Home Blog Page 15

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপি নেতার গুলির দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের 

সম্প্রতি, “রাজশাহীতে প্রকাশ‍্য আওয়ামীলীগ নেতাকে লক্ষ্যে করে, পিস্তল দিয়ে গুলি করছে বিএনপির এমপি প্রার্থী। প্রশাসন শুধু কি আওয়ামীলীগের লোকজনদের দেখে এগুলো কিছুই দেখে না। ফ‍্যাসিস্ট ইউনুছ বাহিনী সারাদেশে সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে..” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির এমপি প্রার্থীর গুলি করার দৃশ্যের নয় বরং, এটি ২০২০ সালে ভারতের মুর্শিদাবাদে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল নেতার গুলি চালানোর ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যম ‘The Darjeeling Chronicle’ এর ফেসবুক পেজে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি হুবহু মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়, মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি চালিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আনোয়ার সাঈদকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের দাবি করে এই হামলায় তৃণমূলের বিপরীত গোষ্ঠী জড়িত। 

উল্লিখিত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক  কি ওয়ার্ড সার্চ করে একই তারিখে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দ বাজার এর ওয়েবসাইটে  “প্রকাশ্যে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফুটপাতে তৈরি দোকান ঘরের চালার কোন দিকে ঢাল হবে, তা নিয়েই দিন কয়েক থেকে ডোমকল পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর এলাকায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল। আর সেই ঝামেলায় জড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বাবলাবোনা এলাকার বুথ সভাপতির আসাদুল ইসলাম সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তার ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছেন রঘুনাথপুরের বাসিন্দা সাঈদ আনোয়ার নামে এক যুবক। 

অর্থাৎ, প্রকাশ্যে গুলি চালানোর এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়।

সুতরাং, ২০২০ সালে ভারতের মুর্শিদাবাদে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল নেতার গুলি চালানোর ভিডিওকে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির এমপি প্রার্থীর গুলি করার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

বুয়েটে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীর মারধরের দাবিটি ভুয়া

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীতে আজ ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে একটি ভিডিও গত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, “বুয়েটে শিক্ষার্থীদের হলে ঢুকে সেনাবাহিনীর ব‍্যপক মারধর। আগামীকালের সারা দেশব্যাপী  লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি প্রত‍্যাহার করার জন্য।”

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, গত ১৮ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যদের সাথে সেনা প্রতিনিধি দলের আলোচনা শেষে সেনা সদস্যরা সেগুনবাগিচা সড়ক দিয়ে চলে যান। এ সময় আন্দোলনকারীরা তাদের পিছু নিলে সেনা সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এটি সে সময়েরই ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে গত ১৮ মে প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, “বরখাস্তকৃত সেনাসদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবীতে প্রেসক্লাবে এসে দাবী দাওয়া সহ হাজির হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রাক্কালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ সহ গণপিটুনি দেয়।” 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটি প্রেসক্লাব এলাকারই কিনা তা নিশ্চিত হতে জিওলোকেশন যাচাই করে দেখা যায়, এটি প্রেস ক্লাব এলাকায় সেগুনবাগিচা সড়কের ছবি। 

অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের ১৮ মে এর সংবাদ থেকে জানা যায়, চার দফা দাবি নিয়ে সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিয়েই সরাসরি গাড়িতে উঠে প্রেসক্লাব এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের বাইরের গেটের সামনে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তবে এখানে কাউকে লাঠিচার্জ করা হয়নি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরে সেগুনবাগিচা সড়ক দিয়ে চলে যান। এ সময় আন্দোলনকারীরা তাদের পিছু নিলে সেনা সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।

সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজের এক পোস্ট থেকেও ছত্রভঙ্গের ঘটনার বিষয়টি জানা যায়। 

সে সময় বিএনএনিউজ২৪ নামে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতেও একই স্থানের ফুটেজ পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়, গত মে মাসের ভিন্ন ঘটনার। 

সুতরাং, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীর মারধরের দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ সংক্রান্ত সমকালের প্রতিবেদনটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, ২০২৩ সালের

