Home Blog Page 28

বিএনপির অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানের বক্তব্য দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি ভুয়া

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। দেশের একাধিক গণমাধ্যমে এই বক্তব্য লাইভ সম্প্রচারিত হয়েছে। তবে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ফেসবুক লাইভে সেনাপ্রধানের পেছনে বিএনপির একটি ব্যানার দেখা যায়। এই লাইভটির স্ক্রিনশট ব্যবহার করে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, সেনাপ্রধান বিএনপির রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন।

উক্ত দাবির কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির অনুষ্ঠানে গিয়ে সেনাপ্রধান বক্তব্য দিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গতকাল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকালীন ইত্তেফাকের লাইভের স্ক্রিনশট নিয়ে বিএনপির অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান শীর্ষক দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, উক্ত লাইভে বিএনপির যে ব্যানারটি সেনাপ্রধানের পেছনে বলে প্রতীয়মান হচ্ছিল তা মূলত মঞ্চের বাম পাশে ভিন্ন স্থানে টাঙানো ছিল। ইত্তেফাকের লাইভ ভিডিওটি মঞ্চের ডান পাশ থেকে বাম দিকে ক্যামেরা ধরে জুম করে রাখায় তা বিএনপির ব্যানারের ওপর ফোকাস হয়েছে। এতেই মঞ্চের মূল ব্যানার পুরোপুরি দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলোতে থাকা সেনাপ্রধানের বক্তব্যের ভিডিওর স্ক্রিনশটটির উৎস খুঁজতে গিয়ে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ফেসবুক পেজে একই ভিডিওর সন্ধান মেলে। ‘সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বক্তব্য দিচ্ছেন। সরাসরি..’ শিরোনামের এই ভিডিওটি লাইভ সম্প্রচার করা হয়। একই সময়ে অন্যান্য গণমাধ্যমেও সেনাপ্রধানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার হতে দেখা যায়। দীপ্ত টিভির ভিডিওতে ইত্তেফাকের মতোই প্রায় একই অ্যাঙ্গেল থেকে ক্যামেরা তাক করা থাকলেও তা জুম আউট অবস্থায় থাকায় সেনাপ্রধানের ডান পাশেই মূল মঞ্চস্থলে অনুষ্ঠানের মূল ব্যানার পরিলক্ষিত হয়। ইত্তেফাকের ভিডিও জুম-ইন অবস্থায় থাকায় মূল মঞ্চের ব্যানার দেখা যায়নি ভিডিওতে৷ এর ফলেই মঞ্চের বাইরে বাম পাশে থাকা বিএনপির ব্যানার ফোকাস হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।   

Comparison: Rumor Scanner 

পরবর্তী অনুসন্ধানে, ঢাকেশ্বরীর এই অনুষ্ঠানটির মঞ্চের মূল ব্যানারে রাজনৈতিক কোনো নেতৃবৃন্দের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়নি। মঞ্চেও দলীয় পদধারী কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি দেখা যায়নি। জন্মাষ্টমীর উৎসব ও কেন্দ্রীয় মিছিলের এই আয়োজন করে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির।

Screenshot: Facebook 

অর্থাৎ, এটি কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। জন্মাষ্টমীর একটি কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান ছিল।

সুতরাং, বিএনপির অনুষ্ঠানে গিয়ে সেনাপ্রধান বক্তব্য দিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

মেহজাবীন চৌধুরীর বিকিনি পরিহিত ছবি দাবিতে সম্পাদিত ছবি প্রচার

0

চলতি বছরের শুরুর দিকে বিয়ে পরিচালক আদনান আল রাজীবকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের প্রায় ৫ মাস পর হানিমুনে বিদেশ যায় এই দম্পতি। যার বেশকিছু মুহুর্তের ছবি মেহজাবীন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে শেয়ার করেন। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, বিদেশে গিয়ে মেহজাবীন বিকিনি পড়ে ছবি তুলেছেন দাবিতে তার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিকিনি পরহিত এই ছবিগুলো আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, তার কয়েকটি ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মেহজাবীন চৌধুরীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনার মাধ্যমে গত ২৬ জুলাই প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে তিনি তাদের হানিমুনে ইতালির লেক কমো ভ্রমণের কয়েকটি ছবি সম্বলিত একটি ফটো এ্যালবাম প্রচার করেছেন। 

ছবিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ফটো এ্যালবামে থাকা মেহজাবীনের বেশ কয়েকটি ছবির সাথে আলোচিত ছবিগুলোর পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং তার অঙ্গভঙ্গির হুবহু মিল রয়েছে। এছাড়াও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর পোশাকের রঙের সাথে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রচারিত ছবিগুলোর পোশাকের রঙেরও মিল লক্ষ্য করা যায়। 

Image Comparison by Rumor Scanner

মেহজাবীন চৌধুরীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজেও তাদের ইতালির লেক কমো ভ্রমণের ছবিগুলো দেখতে পাওয়া যায়। যেখানেও তাকে স্বাভাবিক পোশাকেই দেখা যাচ্ছে। যা থেকে স্পষ্টত বোঝা যায়, আলোচিত বিকিনি পরিহিত ছবিগুলো মেহেজাবীন চৌধুরীর লেক কমো ভ্রমণের ছবিগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। 

অর্থাৎ, মেহজাবীনের প্রকাশ করা ছবিগুলো সম্পাদনা করে এডাল্ট ছবি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিনোদন অঙ্গনের একাধিক নারী তারকা এমন ভুয়া এডাল্ট কনটেন্টের মাধ্যমে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। এই তালিকায় মেহজাবীন ছাড়াও আরো যারা আছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাদিয়া আয়মান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়া, পরী মণি।  

সুতরাং, মেহজাবীন চৌধুরীর বিদেশে গিয়ে বিকিনি পরিহিত ছবি তোলার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এই ছবিগুলো সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

  • Mehazabien Chowdhury Instagram Post
  • Mehazabien Chowdhury Facebook Page Post
  • Rumor Scanner’s Analysis

ধানমন্ডি ৩২ দেখতে আসা এই ব্যক্তি মওলানা ভাসানীর মেয়ের জামাই নয়

১৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খরা বাহিনী। ১৫ আগস্ট ভোর থেকে কিছু সমর্থক এলেও তাদের বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে যেতে দেননি আওয়ামী লীগ বিরোধীরা। এদের মধ্যে মারধর এবং হেনস্তার শিকারও হন কেউ কেউ। 

এরইমধ্যে জাগোনিউজের ফেসবুক পেজে সকাল ১০:৫০ মিনিটে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ৩০ সেকেন্ড সময়ের ঐ ভিডিওতে সাদা পাঞ্জাবী পরিহিত এক ব্যক্তিকে দাবি করতে শোনা যায় যে, তিনি টাঙ্গাইল থেকে ধানমন্ডি ৩২-এ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন এবং তিনি মওলানা ভাসানীর মেয়ের জামাই। এসময় পাশে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে আলোচিত ব্যক্তিকে তর্কে জড়াতে শোনা যায়। 

একই দাবিতে গণমাধ্যমটির ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে (আর্কাইভ)।

আলোচিত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিকে মওলানা ভাসানীর মেয়ের জামাই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি মওলানা ভাসানীর মেয়ের জামাই নন। উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে মওলানা ভাসানীর পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানো মওলানা ভাসানীর নাতি আজাদ খান ভাসানীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ১৫ আগস্ট তারিখে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে তিনি আলোচিত ব্যক্তিকে মওলানা ভাসানীর মেয়ের জামাই নন এবং ঐ ব্যক্তির সাথে মওলানা ভাসানী পরিবারের কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই বলে জানান।

পরবর্তীতে, মওলানা ভাসানীর মেয়েদের পরিবারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আজাদ খান ভাসানীর সঙ্গে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এসময় তিনি জানান, আলোচিত ব্যক্তিকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না এবং উনি মওলানা ভাসানীর মেয়ের জামাই কিংবা আত্নীয় কেউ নন। তাছাড়া, মওলানা ভাসানীর চার মেয়ের মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং বাকি মেয়েদের স্বামীরা কেউ বেঁচে নেই বলেও জানান তিনি। 

