Home Blog Page 13

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিকাশের পক্ষ থেকে সবাইকে ২০,০০০ টাকা বোনাস দেওয়ার তথ্যটি গুজব

0

আগামী ৭ জুন বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, “আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে বিকাশ দিচ্ছে সকল বিকাশ গ্রাহককে ২০০০০ টাকা বোনাস! যাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে তারা সবাই এই অফার পাবেন।” শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সবাইকে ২০,০০০ টাকা ঈদ উল আজহা বোনাস দেওয়ার কোনো ঘোষণা বিকাশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বরং, ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ঈদ বোনাসের এই প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলোতে থাকা ওয়েবসাইট লিংকে প্রবেশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে উপরে বিকাশের লোগো এবং “ঈদ উল আজহা বোনাস ২০০০০ টাকা” শীর্ষক একটি লেখা পাওয়া যায়। এরপর অফারের বিস্তারিত অংশে বলা হয়, “আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে বিকাশ দিচ্ছে সকল বিকাশ গ্রাহককে ২০০০০ টাকা বোনাস! যাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে তারা সবাই এই অফার পাবেন। অফারটি সীমিত সময়ের জন্য। যাচাই করতে ফর্ম পূরণ করুন এবং আপনার বোনাস নিশ্চিত করুন। সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর নিচের “বোনাস উত্তোলন করুন” বাটনে ক্লিক করুন।”

আরেকটু নিচে স্ক্রল করলেই টাকা পাওয়ার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়। ফর্মটিতে নিজের নাম, জেলা, পেশা, কত বছর ধরে বিকাশ ব্যবহারকারী এসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এর নিচে পাবলিক মন্তব্য দাবিতে একাধিক ব্যক্তির মন্তব্য দেখতে পাওয়া যায় যারা টাকা পেয়েছেন বলে স্বীকার করছেন।

রিউমর স্ক্যানার টিমের একজন অনুসন্ধানকারী নিরাপত্তাজনিত কারণে ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত ফর্ম পূরণ করে জমা দিলে এটি আরেকটি নতুন পেজে নিয়ে যায়। উক্ত পেজটিতে বলা হয়, “অভিনন্দন প্রিয় গ্রাহক! সঠিক তথ্য দিয়ে নিচের ফরমটি পূরণ করুন। আপনি যে বিকাশে টাকা উত্তোলন করতে চান সেই বিকাশ নম্বরটি অবশ্যই সচল থাকতে হবে, ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার বিকাশ নম্বরে কোড পাঠানো হবে।” এরপর বিকাশ নম্বর এবং পিন চাওয়া হয়৷ এ পর্যায়ে নিজের বিকাশ নাম্বার, তবে ভুল পিন দিলে এটি নতুন আরেকটি পেজে নিয়ে যায়।

উক্ত নতুন পেজটিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করে রিউমর স্ক্যানার টিম। নতুন পেজের ইন্টারফেসটি হুবহু বিকাশে পেমেন্ট করার ইন্টারফেসের মতো। তাছাড়া, দাবি অনুসারে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারীর ২০,০০০ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও নতুন ইন্টারফেসটি হচ্ছে কাউকে টাকা পেমেন্ট করার ইন্টারফেস। অধিকন্তু, এখানে পেমেন্ট গেটওয়ের জায়গায় বিকাশ কর্তৃপক্ষের কোনো কিছুর বদলে “Miraz Enterprise-RM1008145” নামটি দেখা যায়৷ এছাড়াও, পূর্ববর্তী ফর্মে উল্লিখিত নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার থেকেই পেমেন্ট হতে যাচ্ছে বলে দেখা যায়। এরপর নাম্বার কনফার্ম করলে ওটিপি আসে এবং ওটিপি চাওয়া হয়। কিন্তু, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানকারী এর পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করেন নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সবাইকে ২০,০০০ টাকা ঈদ বোনাস দেওয়ার কোনো ঘোষণা বিকাশ দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড সার্চ করলে বিকাশের ওয়েবসাইট, বিকাশের ফেসবুক পেজ বা বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং ‘Amar bKash-আমার বিকাশ’ নামক বিকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি ফেসবুক পেজে গত ২৯ মে তারিখে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয় যে ঈদ উল আজহা উপলক্ষে ২০০০০ টাকা বোনাসের আলোচিত দাবিটি প্রতারণার ফাঁদ।

