Home Blog Page 13

এটি খাগড়াছড়িতে পর্যটক উদ্ধারের সময় পাহাড়িদের হামলায় আহত সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের ভিডিও নয়

0

গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে অবরোধের মধ্যে উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। জুম্ম ছাত্র-জনতার সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে খাগড়াছড়িতে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘পর্যটকদের উদ্দ্বার করতে গিয়ে পাহাড়ি স’ন্ত্রা’সী’দে’র হাতে আহত হন ৬ সেনা সদস্য ও ২ বিজিবি সদস্য’।

ভিডিওটিতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত অবস্থায় কয়েকজনকে আহত/ক্লান্ত অবস্থায় আরো কয়েকজন সেনাবাহিনীর সদস্যের সাথে হেঁটে যেতে দেখা যায়৷

এই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সম্প্রতি চলমান খাগড়াছড়ির ইস্যুতে পর্যটকদের উদ্ধার করতে গিয়ে পাহাড়িদের হাতে আহত সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যের দৃশ্যের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভিডিওটি খাগড়াছড়ির ঘটনার অন্তত ২ মাস আগে গত ২২ জুলাই থেকে উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অনলাইনে প্রচার হতে দেখা যায়।


এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স সার্চে ‘আব্দুল্লাহ আলামিন’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২২ জুলাইয়ে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে মিল পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, ‘গতকাল দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর অনেক অবদান ছিল | সেলুট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’।

পরবর্তীতে উল্লিখিত তারিখে তথা ২১ জুলাইয়ে ঘটা দুর্ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সেদিন দুপুর দেড়টার দিকে বিমানটি মাইলস্টোন কলেজের চত্বরের ভেতরে আছড়ে পড়ে। তখন উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীও নিয়োজিত ছিল।

এছাড়াও, গত ২১ জুলাইয়ে উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ‘মো. খায়ের তালুকদার’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পোস্টে সংযুক্ত একটি ছবির সাথেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও,‘সাইফুল ইসলাম’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে গত ৭ আগস্টে প্রচারিত একটি ভিডিওর সাথেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

অপরদিকে, খাগড়াছড়িতে চলমান উত্তেজনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে স্কুলছাত্রী কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার মধ্য দিয়ে। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি খাগড়াছড়িতে চলমান উত্তেজনার অন্তত দুই মাস আগে থেকেই অনলাইনে বিদ্যমান ছিল।

সুতরাং, সম্প্রতি চলমান খাগড়াছড়ির ইস্যুতে পর্যটকদের উদ্ধার করতে গিয়ে পাহাড়িদের হাতে আহত সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যের ভিডিও দাবিতে অন্তত ২ মাস আগে থেকে অনলাইনে থাকা একটি ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিও প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়েছে, এটি ঢাকা উত্তর সিটি আওয়ামী লীগের মিছিল। আবার ইনস্টাগ্রামে ২৬ আগস্ট পোস্ট করা একই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য লক্ষ লক্ষ জনতা রাস্তায় নেমেছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ইন্সটাগ্রাম পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।  

ইউটিউব পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আওয়ামী লীগের কোনো মিছিলের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৫ সালের ১৯ আগস্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এটি সেই কর্মসূচির ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Md Sohal নামক একটি ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে গত ১৯ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে। পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিও।

গত ১৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই বিক্ষোভ মিছিলের সংবাদ মূলধারার গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছিল।

একই তারিখে Dr-Ibrahim Khalil নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক পেজেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিছিলের উক্ত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ইসলামী আন্দোলনের এ মিছিলে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে সবুজ কোট পরিহিত এবং তাদের হাতে নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখার লোগো সংবলিত পতাকা রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি আওয়ামী লীগের মিছিল বলে প্রচারিত ভিডিওতেও দেখা যায়, সেখানে হাতপাখার লোগো সংবলিত পতাকা, ব্যানার এবং সবুজ কোট ও সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত লোকজন রয়েছেন। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এটি ইসলামী আন্দোলনের মিছিলের ভিডিও।

সুতরাং, আওয়ামী লীগের মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

ইউনূস সরকার বিরোধী আন্দোলন দাবিতে আ.লীগের পুরোনো শোভাযাত্রার ভিডিও প্রচার

0

সম্প্রতি “হটাও ইউনূস বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ। শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ রাজপথ হাসবে” দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ভিডিওতে সমবেতদের “আর নয় জুলাই জুলাই, এবার হবে গণধোলাই, ইউনূসের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন” ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) । 