সুতরাং, ধানমন্ডি ৩২ দেখতে এলেন মওলানা ভাসানীর মেয়ের জামাই শীর্ষক এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

  • Azad Khan Bhashani: Facebook Post 
  • Statement from Azad Khan Bhashani 

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি নিয়ে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের নামে প্রচারিত মন্তব্যটি ভুয়া, প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত

0

সম্প্রতি, ‘বিএনপির নেতা কর্মিরা ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে বেশিই বাড়াবাড়ি করবে না, আগামী নির্বাচনে জনগন আমাদের মুক্তি যুদ্ধ বিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করবে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙ্গার অপরাধী হিসাবে ত আমাদের তারেক রহমানকে দোষারোপ করতেছে। ভবিষ্যতে আমরা কি মেজর জিয়ার কবর, আমাদের কবর আমরা বগলে নিয়ে ঘুরতে পারবো?’ শীর্ষক মন্তব্যটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের দাবিতে ডিবিসি নিউজের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এমন কোনো মন্তব্য করেননি এবং ডিবিসি নিউজও এধরনের কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, নজরুল ইসলাম খানের ভিন্ন একটি মন্তব্য নিয়ে ডিবিসি নিউজ কর্তৃক প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে এতে ডিবিসি নিউজ এর লোগো দেখতে পাওয়া যায় এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৫ আগস্ট (শুক্রবার) উল্লেখ রয়েছে। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে ডিবিসি নিউজ এর ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

তবে, ডিবিসি নিউজ এর ফেসবুক পেজে গত ১৫ আগস্ট প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের লিখা ব্যতিত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে। ডিবিসি এর মূল ফটোকার্ডটিতে ‘বাকশালের পরিবর্তে গণতন্ত্র এনেছিলেন জিয়াউর রহমান, সামরিক স্বৈরশাসনের গোরস্তানে গণতন্ত্র এনেছিলেন খালেদা জিয়া, আর ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন। – নজরুল ইসলাম খান’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে। তাছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের সাথে ডিবিসি নিউজ এর ফটোকার্ডের শিরোনামের ফন্টের অমিল রয়েছে। 

Photocard Comparison By Rumor Scanner 

অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ডিবিসি নিউজ এর এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

পাশাপাশি, আলোচিত ফটোকার্ডটির বিষয়ে ডিবিসি নিউজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল (১৬ আগস্ট) একটি পোস্টে জানানো হয়, আলোচিত ফটোকার্ডটি ডিবিসি নিউজ প্রকাশ করেনি, এটি ভুয়া। 

সুতরাং, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের মন্তব্য দাবিতে ডিবিসি নিউজের নামে প্রচারিত  ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র 

  • dbenews- Facebook Post (1, 2)

বাংলাদেশে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন দাবিতে ঢাকায় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের পুরোনো ভিডিও প্রচার

গত ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাংলাদেশের এবং পাকিস্তানের পতাকা পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে এমন একটি ভিডিও ঢাকায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ভিডিও হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবির কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

থ্রেডস প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভাইরাল ভিডিওটি ঢাকায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের কোনো ঘটনার নয়। ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে ২০২৫ সালের এপ্রিলে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি বিক্ষোভ সমাবেশের, যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশে অধ্যয়নরত কিছু পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরাও তাদের নিজ দেশের পতাকা নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন।


অনুসন্ধানে বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তাহিরের একটি ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পাওয়া গেছে। ৮ এপ্রিলের ওই পোস্টে একই ফুটেজ দেখা যায়। ভিডিও এবং পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায় এটি ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশের একটি সমাবেশের দৃশ্য। উল্লেখ্য, ভিডিওতে পাকিস্তানি পতাকা ধরে থাকা ব্যক্তিদের একজন হলেন পোস্টকারী মোহাম্মদ তাহির।

