চিতা-হরিণের ভাইরাল ছবির সাথে প্রচারিত গল্পটি ভুয়া

গত কয়েক বছর ধরে “হরিন টার চোখে কোন ভয় দেখতে পাচ্ছেন? ছবিটা শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার পেয়েছে। ছবিটি তোলার পর ফটোগ্রাফার ডিপ্রেশনে চলে যান। চিতা বাঘ মা হরিণ ও তার দুই বাচ্চাকে ধাওয়া করলে মা হরিণটা চিতার কাছে নিজেকে ধরা দেয় যাতে তার বাচ্চা দুটো পালিয়ে যেতে পারে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে চিতা বাঘগুলোর খাবারে পরিনত হওয়া মা হরিণটি তার বাচ্চাদের দূরে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া অবধি তাকিয়েই আছেন।  মা তো মা ই”  শীর্ষক শিরোনামে চিতাবাঘ ও হরিণের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার আসছে। সম্প্রতি আবার একই দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

চিতা-হরিণের

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

২০২৩ সালে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত গল্পটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং উক্ত গল্পের সাথে সংযুক্ত ছবিটির ফটোগ্রাফারের ডিপ্রেশনে যাওয়ার তথ্যটিও ভুয়া।

মূলত, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে কেনিয়াতে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অ্যালিশন বাটিজিয়েগ চিতা ও হরিণের একটি ছবি ক্যামেরাবন্দী করে তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেন “নারাশা নামের মা চিতা বাঘটি তার শাবকদের শিকার ধরার কৌশল শেখাচ্ছিল; শিকারকে কীভাবে নাস্তানবুদ করতে হবে তারই প্রশিক্ষন দেওয়ার চেষ্টা করছিল মা চিতাবাঘ নারাশা। বারবার মা চিতা নারাশা তার শাবকদের শিখিয়ে দিলেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলো তারা। তিনি শিকারের দৃশ্যটির প্রতিটি ধাপ ক্যামেরাবন্দি করেন যদিও কয়েক মুহুর্তে পরেই ওই ইম্পালাকে ধরাশায়ী করেছিল চিতা শাবকরা তাদের অপরিপক্ক কৌশলেই।” এই ছবিটিই পরবর্তীতে ফটোগ্রাফার ছবিটি তুলে ডিপ্রেশনে চলে গেছেন শীর্ষক দাবিতে ছড়িয়ে পড়ার পর অ্যালিশন বাটিজিয়েগ নিজেই জানান যে দাবিটি ভুয়া।  

আলোচিত গল্পটি ইন্টারনেটে দীর্ঘ কয়েকবছর যাবৎ প্রচারিত হচ্ছে এবং ২০২১ ও ২০২২ সালেও এটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রিউমর স্ক্যানার টিম এটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক (, ) প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

RS Team
Rumor Scanner Fact-Check Team
- Advertisment -spot_img
spot_img
spot_img