Home Blog Page 788

চার নারীর ভাইরাল ছবিটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নয়

0

“১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যে গাড়ীতে তারা চারজন বসেছিলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বর্তমানে ২০২১ সালে সেই একই গাড়ীতে, একই জায়গায় তারা চারজন” এই মর্মে একটি তথ্য ও দুটি ছবি গতকিছুদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ প্রচারিত হচ্ছে। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্স পদ্ধতিতে দেখা যায় ভাইরাল হওয়া পুরনো ছবিটি ফেসবুকে Bangladesh Old Photo Archive নামের একটি পেজ থেকে ১৯ জুলাই ২০১৩ সালে আপলোড করা হয়েছিলো

মূলতঃ মানিকগঞ্জের জাহাজ ব্যবসায়ী শামসুদ্দীন আহমেদ ষাটের দশকে একবার শিকার থেকে ফেরার পর তাঁর মেয়ে ও ছেলেবউরা মিলে বন্দুক নিয়ে খোলা জিপে বসে ছবিটি তুলেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ঢাকায় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে সাদাকালো ছবির সেই চার নারীই উপস্থিত থাকায় একই ভঙ্গীতে আবার চারজনের ছবি তোলা হয়।

তবে, বর্তমানে ষাটের দশকের ওই ছবিকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন ছবি এবং ২০১৭ সালের ছবিটিকে ২০২১ সালের ছবি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গত ৩০ এ মার্চ Alt News এ বিস্তারিত ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ছবিগুলো ভুল তথ্যে ভাইরাল হওয়ার পর ওই চার নারীর স্বজনদের অনেকেই ফেসবুকে এই সম্পর্কে লিখেছেন,যা টিম রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, ভাইরাল হওয়া তথ্যটিতে তারা চারজনই এখনো বেঁচে আছেন দাবি করা হলেও তাদের মধ্যে দুই জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। অর্থাৎ, “চার বান্ধবী, তাঁরা চারজনই বীর মুক্তিযোদ্ধা” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: গাড়ীতে বসা চার বান্ধবী, চারজনই বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

নরেন্দ্র মোদির সাথে মামুনুল হকের ছবি ইডিট করে গুজব প্রচার

0

“ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মামুনুল হকের ২০১৫ সালের ছবি” দাবী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে পরেছে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে দেখা যায় মুল ছবিটি মূলত ২০১৯ সালের। ভারতের নয়াদিল্লীতে অবস্থিত একটি ইসকন মন্দিরে ‘বিশ্বের বৃহত্তম ভাগবত গীতা’ উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময়ে নরেন্দ্র মোদির ট্রেন যাত্রীদের সাথে কুশল বিনিময়ের সময় ছবিটি তোলা হয়। দ্যা কুইন্টের করা প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

অর্থাৎ, ২০১৯ সালের নরেন্দ্র মোদির ট্রেনযাত্রীদের সাথে তোলা ছবিকে এডিট করে সেটিকে মামুনুল হকের সাথে মোদির ২০১৫ সালের ছবি দাবি করা হচ্ছে।

সুতরাং, ” ২০১৫ সালে মোদীর সাথে মামুনুল হক ” শিরোনামে প্রচারিত ছবিটি ভুয়া ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ২০১৫ সালে মোদীর সাথে মামুনুল হক
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে রিটকারী ওয়াসিম রিজভীর নামে গণধোলাইয়ের ভুয়া ভিডিও ভাইরাল

“কুরআনের ২৬ আয়াত পরিবর্তনের দাবীতে রিটকারী শিয়া নেতা ওয়াসিম রিজভীকে গঙধোলাই দিয়ে উলঙ্গ করা হয়েছে ” শীর্ষক একটি তথ্য ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

গণধোলাইয়ের যে ভিডিওটি রিটকারী শিয়া নেতা ওয়াসিম রিজভীর নামে প্রচারিত হচ্ছে সেটি মূলত এক বিজেপি এমএলএ’র গণধোলাইয়ের ভিডিও।

গত শনিবার বিজিপি’র এক সভায় এমএলএ ‘Arun Narang’ বহুল সমালোচিত কৃষি বিল ২০২০ এর সমর্থনে বক্তব্য দেয়ার প্রেক্ষিতে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা আক্রমণ করে তাকে গণধোলাই দেয়। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাও এর প্রতিবেদন দেখুন নিচেঃ