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইউনূস সরকার বিরোধী কোনো মিছিলের নয় বরং, এটি ২০২৪ সালের ২১ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, জয় বাংলা – Joy Bangla নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ৫ জুলাই  প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওর ৪০ সেকেন্ডের পরের অংশ থেকে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে।

ভিডিওটির বিবরণীতে বলা হয়, এটি আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার ভিডিও।

এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করে, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২১ জুন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীতে লাখো মানুষের ঢল নামিয়ে ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে ‘বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও শোভাযাত্রা’ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত এ শোভাযাত্রা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

এছাড়া, দৈনিক যুগান্তরের ২০২৪ সালের ২১ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও ওই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার একাধিক ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, বরং ২০২৪ সালের। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে যেসব স্লোগান শোনা গেছে সেগুলো মূল ভিডিওতে ছিল না। যা থেকে এটা স্পষ্ট যে, আলোচিত ভিডিওতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ভিন্ন অডিও যুক্ত করা হয়েছে।

সুতরাং, আওয়ামী লীগের পুরোনো শোভযাত্রার ভিডিও সম্পাদনা করে তাতে ভিন্ন স্লোগান যুক্ত করে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

নারায়ণগঞ্জের স্কুল ভবনে ফাটল বা ধস নয়, প্রচারিত ভিডিওটি স্কুলের ভবনে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ‘স্কুল চলাকালীন ভবন ভেঙ্গে পড়তেছে’ এবং ‘স্কুল চলাকালীন ট্রান্সমিটারে আগুন, ফা*টল ধরল ভবনে’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে।

স্কুলের ভবন ভেঙে পড়েছে দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন দেখুন- যায়যায়দিন (ফেসবুক), মানবকথন (ফেসবুক), বিডি২৪রিপোর্ট (ফেসবুক), নিউজ ২৪ ঘন্টা (ইউটিউব)। 

এরমধ্যে যায়যায়দিন পোস্টের ক্যাপশন ‘স্কুল চলাকালীন ভবন ভেঙ্গে পড়তেছে’ থেকে সম্পাদনা করে ‘স্কুল চলাকালীন ট্রান্সমিটারে আ’গু’ন ভবনে ফা’ট’ল’ করলেও ভিডিওর শিরোনাম অপরিবর্তীত রাখে।

ট্রান্সমিটারে আগুন থেকে স্কুলের ভবনে ফাটল দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন দেখুন- জনকণ্ঠ (ফেসবুক), মোহনা টিভি (ফেসবুক), মাছরাঙা নিউজ( ইউটিউব), বাংলা টিভি ইউরোপ (ইউটিউব)।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর সোবহানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন ধসে পড়েনি বা ভবনে ফাটল ধরেনি। প্রকৃতপক্ষে, স্কুলটির প্রধান ফটকের বাইরে বিদ্যুতের মিটারে শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনের একটি ভিডিওকে বিভ্রান্তিকরভাবে ভবনে ফাটল ও ভবন ধস দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Maizur Rahman Munna নামক ফেসবুক প্রোফাইলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত পোস্টে আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ভিডিওর ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর স্কুলে ঘটেছে। সেখানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয়ে মিটারে আগুন লেগে যায়।  

উক্ত তথ্যাবলীর সূত্র ধরে সময় টিভির ওয়েবসাইটে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ‘নারায়ণগঞ্জে স্কুলভবন ধস বলে অপপ্রচার, আসলে যা ঘটেছিল’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর সোবহানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল ভবন ধসে পড়নি বা ভবনে ফাটল ধরেনি। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি সম্পর্কে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবনে কোনো ফাটল ধরেনি বা ধসেও পড়েনি। কেবল বিদ্যুতের মিটারে আগুন ধরে সেটি পুড়ে যায় এবং দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে মিটার পরিবর্তন করা হয়।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান সময় সংবাদকে বলেন, ‘২৫ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। সকাল সাড়ে দশটার দিকে চারতলা ভবনের নিচতলায় প্রধান ফটকের বাইরে বিদ্যুতের মিটারে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। শব্দ ও ধোঁয়া বের হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সবাই দ্রুত মাঠে অবস্থান নেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগুন লাগার প্রায় চার মিনিটের মধ্যে বিদ্যালয়ের নিজস্ব বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিলে আতঙ্ক কেটে যায়। পরে ডিপিডিসির কর্মীরা এসে মিটার পরিবর্তন করে দেয়। ভবনের কোনো ক্ষতি হয়নি।’

