ক্লিপ দেখতে পায়। যার একটি সাংবাদিক মাসুদ কামালের, আরেকটি সাংবাদিক কাজি রুনার এবং অপরটি মনজ দাস নামের একজন ভারতীয় ব্যক্তির। ভিডিওটিতে দেখতে পাওয়া মাসুদ কামালের ক্লিপটিতে পুরো ভিডিও জুড়ে কোনো অডিও নেই। তাই সেটি এই দাবির সাথে প্রাসঙ্গিক নয়। কাজী রুনা ২৬ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন। তিনি জানান যদি শুনানি পক্ষে যায় তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফেরার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তিনি তার বক্তব্যের কোথাও সেনাপ্রধানের ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবৈধ ঘোষণা করা কিংবা কোর্ট মার্শাল করে ক্ষমতা গ্রহণ করার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। অপরদিকে মনজ দাসকে ভারত, পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশের ভৌগোলিক রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করতে শোনা যায়। যার সাথে আলোচিত দাবি সম্পর্কিত নয়। 

ভিডিও যাচাই ১

ভিডিওর শুরুতে দেখতে পাওয়া কাজী রুনার ফুটেজটির বিষয়ে অনুসন্ধানে News Analysis by Kazi Runa নামের তার ইউটিউব চ্যানেলটি পর্যালোচনা করে গত ২১ আগস্ট কে হচ্ছেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ? ইউনূসকে কি বিদায় নিতেই হচ্ছে ? শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনার মাধ্যমে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে ব্যবহৃত কাজী রুনার ফুটেজের সাথে উক্ত ভিডিওর বক্তব্য ও তার পোশাকের হুবহু মিল রয়েছে। মূলত, ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়তায় এই ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে তা আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে তাকে ২৬ আগস্ট ৬ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করতে শোনা যায়। তবে তার সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই ২

পরবর্তীতে ভিডিওতে দেখতে পাওয়া মনজ দাস নামের ব্যক্তির ফুটেজটির বিষয়ে অনুসন্ধানে তার নামের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে CALCUTTA DIALOGUES নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের সন্ধান পাওয়া যায়। উক্ত ইউটিউব চ্যানেলটির বিবরণী থেকে জানা যায়, চ্যানেলটি মনজ দাস নামের ওই ব্যক্তির।

Screenshot: Youtube 

পরবর্তীতে চ্যানেলটি পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ২২ আগস্ট চ্যানেলটিতে Rangpur in the north, Chittagong in the south: Ready forces শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওর বক্তব্য ও মনজ দাসের পোশাকের সাথে আলোচিত ভিডিওতে তার ব্যবহৃত ফুটেজের বক্তব্য ও পোশাকের হুবহু মিল রয়েছে। আলোটিত ভিডিওটিতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগের ভিডিওর মত এটির ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় পরিবর্তন করা হয়েছে। ভিডিওটিতে তাকে ভারত, পাকিস্তান, চীন এবং বাংলাদেশের ভৌগোলিক রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করতে শোনা গেলেও আলোচিত দাবির বিষয়ে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি।

সেনাপ্রধান প্রধান উপদেষ্টার বৈধতা প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করলে কিংবা কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা গ্রহণের মতো কোনো ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হতো। তবে গণমাধ্যম কিংবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

অর্থাৎ, কয়েকটি অপ্রাসঙ্গিক ফুটেজ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যুক্ত করে আলোটিক ভিডিওটি তৈরি করে অধিকতর ভিউ পাবার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়।

সুতরাং, প্রধান উপদেষ্টাকে অবৈধ ঘোষণা করে সেনাপ্রধান কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

চট্টগ্রামে টানেলের ভেতর থেকে ১৩৯ টি লাশ পাওয়ার দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে দাবি প্রচার করা হয়েছে, “চট্টগ্রাম ট্যানেলের ভিতরে ভয়াবহ অবস্থা… ট্যানেল খুলে দেওয়ার সাথে সাথে ১৩৯ টি লাশ উদ্ধার করা হয়… আরো অনেকগুলো নাকি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে! সকল রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছে”।

এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত উপরোল্লিখিত পোস্টটি ১ লক্ষেরও অধিক বার দেখা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামে টানেলের ভেতর থেকে ১৩৯টি লাশ পাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে এত বেশি পরিমাণে লাশ পাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটলে তা মূলধারার গণমাধ্যমে প্রচারিত হতো।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলের নিকটবর্তী আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, টানেলে সম্প্রতি একটি লাশ পাওয়ার বিষয়েও তিনি কোনো খবর পাননি।

এছাড়াও, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নুরুল আলম আশেকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও নিশ্চিত করেন সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে একসাথে এত পরিমাণ লাশ বা মুমূর্ষু ব্যক্তি আসার দাবি সত্য নয়।

উল্লেখ্য যে, পোস্টটিতে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে তবে ভিডিওটিতেও কোনো লাশ বা উল্লেখযোগ্য কিছু দেখা যায়নি এবং ভিডিওটি ভ্রমণের সময় ধারণ করা বলে প্রতীয়মান হয়।

সুতরাং, সম্প্রতি চট্টগ্রামে ট্যানেলে ১৩৯ টি লাশ পাওয়ার দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • Statement of Md Monir Hosen, OC, Anowara Police Station, Chittagong
  • Statement of Nurul Alam Ashek, In-charge, Chittagong Medical College Police outpost
  • Rumor Scanner’s analysis