সুতরাং, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সবাইকে ২০,০০০ টাকা ঈদ বোনাস দিচ্ছে বিকাশ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

এক ফ্রেমে অপু বিশ্বাস, শাকিব খান ও আবরাম খান জয়ের এই ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে যেখানে দেখা যায় অভিনেতা শাকিব খান ও অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস তাদের সন্তান আবরাম খান জয়ের সাথে শুয়ে রয়েছেন। উক্ত ছবিটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসল ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।


এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এক ফ্রেমে অভিনেতা শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও তাদের সন্তান আবরাম খান জয়ের শুয়ে থাকার প্রচারিত ছবিটি আসল নয় বরং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রেই আলোচিত ছবিটি আসল হওয়ার সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘Mr. Sazzad’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২৮ মে তারিখে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সম্ভাব্য মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবিটির ক্যাপশন লক্ষ্য করলে তাতে এআই হ্যাশট্যাগের সংযুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও ‘AI Info’ লেবেলটিরও সংযুক্তি পাওয়া যায় যা মূলত এআই দিয়ে তৈরি কনটেন্ট বুঝাতে ব্যবহার করা হয়।

পরবর্তীতে উক্ত ছবিটি এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম হাইভ মডারেশন ও এআই অর নট এ যাচাই করলে দু’টি প্ল্যাটফর্মই উক্ত ছবিকে এআই দিয়ে তৈরি বলে জানায়।

এছাড়া অনুসন্ধানে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করলে পেজটিতে গত ২৭ মে তারিখে শাকিব খান ও আবরাম খান জয়ের শুয়ে থাকা অবস্থার তিনটি ছবি পোস্ট হতে দেখা যায়। উক্ত ছবিগুলোতে অপু বিশ্বাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি তবে সংযুক্ত প্রথম ও তৃতীয় ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সাদৃশ্য পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ এটি নিশ্চিত যে, উক্ত ছবির ভিত্তিতেই এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

সুতরাং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি এক ফ্রেমে অভিনেতা শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও তাদের সন্তান আবরাম খান জয়ের শুয়ে থাকার ছবিটি আসল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিএনপিকে জড়িয়ে নির্বাচন নিয়ে তারেক রহমানের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার দলকে নিয়ে ‘বিএনপি’র কর্মকান্ড এই রকম হয়ে গেছে যে নির্বাচনের কথা বললে মানুষ এখন গালি দিচ্ছে’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে ফটোকার্ড আকারে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তারেক রহমানের বিএনপিকে নিয়ে আলোচিত মন্তব্যটি করার দাবিটি মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে, অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম বার্তা বাজারের ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে কথিত ‘বাংলা বাজার’ নামে এই ভুয়া ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার টিম এর সাথে সংবাদমাধ্যম বার্তা বাজারের ফটোকার্ডের সাদৃশ্য লক্ষ্য করতে পারে। তবে উক্ত ফটোকার্ডে বার্তা বাজারের লোগোর স্থলে ‘বাংলা বাজার’ নামের একটি লোগো দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি প্রকাশের তারিখের জায়গায় ‘২৫ এপ্রিল ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়েছে লক্ষ্য করা যায়।

বার্তা বাজারের পেজে গত ২৫ এপ্রিল এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে কিনা দেখতে তাদের ফেসবুক পেজ পর্যালোচনা করে এমন কোনো ফটোকার্ডের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বার্তা বাজারের ফটোকার্ডের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের ফন্টের পার্থক্যও লক্ষ্য করা যায়।

পরবর্তীতে তারেক রহমান তার দল বিএনপিকে নিয়ে আলোচিত মন্তব্যটি করেছে কিনা জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমেও গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ বিষয়ক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, ভিত্তিহীনভাবে বার্তা বাজারের ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে ভুয়া ফটোকার্ডে তারেক রহমানের নামে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, তারেক রহমান ‘বিএনপি’র কর্মকান্ড এই রকম হয়ে গেছে যে নির্বাচনের কথা বললে মানুষ এখন গালি দিচ্ছে’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s Analysis

ঈদের পর নির্বাচন অথবা মৃত্যু শীর্ষক মন্তব্য করেননি তারেক রহমান, কালবেলার সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘ঈদের পর নির্বাচন অথবা মৃত্যু তারেক রহমান!’ শীর্ষক দাবিতে জাতীয় দৈনিক কালবেলার ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে তারেক রহমানকে উদ্ধৃত করে কালবেলা এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি এবং তারেক রহমানও এ ধরনের কোনো মন্তব্য করেননি। বরং, কালবেলা ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে৷

