Home Blog Page 121

জয়-ববির সাথে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব হুমায়রা নূরের ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন নারীর 

0

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), যার যুগ্ম সদস্যসচিব পদে মনোনীত হয়েছেন অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর৷ এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘চিত্রে শেখ হাসিনা পুত্র জয় এবং শেখ রেহানা পুত্র ববির  মাঝখানে বসে আছে সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়রা নুর।জাতীয় নাগরিক পার্টি আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্লাটফর্ম।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ছবি ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হচ্ছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

উক্ত দাবিতে এক্স-এ প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷ 

উক্ত দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নন, যুগ্ম সদস্যসচিব পদে মনোনীত হয়েছেন এবং সজীব ওয়াজেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির সাথে ভিন্ন একজন নারীর ছবি হুমায়রা নূরের ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Neel Hurerzahan নামক ফেসবুক প্রোফাইলে গত ০৭ মার্চ প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে আলোচিত ছবির নারীর পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়। এছাড়া, উক্ত পোস্ট ব্যবহৃত একটি ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ছবিটি তার (পোস্টদাতার); অর্থাৎ ছবিটি নীল হুরেজাহান নামক ব্যক্তির, হুমায়রা নূরের নয়। পেশাগতভাবে তিনি একজন উপস্থাপিকা। কর্মক্ষেত্রে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে গিয়ে ছবিতে থাকা ব্যক্তিদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে তার ছবিটি তোলা হয়েছিলো। 

পরবর্তীতে, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর ‘তরুণদের হাতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিলেন জয় | Joy Bangla Youth Award 2023’ শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে আলোচিত ছবিটির অনুরূপ পোশাকে দেখা যায়৷ 

নীল হুরেজাহানের ও হুমায়রা নূরের ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করা যায় যে তারা দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি৷ 

Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, আলোচিত ছবিটি জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব হুমায়রা নূরের নয়৷ 

সুতরাং, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব হুমায়রা নূরের সাথে সজীব ওয়াজেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির ছবি দাবিতে নীল হুরেজাহান নামক নারীর ছবি প্রচার হচ্ছে; যা মিথ্যা৷ 

তথ্যসূত্র

চীন ভ্রমণে সাবেক শিবির নেতাদের সাথে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা শিবির সংগীত গাননি

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “Alhamdulillah! চীনে এক্স শিবিররা শিবিরের শাখা খুলে ফেললো। একই সুরে গান গাচ্ছেন শিবিরের সাবেক রিফাত, জুনাইয়েদ ভাই। সেখানে আরো আছেন নোয়াখালীর সাবেক সাথীপ্রর্থী নাছির ভাই। আরো আছেন জামায়াতের রোকুম মঈন চাচা।”

প্রচারিত ভিডিওটিতে রাজনৈতিক নেতাবৃন্দদের শিবির সংগীত “পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি” গানটি গাইতে শোনা যায়।


উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাবেক শিবির নেতাদের সাথে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা শিবির সংগীত গাননি বরং, তাদের ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’ গানটি গাওয়ার ভিডিওতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে “পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি” শীর্ষক গানটির অডিও সংযুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে মূলধারার গণমাধ্যম মাছরাঙা নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে “চীন সফরে একসাথে গান গাইলো রাজনৈতিক নেতারা” শীর্ষক শিরোনামে গত ০৪ মার্চে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়৷

উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির তুলনা করলে অডিও ব্যতীত বাকী সবকিছুর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে শিবির সংগীত “পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি” গাইতে দেখা গেলেও মাছরাঙায় প্রচারিত উক্ত ভিডিওটিতে “মু্‌ক্তির মন্দির সোপানতলে” শীর্ষক গানটি গাইতে দেখা যায়।

এছাড়াও অনুসন্ধানে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ০৪ মার্চে উক্ত ভিডিওটি প্রচার হতে দেখা যায়। ভিডিওটি সম্পর্কে শহিদুল ইসলাম বাবুল ক্যাপশনে লিখেন, “চায়নার ট্রেন জার্নি ও কামরার অন্য সহযাত্রীদের অনুমতি নিয়ে ক্ষনিক আত্মবিনোদনের চেষ্টা | উল্লেখ্য এই কম্পার্টমেন্টের প্রায় সবাই আমাদের টিম মেম্বার চাইনিজ যারা তারা (CPC) প্রতিনিধি। তাছাড়া কামরার সকলের অনুমতি ও উৎসাহ নিয়েই এই গান ভিডিও করা হয়েছে।

