Home Blog Page 787

রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ৫ হাজার টাকা উপহারের ঘোষণাটি সত্য নয়

0

“করোনা পরিস্থিতির কারনে সাধারণ মানুষ অনেক আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। তাই সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ভেবে সরকার দেশের সবাইকে ৫,০০০ টাকা করে সরকারী অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।” শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে।

 

আর্কাইভ দেখুন এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ৫০০০ টাকা উপহার সম্পর্কিত কোন ঘোষণা মূলধারার কোন সংবাদমাধ্যম বা টিভি মিডিয়ায় এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয় নি।

এছাড়া বঙ্গভবন এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে খুঁজেও রমজান উপহার প্রদানের কোন নোটিশ সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, প্রচারিত তথ্যগুলোতে সংযুক্ত ওয়েবসাইটগুলো সন্দেহজনক এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ। নিচে এমন দুইটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন দেয়া হলোঃ

  1. http://35.203.114.56
  2. http://104.236.60.112

অর্থাৎ, “পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সরকার সবার বিকাশ একাউন্টে ৫,০০০ টাকা উপহার দিচ্ছে” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ঘোষণাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সরকার সবার বিকাশ একাউন্টে ৫,০০০ টাকা উপহার দিচ্ছে
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত রিকশাচালকের ছবিটি চলমান লকডাউন সময়কার নয়

0

অভুক্ত পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেয়ার জন্য লকডাউনের মধ্যে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার অপরাধে রিকশাওয়ালার এই হাল করেছে পুলিশ” শীর্ষক শিরোনামে পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত একজন রিকশাচালকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে দেখা যায় উক্ত ছবিটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়েছিলো।

ঢাকার শান্তিনগর মোড়ে পুলিশ-আনসার কর্তৃক রিকশা চালককে মারধরের অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালের ১৩ ও ১৪ই ডিসেম্বরে উক্ত ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিলো।

পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত রিকশাচালকের ছবিটির প্রথম আপলোডের তারিখ জানা যায়নি তবে এটি নিশ্চিত যে ভাইরাল হওয়া ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের বা লকডাউন চলাকালীন রমজান মাসের নয় বরং ৩/৪ বছর পূর্বের কোন ঘটনার।

সুতরাং,“লকডাউনে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ায় চালককে পিটিয়ে জখম করেছে পুলিশ” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ছবি ও তথ্যটি পুরোনো এবং বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: লকডাউনে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার অপরাধে রিকশাচালককে পিটিয়ে জখম করেছে পুলিশ
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

ছবিতে বাইডেনের পাশে থাকা শিশুটি জর্জ ফ্লয়েডের ছেলে নয়

0

“ফ্লয়েডের ছেলের কাছে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন” শীর্ষক শিরোনামে জো বাইডেনের সাথে একজন বালকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

আর্কাইভ দেখুন এখানে
ফেসবুকে ভাইরাল গুজব

 

আর্কাইভ দেখুন এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে দেখা যায় ২০২০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর জো বাইডেন নিজেই তার ইন্সটাগ্রাম আইডিতে ছবিটি আপলোড করেছিলেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Joe Biden (@joebiden)

মূলত, ২০২০ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মিশিগানের ডেটট্রয়েটে যান এবং সেখানে থ্রি থার্টিন নামক দোকান থেকে পোশাক ক্রয়কালীন উক্ত দোকান মালিকের ছেলে ‘সিজে ব্রাউনের’ সাথে কিছু সময় হাঁটু গেড়ে গল্প করার সময় ছবিটি তুলেন রয়টার্সের ফটোগ্রাফার Leah Millis

Leah Millis ছবিটি রয়টার্সের জন্য তুলেন

 

পরবর্তীতে টুইটারে একই বিষয়ে গুজব ছড়ালে ১৭ই নভেম্বর ২০২০ এ ফটোগ্রাফার Leah Millis বিষয়টিকে ভুয়া খবর উল্লেখ করে টুইট করেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় তোলা সিজে ব্রাউনের সাথে জো বাইডেনের সাক্ষাতের সেই ছবিটিকেই বর্তমানে জর্জ ফ্লয়েডের ছেলের কাছে জো বাইডেনের ক্ষমা চাওয়ার ছবি দাবী করা হচ্ছে। অর্থাৎ, “জর্জ ফ্লয়েডের ছেলের কাছে ক্ষমা চাইলেন জো বাইডেন” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: পুলিশের নির্যাতনে নিহত কৃষাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের ছেলের কাছে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইলেন জো বাইডেন!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