0

সম্প্রতি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) উদ্ধৃত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন দাবিতে জাতীয় দৈনিক সমকালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন ড. ইউনুস: এনবিআর” শিরোনামে সমকালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের মে মাসে সমকালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের স্থিরচিত্র সাম্প্রতিক দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে সমকালের আলোচিত প্রতিবেদনের স্থিরচিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে এর উপরের বাম পাশে ‘১৭ আগস্ট ২০২৫’ লেখা দেখতে পায় রিউমর স্ক্যানার। পরবর্তীতে, সমকালের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ০৭ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot from Samakal by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটিতে প্রবেশ করার পর এর উপরের বাম কোনে আজকের তারিখ অর্থাৎ ‘২৭ আগস্ট ২০২৫’ প্রদর্শিত হয়। এছাড়া প্রতিবেদনটির বাইলাইনের নিচে থাকা প্রতিবেদন প্রকাশের ডেটলাইনের স্থানে ‘০৭ মে ২০২৩’ লেখা উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, উক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার তারিখ বাদ দিয়ে আলোচিত স্ক্রিনশটটি নেওয়া হয়েছে। 

অর্থাৎ, প্রতিবেদনে প্রবেশকালের সময়কে প্রতিবেদন প্রকাশের সময় হিসেবে প্রচারের মাধ্যমে আলোচিত বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে।

সমকালের এই প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে হাইকোর্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) করা এক মামলায় বলা হয়েছে, পাঁচ বছরে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সেসময় রাষ্ট্রপক্ষের দাবি অনুযায়ী – ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণ ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা।

সেসময় এ বিষয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগোনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হাইকোর্টকে জানিয়েছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমসহ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ২০১২-১৭ সালে প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, শুধু গ্রামীণ কল্যাণ থেকেই সরকারের পাওনা ৬৬৬ কোটি টাকার বেশি। 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ০৩ অক্টোবর ড. ইউনূসকে দেয়া ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধের রায় প্রত্যাহার করেছে হাইকোর্ট। 

পাশাপাশি, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে এনবিআর কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগে মামলা দায়ের করার সপক্ষে কোনো সংবাদ দেশিয়, আন্তর্জাতিক এবং নির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যমে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ড. ইউনূস বিরুদ্ধে এনবিআর কর্তৃক ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকির পুরোনো মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

ইনসাফের নারী অধিকার বিষয়ক আলোচনা সভায় নারীদের অংশগ্রহণ না থাকার দাবিটি ভুয়া

0

গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশমূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, নারীর অধিকার নিয়ে অনুষ্ঠান হলেও এতে কোনো নারীর অংশগ্রহণ ছিল না। 

এই দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় নারীদের অংশগ্রহণ না থাকার দাবিটি সঠিক নয় বরং, উক্ত অনুষ্ঠানে পর্দার পেছনে ৮০ এর অধিক নারীর অংশগ্রহণ ছিল এবং তারা তাদের মতামতও জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বারিয়াহ বিনতে আতিয়ার নামে এক নারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৩ আগস্ট এই অনুষ্ঠান নিয়ে প্রকাশিত এক পোস্টের কমেন্ট থেকে জানা যায়, তিনি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

Screenshot: Facebook 

একই ব্যক্তি গতকালের (২৭ আগস্ট) আরেক পোস্টে কিছু ছবি যুক্ত করে জানান, “এই প্রোগ্রামে এই যে সাদা পর্দার এ পারে ছিল নারীরা। হলের এন্ট্রেন্স থেকে শুরু করে বসার সিট পর্যন্ত যেই রয়াল ট্রিটমেন্ট দিয়েছিলো আমাদেরকে মা শা আল্লাহ। আমরা মেয়েরা উঠেছি এক্সেলেটর দিয়ে আর ছেলেরা সিড়ি দিয়ে। মেয়েদের জন্য যে পথ বরাদ্দ সেখানে আমাদেরকে সংবর্ধণা জানানোর জন্য ছোট ছোট ছেলে বাচ্চাদেরকে নিযুক্ত করেছিলো,পিচ্চিগুলো পুরো প্রটোকোল দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো।”

Screenshot: Facebook 

তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন, “এই অনুষ্ঠানের মূল কেন্দ্র জুড়ে নারীরাই ছিলো,নারীদের সুবিধা অসুবিধা,তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়েই কথা বলা হয়েছে। এরপরে আমাদের কাছে প্রত্যেকের হাতে হাতে ফর্ম দেয়া হয়েছিলো আমাদের থেকে আমাদের মতামত নেয়ার জন্য যে ইনসাফের এই কার্যক্রমে নারীদের জন্য আর কি কি যুক্ত করা যেতে পারে।” 

