সম্প্রতি “তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের নয়শত কোটি টাকা গেলো কোথায়” শীর্ষক শিরোনামের একটি ছবিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম উদ্ধৃত করে একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গুজবের সূত্রপাত
ফেসবুক মনিটরিং টুল ব্যবহার করে, Bangladesh Sports Info নামক ফেসবুক পেজে উক্ত দাবিতে প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে উক্ত পোস্টের সূত্র ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম উদ্ধৃত করে উক্ত বক্তব্যটি ছড়িয়ে পড়ে।
যা দাবি করা হচ্ছে
উক্ত ছবিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার ভঙ্গিতে দেখা যায়।
এছাড়াও ছবিতে নাজমুল হাসান পাপনের নাম উদ্ধৃত করে “সবাই আমার চেয়ার ভাঙ্গার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, জানিনা কি আছে এই চেয়ারে। কেউ তো জানেনা মাঝে মাঝে আমি নিজের একাউন্ট থেকে টাকা এনে বিসিবির কাজে খরচ করি। বিসিবি অতি ভিখারি একটা প্রতিষ্ঠান। লোভ করে এখানে আসার জন্য লাফাইয়েন না। কিছু নাই এখানে” শীর্ষক বক্তব্যটি প্রচারিত হচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন উক্ত মন্তব্য করেন নি বরং কোনোরূপ তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে নাজমুল হাসান পাপনের নাম উদ্ধৃত করে উক্ত বক্তব্যটি প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত পোস্টগুলোতে কোনো তথ্যসূত্র ব্যবহার করা হয় নি।
পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, দেশীয় ও বিদেশী গণমাধ্যমে নাজমুল হাসান পাপন কর্তৃক দেওয়া এমন কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, নাজমুল হাসান পাপন বিসিবি সভাপতি হিসেবে ২০১২ সাল থেকে দায়িত্বপালন করে আসছেন। সর্বশেষ ২০২১ সালে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে টানা চারবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন পাপন।
মূলত, চলমান বিপিএল, বিসিবি সভাপতির পরিবর্তন, মাশরাফির বিসিবিতে যোগদানের গুঞ্জন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। এরকম প্রেক্ষাপটে নাজমুল হাসান পাপনের নাম উদ্ধৃত করে উক্ত বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পূর্বেও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম উদ্ধৃত করে ভুয়া বক্তব্য প্রচারিত হয়। উক্ত বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, কোনরূপ তথ্যসূত্র ছাড়াই উক্ত বক্তব্যটি নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্য দাবিতে প্রচারিত হচ্ছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
রিউমর স্ক্যানার টিমের নিজস্ব অনুসন্ধান।