সম্প্রতি “স্ত্রীর পরকিয়া করার উপযুক্ত প্রমান থাকলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে না। –ডা. দীপু মনি” শীর্ষক শিরোনামে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মন্তব্য দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে,এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ,এখানে, এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘স্ত্রীর পরকিয়া করার উপযুক্ত প্রমান থাকলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে না’ সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য দেননি ডা. দীপু মনি বরং তথ্যসূত্রহীন ভিত্তিহীন এই দাবিটি ২০১৯ সাল থেকেই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বরাতে প্রচার হয়ে আসছে।
মূলত, স্ত্রীর একাধিক পরকীয়ার জেরে ডা. আকাশের আত্মহত্যার পর সে সময়ে উচ্চ দেনমোহরের কারণে পুরুষরা চাইলেও ডিভোর্স না দিতে পারার বিষয়টি আলোচনায় আসে, যার প্রেক্ষিতে পরকীয়া প্রমাণিত হলে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে না শীর্ষক মতামতটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে এবং একসময় এটি তথ্য সূত্র ছাড়াই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বরাতে প্রচার হতে থাকে।
এছাড়া, পরকীয়া ও কাবিন বিষয়ে ডা. দীপু মনির কোনো বক্তব্য ইন্টারনেটে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খুঁজে পাওয়া যায় নি এবং মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালায় পরকীয়া প্রমানিত হলে কাবিন পরিশোধ করতে হবে না শীর্ষক কোনো আইন খুঁজে পাওয়া যায় নি।
পূর্বেও একই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিকবার প্রচার করা হয়েছিলো। সে সময়গুলোতে বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।