লকডাউনে রোজাদার রিকশাচালককে নির্যাতন দাবী করে প্রচারিত ছবিটি পুরোনো

0

সম্প্রতি “সারাদিন রোজা রাখছি বাবা! ভুল করে চলে আসছি, আর আসবো না। তবুও আমার চাকা ফুটা করো না। তা-ও শেষ রেহাই হলো না!” শীর্ষক শিরোনামে রিকশাচালক ও পুলিশের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে দেখা যায় এই ছবিটি ২০১৯ সালের মে ও জুন মাসে ভিন্ন ভিন্ন দুইটি ফেসবুক পেজ হতে আপলোড করা হয়েছিল অর্থাৎ কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রায় ৬ মাস পূর্বে, পোস্ট দুইটি দেখুন এখানে এবং এখানে

 

মূলত, ছবিটি কোন সময়ে প্রথম তোলা হয়েছিলো তা এখনো নিশ্চিত না হলেও এটি নিশ্চিত যে পুলিশ ও রিকশা চালকের মধ্যকার ভাইরালকৃত ছবিটি সাম্প্রতিক লকডাউন চলাকালীন রোজার সময়ের নয়। ছবিটি ২০১৯ কিংবা তার পূর্বের কোন সময়কার।

সুতরাং “লকডাউনে রোজাদার বৃদ্ধ রিকশা চালকের রিকশার চাকা ফুটো করে দিল পুলিশ” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ছবি ও তথ্যটি পুরোনো ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: লকডাউনে রোজাদার বৃদ্ধ রিকশা চালকের রিকশার চাকা ফুটো করে দিল পুলিশ!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

বরিশালে লকডাউনে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ দাবীতে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো

0

সম্প্রতি “লকডাউনে বরিশালে রিকশা চালকদের ওপর পুলিশের হামলা” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

২০১৮ সালের ১৯ শে এপ্রিল বরিশাল শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ বন্ধ করা ও লাইসেন্সের দাবিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্বে রিকশা শ্রমিক ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল(বাসদ) এর নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নামলে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়। এ নিয়ে তখন মূলধারার গণমাধ্যম যুগান্তরে “বরিশালে রিকশা শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।

১৯ এপ্রিল ২০১৮ সালে আরটিভি অনলাইন পোর্টালে “বরিশালে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত ২০” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে।

১৯ এপ্রিল ২০১৮ সালে একটি ইউটিউব চ্যানেলে সম্পূর্ণ ভিডিওটি আপলোড করা হয়, ভিডিওটি দেখুন নিচে।

২০ এপ্রিল ২০১৮ সালে আরেকজন ইউটিউব ব্যবহারকারী একই ভিডিওটি “বরিশালে উদয়ন স্কুলের সামনে মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ …” শিরোনামে আপলোড করেন, দেখুন নিচে।

মূলত ঐ দিনের পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের ভিডিওটিকে বর্তমানে লকডাউনে রিকশা চালকদের ওপর পুলিশের হামলা দাবী করে প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং,”বরিশালে লকডাউনে রিকশা চালকদের ওপর পুলিশের হামলা” শীর্ষক শিরোনাম প্রচারিত ভিডিওটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: লকডাউনে বরিশালে রিকশা চালকদের ওপর পুলিশের হামলা!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

ভুয়া তথ্য শনাক্তের ৮ টি উপায়

0

১. শিরোনামের প্রতি সন্দেহপ্রবণ হওয়াঃ

অধিকাংশ ভুয়া বা মিথ্যা সংবাদ এবং বিভ্রান্তিকর তথ্যের শেষে সাধারণত বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহার করে বিষয়টি আকর্ষণীয় করা হয়।

২. উৎস যাচাই করুণঃ

পরিচিত সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটের এর ন্যায় কিছু বর্ণে সামান্য পরিবর্তন এনে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে অনেক সময় বিভ্রান্তিকত সংবাদ প্রচারিত হয়। এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের প্রকৃত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সংবাদটি সেখানে আছে কিনা যাচাই করতে হবে।

৩. তথ্যসূত্র যাচাই করাঃ

স্ট্যাটাসে ব্যবহৃত তথ্যসূত্র যাচাই করতে উক্ত সূত্রের সোশ্যাল মিডিয়া আইডিসমূহ, ব্লগ ও ওয়েবসাইট পরিদর্শন করে নিশ্চিত হতে হবে যে সূত্রটি বিশ্বাসযোগ্য কি না।

৪. তারিখ যাচাইঃ

কোন অতিরঞ্জিত সংবাদ নজরে আসলে প্রথমে সেটি প্রকাশের তারিখ যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সংবাদটির শিরোনাম সার্চ করে হুবহু একই তথ্যে কোন পুরোনো সংবাদ আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করা যাবে।

