Home Blog Page 14

উত্তরায় আ.লীগের সাম্প্রতিক মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ২০২৩ সালের ভিডিও প্রচার  

সম্প্রতি, ‘১৫/৯/২০২৫/ তাং:-এবার কাপালো উত্তরা ঢাকা সিটি জয় বাংলা স্লোগানে হাজার হাজার জনতা এবার আমাদেরকে সামলাতে পারবেন তো জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে– গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার উত্তরায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের দৃশ্য এটি। 

ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলের নয় বরং ২০২৩ সালে দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলের দৃশ্যকে সাম্প্রতিক ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে News21 Live নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়েছে, প্রচারিত ভিডিওটি যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলের। 

একই ভিডিও তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের দাবিতে যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীকেও পোস্ট করতে দেখা। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

সুতরাং, ২০২৩ সালে বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের ভিডিওকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

ভারতীয় যাত্রীবাহী বিমান সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার দাবিতে এআই ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি অনলাইনে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে যেখানে চারপাশে পানির মধ্যে কথিত এক বিমানের ভেতর হিন্দি ভাষায় এক নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘জানি না বিমান কোন সমুদ্রের মধ্যে ক্র্যাশ (দুর্ঘটনার শিকার) করেছে। কেউ যদি এই ভিডিওটি দেখছেন তাহলে প্লিজ সব জায়গায় শেয়ার করে দাও।’ উক্ত ভিডিওটি ভারতীয় যাত্রীদের নিয়ে সমুদ্রে বিমানের তলিয়ে যাওয়ার আসল ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ভারতীয় যাত্রীদের নিয়ে সমুদ্রে বিমানের তলিয়ে যাওয়ার আসল ভিডিও নয় বরং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ভুয়া এই ভিডিওকে আসল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স সার্চ করলে দেশি বা বিদেশি (বিশেষত ভারতীয়) মূলধারার গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত ভিডিওটি আসল হওয়ার সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে এভাবে কোনো বিমান দুর্ঘটনা হলে ও যাত্রীদের ধারণকৃত এরূপ কোনো আসল ভিডিও থাকলে তা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচার করা হতো।

তাছাড়া, প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে পানি ও বিমানের ভেতরের মানুষের নড়াচড়া, বিমানের পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়, যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি ভিডিওতে দেখা যায়।

ভিডিওটি আরও পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এতে ‘Sora’ লেখা একটি জলছাপ রয়েছে। ‘সোরা’ হলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও চ্যাটজিপিটির মালিকানাধীন কোম্পানি ওপেনএআইয়ের তৈরি ভিডিও এবং অডিও জেনারেশন মডেল। এই মডেলটি বাস্তবসম্মত, শারীরিকভাবে সঠিক এবং শব্দসমন্বিত দৃশ্য তৈরি করতে সক্ষম। ২০২৪ সালের মূল সোরা মডেলের ভিত্তিতে তৈরি উন্নত সংস্করণ ‘সোরা ২’ ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়।

Collage : Rumor Scanner/Hive Moderation, DeepFake-O-Meter

এ বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে এআই ও ডিপফেক কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম ‘ডিপফেক ও মিটার’ এ আলোচিত ভিডিওটি বিশ্লেষণ করলে এটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। প্ল্যাটফর্মটির ‘AVSRDD’ ডিটেক্টরের বিশ্লেষণমতে ভিডিওটি ভুয়া বা এআই তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। এছাড়াও, এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী আরেক প্ল্যাটফর্ম ‘হাইভ মডারেশন’ এ আলোচিত ভিডিওটি বিশ্লেষণ করলে এটি এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ বলে জানা যায়।

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত ভিডিওটি মূলত এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওকে ভারতীয় যাত্রীদের নিয়ে সমুদ্রে বিমানের তলিয়ে যাওয়ার আসল ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

জামায়াত আগামীতে সরকার গঠন করবে বলে স্পেনের রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেননি, আমার দেশের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রুকে উদ্ধৃত করে ‘আমরা জামায়াতের রাজনীতিতে খুশি জামায়াত সরকার গঠন করবে আশা করি’ শিরোনামে দৈনিক আমার দেশের ডিজাইন সংবলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