মাহফুজা খানম ডাকসুর প্রথম ও একমাত্র নারী ভিপি নন

নানা সময়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি প্রচার করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর প্রথম বা একমাত্র নারী ভিপি মাহফুজা খানম। গত ১২ আগস্ট মাহফুজা খানমের মৃত্যুর খবরে আলোচিত দাবিটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন : সময় টিভি, ইনডিপেনডেন্ট টিভি, চ্যানেল আই, আরটিভি, এখন টিভি, দেশ টিভি (ইউটিউব), দীপ্ত টিভি, বাংলা ভিশন, ডিবিসি নিউজ, প্রথম আলো, কালবেলা, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, মানবজমিন, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, আজকের পত্রিকা, ইত্তেফাক, ইনকিলাব, দেশ রূপান্তর, ডেইলি সান, মানবকণ্ঠ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ঢাকা পোস্ট, ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলাদেশ জার্নাল, দ্য রিপোর্ট লাইভ, ডেইলি অবজারভার, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক আজাদী, রূপালী বাংলাদেশ, ঢাকা প্রকাশ, ভিউজ বাংলাদেশ, সারাবাংলা, খবর সংযোগ, অর্থসূচক, বাহান্ন নিউজ, ক্যাম্পাস টাইমস, ডেল্টা টাইমস, সংবাদ অনলাইন, বাংলাদেশ টাইমস, দৈনিক করতোয়া, একুশে সংবাদ, সময়ের খবর, সময়ের আলো, প্রবাস খবর, বৈশাখী নিউজ২৪, বিডিলাইভ২৪, নিউজনাও২৪, নিউজজোন বিডি, বিডি টুডে, প্রতিদিনের বাংলা, ভোরের চেতনা, সকাল সন্ধ্যা, আলোকিত বাংলাদেশ, বার্তা২৪, বিবার্তা২৪, নাগরিক নিউজ, ভিওডি বাংলা, স্বপ্নের বাংলাদেশ, বাংলাদেশের আলো, রেড টাইমস, দৈনিক পরিবার, দৈনিক দিগন্তর, সংবাদ জমিন, আদালত বার্তা, বাংলাদেশ চিত্র, অনন্যা

আলোচিত দাবিতে ২০২১ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন : দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস

এরূপ দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে গণমাধ্যমের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে গণমাধ্যমের টিকটক অ্যাকাউন্টে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে গণমাধ্যমের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এছাড়াও, মাহফুজা খানম নিজেও আলোচিত দাবিটি একাধিকবার করেছেন। দেখুন এখানে এবং এখানে

গণমাধ্যম ছাড়াও নানা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ থেকেও আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

গণমাধ্যম ছাড়াও নানা এক্স অ্যাকাউন্ট থেকেও আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

গণমাধ্যম ছাড়াও নানা টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকেও আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

এরূপ দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাহফুজা খানম ডাকসুর প্রথম বা একমাত্র নারী ভিপি বা সহ-সভাপতি নন। প্রকৃতপক্ষে মাহফুজা খানমের আগে ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে বেগম জাহানারা আখতার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

অনুসন্ধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে স্থাপিত একটি অনার বোর্ডের বিষয়ে খোঁজ পাওয়া যায় যেখানে এযাবতকালের ডাকসুতে নির্বাচিত সব ভিপি (সহ-সভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) এর নাম ও তাদের নির্বাচিত হওয়া শিক্ষাবর্ষের উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির সহায়তায় উক্ত অনার বোর্ডের ছবি সংগ্রহ করা হয়।

Source : DUCSU Building 

বোর্ডটিতে থাকা তালিকাতে দেখা যায়, ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহফুজা খানম এবং সেসময় তার সাথে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মোরশেদ আলী। তালিকাটি পর্যবেক্ষণ করলে জানা যায়, মাহফুজা খানমের আগে ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে আরেকজন নারী ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। মাহফুজা খানমের আগে নির্বাচিত হওয়া সেই নারী ভিপির নাম বেগম জাহানারা আখতার এবং সেসময় তার সাথে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন অমূল্য কুমার।

পাশাপাশি, এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘জাগোনিউজ২৪’ এর ওয়েবসাইটে ‘ডাকসুর ভিপি-জিএস হয়েছিলেন যারা’ শিরোনামে ২০১৯ সালের ১১ মার্চে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতেও ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে ‘বেগম জাহানারা আক্তার’ এর নাম পাওয়া যায়। 

Courtesy : Songramer Notebook

এছাড়া, পুরোনো পত্রিকার অনলাইন সংরক্ষণাগার সংগ্রামের নোটবুক এর ওয়েবসাইটে ১৯৮৫ সালের ১৩ ডিসেম্বরে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বিচিত্রার একটি পেপার কাটিংয়ের ছবি পাওয়া যায়। ছবিটিতে ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি ও জিএসের তালিকা পাওয়া যায়। তালিকাটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহফুজা খানম এবং তার আগে ১৯৬০-৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম জাহানারা আখতার।

উল্লিখিত তথ্যপ্রমাণ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে মাহফুজা খানম ডাকসুর একমাত্র বা প্রথম নারী ভিপি ছিলেন না।

সুতরাং, মাহফুজা খানম ডাকসুর একমাত্র এবং প্রথম নারী ভিপি ছিলেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র