৫. বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যমে নজর রাখাঃ

প্রচারিত তথ্য বা গল্পগুলো যদি দেশের মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হয় তবে সেটি মিথ্যা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।

৬. তথ্যটি রসিকতা কি নাঃ

প্রচারিত তথ্যটি রসিকতা, ব্যাঙ্গাত্মক বা কৌতুক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে কি না সেটি যাচাই করতে হবে। এরুপ হয়ে থাকলে গল্পের শেষে লেখক বা প্রকাশক Disclaimer ( Satire, sarcasm) ব্যবহার করে থাকেন।

৭. উৎসের অস্বাভাবিক বিন্যাসঃ

ভুয়া ওয়েবসাইট,আইডি ও পেজ গুলোর লেখায় অধিকাংশ বানান ভুল ও তথ্যগুলো অতিরঞ্জিত থাকে। সেক্ষেত্রে উৎসটির পুর্বের প্রকাশিত তথ্যগুলোর বিন্যাস অস্বাভাবিক কিনা সেটি যাচাই করতে হবে।

৮. উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারঃ

অনেকসময় ব্যক্তি বা গোষ্ঠি স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য বা গুজব প্রচার হয়ে থাকে। এজন্য দেশে ঘটিত সমসাময়িক বিষয়গুলোতে ভাইরাল হওয়া অতিরঞ্জিত তথ্যগুলো বিশ্বাসের পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সূত্র নিশ্চিত করতে হবে।

নুরবাহিনী কর্তৃক গণভবন ঘেরাও শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি ভুয়া

0

সম্প্রতি “মামুনুল হক গ্রেফতারে ক্ষেপে গেছে নুর বাহিনী, রাতেই গণভবন ঘেরাও” শীর্ষক শিরোনামের একটি লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আর্কাইভ দেখুন এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

যে ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে মামুনুল হক গ্রেফতারের ফলে গণভবন ঘেরাও দাবী করা হচ্ছে সেটি মূলত ১৭ই এপ্রিলে প্রচারিত বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব ইউনিয়নের মশাল মিছিলের লাইভ ভিডিওর একটি অংশ, দেখুন এখানে।

আল আহনাফ নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর করা ১৭’ই এপ্রিলের বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিলের লাইভটি দেখুন এখানে।

বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব ইউনিয়ন এর মশাল মিছিলের লাইভ ভিডিওর একটি অংশ কেটে সেই ভিডিওটি লাইভ স্ট্রিমিং এপের মাধ্যমে ভুয়া শিরোনামে পুনরায় সম্প্রচার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ১৮ এপ্রিল তারিখে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর প্রচারিত মশাল মিছিলটি ১৭ই এপ্রিল অর্থাৎ একদিন পূর্বে প্রথম সম্প্রচার হয়েছিলো।

অর্থাৎ,”মামুনুল হককে গ্রেফতারে ক্ষেপে গেল নুরবাহিনী, রাতেই গনভবন ঘেরাও” শিরোনামে প্রচারিত লাইভ ভিডিওগুলি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: মামুনুল হককে গ্রেফতারে ক্ষেপে গেল নুরবাহিনী, রাতেই গনভবন ঘেরাও!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

ছবিটি পুরোনো এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনের নয়

0

গতমাসে হেফাজত ইসলামের মোদি বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে এবং এরমধ্যে একটি ছবি টুইটারে ভিন্ন ভিন্ন তথ্যে ব্যাপকহারে শেয়ার করা হয় এবং দাবী করা হয় ‘মোদি বিরোধী আন্দোলনে ব্রাক্ষ্মবাড়িয়ায় একজন মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধোরের চিত্র এটি’।

আর্কাইভ দেখুন এখানে

টুইটার আর্কইভ সংস্করণ দেখুন নিচেঃ

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে দেখা যায় ছবিটি ইন্টারনেটে প্রথম ২০১৩ সালের মে মাসে আপলোড করা হয়েছিলো।

মূলত, ছবিটি ২০১৩ সালের মে মাসে শাপলাচত্বরে ঘটা সংঘর্ষের সময়ের উল্লেখ করে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্লগিং সাইট ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছিলো।

৫’মে শাপলা চত্ত্বর নামে একটি ব্লগ সাইটে প্রকাশিত ব্লগ 5 May 2013, The Genocide of the Mass Muslims in Bangladesh এ প্রবেশ করলে ভাইরাল ছবিটি দেখা যায়।