অর্থাৎ, দাবি প্রচার করা হয়েছে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘আমরা জামায়াতের রাজনীতিতে খুশি জামায়াত সরকার গঠন করবে আশা করি’।

উল্লিখিত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক


রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রু ‘আমরা জামায়াতের রাজনীতিতে খুশি জামায়াত সরকার গঠন করবে আশা করি’ শীর্ষক মন্তব্য করেননি এবং আমার দেশও এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় আমার দেশের ফটোকার্ড ডিজাইনের আদলে ফটোকার্ড তৈরি করে ভুয়া এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুতে ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে এতে আমার আমার দেশের লোগো এবং ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১২ অক্টোবর, ২০২৫ লেখা উল্লেখ পাওয়া যায়। 

উক্ত সূত্র ধরে সংবাদমাধ্যমটির ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে আমার দেশের ফেসবুক পেজে গত ১২ অক্টোবর স্পেনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সংবলিত এমন কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। এছাড়া, সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৮ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে ‘ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাসহ তিন বিষয়ে গুরুত্ব দেবে জামায়াত’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির হুবহু মিল রয়েছে।

উল্লিখিত ফটোকার্ড সংবলিত পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর জামায়াতের আমীরের সঙ্গে ইইউ ইলেকশন অবজারভেশন মিশনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। বৈঠকে ইইউ ইলেকশন অবজারভেশন মিশনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্যে টিম লিডার ইলেক্টোরাল ও পলিটিক্যাল এক্সপার্ট মি. মেটে বাক্কেন, লিগ্যাল এক্সপার্ট ম্যানুয়েল ওয়ালি এবং ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ বেইবা জারিনা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদল জামায়াত আমিরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেছেন। তারা জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ই তাদের সফরের মূল উদ্দেশ্য। তারা নির্বাচনকালীন ৬৪টি জেলায় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করেছেন এবং প্রত্যেক জেলায় একজন প্রতিনিধি পাঠাবেন। নির্বাচন শেষে পর্যবেক্ষণের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে তারা আমীরে জামায়াতকে অবহিত করেন। বৈঠকে প্রবাসীদের ভোট ও ভোটাধিকার সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে ইইউ প্রতিনিধি দল। গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে যে, তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আবারও বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং ঘনিষ্ঠভাবে মতবিনিময় করবেন।

অর্থাৎ, উল্লিখিত তথ্যপ্রমাণ থেকে এটি নিশ্চিত যে আলোচিত ছবিতে থাকা ব্যক্তিরা ইইউ ইলেকশন অবজারভেশন মিশনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সদস্য। উক্ত প্রতিনিধি দলে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন না। এছাড়া, বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও আলোচিত দাবি সমর্থিত মন্তব্য করেননি।

এছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর আমার দেশের ফেসবুক পেজে ‘জামায়াত আমীরের সঙ্গে স্পেনিশ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ’ শিরোনামে একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

উল্লিখিত ফটোকার্ড সংবলিত পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রু গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকের শুরুতেই রাষ্ট্রদূত শুরুতেই জামায়াতের আমাীর ডা. শফিকুর রহমান এর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন। বৈঠকে তারা বাংলাদেশে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশ ও স্পেনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানানো হয়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতি স্পেনের দৃঢ় সমর্থন থাকবে। একই সাথে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে স্পেনের বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলে প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়।

উল্লিখিত প্রতিবেদনে জামায়াতের বিষয়ে স্পেনের রাষ্ট্রদূতের আলোচিত মন্তব্য সমর্থিত কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

ফটোকার্ডটি বিশ্লেষণে সংবাদমাধ্যমটির ফেসবুক পেজের ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির বাক্যে ব্যবহৃত ফন্টের অমিল পরিলক্ষিত হয়।

Comparison: Rumor Scanner

পাশাপাশি অন্য গণমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রগুলোর বরাতেও স্পেনের রাষ্ট্রদতের নামে প্রচারিত এই মন্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রুকে উদ্ধৃত করে ‘আমরা জামায়াতের রাজনীতিতে খুশি জামায়াত সরকার গঠন করবে আশা করি’ শিরোনামে আমার দেশের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