প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান স্পষ্ট করে বলেন, ‘আগুনে শুধু মিটার পুড়েছে। ভবনে কোনো ফাটল ধরেনি বা ভবন ধসেও পড়েনি। এ বিষয়ে যে খবর প্রচার করা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব।’

পরবর্তীতে, ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ‘নারায়ণগঞ্জে স্কুল ভবন ধসের গুজব, যা বললেন প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়। 

সুতরাং, নারায়ণগঞ্জের কানাইনগর সোবহানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল ভবন বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার ভিডিওকে স্কুল ভবনে ফাটল এবং ভবন ধস দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

মির্জা ফখরুলের বাসা থেকে ৬০ কোটি টাকা উদ্ধার ও তাকে আটকের দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি, সেনাবাহিনীর অভিযানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসা থেকে নগদ ৬০ কোটি টাকা, স্বর্ণালংকার এবং বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে। প্রচারিত ভিডিওটি দাবি করা হয়, এ ঘটনায় তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ‘টাকাগুলো বিএনপির কালো তহবিল থেকে এসেছে’ বলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মন্তব্য করেছেন বলেও দাবি করা হয়।

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ইউটিউবে প্রচারিত একই ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এই প্রতিবেদন প্রকাশ অবধি ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় ছয় লক্ষ বার। এছাড়াও ভিডিওটিতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসা থেকে সেনা অভিযানে নগদ ৬০ কোটি টাকা ও স্বর্ণালংকার পাওয়ার দাবিটি মিথ্যা। এছাড়াও এ বিষয়ে সেনাপ্রধানের মন্তব্য করার দাবিটিও ভুয়া। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের বিষয়ে সেসময় প্রচারিত প্রতিবেদনের অংশবিশেষের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার ছবি যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার, এতে দুটি সংবাদপাঠের ফুটেজ ও সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালনার একাধিক ছবি দেখা যায়। সংবাদপাঠের ফুটেজগুলোতে বলা হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে সেনাবাহিনীর অভিযানের ছবিগুলো দ্বারা তার বাসায় চালানো অভিযান ও সেখান থেকে টাকা উদ্ধারের চিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

ভিডিও যাচাই 

আলোচিত ভিডিওটিতে দেখানো দুটো সংবাদপাঠের ফুটেজের বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Jamuna TV এবং BanglaVision NEWS এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর প্রচারিত মূল প্রতিবেদন দুটো খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলো দেখুন যমুনা টেলিভিশন এবং বাংলাভিশন

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আয়োজিত বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় সেসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনগুলোতে তার বাসা থেকে অর্থ কিংবা স্বর্ণালংকার উদ্ধারের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। 

এছাড়াও অনুসন্ধানে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটকের বিষয়ে গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং জানা যায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। সেখানে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্যও প্রদান করেন।

ছবি যাচাই

আলোচিত ভিডিওটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় সেনা অভিযান পরিচালনা ও নগদ অর্থ উদ্ধারের দৃশ্য দাবিতে বেশ কয়েকটি ছবি প্রচার করা হয়। 

ভিডিওতে দেখতে পাওয়া সেনা অভিযান সংক্রান্ত ছবিগুলোর বিষয়ে প্রথমে অনুসন্ধান করা হয়। ভিডিওর প্রথম ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Channel 24 এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটির সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ছবিটি টঙ্গীর কেরাণিটেক বস্তিতে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালনার সময়কার। সেসময় অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য, নগদ ২২ লাখ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ৪০ জনকে আটক করা হয়। এছাড়াও জানা যায়, গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে দেখা সেনা কর্মকর্তার নাম মেজর ইয়াসমিন আক্তার। গণমাধ্যমে কথা বলার পর তিনি সেসময় ব্যাপক আলোচিত হয়ে ওঠেন।

পরবর্তীতে ভিডিওটিতে আরও চারটি সেনা অভিযানের ছবি দেখানো হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, যার মাঝে তিনটি সেনা অভিযানের ছবি এবং একটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড (বিএএসবি) এর মেডিকেল ডিসপেনসারি উদ্বোধনের সময় ধারণ করা ছবি। সেনা অভিযানের প্রথম ছবিটি গতবছর অক্টোবর মাসে মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর চালানো একটি অভিযানের ছবি।

