টিকটক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে টিকটকের প্রতিষ্ঠাতার নামে একটি মন্তব্য নিয়মিতই বেশ ভাইরাল হয়। সম্প্রতি দাবিটি আবারও ব্যাপকভাবে প্রচার হচ্ছে। টিকটক প্রতিষ্ঠাতাকে উদ্ধৃত করে প্রচারিত দাবিটি হচ্ছে, “টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়ামিন। একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেন তিনি টিকটক অ্যাপটি কেবল মানসিক ভাবে অস্থির ও বেকার লোকদের জন্য তৈরি করেন। এবং তিনি হেসে বলেন আমি ভাবতে পারেননি এই ধরনের মানুষের সংখ্যা ভারতে ও বাংলাদেশে সবথেকে বেশি”।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
উল্লিখিত পোস্টগুলো সম্মিলিতভাবে ১ কোটি ৩৭ লক্ষেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় ১ লক্ষ ৬৩ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, টিকটক কেবল মানসিকভাবে অস্থির ও বেকার লোকদের জন্য তৈরি করা এবং এই ধরনের মানুষের সংখ্যা ভারতে সব থেকে বেশি’ শীর্ষক মন্তব্য টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়ামিং করেননি বরং কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই টিকটক প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়ামিংকে উদ্ধৃত করে দীর্ঘদিন ধরেই উক্ত মন্তব্যটি ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে।
মূলত, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক একটি চীনা প্রতিষ্ঠান এবং এর প্রতিষ্ঠাতা চীনের নাগরিক ঝাং ইয়ামিং। ২০১৯ সাল থেকে তাকে উদ্ধৃত করে ‘প্রতিষ্ঠাতা টিকটক অ্যাপটি কেবল মানসিকভাবে অস্থির ও বেকার লোকদের জন্য তৈরি করেছেন এবং এই ধরনের মানুষের সংখ্যা ভারতে সব থেকে বেশি’ শীর্ষক একটি মন্তব্য ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে। তবে অনুসন্ধানে ঝাং ইয়ামিংয় উক্ত মন্তব্য করেছেন শীর্ষক কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং দীর্ঘদিন ধরেই কোনো প্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে বিভিন্ন অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে আলোচিত দাবিটি প্রচার হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও প্রায় একই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়কে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।