পরবর্তী অনুসন্ধানে ইনসাফ ফাউন্ডেশনের ফেসবুকের পেজের এ সংক্রান্ত একটি পোস্টের কমেন্টে ইনসাফ কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সেমিনারে ৮০ এর অধিক নারী অংশ নিয়েছিলেন।

Screenshot: Facebook

সুতরাং, ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় কোনো নারী না থাকার দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

চাঁদা না দেওয়ায় শাহরিয়ার নাজিম জয়ের রেস্টুরেন্ট ভাঙচুরের দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি, ‘চাঁদা না দেওয়ায় শাহরিয়ার নাজিম জয় এর রেস্টুরেন্টে মব চালাচ্ছে ইউসুফ বাহিনী দালালি করেও শেষ রক্ষা হলো না।’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের রেস্টুরেন্ট ভাঙচুরের নয় এবং শাহরিয়ার নাজিম জয়ের রেস্টুরেন্ট ভাঙচুরের কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, গত এপ্রিল মাসে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসরায়েলী পণ্যের বয়কটের ডাক দেয় জনতা। এরই প্রেক্ষিতে কেএফসি রেস্টুরেন্ট ইসরায়েলী অভিযোগ তুলে গত ০৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় এর কুমিল্লা শাখায় ভাঙচুর চালায় একদল জনতা। এটি সেই ঘটনারই একটি ভিডিও। 

অনুসন্ধানে ‘Sharif Al Islam’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ০৭ এপ্রিল প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

শরিফ আল ইসলামের ফেসবুক পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি তৌহিদী জনতা কর্তৃক কুমিল্লায় কেএফসি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর ও লুটপাটের দৃশ্য। 

উল্লিখিত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জাগো নিউজের ওয়েবসাইটে গত ০৭ এপ্রিল ‘কুমিল্লায় কেএফসি ভাঙচুর’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ০৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ০৬ টার দিকে কুমিল্লা নগরীর রানীর বাজার এলাকায় অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ কেএফসি বন্ধ করে চলে যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে একদল যুবক কেএফসি ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিল ও ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা কেএফসিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় ভবনটির দ্বিতীয় তলায় উঠে ভাঙচুর করা হয়।

এছাড়া, ঘটনার দুইটির পর গত ০৯ এপ্রিল ইত্তেফাকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ০৭ এপ্রিল কুমিল্লার কেএফসিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ০৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ারা গ্রামের সাফায়েত মজুমদার (২৭), নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার মো. জিহাদ হোসেন (২১), শাসনগাছা এলাকার আবু বকর সিদ্দিক আসলাম (২১) ও আবিদ হাসান (২৩)। গ্রেফতারকৃতরা উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির, তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে শাহরিয়ার নাজিম জয়ের রেস্টুরেন্ট ভাঙচুরের কোনো তথ্য গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া যায়নি। এমনকি শাহরিয়ার নাজিম জয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও এসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ইসরায়েল আগ্রাসনের প্রতিবাদে কুমিল্লার কেএফসি রেস্টুরেন্টে একদল জনতার ভাঙচুরের ভিডিওকে শাহরিয়ার নাজিম জয়ের রেস্টুরেন্ট ভাঙচুরের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

বাংলাদেশে ফিল্ম স্টাইলে অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, “ইউনুস বাহিনীর ফিল্ম স্টাইলে অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজির ভিডিও.. এদের কারণে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই” শিরোনামে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজির দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার না। প্রকৃতপক্ষে, চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতের পাটনায় চন্দন মিশ্র নামক এক গ্যাংস্টারকে হাসপাতালে ঢুকে কতিপয় সশস্ত্র ব্যক্তি কর্তৃক হত্যার ঘটনায় ধারণকৃত একটি ভিডিওকে সম্প্রতি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি থেকে প্রাপ্ত কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘NDTV’ এর ইউটিউব চ্যানেলে চলতি বছরের ১৭ জুলাই “Patna Hospital Gang War | 5 Men With Guns, A Murderer On Parole Shot Dead In Hospital” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওর বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ভারতের পাটনায় পারাস এইচএমআরআই হাসপাতালে পাঁচ বন্দুকধারী ঢুকে কুখ্যাত আসামি চন্দন মিশ্রকে গুলি করে হত্যা করেছে। চন্দন মিশ্র চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্ত ছিলেন, পুলিশ বলছে ঘটনাটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের হামলা। 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘Republic TV’ এর ওয়েবসাইটে আলোচিত বিষয়ে একই তারিখে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১৭ জুলাই “Man Arrested For Killing Gangster At Patna Paras Hospital, All Five Accused Identified” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনটির বিস্তারিত বিবরণীতেও একই তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভারতীয় পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত তৌসিফ বাদশাসহ পাঁচজন বন্দুকধারীকে শনাক্ত করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, আলোচিত এই ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয় তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে। 

