সম্প্রতি ‘পুরো এটিএম বুথ ট্রেন দিয়ে টেনে নিয়ে গেলো চোর’ ক্যাপশনে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷
একই দাবিতে টেক্সট আকারে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
এসব পোস্টের ক্যাপশনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করা হলেও ভিডিওর শিরোনামে এটি বাংলাদেশের ঘটনা বলে দাবি করা হয়েছে, বা ‘লাল স্বাধীনতা’, ‘দেশে নিরাপত্তা কোথায়’ সূচক শব্দাবলী দ্বারা এটি বাংলাদেশের ঘটনা বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকাশ্যে ক্রেন দিয়ে টেনে এটিএম মেশিন চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত অক্টোবর মাসে যুক্তরাজ্যে ঘটে যাওয়া এটিএম চুরির ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম The Telegraph এর ওয়েবসাইটে গত ২৮ অক্টোবর ‘Thieves use JCB to rip cash machine from Sainsbury’s store’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল রয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এটিএম চুরির ঘটনাটি গত ২৬ অক্টোবর রাতে যুক্তরাজ্যের বাকিংহামশায়ারের কেইনসের ব্রুকল্যান্ডস স্কয়ারে সেন্সবারির একটি দোকানে ঘটেছে। চোরেরা একটি জেসিবি টেলিহ্যান্ডলার ক্রেন ব্যবহার করে জানালা ভেঙে দোকানের সামনে থেকে এটিএমটি তুলে নেয় একটি সাদা পিক-আপ ট্রাকে তোলা হয়। এরপর চোরেরা দোকানের সামনে জেসিবিটি ফেলে পালিয়ে যায়। টেমস ভ্যালি পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আরেক গণমাধ্যম BBC এর ওয়েবসাইটে ‘Telehandler used to steal Sainsbury’s cash machine’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওর ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেনি।
সুতরাং, যুক্তরাজ্যের চুরি করে এটিএম বুথ তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।