দ্বিতীয়টি এবছর আগস্টে লক্ষ্মীপুরে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার বাড়ি থেকে দুটি এলজি, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ও নগদ অর্থ উদ্ধারের ঘটনার ছবি। 

অপরটি গত জুন মাসে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে সেনাবাহিনীর চালানো অভিযানের ছবি। 

সর্বশেষ ছবিটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক ঢাকাসহ সারাদেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড (বিএএসবি) এর ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারি উদ্বোধনের দিন তোলা ছবি। 

এছাড়াও আলোচিত ভিডিওটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসা থেকে টাকা উদ্ধারের ছবি দাবিতে দুটি ছবি দেখানো হয়। যার একটি গতবছরের সেপ্টেম্বরে উত্তরার পশ্চিম থানা এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে কয়েক বস্তা ভর্তি টাকাসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের ঘটনার ছবি। 

অপরটি কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের সিন্দুক থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা পাওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদে ব্যবহৃত একটি ছবি।

অর্থাৎ, ২০২৩ সালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আটক হওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সাথে সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন অভিযানের ছবি যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

এছাড়াও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ‘টাকাগুলো বিএনপির কালো তহবিল থেকে এসেছে’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন কিনা জানতে অনুসন্ধান করা হলে এমন তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসা থেকে নগদ ৬০ কোটি টাকা, স্বর্ণালংকার এবং বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধারের পাশাপাশি তাকে আটক করা হয়েছে দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ঢাকায় আ.লীগের সাম্প্রতিক মিছিল দাবিতে চকরিয়ার পুরোনো মিছিলের ভিডিও প্রচার

0

গত ৯ সেপ্টেম্বর, “আজকে ঢাকা শহরে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগের হইতাছে” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।   

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি প্রায় পঁচানব্বই হাজার বার দেখা হয়েছে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কোনো বিক্ষোভ মিছিলের নয় বরং ২০২৪ সালে চকরিয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক এমপি জাফরের নেতৃত্বে স্বাগত মিছিলের দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চ করে সাবেক এমপি জাফর আলমের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ৬ জুন তারিখে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

উক্ত ভিডিওর বিবরণীতে বলা হয়, মহান জাতীয় সংসদে সময়োপযোগী, গণমুখী ও জনবান্ধব বাজেট (২০২৪-২৫) পেশ করায় তৎকালীন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চকরিয়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের স্বাগত মিছিলের দৃশ্য এটি।

চকরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম চকরিয়া নিউজের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৬ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চকরিয়া উপজেলা ও চকরিয়া পৌরসভা শাখার উদ্যোগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া সিস্টেম কমপ্লেক্স থেকে আনন্দ মিছিল করে। তাৎক্ষনিক আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম।

অর্থাৎ, সম্প্রতি ঢাকায় আওয়ামী লীগের মিছিলের নয়।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। 

সুতরাং, ২০২৪ সালে চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের মিছিলের দৃশ্যকে সম্প্রতি ঢাকায় মিছিলের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

খাগড়াছড়ির সহিংসতায় আহত পাহাড়ি কিশোরী উহ্লামে মারা যাননি

0

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জুম্ম ছাত্র জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ১৩ সেনাসদস্য ও ৩ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। এরই প্রেক্ষিতে এক উহ্লামে নামে এক কিশোরীর রক্তমাখা একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়, সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত হয়ে বাবার কোলে চিৎকার করে বাঁচতে চাওয়া উহ্লামে মারমা মারা গেছেন।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে। 

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।  

থ্রেডসে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত উহ্লামে মারা যাওয়ার দাবিটা সঠিক নয়। তিনি বেঁচে আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে Sushanta Tanchangya নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘খাগড়াছড়ি গুইমারাতে সেনাবাহিনী গুলিতে আহত উহ্লামে মারমা মাটিরাঙ্গা হসপিটালে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় আছে!  সকল আদিবাসী পাহাড়ি ভাই বোনদের নিকট  বিনীত অনুরোধ রইলো উহ্লামে মারমা দ্রুত  সুস্থতার জন্য সবাই  মন থেকে আর্শীবাদ করুন সকল আদিবাসী পাহাড়ি দের আর্শীবাদে সুস্ত হয়ে ফিরে আসুক আমাদের আদিবাসী পাহাড়ি ছোট্ট নিষ্পাপ উহ্লামে মারমা! আমি আর্শীবাদ করছি আমার জীবনের সমস্ত পূর্ণ রাশি তাকে দান করে দিয়ে তার সুস্থতা কামনা করছি! আপনাদের সবার আর্শীবাদে আমাদের  আদিবাসী বোন উহ্লামে মারমা সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক সেই কামনা রইলো!’