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডটিতে কালবেলার লোগো রয়েছে এবং প্রকাশের তারিখ হিসেবে ৪ জুন ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

এই সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ০৪ জুন প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, কালবেলার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে গত ৪ জুন গণমাধ্যমটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে “নির্বাচনী রোডম্যাপ ইস্যুতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চায় বিএনপি” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই ফটোকার্ডের ডিজাইন ও ব্যবহৃত ছবি আলোচিত ফটোকার্ডের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়, শুধু শিরোনামে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। 

Comparison: Rumor Scanner. 

অর্থাৎ, কালবেলার এই ফটোকার্ডের শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়াও, আলোচিত দাবির পক্ষে অন্য কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো তথ্য বা প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ‘ঈদের পর নির্বাচন অথবা মৃত্যু তারেক রহমান!’ শিরোনামে কালবেলার নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদকে উদ্ধৃত করে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন না হলে বিএনপি নির্বাচন ছাড়াই সরকার গঠন করার চিন্তা ভাবনা করছে – সালাউদ্দীন’ শীর্ষক শিরোনামে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর ছবিযুক্ত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ‘ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন না হলে বিএনপি নির্বাচন ছাড়াই সরকার গঠন করার চিন্তা ভাবনা করছে’ শীর্ষক মন্তব্য করেননি। বরং, কোনো প্রকার তথ্যসূত্র উল্লেখ না করে সালাহউদ্দিন আহমদকে উদ্ধৃত করে আলোচিত তথ্যটি প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট পর্যবেক্ষণ করলে তাতে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তবে, ফটোকার্ডটিতে তারিখ হিসেবে ৩ জুন ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে।

পরবর্তীতে উক্ত তারিখের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গত ৩ জুন প্রকাশিত সালাহউদ্দীন আহমেদের উদ্ধৃতি সম্বলিত একটি ফটোকার্ডের ডিজাইনের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইন ও সালাহউদ্দিন আহমেদের ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Bangladesh Nationalist Party-BNP (Facebook)

বিএনপির ফটোকার্ডটিতে লেখা রয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো ভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধিনে চাই না। – সালাউদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি’।

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে বিএনপির অফিসিয়াল পেজে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে, সালাউদ্দিন আহমেদ ‘ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন না হলে বিএনপি নির্বাচন ছাড়াই সরকার গঠন করার চিন্তা ভাবনা করছে’ মন্তব্য করেছে কিনা জানতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে গণমাধ্যম বা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি এমন কোনো মন্তব্য করলে তা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হবার কথা।

সুতরাং, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে উদ্ধৃত করে ‘ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন না হলে বিএনপি নির্বাচন ছাড়াই সরকার গঠন করার চিন্তা ভাবনা করছে’ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত মন্তব্যটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • Bangladesh Nationalist Party-BNP: Facebook Post

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য দাবিতে সম্পাদিত ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

ভিডিওতে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য হিসেবে উপস্থাপিত একটি অংশে বলা হয়-
“আজকে আমি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে একটা কথা বলতে চাই, আপনারা আপনাদের বিবেকের মুখোমুখি হন। শেখ হাসিনা যদি এই দেশের উন্নয়ন করে থাকে, তাহলে শেখ হাসিনাকে সসম্মান দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আপনারা অন্ততপক্ষে আপনাদের বাড়িতে বসে আপনারা শপথ গ্রহণ করুন। ওই বাড়ির কয়জন থেকেই শপথ গ্রহণ শুরু হোক এবং সেই শপথের গুণে আমরা অবশ্যই দ্রুত শেখ হাসিনাকে সসম্মান দেশে ফিরিয়ে আনবো, ইনশাআল্লাহ।” 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে দেওয়া তার এক ভিন্ন বক্তব্যের ভিডিও সম্পাদনার মাধ্যমে ভুয়া ভয়েস ওভার যুক্ত করে এই মিথ্যা দাবি ছড়ানো হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতেই আলোচিত ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এতে রাষ্ট্রপতির নামে প্রচারিত কণ্ঠস্বরটি তার প্রকৃত কণ্ঠস্বরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এছাড়া এই বক্তব্যে বিশ্বাসযোগ্য কোনো সূত্র বা মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার তথ্যও পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ভিডিওটিতে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যরত দৃশ্যটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ‘স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে : রাষ্ট্রপতি’ শিরোনামের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উভয় ভিডিওতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড, পোশাক ও অন্যান্য দৃশ্যগত উপাদানে সাদৃশ্য থাকলেও বক্তব্যের বিষয়বস্তুর ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া, ২০২৩ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বক্তব্য প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

Comparison: Rumor Scanner.

যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে একই দিনে প্রকাশিত ওই বক্তব্যের ভিডিওতেও শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, যমুনা টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ওই মন্তব্যটি করেন।

সুতরাং, ২০২৩ সালের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের অন্য একটি বক্তব্যের ভিডিওতে ভয়েস ওভার যোগ করে তিনি (রাষ্ট্রপতি) শেখ হাসিনাকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশের সাথে কোস্টারিকা ও আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ছবি প্রচার

0

সম্প্রতি, কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল বিন ফারহান খাবির বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ৩ লক্ষ ৪৫ কোটি ডলারের সহায়তা বাতিল করেছেন এবং আয়ারল্যান্ড ভিসা ও কয়লা চুক্তি বন্ধ করেছে দাবিতে একটি ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। পোস্টটিতে আরও দাবি করা হয়, পোস্টটি প্রচারের দিন অর্থাৎ, ২ জুন কোস্টারিকা সরকারের অধিদপ্তরগুলো সমন্বিতভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কোস্টারিকা ও আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশের সাথে চুক্তি এবং অনুদান বাতিলের দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো সঠিক নয়। এছাড়াও কোস্টারিকার প্রেসিডেন্টের নাম মোহাম্মদ আব্দুল বিন ফারহান খাবির নয়, বরং রদ্রিগো শ্যাভস রোবেলস। প্রকৃতপক্ষে, পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রী এলমার শিয়ালের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমির একটি ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জানা যায়, কোস্টারিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম রদ্রিগো শ্যাভস রোবেলস। পাশাপাশি মোহাম্মদ আব্দুল বিন ফারহান খাবির নামে কোস্টারিকার কোনো প্রেসিডেন্টের তথ্য পাওয়া যায়নি। 
পরবর্তীতে আলোচিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে পেরুর সংবাদ সংস্থা Andina এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির হুবহু মিল রয়েছে। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ছবিতে দেখতে পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলমার শিয়ালের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম আল হাশিমি। পেরু এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর ছবিটি ধারণ করা হয়। 

অর্থাৎ, উক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবি কিংবা কোস্টারিকা ও আয়ারল্যান্ডের কোনো যোগসূত্র নেই।

পরবর্তীতে কোস্টারিকা ও আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখ্য অনুদান এবং চুক্তিসমূহ বাতিল করেছে কিনা জানতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধানেও দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি তাদের সাথে এমন কোনো চুক্তি ছিল বলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, কোস্টারিকা ও আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেছে দাবিতে পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকের ছবি প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিএনপিকে পরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়ার দাবি করেছেন নুর শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি ‘মাদারচোদ বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না, ওরা যখন এতো বেশি নির্বাচন নির্বাচন করছে, তাহলে ওদের কে পরিক্ষা করার জন্য, আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে পরিক্ষা করা হউক’ শীর্ষক দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ছবিযুক্ত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপিকে পরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়ার দাবি করেননি নুরুল হক নুর। প্রকৃতপক্ষে, কোনো রকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে চ্যানেল২৪ বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৫ সালের ২ জুন ‘৩টি দল ব্যতীত বাকী সব দল দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চায়: নুরুল হক নুর | Politics | Nur | Channel 24’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির থাম্বনেইলের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবিটির অনেকটাই মিল রয়েছে। অর্থাৎ, এই ঘটনায়সাংবাদিকদের সামনে নুরের কথা বলার একটি স্থিরচিত্রই আলোচিত ফটোকার্ডে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওতে নুর ‘মাদারচোদ বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না, ওরা যখন এতো বেশি নির্বাচন নির্বাচন করছে, তাহলে ওদের কে পরিক্ষা করার জন্য, আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে পরিক্ষা করা হউক’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি। 