পাকিস্তানি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তাহিরের পোস্ট করা ওই ভিডিওটি মূলত Bangla Edition এর একটি প্রতিবেদন। বাংলা এডিশনের ইউটিউব চ্যানেলে উক্ত ভিডিওটি গত ৮ এপ্রিল “বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থী এক হয়ে নামলেন ফিলিস্তিনের পক্ষে” শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছিল।

গত ৭ এপ্রিল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হয়ে গাজায় ইজরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। সেই প্রতিবাদ সমাবেশেই নিজেদের দেশের পতাকা নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশে অবস্থানরত ওই পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা।

সুতরাং, উল্লেখিত ভিডিটিও ঢাকায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দৃশ্য হিসেবে প্রচারের বিষয়টি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

  • Mohammad Tahir 
  • Bangla Edition

১৫ই আগস্ট নিয়ে পোস্টের জন্য সেলিব্রেটিদের টাকা দেওয়া সংক্রান্ত ব্যাংক স্টেটমেন্টটি ভুয়া

0

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার কথিত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (এসসিবি) থেকে নয়জন ব্যক্তিকে গত ১৩ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে ২০ হাজার করে টাকা পাঠিয়েছেন (তিনটি অ্যাকাউন্টে ৪০০ টাকা বেশি পাঠানোর কথা উল্লেখ দেখা যাচ্ছে) এমন দাবিতে একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট সদৃশ কাগজের কপি প্রচার হচ্ছে গতকাল বিকেল থেকে। অনেকেই এই কপির ছবি শেয়ার করে দাবি করেছেন, ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে শেখ মুজিবকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য তাদের এই অর্থ পাঠানো হয়েছে।

এই দাবিতে প্রচার হওয়া ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।  

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপিটি ভুয়া। প্রকৃতপক্ষে, ১৩ ডিজিটের কথিত এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অস্তিত্বই নেই। ব্যাংকটির প্রচলিত স্টেটমেন্টের কপি যাচাই করে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, সেখানে বেনিফিশিয়ারিদের নাম বা অ্যাকাউন্ট নাম্বারও উল্লেখ থাকে না। তাছাড়া, ভুয়া এই স্টেটমেন্টটি অনলাইন থেকে সংগৃহীত ভুয়া টেমপ্লেটের মাধ্যমে তৈরি৷

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কথিত স্টেটমেন্টটি যাচাই করে বেশকিছু অসঙ্গতি চিহ্নিত করে রিউমর স্ক্যানার।

প্রথমত, শাওনের দাবিতে যে ১৩ ডিজিটের (1223767545676) অ্যাকাউন্ট নাম্বার এই কথিত স্টেটমেন্টে উল্লেখ রয়েছে তা ব্যাংকটির একাধিক অ্যাকাউন্টধারীর মাধ্যমে যাচাই করে রিউমর স্ক্যানার নিশ্চিত হয়েছে যে, এই অ্যাকাউন্ট নাম্বারের বিপরীতে ব্যাংকটিতে কোনো অ্যাকাউন্ট খোলা নেই। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তাও বিষয়টি রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন।

দ্বিতীয়ত, কথিত এই স্টেটমেন্টে টাকা পাঠানো অর্থাৎ, বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্টের নামও উল্লেখ দেখা যাচ্ছে। এমনকি ব্র্যাকেটের মাধ্যমে তাদের একাধিক নামও উল্লেখ দেখা যাচ্ছে যা কিছুটা অস্বাভাবিক। তবে ব্যাংকটির প্রচলিত স্টেটমেন্টের কপি যাচাই করে (অভ্যন্তরীণ বিষয় হওয়ায় স্ক্রিনশট যুক্ত করা হচ্ছে না।) রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, সেখানে বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্টের নাম বা অ্যাকাউন্ট নাম্বার উল্লেখ থাকে না।


তৃতীয়ত, অনলাইনে একই টেমপ্লেটের ওপর বিভিন্ন ব্যাংকের লোগো বসিয়ে স্টেটমেন্ট বানানোর নজির পাওয়া যাচ্ছে। এমন কিছু টেমপ্লেট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। এই স্টেটমেন্টের কপিটিও তেমনই একটি ভুয়া টেমপ্লেটের ওপর বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে ব্যাংক স্টেটমেন্টের এই ছবিটি ভুয়া। 