পরবর্তীতে এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিক উচিংছা রাখাইন কায়েসের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

ফেসবুক পোস্টে উহ্লামের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, খাগড়াছড়ি গুইমারা বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী আপ্রমং রাখাইন মেয়ে, আহত উহ্লামে রাখাইন চিকিৎসার পর সুস্থ আছেন। পোস্ট তিনি তার জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় নিহত তিনজন হলেন- আথুই মারমা (২১), আথ্রাউ মারমা (২২) ও তৈইচিং মারমা (২০)। 

সুতরাং, খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে আহত কিশোরী উহ্লামের মারা যাওয়ার দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

Sushanta Tanchangya: Facebook Post

Uchingcha Kayes Rakhain: Facebook Post

Prothom Alo: খাগড়াছড়িতে গুলিতে নিহত তিনজনের পরিচয় শনাক্ত, দুই সড়কে অবরোধ শিথিল

শাকিব খানের মৃত্যুর ভুয়া দাবি টিকটকে

0

চিত্রনায়ক শাকিব খান মারা গেছেন দাবিতে লাশবাহী একটি গাড়ি ঘিরে জনতার ঢলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবির টিকটক ভিডিও দেখুন এখানে

গত ১৩ সেপ্টেম্বর টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখা হয়েছে অন্তত ১৩ লক্ষাধিক বার।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শাকিব খান মারা গেছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয়। বরং, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা কর্নেল (অব:) এম আনোয়ারুল আজিমের লাশবাহী গাড়ির ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে MD Samsur Rahman নামের একটি অ্যাকাউন্টে গত ০১ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, লাকসাম মনোহরগন্জের নেতা আজিমের মরদেহবাহী গাড়ির ভিডিও এটি।

অনলাইন সংবাদমাধ্যম সকালের খবর এর সে সময়ের এক প্রতিবেদনেও একই দৃশ্যের সন্ধান মেলে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুমিল্লা -৯ (লাকসাম -মনোহরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব:) এম আনোয়ারুল আজিমের লাশবাহী গাড়ির দৃশ্য এটি। 

৩১ মে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

অর্থাৎ, ভিডিওটির সাথে শাকিব খানের কোনো সম্পর্ক নেই। 

তাছাড়া, শাকিব খানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে খবর প্রচার হতো। তবে এক্ষেত্রে দেশীয় সংবাদমাধ্যম কিংবা বিশ্বস্ত কোনো সূত্রেও আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শাকিব খানের ফেসবুক পেজে তাকে নিয়মিত পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে।

সুতরাং, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা কর্নেল (অব:) এম আনোয়ারুল আজিমের লাশবাহী গাড়ির ভিডিওকে শাকিব খান মারা গেছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশের নয়, নাচের অনুশীলন থেকে নারীকে অপহরণের ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের

0

সম্প্রতি ‘ধর্ষণের উদ্দ্যেশ্যে নাচের ক্লাস থেকে প্রকাশ্যে এক নারীকে অপহরণ করা হয়েছে’ দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রচারিত পোস্টগুলোতে ‘বিএনপি’র জামাতের ক্যাডাররা নাচের ক্লাস থেকে প্রকাশ্যে নারীকে অপহরণ – ইউনূসের শাসন!!!!’, ‘ধর্ষণের জন্য নাচের ক্লাস থেকে প্রকাশ্যে নারীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে ইউনূসের সন্ত্রাস বাহিনী…’ ইত্যাদি ক্যাপশন ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেছে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এছাড়া, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে ড. ইউনূসের কথিত সন্ত্রাসী বাহিনী অপহরণটি করেছে বলে দাবি করা হয়। অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা উক্ত কাজটি করেছে বলেও কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নারীকে নাচের ক্লাস থেকে অপহরণের ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেনি এবং অপহরণটির সাথে বিএনপি কিংবা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো কর্মী জড়িত নয়। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের মধ্যপ্রদেশে পারিবারিক বিরোধের সূত্রে এক নারীকে তার পরিবারের লোকজন অপহরণ করার ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম সি নিউজ ভারতের মধ্যপ্রদেশ ছত্তিশগড়ের আঞ্চলিক ইউটিউব চ্যানেলে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি শর্টস খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ভারতের মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে ‘গারবা’ নৃত্যের অনুশীলন থেকে এক নারীকে অপহরণ করা হয়। এটি সে ঘটনার দৃশ্য। 

