সম্প্রতি, বাংলাদেশের প্রথম বিমানবন্দর হিসেবে ই-গেট বা স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সেবা চালু করেছে সরকার। তবে এই বিষয়টি প্রচার করতে গিয়ে বাংলাদেশের মূলধারার ইলেক্ট্রনিক সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল আই’ এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে “দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেট চালু করেছে বাংলাদেশ” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে।
‘চ্যানেল আই’ এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রচারিত ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন এখানে। প্রতিবেদনটির আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ‘ই-গেট’ চালু করেছে বাংলাদেশ” শীর্ষক দাবিটি সত্য নয় বরং বাংলাদেশের পূর্বে দক্ষিণ এশিয়াতে মালদ্বীপ এবং ভারতে ই-গেট সেবা চালু হয়েছে।
মূলত, মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন বিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইট এবং ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে মালদ্বীপের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৬ সালে এবং ভারতের দিল্লী বিমানবন্দরে ২০২১ সালে ই-গেট সেবা চালু করা হয়েছে। তবে গত ০৭ জুনে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট সেবা চালু করা হয়েছে এবং উক্ত সেবার বিষয়টি প্রচার করতে গিয়ে মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল আই’ এর ফেসবুক পেজে “দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট সেবা চালু করা হয়েছে” শীর্ষক একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
উক্ত ই-গেট সেবা চালু পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট সেবা চালু করা হয়েছে শীর্ষক তথ্যটি দেশীয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সেটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।