সম্প্রতি, “মেডিকেলের গোপন তথ্য!!!” শিরোনামে আইসিইউ-তে মৃত রোগীকে গরুকে ইনজেকশন দেওয়ার সিরিঞ্জ পুশ করে জীবিত দেখানো হয় শীর্ষক দাবিতে একটি ডিজিটাল ব্যানার সম্বলিত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে,এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ,এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আইসিইউ-তে মৃত রোগীকে গরুর ইনজেকশন দেওয়ার সিরিঞ্জ পুশ করে জীবিত দেখানোর দাবিটি ভিত্তিহীন। এছাড়া গরুর ইনজেকশন পুশ করে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখাও সম্ভব নয়।
মূলত, ২০১৭ সাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে এই দাবিটি কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ফেসবুকে প্রচার করে আসা হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে একইভাবে এই তথ্যটি পুনরায় প্রচার করা হচ্ছে।
আলোচিত বিষয়টির প্রেক্ষিতে ইউটিউবে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ স্পেশালিস্ট ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন,
“একজন মৃত রোগীকে দিনের পর দিন আইসিইউ বা কোথাও বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়, এবং রোগীকে কোনো কারণেই বগলে ইনজেকশন দেওয়ার সুযোগ নেই বা দেওয়া হয় না।”
তিনি আইসিইউতে থাকা একজন রোগীর চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন এবং গরুর ইনজেকশন পুশ করে আইসিইউতে মৃত রোগীকে জীবিত দেখানোর দাবিটিকে সম্পূর্ণ অসত্য বলে জানান।
এছাড়া এই আলোচিত তথ্যটি আরিফা জাহান নামক এক ডাক্তারের ফেসবুক পোস্ট হতে সংগৃহীত উল্লেখ করে ২০১৮ সালে সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ প্রতিদিন এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে ডা. আরিফা জাহান নামের কোনো ফেসবুক আইডি বা পেজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে আর্থিক লোভে আইসিইউতে প্রয়োজন ব্যতীত রোগীকে অতিরিক্ত সময় ভর্তি রাখার অভিযোগ রয়েছে এবং এটি নিয়ে জনসাধারণের মাঝে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
পূর্বেও একই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রচারিত হয়েছিলো। সে সময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।


                                    