উক্ত সূত্র ধরে আরেক ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২২ সেপ্টেম্বর ‘MP family abducts estranged woman at gunpoint from Garba session’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর একটি অংশের সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ভারতের মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরের ভাবসার ধর্মশালায় ‘গারবা’ নৃত্যের অনুশীলন থেকে এক নারীকে অপহরণ করা হয়। ওই নারীর পরিবারের সাতজন সদস্য ধর্মশালায় পৌঁছে তাকে জনসমক্ষে টেনে নিয়ে যায় এবং আশেপাশের লোকজনকে ভয় দেখানোর জন্য একটি পিস্তল ব্যবহার করে।

এই পুরো ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়। ঘটনাটি ঘটার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তদের  গ্রেপ্তার করে এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। সেই সাথে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এটি একটি পারিবারিক বিরোধের বিষয়৷ ২৩ বছর বয়সী ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর মদ্যপানের অভ্যাস এবং শারীরিক নির্যাতনের কারণে তার স্বামীর থেকে আলাদা থাকছিলেন। ওই রাজস্থান থেকে এক যুবকের সাথে মান্দসৌরে এসেছিলেন এবং গত কয়েক মাস ধরে এই এলাকায় লিভ-ইনে বসবাস করছিলেন। তিনি ইতিমধ্যেই বিবাহিত এবং পরিবার থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত তার আত্মীয়দের ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল।

পরবর্তীতে, ভারতীয় গণমাধ্যম এনডি টিভির ওয়েবসাইটে গত ২২ সেপ্টেম্বর ‘On Camera, Madhya Pradesh Woman Practising Garba Kidnapped By Family Over Marital Dispute’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। 

সুতরাং, ভারতের এক নারীকে অপহরণের ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে অপহরণের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে বিএনপি কর্তৃক মারধরের দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার  

0

সম্প্রতি, “কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করলো মবের সম্রাট বিএনপির লোকজন। বাড়ি থেকে ধরে এনে তাকে মা-বাবার সামনে মারধর করছে ইউনুছ বাহিনী” দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে বিএনপি কর্তৃক মারধরের ঘটনার নয় বরং, চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জে ভাতিজাকে খুনের দায়ে ক্ষুব্ধ জনতার হাতে চাচাকে গণধোলাইয়ের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের ‘jibon_j2’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ১২ আগস্ট প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, এটি ফরিদগঞ্জে ভাতিজা হত্যাকারী চাচাকে পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সাধারণ মানুষের গণধোলাইয় দেওয়ার ভিডিও।

এ বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে গত ১২ আগস্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১১ আগস্ট চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিদেশ পাঠানোর টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে ভাতিজা খুন হয়েছেন। নিহতের নাম বাহার হোসেন বাবু। আর ঘাতক চাচার নাম হাসান। হামলায় বাবুর বাবা রওশন আলী ও ভাই আরমান হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরমানের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতকের বাড়ি ঘিরে রাখে। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক হাসান ও সহযোগী সাকিলকে আটক করেছে পুলিশ।

চাঁদপুরের স্থানীয় গণমাধ্যম দৈনিক চাঁদপুর খবরের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবু মারা যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ঘাতক হাসানকে আটক করে অবরুদ্ধ রাখে এবং তাৎক্ষণিক পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় প্রেরণ করেন। এরপর শাকিলকে মুন্দির হাট এলাকা থেকে আটক করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসলে ক্ষুব্ধ জনতা গণধোলাই দেয়। পুলিশ শাকিলকে গণধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করে পাশের একটি পাকা ভবনে আটক রাখে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম অবস্থায় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাকিল ও তার স্ত্রী সুমাইয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। 

সেসময় এ বিষয়ে অন্যান্য গণমাধ্যমও সংবাদ (,,)  প্রচার করে।

এ বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহ আলম জানান উক্ত ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন। পরবর্তীতে, এখন টিভির চাঁদপুর প্রতিনিধি তালহা যুবায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত, এ বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, ভিডিওটি কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের নয়। 

সুতরাং, চাঁদপুরে ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে বিএনপি কর্তৃক মারধরের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র