সুতরাং, ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্টের জন্য অভিনেত্রী শাওন কর্তৃক সেলিব্রেটিদের টাকা দেওয়া সংক্রান্ত দাবিতে যে ব্যাংক স্টেটমেন্টের ছবিটি প্রচার করা হচ্ছে তা ভুয়া।

তথ্যসূত্র 

  • Rumor Scanner’s own investigation

যুক্তরাষ্ট্রে শপলিফটিংয়ের দায়ে গ্রেফতার ভারতীয় নারী জিমিসা আভলানির ছবি দাবিতে এআই নির্মিত ও মেক্সিকোর ঘটনার ছবি প্রচার

সম্প্রতি জিমিসা আভলানি নামক এক ভারতীয় নারীকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘Target’ এক সুপারমার্কেট থেকে প্রায় ১০০০ ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য চুরি করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ গ্রেফতার করার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এরই প্রেক্ষিতে ‘ভদ্রমহিলা বিজেপি নেত্রী। নাম জিমিসা আভলানি। টুরিস্ট ভিসায় নিজের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা গিয়ে আমেরিকার এক সুপারমার্কেট “Target” এ প্রায় ১৩০০ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় টাকায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকারও বেশী মূল্যের জিনিস চুরি করে ধরা পড়েছে।…’ শিরোনামে কিছু ছবি ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

একই দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন ফেস দ্য পিপল (ইউটিউব)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে শপলিফটিংয়ের অভিযোগ গ্রেফতার জিমিসা আভলানির ছবি দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবি আসল নয় এবং অন্যটি জিমিসা আভলানির শপলিফটিংয়ের ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, এআই প্রযুক্তির সহায়তা নির্মিত ছবি ও মেক্সিকোতে ভিন্ন নারীর শপলিফটিংয়ের ঘটনার ছবি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো পৃথকভাবে যাচাই করেছে রিউমর স্ক্যানার।

ছবি যাচাই- ১ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে মেক্সিকোর গণমাধ্যম Zócalo এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ০১ মে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর একটি দৃশ্যের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত প্রথম ছবিটির মিল রয়েছে।

ভিডিওটির শিরোনাম থেকে জানা যায়, একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভান করে একটি দোকান থেকে জিনিসপত্র চুরি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়। ভিডিওটির বিবরণীতে বলা হয়, ভিডিওতে থাকা ওই নারী মেক্সিকোর কোয়াহুইলার সালটিলোতে অবস্থিত প্লাজা প্যাটিওর ভেতরে অবস্থিত কপেল স্টোর থেকে জিনিসপত্র চুরি করার চেষ্টা করে। তিনি তার পোশাকের নিচে বেশ কিছু জিনিস লুকিয়ে রেখে গর্ভবতী হওয়ার ভান করে।

এ বিষয়ে আরেক মেক্সিকান গণমাধ্যম Excelsior এর ওয়েবসাইটে গত ০২ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও একই চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়। আরও জানা যায়, এই ঘটনাটি মেক্সিকোতে গত ২৯ এপ্রিল  ঘটেছে। এই প্রতিবেদনে জিমিসা আভলানি নামক ভারতীয় নারীর বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি।

অর্থাৎ, প্রথম ছবিটি মেক্সিকোতে অবস্থিত একটি শপিংমলের স্টোরে একজন নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভান করে শপলিফটিংয়ের ঘটনার। 

ছবি যাচাই- ২ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের ম্যাকহেনরি কাউন্টিতে গ্রেফতারের তালিকাভুক্তির  একটি ওয়েবসাইটে একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত দ্বিতীয় ছবিটির আংশিক মিল রয়েছে। 

উক্ত ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ‘720-5/16-25(a)(1) – খুচরা চুরি – বিনিময় মূল্য থেকে ব্যবসায়ীকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে খুচরা প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য গ্রহণ’’ এর অভিযোগে জিমিসা আভলানিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অ্যালগনকুইন পুলিশ বিভাগ তাকে আটক করেছে। 