এইখানে কাউকে বিরক্ত করার ব্যাপার ঘটে নাই।” উক্ত ভিডিওটিতেও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের “মু্‌ক্তির মন্দির সোপানতলে” শীর্ষক গানটি গাইতে দেখা যায়।

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রচারিত ভিডিওটিতে প্রকৃতপক্ষে “মু্‌ক্তির মন্দির সোপানতলে” শীর্ষক গানটি গাওয়া হয়েছিল৷ যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় শিবিরের সংগীত “পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি” এর অডিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

সুতরাং, চীন ভ্রমণে সাবেক শিবির নেতারা শিবির সংগীত “পদ্মা, মেঘনা, যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি” শীর্ষক গান গেয়েছেন দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর অডিওটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

৭ই মার্চ উপলক্ষে ছাত্রলীগের মশাল মিছিলের দৃশ্য দাবিতে ছাত্রদলের কর্মসূচির অডিও সম্পাদনা করে প্রচার

৭ই মার্চে সারাদেশে হরতালের ডাক দিয়ে গত ৬ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মশাল মিছিল করা হয়েছে দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুক প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৭ই মার্চ দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচি দিয়ে গত ৬ মার্চ রাতে মশাল মিছিল করেনি ছাত্রলীগ। এছাড়া, গত ৭ মার্চ দলটির পক্ষ থেকে কোনো হরতালের ডাকও দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিককে বহিষ্কারের প্রতিবাদে তার সমর্থকদের করা মশলা মিছিলের ভিডিওর অডিও সম্পাদনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

দাবিটি বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স সার্চের মাধ্যমে এশিয়ান টেলিভিশনের ফেনী জেলা প্রতিনিধি Zia Uddin Shohag-এর ফেসবুক আইডিতে গত ৬ মার্চ প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

পোস্টটিতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির পাশাপাশি ছাত্রদলের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির ছবিও দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের শিরোনাম এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি থেকে জানা যায়, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিককে বহিষ্কারের প্রতিবাদে উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি করা হয়। এছাড়াও লক্ষ্য করা যায়, বিক্ষোভ মিছিলের স্লোগানের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর স্লোগানের মিল নেই।

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় ভিন্ন অডিও যুক্ত করা হয়েছে।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে স্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম ফেনী- এর ফেসবুক পেজেও গত ৫ মার্চ প্রচারিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, গত ৫ মার্চ (বুধবার) ফেনীর দাগনভূঞা বাজারে কাজী জামশেদুর রহমান ফটিককে বহিষ্কারের প্রতিবাদে তার অনুসারীরা মশাল মিছিল করেন।

এছাড়া, ফেনীর আরেক স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিদিনের দাগনভূঞা- এর ফেসবুক পেজে উক্ত ঘটনার ভিন্ন এঙ্গেল থেকে ধারণ করা আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ৪ মার্চ প্রচারিত কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের বহিষ্কারাদেশ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়।

তাছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ অনুসন্ধান করেও ৭ ই মার্চ দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি কোনো গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিককে বহিষ্কারের প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিওর অডিও সম্পাদনা করে ছাত্রলীগের মশাল মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ৭ই মার্চ দেশব্যাপী হরতাল পালনের ডাক দিয়ে ছাত্রলীগের মশাল মিছিল করেছে দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর অডিওটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

  • Zia Uddin Shohag Facebook Post
  • Prothom feni Facebook Page Post
  • প্রতিদিনের দাগনভূঞা Facebook Page Post
  • Bangladesh Jatiyotabadi Chatrodol Facebook Page Post
  • Rumor Scanner’s Analysis

৭ই মার্চ নয়, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর এই ভিডিওটি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের সময়কার

গত ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শ্রদ্ধা জানিয়েছেন- দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শ্রদ্ধা জানানোর এই ভিডিওটি গত ৭ই মার্চের নয় বরং, ২০২৪ সালের জুন মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর সেনাপ্রধানের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রচারিত ভিডিওটিতে থাকা মূল ধারার গণমাধ্যম সময় টিভির লোগোর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৪ জুন ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবনিযুক্ত সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা | General Waker-uz-Zaman | New Army Chief’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিও থেকে জানা যায়, সে বছরের ২৪ জুন নতুন সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

এছাড়াও, সময় টিভির ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ২৪ জুন উক্ত ঘটনার লাইভ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সেনাপ্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পুরোনো ভিডিওকে গত ৭ মার্চের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

ঢাবির সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সমন্বয়কদের দ্বারা মাথায় আঘাত পাননি

