সম্প্রতি, “একজন হাফেজে কুরআনের লাশ দশ বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় আছে। আল্লাহু আকবার” শীর্ষক শিরোনামে অলৌকিক ঘটনা দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি অলৌকিক কোনো ঘটনার নয় বরং এটি ইন্দোনেশিয়ার ‘ইয়াসের বিন তামরিন’ নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ দাফনের পূর্বে ধারণ করা ৪ বছর পূর্বের ভিডিও।
ভিডিওটির কিছু স্থিরচিত্র রিভার্স সার্চ করে, ইন্দোনেশিয়ান সংবাদ মাধ্যম “Kabar Berita” এ ২০১৮ সালের ২৪ জুলাইয়ে “Polri: Video yang Viral Bukan Jasad Imam Samudera” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
পাশাপাশি, ইন্দোনেশিয়ার মূলধারার সংবাদমাধ্যম Detik এবং Republica তে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
মূলত, আলোচিত ভিডিওতে থাকা মৃত ব্যক্তিটির নাম ইয়াসের বিন তামরিন। ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার গুনুং সিন্দুর রুতানে দুই পুলিশ অফিসারকে গুলি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১৭ জুলাইয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে দক্ষিণ টাঙ্গেরং আঞ্চলিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে মৃত্যুবরণ করে তিনি। দাফনের পূর্বে ঐ ব্যক্তির লাশের প্যাকেট খুলে মুখমন্ডল দেখানোর একটি ভিডিওকেই সাম্প্রতিক সময়ে একজন হাফেজের লাশ ১০ বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ ইন্দোনেশিয়ায় লাশ দাফনের সময় অলৌকিক আলোর উপস্থিতির তথ্যটি বিভ্রান্তিকর
উল্লেখ্য, একই ভিডিওটি এর আগে ‘২০০২ সালে বালিতে বোমা হামলার কারণে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ইমাম সমুদ্রের অক্ষত লাশ’ দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ান ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ‘Kompas’ বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সুতরাং, ২০১৮ সালে মারা যাওয়া ইন্দোনেশিয়ান এক ব্যক্তির লাশ দাফনের পূর্বে ধারণকৃত একটি ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে এক হাফেজের লাশ ১০ বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: একজন হাফেজে কুরআনের লাশ দশ বছর পরেও অক্ষত অবস্থায় আছে
- Claimed By: Facebook Posts
- Fact Check: False
[/su_box]