নোয়াখালীতে বিপুল অস্ত্রসহ শিবির কর্মী আটকের দাবিটি বিভ্রান্তিকর

0

সম্প্রতি, নোয়াখালীতে পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ দুইজন শিবির কর্মী আটক হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত একই ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত ছবিটি ব্যবহার করে অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা পোস্টের ডিজাইন সংবলিত একটি ফটোকার্ডও ফেসবুকে প্রচার করা হয়। ওই ফটোকার্ডসহ ফেসবুকে প্রচারিত দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নোয়াখালীতে পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ দুই শিবির কর্মী আটক হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২১ সালে সিলেটের মৌলভীবাজারে ‘জিহাদী বই ও লিফলেটসহ’ দুই শিবির নেতা গ্রেফতার হন। এ ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদে ব্যবহৃত তাদের ছবির সঙ্গে ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত করে এবং এই ছবির সাহায্যে ঢাকা পোস্টের নামে ভুয়া ফটোকার্ড তৈরি করে সম্প্রতি অস্ত্রসহ দুই শিবির কর্মী আটকের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ঢাকা পোস্টের লোগো সংবলিত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখে রিউমর স্ক্যানার। এতে ফটোকার্ডটি প্রচারের তারিখ হিসেবে ২৪ অক্টোবর ২০২৫ এর উল্লেখ করা হয়েছে। 

Source: Facebook 

তবে ঢাকা পোস্টের ফেসবুক পেজ পর্যালোচনা করে গত ২৪ অক্টোবর এমন কোনো ফটোকার্ড প্রচার করতে দেখা যায়নি। এছাড়াও তাদের ওয়েবসাইটেও এমন কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্যকোনো গণমাধ্যমেও আলোচিত দাবিতে উক্ত ছবি সম্বলিত কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে প্রচারিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম একুশে টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর জিহাদী বই লিফলেটসহ ২ শিবির নেতা আটক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Image Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত আটক ব্যক্তিদের ছবির সাথে উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত আটক ব্যক্তিদের ছবির হুবহু মিল রয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটির মত নিচের দিকে কোনো আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি দেখা যায়নি। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, আটককৃতরা হলেন মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র মাদ্রাসার তৎকালীন ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাব্বির ইসলাম তানভির ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন মোঃ বখতিয়ার। পুলিশের এক অভিযানে মৌলভীবাজার শহরের পূর্ব সুলতানপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের সাথে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই, লিফলেট, চাঁদা আদায়ের রশিদ ছিল। তবে প্রতিবেদনের কোথাও তাদেরকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের কথা বলা হয়নি।

একই ঘটনায় সেসময় আরেক ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও পাওয়া যায়। যেখানেও তাদের বিষয়ে একই তথ্য পাওয়া গেলেও অস্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর সাথে যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্রের ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিটি ২০২২ সালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে দেশের ‘সর্বশেষ’ বন্দুক ব্যবসায়ী নাসির আহমেদকে নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে নেওয়া হয়েছে। 

Comparison by Rumor Scanner 

সুতরাং, ২০২১ সালে দুই শিবির নেতা আটকের ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালীতে পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ শিবিরের কর্মী আটকের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ময়মনসিংহে আ.লীগের মিছিলে বাধাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মিছিল ও একটি সংঘর্ষের ফুটেজের সমন্বয়ে তৈরি একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ‘ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের মিছিলে বাঁধাকে কেন্দ্র করে তৃমুখী সংঘর্ষ – রাজপথ ছাড়েনি আওয়ামী লীগ’।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত মিছিল ও সংঘর্ষের ভিডিওর কোনোটিই সাম্প্রতিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, মিছিলের ভিডিওটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ময়মনসিংহে আওয়ামী যুবলীগের মিছিলের দৃশ্য, আর সংঘর্ষের ভিডিওটি ২০২২ সালের মার্চে পটুয়াখালীর দুমকিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের। এই দুটি পুরোনো ঘটনার ভিডিও একত্র করে সম্প্রতি ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের মিছিলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ভিত্তিহীন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত মিছিলের ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Rasal Rony’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বরে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে প্রদর্শিত মিছিলের দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে প্রদর্শিত দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। ভিডিওটি সম্পর্কে ইউটিউবের বিবরণীতে বলা হয়, ‘দেশব্যাপী দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের মিছিল’।