The Milli Gazette

১৪ মে, ২০১৩ সালে The Milli Gazette তে প্রকাশিত প্রতিবেদন Kristallnacht of the fascists in Dhaka তে ভাইরাল হওয়া ছবিটি আমাদের অনুসন্ধানে উঠে আসে।

Muslim Community Report

০৮ মে, ২০১৩ সালে Muslim Community Report এ প্রকাশিত Bringing the truth from injustice প্রতিবেদনটি ভাইরাল ছবিটি সহ তখনকার আন্দোলনের বেশ কিছু ছবি রয়েছে।

অর্থাৎ পুরোনো ছবিকে ব্রাক্ষ্মবাড়িয়ায় মোদি বিরোধী আন্দোলনের ঘটনার ছবি দাবি করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। সুতরাং, টুইটারে প্রচারিত মারধোরের এই ছবিটি পুরোনো ও বিভ্রান্তিকর।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: Photo shows Bangladesh’s ruling party Awami League goons beating a man, who appears to be a Madrasa Student, at Brahmmanbaria district.
  • Claimed By: Facebook Post, Twitter Post
  • Fact Check: Misleading

[/su_box]

Sent by Aqib Mohammed Fuad

মাঠে খাদ্যদ্রব্য সাজিয়ে রাখার ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার নয়

0

“করোনায় গরীবদের জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকার এভাবেই মাঠে খাবার সাজিয়ে রেখেছে” শীর্ষক শিরোনাম সম্বলিত একটি তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, দেখুন এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিভার্স ইমেজ সার্স পদ্ধতি ব্যবহার করে জানা যায় ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার নয় এবং করোনা মহামারীর সময়েরও নয়।

মূলত ছবিটি ২০১৯ সালের ১৬ মে তারিখে একটি গাম্বিয়ান ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছিলো যেখানে উল্লেখ ছিলো ‘ গাম্বিয়ার একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি রমজান মাসে এভাবেই তার এলাকার মানুষদের খাবার সহায়তা দিয়েছেন’, পোস্টটি দেখুন এখানে।

উল্লেখ্যঃ কোভিড-১৯ ভাইরাসটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম চিহ্নিত হয়। আর ছবিটি একই বছরের মে মাসে প্রকাশিত হয়েছিলো।

অর্থাৎ, “করোনায় গরীবদের জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকার এভাবেই মাঠে খাবার সাজিয়ে রেখেছে” শীর্ষক শিরোনামের ছবি ও তথ্যটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: করোনায় গরীবদের জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকার এভাবেই মাঠে খাবার সাজিয়ে রেখেছে!
  • Claimed By: Facebook Post
  • Fact Check: False

[/su_box]

মামুনুলের ২য় স্ত্রীর ছোট ছেলের নামে ভিন্ন ব্যক্তির ভিডিও ভাইরাল

0

সম্প্রতি “বড় ভাইয়ের সকল মিথ্যাচার ফাঁস করলেন মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট ছেলে” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

আর্কাইভ দেখুনঃ

ফ্যাক্টচেক

“SK Media Tech” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল হতে এক ইউটিউবার হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ড নিয়ে প্রায় ১১ মিনিটের একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন। ভিডিওতে মামুনুল হকের দাবিকৃত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার প্রথম ছেলে আব্দুর রহমানের (১৭) একটি ভিডিও নিয়ে সমালোচনার অংশ হিসেবে ঝর্ণার ছোট ছেলের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কেমন বক্তব্য প্রচার হতে পারে তা অভিনয় করে দেখান ঐ ইউটিউবার, ভিডিওটি দেখুন 

মূলত,ঐ ভিডিওটির অভিনয়ের অংশটুকো কাট করে ভিডিওর সেই ইউটিউবারকে ঝর্ণার দ্বিতীয় ছেলে দাবি করে ৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত হচ্ছে।

বিভ্রান্তিকর ভিডিওটি ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়লে ঐ ইউটিউবার “SK Media Tech” চ্যানেল থেকে আরো ৩ টি ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে জানান যে তিনি ঝর্ণার দ্বিতীয় ছেলে নয়।

উল্লেখ্য, ঝর্ণার দ্বিতীয় ছেলের নাম তামিম ও তার বয়স ১২ বছর।

সুতরাং, “বড় ভাইয়ের সকল মিথ্যাচার ফাঁস করলেন মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট ছেলে” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর ও তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব।

[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]

  • Claim Review: বড় ভাইয়ের সকল মিথ্যাচার ফাঁস করলেন মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট ছেলে!
  • Claimed By: Facebook Post, YouTube
  • Fact Check: False

[/su_box]