সম্প্রতি, “৮ ফেব্রুয়ারি” আন্তর্জাতিক তাকবির দিবস ঘোষণা” শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট কিছু দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ৮ ফেব্রুয়ারিকে “আন্তর্জাতিক তাকবীর দিবস” ঘোষণা করা হয়নি বরং কোনো প্রকার গ্রহণযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
মূলত, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কলেজ প্রাঙ্গণে কর্ণাটকের মাণ্ড্য কলেজের বাণিজ্য শাখার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুসকান খান হিজাব পরিহিত অবস্থায় স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গেলে তাকে কতিপয় যুবক বাধা দেয় এবং তাকে ঘিরে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয়া হয় কিন্তু এতে ভীত না হয়ে মুসকান ভেতরে প্রবেশ করেন এবং প্রতিবাদে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন। সেসময়তার এই সাহসিকতার ভিডিও দ্রুতই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮ ফেব্রুয়ারিকে “আন্তর্জাতিক তাকবীর দিবস” ঘোষণার দাবি উঠে। সেসময় কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই উক্ত দাবি বিবর্তিত হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারিকে “আন্তর্জাতিক তাকবীর দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি সেই তথ্যটিই পুনরায় ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে উক্ত দাবির কোনোরূপ সত্যতা পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উক্ত বিষয়টি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
হালনাগাদ/ Update
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে একই দাবি সম্বলিত ভিডিও আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে কতিপয় টিকটক পোস্টকে প্রতিবেদনে দাবি হিসেবে যুক্ত করা হলো।