গত কয়েক বছর ধরে ‘আগামীকাল থেকে বাংলাদেশে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোন কলের নতুন যোগাযোগের নিয়ম কার্যকর করা হবে:-’ শীর্ষক শিরোনামে কিছু তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে। সম্প্রতি, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতা ও সংঘাতের ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবার প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিতে শর্ট ভিডিও প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা আদান-প্রদানের সুরক্ষার বিষয়টি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড অর্থাৎ এই এপ্লিকেশনের মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান করা হলে সেটি প্রকৃত বার্তা প্রেরক ও গ্রাহক ছাড়া তৃতীয় কারো পক্ষে পড়া বা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়৷ এছাড়া, ২০০১ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন পাস হয়, পরবর্তীতে ২০১০ সালে সেই আইনটি সংশোধন করা হয়। এ আইনে ফোনে আড়ি পাতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। তাছাড়া, বাংলাদেশে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোন কলের নতুন যোগাযোগের নিয়ম কার্যকর করা সম্পর্কিত কোনো তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
মূলত, কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে “আগামীকাল থেকে বাংলাদেশে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোন কলের নতুন যোগাযোগের নিয়ম কার্যকর করা হবে” দাবিতে তথ্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছে। কিন্তু এই তথ্যগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।