0

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাকার শাহবাগে কয়েকজন সমন্বয়কের দ্বারা মারাত্মকভাবে মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সমন্বয়কদের দ্বারা মাথায় আঘাত পাননি বরং ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার ঘটনাকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে জাতীয় দৈনিক কালবেলাতে এ সংক্রান্ত সম্ভাব্য প্রথম সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখা যায়। ০৬ মার্চের এই সংবাদ থেকে জানা যায়, 

সেদিন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। তারপর তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরো সায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করেন তার স্বজনরা।

একইদিন জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরেফিন সিদ্দিকের ছোট ভাই শাকরিন সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, উনি সুস্থই ছিলেন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে ব্যাংকের বুথে গিয়ে টাকাও তুলেছেন। এরপর তিনি ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) যান এবং সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে যান। সেটা আনুমানিক ২টা ৪০ মিনিট হতে পারে। এরপর তাঁকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর তাঁকে নিউরো আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এখন তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

আরেক জাতীয় দৈনিক সমকালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হাসপাতালে দায়িত্বরত এক চিকিৎসকের বরাতে বলা হয়, বিকেল তিনটার দিকে তাকে বারডেমে ভর্তি করা হয়। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং স্ট্রোক করেছেন। প্রথমে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। 

গণমাধ্যম সূত্রে সর্বশেষ তথ্য অনুসরণ তিনি বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছেন। 

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের অসুস্থতার বিষয়ে প্রকাশিত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং বিশ্বস্ত সূত্রগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি সমন্বয়কের দ্বারা মারাত্মকভাবে মাথায় আঘাত পেয়েছেন শীর্ষক দাবির প্রমাণ মেলেনি। 

সুতরাং, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা ক্লাবে (রমনায়) দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যেই পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার ঘটনাকে তিনি সমন্বয়কদের দ্বারা মাথায় আঘাত পেয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

মাগুরায় ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধারণামূলক ফটোশুটের ছবি ভাইরাল

0

মাগুরা শহরে কয়েক দিন আগে আট বছরের এক শিশু তাঁর বড় বোনের (শ্বশুর) বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে গত ৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুর ছবি দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর সঙ্গে মাগুরায় ৮ বছর বয়সী শিশুর ধর্ষণের কোনো সম্পর্ক নেই বরং, এগুলো একজন আলোকচিত্রীর ধারণামূলক ফটোশুটের অংশ।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে অনিন্দ্য দে নামের একজন আলোকচিত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি পোস্টে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

অপরদিকে মাগুরায় ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের আলোচিত ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মার্চ মাসে। অর্থাৎ, প্রচারিত ছবিটি ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটার আগে থেকেই অনলাইনে বিদ্যমান।

উল্লেখ্য যে, অনিন্দ্য দে কর্তৃক প্রচারিত উক্ত ছবিগুলো এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে এতিম কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার ছবি দাবিতেও প্রচার করা হয়েছে। সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেসময় এ বিষয়ে জানতে আলোকচিত্রি জনাব অনিন্দ্য দে’র সঙ্গে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান, এটি কনসেপচুয়াল ফটোগ্রাফি বা ধারণামূলক আলোকচিত্র। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি শিশু অপহরণের ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি ছবিগুলো তুলেছিলেন এবং সে সময় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ছবিগুলো নতুন করে পোস্ট করার পর তা ভাইরাল হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ছবিতে ধর্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অন্তু, আর ভুক্তভোগী কিশোরীর ভূমিকায় রয়েছেন অর্পিতা। তারা দুজনই অনিন্দ্য দে’র ছোট ভাই-বোন।

পরবর্তীতে, অনিন্দ্য দে’র ফেসবুক আইডি থেকে ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্টে একই ছবিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। 

সুতরাং, সম্প্রতি মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত দাবি করে একজন আলোকচিত্রীর পুরোনো মঞ্চস্থ ফটোশুটের ছবি প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

২০২৪ সালের জুলাইয়ের প্রবাসী শ্রমিকের ছবিকে ভিন্ন ও সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি, এক ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

ছবিতে লেখা রয়েছে, ‘টাকা দিয়ে বিদেশে বসে মাল খাব তবুও টাকা বাংলাদেশে দেব না।’

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, এটি ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময়ে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক প্রবাসী শ্রমিকের ছবি, যিনি আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ছবিটিতে ‘Histographia’ লেখার সূত্র ধরে ‘Histographia’ নামক স্যাটায়ার/প্যারোডি ফেসবুক পেজে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। পেজটিতে ছবিটি প্রকাশ করা হয় ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর।