Comparison : Rumor Scanner 

এছাড়াও, অনুসন্ধানে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ’ এর ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বরে প্রচারিত একটি ছবি সংবলিত ফেসবুক পোস্ট পাওয়া যায়। ছবির বিষয়ে পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘দেশব্যাপী দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের রাজপথে অবস্থান’। ছবিতে একটি ব্যানারের উপরের কিছুটা অংশ দেখা যায়, যার সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত মিছিলের সামনে থাকা ব্যানারের মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ‘বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে’ দেশের নানা জায়গায় আরো নানা মিছিল হওয়ার সপক্ষে সেসময়ের ফেসবুক পোস্ট পাওয়া যায়।

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত মিছিলের ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, ২০২২ সালের। 

পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত সংঘর্ষের ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘জাগো নিউজ২৪’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ‘দুমকিতে আ’লীগ-বিএনপির সং ঘর্ষে আহত ৪০’ শিরোনামে ২০২২ সালের ৫ মার্চে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে প্রদর্শিত দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে প্রদর্শিত দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

ইউটিউব ভিডিওর বর্ণনা অংশে এ বিষয়ে ‘জাগো নিউজ২৪’ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনের লিঙ্ক পাওয়া যায়। জাগো নিউজ২৪ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ দুই পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। ২০২২ সালের ৫ মার্চ সকালে গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জাগো নিউজ২৪ এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে শতাধিক নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। একই সময় সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আওয়ামী যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা অতিক্রমকালে দু’গ্রুপে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।’

এছাড়াও, এ বিষয়ে একাধিক মূলধারার গণমাধ্যমে সেসময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রেও একইরকম তথ্য জানা যায়। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে প্রচারিত সংঘর্ষের ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০২২ সালের মার্চের।

সুতরাং, ২০২২ সালের দুটি ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ একত্র করে একটি ভিডিও বানিয়ে সেটিকে সম্প্রতি ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের মিছিলে বাধাকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আমজনতার তারেকের ওপর হামলার পুরোনো ভিডিও সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার

আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক ও গণঅধিকার পরিষদের সাবেক নেতা তারেক রহমানের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে গণ অধিকার পরিষদের বর্তমান সভাপতি নুরুল হক নুরের ‘গুন্ডা বাহিনী’ হামলা চালিয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত একই ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, তারেক রহমানের ওপর হামলার ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন গণঅধিকার পরিষদের নেতা তারেক রহমান ‘নুরের বডিগার্ড সাইফুল’ তার ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সে সময় এ ঘটনার বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের আরেক নেতা ফারুক হাসানের করা একটি লাইভ ভিডিওকেই সাম্প্রতিক হামলার দাবি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার। পর্যালোচনায় জানা যায়, এটি সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ভিডিও। যেখানে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানকে বলতে শোনা যায়, নুরুল হক নুরের ‘গুন্ডা বাহিনী’ তারেক রহমানের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাই ধারণা করা যাচ্ছে, লাইভ ভিডিওটি ফারুক হাসান তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করে ছিলেন।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে YYY OFFICIAL নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই একই ভিডিওটি প্রচারিত হতে দেখা যায়। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, তারেক রহমানের ওপর হামলার ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে পরবর্তীতে এ ঘটনায় একাধিক গণমাধ্যম ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, সে বছরের ১৬ জুলাই পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে অবস্থিত দলটির তৎকালীন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পার্কিংয়ে তারেক রহমান হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন তিনি। নুরুল হক নুরের বডি গার্ড হিসেবে পরিচয় দেওয়া সাইফুলসহ বেশকয়েক জন তার ওপর হামলা চালায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম নুরুল হক নুরের খালাতো ভাই। হামলার শিকার হয়ে সেসময়ই তারেক রহমান ফেসবুকে একটি লাইভ করেন বলেও প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়। 