অর্থাৎ, বিজিপি নেতা Arun Narang এর গণধোলাইয়ের এই ভিডিওকেই শিয়া নেতা ওয়াসিম রিজভীর দাবী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।

ছবিটি ভালোভাবে লক্ষ্য করুণ

সুতরাং, কুরআনের ২৬ আয়াত নিয়ে রিটকারী ওয়াসিম রিজভীকে গণধোলাইয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ভারতে কুরআনের ২৬ আয়াত বাতিলের দাবীতে রিটকারী ওয়াসিম রিজভী গণধোলাইয়ের স্বীকার
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

পুরনো ছবি ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যের পদত্যাগের গুজব ভাইরাল

0

“একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য ও ছবি গতকাল রাত হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায় গত ১০ জুলাই ২০১৯ ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ হতে “পরনে পুলিশের পোশাক, হাতে ওয়াকিটকি, ডাকাতিই ছিল তাদের কাজ” শীর্ষক শিরোনামে গ্রেফতার অভিযানে উদ্ধারকৃত পুলিশের পোশাক, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাপ ও একটি সিগন্যাল লাইটের ছবিসহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, দেখুন এখানে।

মূলত ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ সহ সেসময়ে এই ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশিত ওই ছবিকে ব্যবহার করে “একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শিরোনামে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ পুলিশ হতে কোন সদস্য পদত্যাগ করেননি বলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে টিম রিউমর স্ক্যানার টিম নিশ্চিত হয়েছে।

সুতরাং, “একজন সৎ পুলিশের পদত্যাগ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: হেফাজতের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক পুলিশ সদস্যের পদত্যাগ
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

পুরনো ছবিকে হেফাজতের আন্দোলনের দাবী করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার

0

“হেফাজতের আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে ছেলেটি ” শীর্ষক শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও কমবয়সী একজন বাচ্চার রক্তাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে জানা যায় ভাইরাল ছবিটি পূর্ববর্তী সময়েও ইন্টারনেটে প্রচার হয়েছিলো। মূলত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ছবিটি ইন্ডিয়া এবং চীনের দাবী করে একাধিক টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছিলো।

চীনের দাবি করে করা টুইট

ভারতের ঘটনা দাবি করে সালমান রিজভি নামের একজন ভারতীয়র টুইট দেখুন এখানে।

তবে, ছবিটি কোন দেশের এবং প্রথম কত তারিখ-সময়ে ইন্টারনেটে আপলোড হয়েছিলো সেটি পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি।

সুতরাং, এটা নিশ্চিত যে ভাইরাল ছবিটি হেফাজতের চলমান আন্দোলনের নয়।

অর্থাৎ, হেফাজতের আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে ছেলেটি দাবী করে প্রচারিত ছবিটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: হেফাজতের আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে ছেলেটি !
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

২০১৮ সালের ছবিকে হরতালের ছবি দাবী করে গুজব প্রচার

0

“এই অবুঝ বাচ্চাটিকে মাঠে নামিয়েছে হেফাজতের নেতারা! অথচ মামুনুল হকের ৩ সন্তানের সবাই-ই নিরাপদে ঘরে রয়েছে।” শীর্ষক শিরোনামে একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে জানা যায় উক্ত ছবিটি ২০১৮ সালে টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ের।

একই বছর ডিসেম্বরের ১ তারিখ দেশীয় গণমাধ্যমে ছবিটি প্রকাশিত হয়েছিলো, গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন হতে জানা যায়, “তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের বিরোধে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের অভিযোগ উঠে এবং সাদ অনুসারীদের ঠেকাতে বেশ কয়েকদিন আগেই ইজতেমার মাঠে বিভিন্ন কওমি মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের আনা হয় যাদের বয়স ১০ বছরেরও কম। বাংলা ট্রিবিউন এবং আমাদের সময়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।

মূলত ২০১৮ সালের সংঘর্ষের সেই ছবিটি কে গতকালের হরতালের ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে।

অর্থাৎ, “এই অবুঝ বাচ্চাটিকে মাঠে নামিয়েছে হেফাজতের নেতারা” শিরোনামে ব্যবহৃত তথ্যচিত্র টি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review:এই অবুঝ বাচ্চাটিকে মাঠে নামিয়েছে হেফাজতের নেতারা!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

 

Sent by Jahirul Islam

গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে ভিপি নুরের নিজ পেজেই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার

0

“মোদি বিরোধী মিছিলে ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত” এরকম শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য আজ দুপুর হতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকটি পেজ ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল হতে প্রচার করা হচ্ছে। আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে।

ফ্যাক্টচেক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ঘিরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের পরপরই ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমানের ফেসবুক পেজ থেকে ১২.২৪ মিনিটে দেয়া একটি পোস্টে ভিপি নুরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা দাবী করা হয়। 

১২.৫৪ মিনিটে অর্থাৎ ৩০ মিনিট পরে ভিপি নুরের “Nurul Haque Nur” পেজটি থেকে ” ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ” দাবী করে আরেকটা পোস্ট শেয়ার করা হয়।

এরপর, দুপুর ০১.১০ মিনিটে ( ১৬ মিনিট পর ) মশিউর রহমানের ফেসবুক পেজ “Md Mosiur Rahman” হতেও ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত জানিয়ে পোস্ট করা হয়৷

তবে, দুপুর ০১.১২ মিনিটে অর্থাৎ মশিউরের পোস্টের ২ মিনিট পর যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নিজের ফেসবুক পেজ “Md Tarek Rahman” এ লাইভে এসে দাবী করেন নুর সুস্থ আছেন এবং নুরের নামে ফেক পেজ থেকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পোস্ট করা হয়েছে। লাইভটি দেখুন নিচে।

 

অপরদিকে, সংঘর্ষের পর গনমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখার সদ্য সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘নুরুল হক নুর গুলিবিদ্ধ হননি। টিয়ার গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন সুস্থ আছেন। ফেসবুকে নুরুল হক নুর নামের একটি পেজ থেকে ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ উল্লেখ করে পোস্ট দিলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

শুধু নুরের নামের পেজটি নয়, মশিউর রহমানও গুলিবিদ্ধ হওয়ার একই দাবী করেছিলো।

অর্থাৎ, তারেক রহমান ও ইয়ামিন মোল্লা’র দাবিতে জানানো হয়েছে ফেক পেজ থেকে স্ট্যাটাসটি দেয়া হয়েছিলো।

উল্লখ্য “Nurul Haque Nur” নামের যে পেজটিতে প্রথম গুলিবিদ্ধের খবর প্রকাশ পায় সেটিকে ভুয়া দাবি করা হলেও পেজটি মূলত ভুয়া নয়। সংঘর্ষ পরবর্তী সেই পেজ থেকেই ০৩.২০ মিনিটে নুর লাইভে আসেন এবং পরবর্তীতে পেজ থেকে পোস্টটি ডিলেট করে দেয়া হয়।

অর্থাৎ, পেজটি ভুয়া নয়, আসল।

সুতরাং, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য প্রদান ও ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার দাবিটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত
  • Claimed By: Facebook Post, Web Portal
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

না, পাকিস্তানে ৫ টাকায় বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছেনা

0

“রমজান মাস উপলক্ষে পাকিস্তানে প্রতি কেজি বাসমতি চাল ৫ টাকায় ও সাড়ে ১২ টাকায় দেড় লিটার তেল পাওয়া যাবে” এই মর্মে একটি সংবাদ বাংলাদেশের মূলধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং সূত্র হিসেবে জিও নিউজকে উল্লেখ করা হয়। ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্ট চেক

জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে পাকিস্তান সরকার নিয়ন্ত্রিত ইউটিলিটি স্টোরের মাধ্যমে বিক্রির জন্য একটি ভর্তুকি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫০ কোটি টাকার মতো।

জিও নিউজের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ভর্তুকি দেওয়ার পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হবে চিনি প্রতি কেজি – ৬৮ রুপি, ২০ কেজির আটার বস্তা – ৮০০ রুপি এবং ঘি এর দাম হবে ২০০ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য চিনি – ৩৮ টাকা, ২০ কেজি আটার বস্তা – ৪৩০ টাকা এবং ঘি – ১১০ টাকা প্রায়।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে কিছু পণ্যের দাম উল্লেখ না করে শুধু কোন পণ্যে কত টাকা করে ভর্তুকি দেয়া হবে সেটা উল্লেখ রয়েছে। যেমনঃ প্রতি কেজি ভোজ্য তেলে ২০ রুপি (১১ টাকা), প্রতি কেজি ময়দায় ২০ রুপি (১১ টাকা) এবং প্রতি কেজি বাসমতি চালে ১০ রুপি (৬ টাকা)