সুতরাং, বাংলাদেশে ফিল্ম স্টাইলে অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

বাংলাদেশের নয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর হেনস্তার শিকার হওয়ার ভিডিওটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরের

গত ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। ২৪ আগস্ট (রোববার) দিবাগত রাতে তিনি ঢাকা ছাড়েন। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে আসা পাকিস্তানি উপ প্রধানমন্ত্রীকে বিমান বন্দরে আপ্যায়নের দৃশ্য!!’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে। 

ভিডিওটিতে মোহাম্মদ ইসহাক দারকে উদ্দেশ্য করে কাউকে ‘You are a liar. You are a chor. thief’ বলতে শোনা যায়। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইসহাক দার বাংলাদেশের বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার হননি। প্রকৃতপক্ষে, ২০২২ সালে ইসহাক দারের যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটন ডিসির বিমানবন্দরের একটি ঘটনার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে পাকিস্তানের গণমাধ্যম GTV NETWORK এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর ‘Finance Minister Ishaq Dar Harsh Welcome at USA Airport’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে যুক্ত ফুটেজের সাথে আলোচিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে পাকিস্তানের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হন। এসময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মাসুদ খানকে, ইসহাক দারকে হাত ধরে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। 

একই বিষয়ে ভারতের গণমাধ্যম ND TV এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর ‘Pak Finance Minister Heckled At US Airport, Called “Liar”, “Chor”’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই ধরণের চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়। 

জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক আলোচনায় যোগ দিতে পাকিস্তানের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার সেমসয় যুক্তরাষ্ট্রে যান। আলোচিত ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটেছিল। 

সুতরাং, বাংলাদেশের বিমানবন্দরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার হেনস্তার শিকার হয়েছেন শীর্ষক দাবিটা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কোনো ঘটনা ঘটেনি, এনসিপিকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। 

এরই মধ্যে ‘বিএনপির নেতা ফজলুর রহমান শোকজের পরে, গ্রামের বাড়িতে এনসিপির সন্ত্রাসীদের হামলা ও আগুন দিয়েছে।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে জাতীয় নাগরিক পার্টি ( এনসিপি) কর্তৃক আগুন দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া, এই ভিডিওটি ফজলুর রহমানকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে বিএনপি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার আগে থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২২ আগস্ট কিশোরগঞ্জের বৌলাই এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এটি সেই ঘটনারই ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Imam Hossain Milon’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২২ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

Comparison : Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, ‘কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে! আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পুরান বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলী আব্বাস ওরফে রাজন ও সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হকের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।’

উল্লিখিত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে আলোচিত ভিডিওর ঘটনার বিষয়ে গত ২২ আগস্ট বাংলাভিশন, চ্যানেল ২৪ -এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২২ আগস্ট কিশোরগঞ্জের বৌলাই এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

একই ঘটনায় প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে বলা হয়, ‘জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস ওরফে রাজন এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হকের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

অর্থাৎ, ভিডিওটি কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার।  

সুতরাং, কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের ঘটনায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ভিডিওকে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে এনসিপি কর্তৃক আগুন দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

জর্জ কস্তা নিহতের খবরে জর্জ কস্তা দাবিতে ডিয়োগো কস্তার ছবি প্রচার 

গত ৫ আগস্ট মারা যান পর্তুগিজ সাবেক ফুটবলার জর্জ কস্তা। এরই প্রেক্ষিতে জর্জ কস্তা নিহতের সংবাদ প্রচার করে নানা গণমাধ্যম। সংবাদে সদ্য প্রয়াত জর্জ কস্তার ছবি দাবিতে একটি ছবি প্রচার করা হয়। যেটি তার ছবি কিনা তা নিয়ে নেটিজেনদের সংশয় জাগে।

এরূপ দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ: দেশ টিভি (ফেসবুক), খবর প্রতিদিন২৪, জিনিউজবিডি২৪