কিন্তু তারেক রহমানের ফেসবুক পেজ কিংবা ফারুক হাসানের ফেসবুক পেজঅ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করেও সেদিনের কোনো লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়নি। তবে ফারুক হাসানের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেসময় এ ঘটনায় করা দুটি পোস্টর সন্ধান পাওয়া যায়। পোস্টগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে। তাই ধারণা করা যাচ্ছে, পেজ এবং অ্যাকাউন্টগুলো থেকে সেদিনের পুরোনো লাইভ ভিডিওগুলো ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য সূত্রের বরাতে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে, তারেক রহমানের ওপর হামলার ঘটনাটি বর্তমানের নয় বরং ২০২৩ সালের।

Screenshot: Facebook 

সুতরাং, ২০২৩ সালের পুরোনো ভিডিওর মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে আমজনতার দলের তারেক রহমানের ওপর নুরুল হক নুরের ‘গুন্ডা বাহিনীর’ হামলা চালানোর ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশের বাজারে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দাবিতে এআই তৈরি ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি ‘বাংলাদেশের ব্যস্ত বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ছে সব।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি বাজারে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় তৈরি একটি ভিডিওকে আসল ঘটনার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। যেমন: আগুন যেদিকে জ্বলছে তার বিপরীত দিকে দমকলের পানি ছিটানো হচ্ছে। এছাড়া, অডিওতে ‘ভয়াবহ’ শব্দটিকে ‘ভজাবহ’ উচ্চারণ করা হয়েছে ইত্যাদি।  

উক্ত ভিডিওটির বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম ‘DeepFake-O-Meter’ এর ‘AVSRDD (2025)’ মডেলের মাধ্যমে ভিডিওটি পরীক্ষা দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০ শতাংশ। 

Screenshot: DeepFake-O-Meter Website 

পরবর্তীতে, ai creator নামক একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

উক্ত অ্যাকাউন্টটির অন্যান্য কন্টেন্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এখানে নিয়মিতভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দ্বারা নির্মিত ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার করা হয়। অ্যাকাউন্টটিতে ‘বাংলাদেশের ব্যস্ত বাজারে অগ্নিকাণ্ড’ এর দৃশ্য দাবিতে একাধিক ভিডিও (, ) খুঁজে পাওয়া গেছে৷ 

বাংলাদেশের কোনো বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি যদি সত্য হতো, তবে উক্ত ঘটনার ভিডিও বা স্থিরচিত্র এবং ঘটনার বর্ণনা প্রচারিত হতো। কিন্তু, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে এ ধরনের ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, বাংলাদেশের বাজারে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য দাবিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

শিক্ষার্থীদের মিছিলের ভিডিও সম্পাদনা করে আ.লীগের মিছিলের দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

একই ভিডিও গাজীপুরে দলটির বিশাল মিছিলের দাবিতেও প্রচার হতে দেখা যায়। 

ভিডিওটিতে ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘রাজপথ ছাড়ি নাই, শেখ হাসিনা ভয় নাই’, ‘আছিস যত রাজাকার, এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়’ শীর্ষক স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের নয়। এমনকি ভিডিওটি গাজীপুরেরও নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ২২ জুলাই এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছিল। সেই বিক্ষোভের ভিডিওর সাথে ভিন্ন একটি অডিও যুক্ত করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণকারী প্লাটফর্ম  সাটারস্টকের ওয়েবসাইটে গত ২২ জুলাই আপলোড করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওর বর্ণনা থেকে জানা যায়, ভিডিওটি গত ২২ জুলাই এইচএসসি-২০২৫ এর পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের করা সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভের। এছাড়া, মূল ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে নিয়ে নয় বরং ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

একই দিনে জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২২ জুলাই দুপুর ২টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজসহ ধানমন্ডির পাঁচটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে প্রবেশের এক নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল।

সেই সময় একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছিল ইত্তেফাক, প্রথম আলো, সমকাল সহ মূলধারার গণমাধ্যমও। 

অর্থাৎ, ভিডিওটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের নয়। 

সুতরাং, ঢাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের পুরোনো ভিডিওর সাথে ভিন্ন অডিও যুক্ত করে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র 

ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন এলাকায় নিহত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ জঙ্গি হামলা নয় 