Screenshot: Histographia (Facebook)

পরবর্তীতে, ‘টাকা দিয়ে বিদেশে বসে মাল খাব তবুও টাকা বাংলাদেশ পাঠাবো না’ শীর্ষক লেখার সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘আলবিদাツ’ নামের ফেসবুক পেজে থেকে ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই  ‘MD Jahangir Allom Allom’ নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট সম্বলিত পোস্ট খুঁজে পাওয়া ‍যায়। স্ক্রিনশটটিতে আলোচিত ছবিটি সহ আরও দুটি ছবি দেখতে পাওয়া যায়।

Screenshot: আলবিদাツ  (Facebook)

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ‘MD Jahangir Allom Allom’ নামের ফেসবুক অ্যকাউন্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফেসবুক অ্যকাউন্টে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই একই ক্যাপশনের একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: MD Jahangir Allom Allom (Facebook)

পোস্টটির এডিট হিস্ট্রি থেকে জানা যায়, পোস্টটি কয়েকবার সম্পাদনা করা হয়েছে।

Screenshot: MD Jahangir Allom Allom (Facebook)

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। জুলাই আন্দোলনের সময় আন্দোলনের সমর্থনে তিনি ছবিগুলো পোস্ট করেন এবখ পরে ছবিগুলো পোস্ট থেকে সরিয়ে নেন।

এছাড়া, ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, তিনি সৌদি আরবের আল বাহাহ শহরে বসবাস করেন।

সুতরাং, প্রবাসী শ্রমিকের ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছবি দিয়ে সম্প্রতি তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • Histographia: Facebook Post
  • আলবিদাツ: Facebook Post
  • MD Jahangir Allom Allom: Facebook Account
  • MD Jahangir Allom Allom: Facebook Post

সাম্প্রতিক ডাকাতির দৃশ্য দাবিতে ২০২২ সালের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, “ছাত্র-জনতা’ নামক এই ডাকাত দলদের হাত থেকে কারো নিস্তার নাই। রুখে দাড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও পোস্টটিতে #StepDownYounus, #Bangladesh, #JoyBangla এবং #HasinaForBangladesh হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। যার অর্থ দাঁড়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে ছাত্র-জনতা এভাবে ডাকাতি করছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়, বরং এটি ২০২২ সালের একজন ফুডপান্ডা রাইডারের সাথে ঘটা ছিনতাই এর ভিডিও।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম এটিএন নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ০৪ ডিসেম্বর ‘ঢাকার রাস্তায় যেভাবে সর্বস্ব হারালেন এই রাইডার’ শীর্ষক একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner.

ভিডিও থেকে জানা যায়, সে বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি সেন্ট্রাল রোড আইডিয়াল কলেজের সামনে থেকে জনৈক ফুডপান্ডা রাইডার যুবকের মোবাইল, মানিব্যাগ এবং রাইডারের কাঁধের একটা ব্যাগসহ অনেক জিনিস নিয়ে যায়। ছিনতাইকারীরা চাপাতি দিয়ে ফুডপান্ডা রাইডারকে আঘাতও করে। 

একই বিষয়ে Yeah TV নামক ইউটিউব চ্যানেলে ‘ঢাকার রাস্তায় যেভাবে সর্বস্ব হারালেন এই রাইডার’ শীর্ষক ভিডিও পাওয়া যায়। 

সুতরাং, ২০২২ সালের ঢাকায় ছিনতাইয়ের ভিডিওকে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার ডাকাতি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

পটুয়াখালীতে আগুনে বাড়ি ও দোকান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক যোগসূত্র নেই

সম্প্রতি, বাংলাদেশে পটুয়াখালীতে ইসলামী সন্ত্রাসীরা হিন্দুদের ৫টি বাড়ি ও ২টি দোকান পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে এক্সে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পটুয়াখালীতে ইসলামী সন্ত্রাসীরা হিন্দুদের ৫টি বাড়ি ও ২টি দোকান পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং আগুন লেগে বাড়ি বা বাসাসহ দুই দোকান পুড়ে যাওয়ার ঘটনার সাথে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিডিওতে থাকা ‘এখন বাংলা টিভি’ লেখার সূত্র ধরে ‘Ekhon Bangla Tv’ নামক ফেসবুক পেজে গত ৬ মার্চ ‘আমার সার্টিফিকেট সব পুরে শেষ এখন আমরা কি করমু,পটুয়াখালী পাঁচটি বসতবাড়িসহ দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরে ছাই।’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটিতে শুরুতেই থাকা ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েটিকে বলতে শোনা যায়, পাশ্ববর্তী এক পাগলের ঘর থেকে আগুন লেগেছে।