সেখানে উল্লেখ করা হয়, ওয়েবসাইটে যুক্ত ছবিটি গ্রেফতারকৃত জিমিসা আভলানির অফিসিয়াল মাগশটের ছবি। উক্ত ছবিতে জিমিসা আভলানির মুখমণ্ডল, পোশাক ও পারিপার্শ্বিকতার সাথে মিল থাকলেও প্রচারিত ছবির মতো তার মাথায় ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির চিহ্নযুক্ত টুপি ও গলায় উত্তরীয় নেই। 

আলোচিত ছবিটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রিউমর স্ক্যানার এতে বেশ কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করে। ছবিটিতে টুপির উভয় পাশের পদ্মের নকশায় অমিল এবং তার গলার উত্তরীয়তে সবুজ জমিনে একটি বিকৃত ‘B’ রয়েছে, যা এআই সম্পাদনার একটি সাধারণ সূচক। 

এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম Hive Moderation এ ছবিটি যাচাই করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।

সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্রে শপলিফটিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার ভারতীয় নারী জিমিসা আভলানির বিজেপির টুপি পরিহিত ছবি দাবিতে একটি এআই নির্মিত ছবি ও মেক্সিকোতে সংঘটিত শপলিফটিংয়ের ভিন্ন ঘটনার ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

পুতিনের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ব্রিকসের সম্ভাব্য নোট প্রকাশ করা হয়নি, প্রচারিত ছবিটি প্রতীকী নোটের

0

সম্প্রতি ‘B’RICS এর সম্ভাব‍্য মূদ্রার ছবি প্রকাশ করেছে রা’শিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লা’দিমির পু’তিন। তার X আ‍্যকাউন্টে ছবিটি প্রকাশ করেন পু’তিন।…এশিয়া-আফ্রিকা-দক্ষিন আমেরিকা এই তিনটি মহাদেশের অসংখ‍্য দেশ ব্রিকসে্র মধ‍্যে আসতে শুরু করবে এবং বিশ্ব ডলার-ইউরো-ব্রিকস্ এই তিনটি মূদ্রায় লেনদেন করবে। মূদ্রায় বাংলাদেশের পতাকার ছবিও আছে, যা শেখ হাসিনার একক অবদান।’ ক্যাপশনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্রিকসের সম্ভাব্য মুদ্রার ছবি দাবিতে একাধিক ছবি ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্রিকসের সম্ভাব্য মুদ্রা দাবিতে প্রচারিত ছবিতে থাকা নোটটি একটি স্মারক বা নমুনা নোট এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক্স আ‍্যকাউন্ট থেকে নোটটিকে ব্রিকসের সম্ভাব্য নোট উল্লেখ করে কোনো পোস্ট করা হয়নি।

অনুসন্ধানের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে উক্ত নোট সংক্রান্ত দাবির সপক্ষে কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। অ্যাকাউন্টটিতে সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৬ মার্চ পোস্ট করা হয়েছিল।


প্রচারিত নোটের বিষয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে রাশিয়ার অনলাইন গণমাধ্যম Lenta.RU এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত একটি ছবিতে প্রচারিত ছবির নোটের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি নোটের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে ‘50’ মূল্য মানের একটি নোট দেখা যায়, যেটির সাথে প্রচারিত নোটটির মিল রয়েছে। নোটটির বিষয়ে উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  ভ্লাদিমির পুতিনকে আন্তঃরাজ্য সংস্থার পক্ষ থেকে একটি ‘প্রতীকী ব্যাংকনোট’ উপস্থাপন করা হয়েছিলো, এটি ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর যৌথ কাজের প্রতীক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজান ব্রিকস সম্মেলনের আগে ভ্লাদিমির পুতিন সদস্য দেশগুলোর মিডিয়া প্রধানদের সাথে এক বৈঠকে বলেছিলেন যে একটি একক ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। তার মতে, এই বিষয়টি এখনও পরিপক্ক হয়নি এবং এটি নিয়ে তাড়াহুড়ো করার কোনও প্রয়োজন নেই।

রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভও জানিয়েছেন যে বর্তমানে একটি একক ব্রিকস মুদ্রা তৈরির কথা বিবেচনা করা হচ্ছে না। একই সাথে, তিনি একটি বিকল্প আর্থিক নিষ্পত্তি এবং অর্থপ্রদান ব্যবস্থা তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করার কথাও বলেছেন।

এ বিষয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম Rossiyskaya Gazeta এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও একই ছবি ও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, একটি স্মারক নোট তৈরির ধারণাটি কিরজাখ প্রিন্টিং হাউসের পরিচালক ইয়েভজেনি ফেডোরভের। ধারণাটি বেশ কয়েক বছর আগে জন্ম নেয় এবং ২০২৩ সালে জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে ১০০ ব্রিকস মূল্যের এই ধরণের নোট প্রথমবার প্রকাশিত হয়।

সুতরাং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক্স হ্যান্ডেল থেকে ব্রিকসের সম্ভাব্য নোটের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ধানমন্ডি ৩২ এ বোমাবর্ষণ দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরোনো ভিডিও প্রচার

১৫ই আগস্টকে কেন্দ্র করে গত রাত থেকে ‘ব্রেকিং: এই মুহুর্তে ধানমন্ডি ৩২ এ জঙ্গি হামলা, একের পর এক বোমা বর্ষন’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

এক্সে (সাবেক টুইটার) ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ধানমন্ডি ৩২ এ বোমাবর্ষণের কোনো ঘটনার নয়, বরং গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয় রাজনীতিতে পূর্বশত্রুতার জেরে ককটেল বিস্ফোরণের ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।


এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম চ্যানেল২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে ৭ টি ককটেল বিস্ফোরণ; আহত ৬’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে৷ 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গণঅধিকার পরিষদের সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিবের সাথে বারঘরিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান হারুনর রশীদের বিরোধ চলছিলো৷ এর জের ধরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হারুনর রশীদকে লক্ষ্য করে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় রাকিবের লোকেরা এবং পরে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙে দেয় তারা। এই ঘটনায় হারুনর রশীদসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। 

উক্ত বিষয়ে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৬’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়৷ 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ধানমন্ডি ৩২ এ বোমা বর্ষণের নয়।

উল্লেখ্য, দেশ টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত রাতে ধানমন্ডি ৩২ এর সামনে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

সুতরাং, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গত ফেব্রুয়ারি মাসে ককটেল বিস্ফোরণের ভিডিওকে ধানমন্ডি ৩২ এ বোমাবর্ষণের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র 

টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবের সমাধিতে মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন দাবিতে পুরোনো ছবি প্রচার

0

১৫ই আগস্ট উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শত শত মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন দাবিতে দুইটি ছবি ব্যাপকভাবে প্রচার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে। 

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

এরূপ দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবি দুইটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ২০১৯ ও ২০২৩ সালের পুরোনো ছবি ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

প্রচারিত ছবি দু’টির বিষয়ে অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা’র ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনে আলোচিত ছবি দু’টির একটির সন্ধান মেলে। সেদিন  

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ ও টুঙ্গিপাড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরে মানুষের ঢল নামে। ছবিটি সে সময়ে তোলা। 
পরবর্তী ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদনে আলোচিত ছবি দু’টির মধ্যে থাকা দ্বিতীয় ছবিটির সন্ধান মেলে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সেদিন রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত তার প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ছবিটি সে সময়ে তোলা।

অর্থাৎ, সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার হওয়া ছবি দুইটির একটি ২০২৩ সালে টুঙ্গিপাড়ার হলেও অন্যটি ২০১৯ সালে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তোলা।

পরবর্তী অনুসন্ধানে টুঙ্গিপাড়ায় এ বছরের ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে শেখ মুজিবের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের কোনো সংবাদ বা ছবি গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবের সমাধিতে মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন দাবিতে পুরোনো ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র