অতি সম্প্রতি, “রাজধানীর ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে, শত শত মানুষের সামনে, সন্ত্রাসী জঙ্গি বাহিনী হাত পায়ের রগ কেটে. ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করে. লাশ পড়ে আছে কেউ এগিয়েও আসছে না। পরিচয় জানা যায়নি… জানিনা কোন আওয়ামী পরিবারের সন্তান হবে…. নাকি সাধারণ কোন মায়ের বুক খালি হলো।” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবির ফেসবুক ভিডিও দেখুন এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটির সাথে সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলার কোনো সম্পর্ক নেই বরং ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের লাইনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারী নিহতের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম এখন টিভির ফেসবুক পেজে ২৬ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এটি ঘটনাস্থলের দৃশ্য। 

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে যায় ২৬ অক্টোবর দুপুরে। এ ঘটনায় নিচে থাকা একজন পথচারী নিহত হন। নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম আবুল কালাম ও বাড়ি শরীয়তপুর লেখা। জন্মসাল ১৯৯০।

অর্থাৎ, এটি কোনো জঙ্গি হামলার ঘটনা নয়। 

সুতরাং, রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের লাইনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারী নিহতের ভিডিওকে সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলা একজন নিহত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

জামায়াত-বিএনপি-এনসিপিকে জড়িয়ে কথিত জরিপের বিষয়ে দুই গণমাধ্যমের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি ‘গত মাসের মাঠ জরিপে বিএনপির চেয়ে ৭.২% এগিয়ে জামায়াত’ শিরোনামে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভি এবং ‘ক্ষমতার দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে জামায়াত ৪১.৭% ভোটারের পছন্দের শীর্ষে’’ শিরোনামে আমার দেশ এর লোগো ও ডিজাইন সংবলিত দুটি পৃথক ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

এসব ফটোকার্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে ভোটারদের পছন্দের ভিত্তিতে একটি জরিপের বার চার্টের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত যমুনা টিভির ফটোকার্ডের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফেসবুকে প্রচারিত আমার দেশের ফটোকার্ডের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-বিএনপি-এনসিপির মধ্যকার কথিত জরিপের বার চার্টের ছবি যুক্ত করে যমুনা টিভি ও আমার দেশ এরূপ কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে, এসব গণমাধ্যমের প্রচলিত ফটোকার্ডের আদলে আলোচিত ভুয়া ফটোকার্ডগুলো তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পৃথকভাবে যাচাই করেছে রিউমর স্ক্যানার।

যমুনা টিভির ফটোকার্ড যাচাই:

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘২২ অক্টোবর ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যাবলীর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উল্লিখিত তারিখে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, যমুনা টিভির ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, যমুনা টিভির প্রচলিত ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির ফন্টের পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায়।

Comparison: Rumor Scanner 

এছাড়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিএনপিএনসিপির ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে কথিত জরিপ কিংবা আলোচিত তথ্যের সমর্থনে কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, জামায়াত-বিএনপি-এনসিপিকে জড়িয়ে কথিত জরিপের তথ্য যুক্ত করে যমুনা টিভির লোগো ও ডিজাইন সংবলিত ভুয়া ফটোকার্ড তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে।

আমার দেশের ফটোকার্ড যাচাই:

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে আমার দেশের লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ‘২২ অক্টোবর ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যাবলীর সূত্র ধরে আমার দেশের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত তারিখে আলোচিত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, আমার দেশের ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ

তাছাড়া, আমার দেশের প্রচলিত ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির ফন্টের পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায়।

Comparison: Rumor Scanner 

এছাড়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিএনপিএনসিপির ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে কথিত জরিপ কিংবা আলোচিত তথ্যের সমর্থনে কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, জামায়াত-বিএনপি-এনসিপিকে জড়িয়ে কথিত জরিপের তথ্য যুক্ত করে আমার দেশের লোগো ও ডিজাইন সংবলিত ভুয়া ফটোকার্ড তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে।

গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে উল্লিখিত জরিপের বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, জামায়াত-বিএনপি-এনসিপিকে জড়িয়ে কথিত জরিপের বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমের নামে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া।

তথ্যসূত্র