নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহশোমির রোজা নিয়ে গবেষণা দাবিতে ভুয়া তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহশোমির গবেষণা দাবিতে কিছু তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

যা দাবি করা হচ্ছে

জাপানি নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী উসেনরি ওসমি। তিনি গবেষণা ও আবিষ্কার করেন যে, ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা রোজা রাখলে মানুষের দেহে অটোফেজি (Auto phazy) চালু হয়। তিনি প্রমাণ করেন যে, রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষ নিন্মুক্ত উপকারগুলো পান।

১) দেহের সেল পরিস্কার হয়।
২) ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।
৩) পাকস্থলীর প্রদাহ সেরে যায়।
৪) ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ে।
৫) শরীর নিজে নিজেই সেরে যায় ( Autophazy)।
৬) ডাইয়াবেটিস ভালো হয়।
৭) বাধ্যর্ক রোধ করা যায়।
৮) স্থুলতা দূর হয়।
৯) দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।
১০) মানুষ ও জীবের প্রতি সহানুভূতি জন্মায়।”

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়,ইয়োশিনোরি ওহশোমির গবেষণা দাবিতে রোজার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস হওয়ার তথ্য সঠিক নয় বরং অধ্যাপক ইয়োশিনোরি ওহশোমি এমন মন্তব্য বা গবেষণা করেননি।

মূলত, ২০১৬ সালে অটোফেজি নিয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পান ইয়োশিনোরি ওহশোমি। অটোফেজি মানবদেহের একটি চলমান প্রক্রিয়া। রোজা বা উপবাসসহ নানান উপায়ে এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা যায়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে নির্দিষ্ট সময় রোজা রাখলে অটোফেজি চালু হয় এবং রোজার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস হয় বলে প্রমাণ দিয়েছেন ইয়োশিনোরি এমন দাবিতে ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে। ইয়োশিনোরির কর্মস্থল টোকিও ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিও ইয়োশিনোরির নামে প্রচারিত তথ্যগুলোকে মিথ্যা বলে ২০২২ সালে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছিলো। তবে রোজা ক্যান্সার চিকিৎসায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে বলে বিভিন্ন গবেষণায় এসেছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও দাবিটি ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টি মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।

আরও পড়ুন

spot_img