১. শিরোনামের প্রতি সন্দেহপ্রবণ হওয়াঃ
অধিকাংশ ভুয়া বা মিথ্যা সংবাদ এবং বিভ্রান্তিকর তথ্যের শেষে সাধারণত বিস্ময়সূচক চিহ্ন ব্যবহার করে বিষয়টি আকর্ষণীয় করা হয়।
২. উৎস যাচাই করুণঃ
পরিচিত সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটের এর ন্যায় কিছু বর্ণে সামান্য পরিবর্তন এনে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে অনেক সময় বিভ্রান্তিকত সংবাদ প্রচারিত হয়। এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের প্রকৃত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সংবাদটি সেখানে আছে কিনা যাচাই করতে হবে।
৩. তথ্যসূত্র যাচাই করাঃ
স্ট্যাটাসে ব্যবহৃত তথ্যসূত্র যাচাই করতে উক্ত সূত্রের সোশ্যাল মিডিয়া আইডিসমূহ, ব্লগ ও ওয়েবসাইট পরিদর্শন করে নিশ্চিত হতে হবে যে সূত্রটি বিশ্বাসযোগ্য কি না।
৪. তারিখ যাচাইঃ
কোন অতিরঞ্জিত সংবাদ নজরে আসলে প্রথমে সেটি প্রকাশের তারিখ যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সংবাদটির শিরোনাম সার্চ করে হুবহু একই তথ্যে কোন পুরোনো সংবাদ আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করা যাবে।
৫. বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যমে নজর রাখাঃ
প্রচারিত তথ্য বা গল্পগুলো যদি দেশের মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হয় তবে সেটি মিথ্যা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
৬. তথ্যটি রসিকতা কি নাঃ
প্রচারিত তথ্যটি রসিকতা, ব্যাঙ্গাত্মক বা কৌতুক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে কি না সেটি যাচাই করতে হবে। এরুপ হয়ে থাকলে গল্পের শেষে লেখক বা প্রকাশক Disclaimer ( Satire, sarcasm) ব্যবহার করে থাকেন।
৭. উৎসের অস্বাভাবিক বিন্যাসঃ
ভুয়া ওয়েবসাইট,আইডি ও পেজ গুলোর লেখায় অধিকাংশ বানান ভুল ও তথ্যগুলো অতিরঞ্জিত থাকে। সেক্ষেত্রে উৎসটির পুর্বের প্রকাশিত তথ্যগুলোর বিন্যাস অস্বাভাবিক কিনা সেটি যাচাই করতে হবে।
৮. উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারঃ
অনেকসময় ব্যক্তি বা গোষ্ঠি স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য বা গুজব প্রচার হয়ে থাকে। এজন্য দেশে ঘটিত সমসাময়িক বিষয়গুলোতে ভাইরাল হওয়া অতিরঞ্জিত তথ্যগুলো বিশ্বাসের পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সূত্র নিশ্চিত করতে হবে।