পরবর্তীতে, উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে একই বিষয়ে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ২০২৫ সালের ২ জুন ‘৩টি দল বাদে বাকি সবাই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চেয়েছে : নুরুল হক’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,  ২ জুন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা শেষে নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের জানান, তিনটি রাজনৈতিক দল বাদে বাকি সব দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। নিক্কেই এশিয়া ফোরামে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে একটি বক্তব্য এসেছে যে একটিমাত্র দল ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চেয়েছে, যেটা সঠিক নয়।  এখানেও আলোচিত দাবি সম্পর্কিত নুরের কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, নুরুল হক নুরকে উদ্ধৃত করে বিএনপিকে পরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়া দরকার শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত মন্তব্যটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

যুক্তরাষ্ট্রে শামীম ওসমানের এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, ২০২৩ সালের

২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই দলটির বহু নেতাকর্মী দেশ ত্যাগ করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানও দেশ ছেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি, “গণহত্যাকারী এই শামীম ওসমানরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাচ্ছে, জনগণ তাদের গণধোলাই দিচ্ছে” শীর্ষক দাবিতে শামীম ওসমান এর একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। অর্থাৎ, ভিডিওটি সাম্প্রতিক দাবিতেই প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনা নয়, বরং ২০২৩ সালে নিউইয়র্কে কতিপয় প্রবাসী বাংলাদেশী কর্তৃক শামীম ওসমানকে হেনস্তার ভিডিওকে সাম্প্রতিক ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে BanglaDiaspora নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই ‘Shamim Osman in New York, USA.’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সেসময় প্রচারিত উক্ত ঘটনার আরও কিছু ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। দেখুন এখানে, এখানে

গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে। নিউইয়র্কে সফররত শামীম ওসমানকে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়। প্রতিবাদকারীরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন এবং স্লোগান দেন। এর ফলে অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং শামীম ওসমানকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।

সুতরাং, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শামীম ওসমানের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মিয়ান চান্নু সফরকে আওয়ামী লীগের বৈঠকের দৃশ্য দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি “ব্রেকিং নিউজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জুরিবোর্ড এবং ভারতে আশ্রয়ে থাকা আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে দ্বিতীয় বৈঠক শেষ করলাম। আজ দিল্লি এলাহাবাদে আমাদের বৈঠক হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে আওয়ামী লীগ দল পুর্নগঠনের সুপারিশ সম্মিলিতভাবে গৃহীত হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসস্থলে পৌঁছেছি” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও Tamanna Akhter Yesman নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে একই ভিডিও ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে দেখা যায়।

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বৈঠকের কোনো ঘটনার দৃশ্যে নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি ২০২৪ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের হেলিকপ্টার যোগে অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী আরশাদ নাদিমের বাড়ি যাত্রার ভিডিও। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার। ভিডিওটির কিছু কি ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘Ahmad Ali’ নামের একটি টিকটক একাউন্টে ২০২৪ সালের ১৩ আগস্টে প্রকাশিত একই ঘটনার ভিন্ন এঙ্গে থেকে ধারণকৃত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও’র সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর স্থান, হেলিকপ্টার, গাড়িবহর এমনকি মানুষের পোশাকের মিল লক্ষ্য করা যায়। 

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিও থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘Dawn News’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তারিখে ‘Footage of Maryam Nawaz Reaching Arshad Nadeem’s Home on Helicopter | Exclusive Visuals’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একই ঘটনার ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘HUM News’ এর ইংরেজি সেকশনে ‘CM Punjab visits Arshad Nadeem’s home, presents him with Rs100m cheque’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিকেলে অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী আরশাদ নাদিমের বাড়িতে যান। পরিদর্শনকালে, মুখ্যমন্ত্রী আরশাদ নাদিমকে স্বর্ণপদক জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান এবং অলিম্পিকে তার বীরত্বপূর্ণ জয়ের জন্য তাকে ১০ কোটি টাকার চেক প্রদান করেন।” (অনূদিত) 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে আরশাদ নাদিম পুরুষদের জ্যাভলিনে স্বর্ণপদক জিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের নীরজ চোপড়াকে হারিয়ে পাকিস্তানের হয়ে প্রথম অলিম্পিক অ্যাথলেটিক পদক জিতেছেন। পাশাপাশি ৯২.৯৭ মিটার বিশাল থ্রো করে পূর্ববর্তী অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙেছেন। 

সুতরাং, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের মিয়ান চান্নু সফরের ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জুরিবোর্ড এবং ভারতে আশ্রয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকের দৃশ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র