স্বীকৃত গণমাধ্যম ছাড়াও কিছু ফেসবুক পেজ থেকেও আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি সদ্য প্রয়াত ফুটবলার জর্জ কস্তার নয়। প্রকৃতপক্ষে ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে স্পেনকে প্রতিনিধিত্ব করা ফুটবলার ডিয়েগো কস্তার যিনি এখনও বেঁচে আছেন।

অনুসন্ধানে জর্জ কস্তার বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এর ওয়েবসাইটে ‘Former Porto captain Costa dies aged 53’ শিরোনামে গত ৫ আগস্টে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “সাবেক পোর্তো অধিনায়ক জর্জ কস্তা ৫৩ বছর বয়সে ক্লাবের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। এই ডিফেন্ডার ২০০৪ সালে কোচ হোসে মরিনহোর অধীনে পর্তুগিজ ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতিয়েছিলেন এবং পর্তুগালের হয়ে ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন।” প্রতিবেদনটিতে জর্জ কস্তার একটি ছবিরও সংযুক্তি পাওয়া যায়। ছবিটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে প্রাথমিকভাবে দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি বলে প্রতীয়মান হয়।

Comparison : Rumor Scanner

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক খেলাধুলা সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্ম ‘স্কাই স্পোর্টস’ এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে একটি ছবির সংযুক্তি পাওয়া যায় যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে হুবহু মিল পাওয়া যায়। ছবিটিতে থাকা ব্যক্তির বিষয়ে প্রতিবেদনটিতে থেকে জানা যায়, তিনি ডিয়োগো কস্তা এবং সেসময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব উলভসে ফিরেন৷ এর আগে তিনি একই লীগের ক্লাব চেলসির হয়ে খেলে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে দুইবার লীগ শিরোপা জিতেছেন।

Comparison : Rumor Scanner

এছাড়াও, ২০২২ সালে ফুটবল ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গোল’ এর ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই ছবির সংযুক্তি পাওয়া যায় এবং তার নাম বলা হয়, ডিয়োগো কস্তা।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করলে ফুটবলারদের ট্রান্সফার ও ডাটা সংক্রান্ত প্ল্যাটফর্ম ট্রান্সফারমার্কেটের ওয়েবসাইটে ডিয়েগো কস্তার প্রোফাইল পাওয়া যায়। প্রোফাইলে দেখা যায় ডিয়েগো কস্তার বয়স ৩৬ বছর এবং এখনও বেঁচে আছেন। তার জন্ম ব্রাজিলে হলেও আন্তর্জাতিক ফুটবল পর্যায়ে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

উপরোল্লিখিত তথ্যপ্রমাণ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, জর্জ কস্তা মারা যাওয়ার খবরে সংযুক্ত ছবিটি প্রকৃতপক্ষে ডিয়েগো কস্তা নামক আরেক ফুটবলারের।

সুতরাং, সদ্য প্রয়াত পর্তুগিজ সাবেক ফুটবলার জর্জ কস্তার ছবি দাবিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্পেনকে প্রতিনিধিত্ব করা ফুটবলার ডিয়েগো কস্তার ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ফরিদপুরে আ. লীগ নেতাদের ধরতে এলে পুলিশকে জনতার ধাওয়া দেওয়ার দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি ‘ফরিদপুরে ভাংগা পৌরসভার আওয়ামীলীগ নেতাদের ধরতে এসে, এলাকা বাসির ধাওয়ায় পালিয়ে গেলো পুলিশ।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ভিডিওটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলারও নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের সমর্থনে নোয়াখালীর সেনবাগে মিছিলরত বিএনপি সমর্থকদের ধাওয়ায় পুলিশের পালানোর ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে কামরু জ্জামান নামক ফেসবুক প্রোফাইলে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশনে ‘আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার নোয়াখালীর সেনবাগে অবরোধের সমর্থনে মিছিলরত বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালালো পুলিশ….’ সূচক তথ্য উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে, BNP Official Vlogs নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ‘নোয়াখালী বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালালো পুলিশ’ শিরোনামে আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

গণমাধ্যম (, ) সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সমর্থনে মোড়ে মোড়ে ঝটিকা মিছিল করেছে নোয়াখালী বিএনপি।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ২০২৩ সালের নোয়াখালীর ভিন্ন একটি ঘটনার।

সুতরাং, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ধরতে এসে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় পুলিশের পালিয়ে যাওয়ার এই দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র