উল্লেখ্য, এই মূল্যমান গুলো পণ্যের মূল্য নয় বরং এসকল পণ্যে সরকার কত পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ, পাকিস্তানে বাসমতি চালের কেজি ৫ টাকা, তেল সাড়ে ১২ টাকা দাবী করে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: পাকিস্তানে বাসমতি চালের কেজি ৫ টাকা, তেল সাড়ে ১২
  • Claimed By: Web Portal
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

ইয়েমেনের শিশু নির্যাতনের ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবী করে গুজব প্রচার

0

”জাতি কি দেখবে এগুলো? এই ছেলেটা কিন্তু কোনো মাদ্রাসায় হিফজ খানায় পরেনা বা মাদ্রাসায় পরেনা। সে স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র। তার অপরাধ সে কেন ১০ মিনিট দেরি করে স্কুলে আসলো। আর অমনেই বেধরক মাইর” উপরোক্ত শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও একজন অর্ধনগ্ন শিশুর ছবি ‘হাটহাজারি মাদ্রাসা’ নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে প্রকাশিত হয় এবং বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।

আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে

ফ্যাক্ট চেক

গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে জানা যায়, ভাইরাল ছবির বাচ্চাটির নাম Shamakh Rashid Al-Qahaili এবং সে ইয়েমেনের বাসিন্দা। বাচ্চাটির বাবা তার নিজ সন্তানকে মানুষ করার জন্য এইভাবে পিটিয়েছিলো এবং পরবর্তীতে ইয়েমেনের পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো তাকে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ৪ তারিখে ইয়েমেনের সংবাদপত্রগুলাতে এই খবর ছবিসহ প্রকাশিত হয়।

ইয়েমেনের পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

উল্লেখ্যঃ গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি একই ছবি Imazighen d’origine إمازيغن دوريجين নামের একটি পেজ থেকে আপলোড করে দাবী করা হয় বাচ্চাটার সৎ মা তাকে এভাবে পিটিয়েছে।

আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাটহাজারি মাদ্রাসা ছাত্র নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত ছবিকে বাংলাদেশের স্কুলের শিশু নির্যাতনের ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে।

সুতরাং ”১০ মিনিট দেরি করে স্কুলে আসলো। আর অমনেই বেধরক মাইর” শীর্ষক শিরোনামে ভাইরাল ছবি এবং তথ্যটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: ১০ মিনিট দেরি করে স্কুলে আসলো। আর অমনেই বেধরক মাইর!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

Article Written by Guest Author:

Jahirul Islam

মেট্রোরেলের বগি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ছবি ও তথ্য প্রচার

0

“চলে এলো আমাদের মেট্রোরেল,
চট্টগ্রাম পোর্টে ক্লিয়ার হচ্ছে আমাদের মেট্রোরেলের বগি” উপরোক্ত শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও কিছু ছবি বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া কিছু ফেসবুক পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

ইঞ্জিন সংকট কাটাতে যুক্তরাষ্ট্র হতে ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম ধাপে এর আটটি গত ৬ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এ নিয়ে বেশ কিছু জাতীয় অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদন করা হয়েছে। যুগান্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে , কালেরকণ্ঠের “রেলের নতুন একঝাঁক ব্রডগেজ ইঞ্জিন এলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।

ব্রডগেজ ইঞ্জিন

মূলত, পোর্টে আসা ওই ইঞ্জিন গুলোর খালাসের ছবিগুলোকেই মেট্রোরেলের বগি বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের ট্রেন জাপানের কোবে পোর্ট থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জাইকা বাংলাদেশ জানিয়েছে, ২৪ সেট ট্রেনের মধ্যে প্রথম সেটটি গত ৩ মার্চ রাতে জাপানের কোবে পোর্ট থেকে জাহাজে উঠেছে। মেট্রোরেলের ট্রেন আসা সম্পর্কিত প্রথমআলোর “জাপান থেকে মেট্রোরেলের যে ট্রেন আসছে” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে। 

মেট্রোরেল ইঞ্জিন

অর্থাৎ, চট্রগ্রাম পোর্টে আসা বগিগুলো মেট্রোরেল প্রজেক্টের দাবী করে প্রচারিত বিষয়টি সত্য নয়।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: চলে এলো আমাদের মেট্রোরেল,
    চট্টগ্রাম পোর্টে ক্লিয়ার হচ্ছে মেট্রোরেলের বগি
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]