পরবর্তীতে, ভিডিওতে থাকা ক্যাপশনের তথ্যের সূত্র ধরে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর এর ওয়েবসাইটে গত ৬ মার্চ প্রকাশিত ‘পটুয়াখালীতে আগুন লেগে পাঁচটি বাসাসহ দুই দোকান পুড়ে ছাই’ শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পটুয়াখালীতে আগুন লেগে পাঁচটি বাসাসহ দুই দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোর পৌনে ৫টার দিকে পটুয়াখালী পৌর শহরের জুবিলী স্কুল সড়কে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছেন- জয়ন্তু রায় (৩০), নির্মল কর্মকার (৬০), রিপন কর্মকার (৪৬), ধীমান কর্মকার (৫১), বাবুল চন্দ্র শীল (৫০) ও বিকাশ চন্দ্র দাস (৪৫)। এছাড়া আগুনে নিকুঞ্জ সোনা ঘর ও শ্যামল আর্ট নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।

পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দেওয়ান মো. রাজিব  বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ৪০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। 

বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

এছাড়াও, কালবেলাবাংলানিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা মোহসীন এর বরাত দিয়ে জানানো হয়,  ‘এখন পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা সংগ্রহ চলছে।’

তাছাড়া, চ্যানেল২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে প্রচারিত ভিডিওতে এক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বলতে দেখা যায়, পাশ্ববর্তী ঘরে এক মহিলা আছে উনি নাকি কয়েল ধরায়ে রেখে ঘুমিয়েছে। কয়েল থেকে আগুন লেপ-তোষকে ধরছে।

তবে, আগুনের এই ঘটনার সাথে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ইস্যু গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, সম্প্রতি পটুয়াখালীতে আগুন লেগে বাসাসহ দুই দোকান পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

নাহিদ ইসলাম গ্রেফতারের ভুয়া দাবি প্রচার

0

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে শীর্ষক একটি দাবি অন্তত গত ০৬ মার্চ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নাহিদ ইসলামকে গ্রেফতার করেনি সেনাবাহিনী বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ব্লগস্পটের বিনামূল্যের ডোমেইন সাইট ব্যবহার করে প্রকাশিত ভুয়া সংবাদ সত্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ফেসবুক পোস্টগুলোর কমেন্টে সূত্র হিসেবে একটি সংবাদের লিংক দেওয়া হয়েছে।  

উক্ত লিংকে প্রবেশ করে দেখা যায়, এটি ব্লগস্পটের বিনামূল্যের ‘স্বাধীন নিউজ’ নামের এই ডোমেইন সাইটে ‘ব্রেকিং নিউজ: সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনটি গত ০৬ মার্চ প্রকাশিত হতে দেখা যায় এবং এটিই আলোচিত দাবিটির সম্ভাব্য উৎস বলে প্রতীয়মান হয়। 

Screenshot: Blogspot site

কথিত সংবাদটি পড়ে দেখা যায়, ০৬ মার্চ রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাহিদকে গ্রেফতার করেছে। নাহিদ শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং ১৫৮ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগের মুখে ছিলেন বলে জানানো হয় এই সংবাদে। এছাড়া, কথিত এই সংবাদে নাহিদের নামে খোলা বাইনান্স অ্যাকাউন্টের একটি স্ক্রিনশট এবং উক্ত অ্যাকাউন্টে ২০৪.৬৪ বিটকয়েন থাকার তথ্য জানানো হয়। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, প্রেস সচিব  ও জুলাই-আগস্ট এর আন্দোলনের নেতাদের নামে ছড়িয়ে পড়া বাইনান্স অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটগুলো ভুয়া বলে ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে রিউমর স্ক্যানার। ফ্যাক্টচেকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তির কারসাজিতে এসব স্ক্রিনশট তৈরি করা হয়েছে।

নাহিদকে গ্রেফতারের দাবিটির বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূল ধারার গণমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রগুলোয়ও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তা মূলধারা গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার কথা।

তাছাড়া, নাহিদকে বর্তমানে নিয়মিত রাজনৈতিক কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে। গতকাল (০৭ মার্চ) ঢাকায় এনসিপির প্রথম সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

সুতরাং, সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত সংবাদটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র