শেখ হাসিনাকে ইফতারে গোবরের চপ দেওয়া সংক্রান্ত কোনো সংবাদ দেয়নি চ্যানেল আই

গেল বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি, “শেখ হাসিনাকে ইফতারে গোবরের চপ দেওয়া হলো” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল আইয়ের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শেখ হাসিনাকে ইফতারে গোবরের চপ দেওয়া হলো দাবি করে চ্যানেল আই কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে চ্যানেল আইয়ের একটি ফটোকার্ড নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে চ্যানেল আইয়ের লোগো রয়েছে। এর সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, চ্যানেল আইয়ের ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও, আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে চ্যানেল আইয়ের প্রচলিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

চ্যানেল আইয়ের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমেও উক্ত ফটোকার্ডটি ভুয়া বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে শেখ হাসিনার যে ছবিটি প্রচার করা হচ্ছে তা বাংলাদেশেরই। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রিউমর স্ক্যানার প্রকাশিত এক ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সের ভারতেশ্বরী হোমসে শহীদ দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা স্মারক সম্মাননা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহেনাও। শেখ হাসিনার জন্য সেদিন ৩১ পদের বাঙ্গালি খাবারের আয়োজন করেছিল কুমুদিনী পরিবার। কাঁসার থালায় খাবার ও কাঁসার গ্লাসে পানি পান করেন শেখ হাসিনা। সে সময়েরই তোলা ছবি এটি। 

সুতরাং, শেখ হাসিনাকে ইফতারে গোবরের চপ দেওয়া হলো দাবিতে চ্যানেল আইয়ের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img