Home Blog Page 20

মাহিয়া মাহির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, “বাংলাদেশী অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার” শীর্ষক দাবিতে কিছু পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। প্রচারিত পোস্টগুলোতে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। বেশিরভাগ পোস্টগুলোই করা হয়েছে রাজনৈতিক দল এবং গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে খোলা ভুয়া ফেসবুক গ্রুপে।

আলোচিত দাবিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নামে পরিচালিত ভুয়া ফেসবুক গ্রুপে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। এই গ্রুপগুলোতে সম্মিলিতভাবে প্রায় ৬১,০০০ জন সদস্য রয়েছেন।

অন্তত ১২ টি মূলধারার গণমাধ্যমের নামে খোলা ভুয়া ফেসবুক গ্রুপ থেকে এই দাবিটি প্রচার হতে দেখা গেছে। গণমাধ্যমগুলো হলো- বিবিসি বাংলাপ্রথম আলোইত্তেফাকজনকণ্ঠএটিএন বাংলাবাংলা ভিশনআমার দেশবাংলাদেশ প্রতিদিনআরটিভিসময় টিভিআজকের পত্রিকা এবং বাংলা টিভি। এই গ্রুপগুলোতে সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫,৪৬,৪০০ জন সদস্য রয়েছেন।

প্রচারিত পোস্টগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেছে। সবগুলো পোস্টই পোস্ট দাতার পরিচয় গোপন রেখে Anonymous Participant হিসেবে করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার দাবিটি সঠিক নয় বরং, কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভুয়া এই দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুকের উক্ত দাবির কতিপয় পোস্টে একটি ওয়েবসাইটের লিংক সূত্র হিসেবে দেওয়া হয়েছে। রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে ‘news6angla.site’ নামের সাইটটি ব্লগস্পট প্ল্যাটফর্মে তৈরি ও .site ডোমেইনে হোস্ট করা একটি ভূঁইফোড় ওয়েবসাইট বলে প্রতীয়মান হয়। উক্ত ‘news6angla.site’ নামের এই ওয়েবসাইটে কথিত দাবির বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদটি পরবর্তীতে সরিয়ে নেওয়ায় তাতে কী উল্লেখ ছিল তা জানা যায়নি।


নায়িকা মাহিয়া মাহির এমন কিছু হলে তা স্বাভাবিকভাবে গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার হবার কথা। তবে, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবির সপক্ষে গণমাধ্যমে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিশ্বস্ত সূত্রেও উক্ত দাবির সত্যতা মেলেনি।

আলোচিত দাবির পোস্টগুলো অন্তত জুন মাসের শুরুর দিকে থেকেই ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। তবে, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে গত ২৫ জুন মাহিয়া মাহির ছবি পোস্ট করতে দেখা যায়।

এছাড়াও, গত ১৯ জুনের একটি পোস্টে তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছেন।

সুতরাং, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Mahiya Mahi: Facebook Account
  • Mahiya Mahi Sarker: Facebook Page

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তেল আবিবে অগ্নিকাণ্ড দাবিতে ইংল্যান্ডের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষিতে ‘ব্রেকিং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পর তেল আবিবে আ*গুনের দৃশ্য,  ২৪ জনের মৃ°ত্যু এবং সংখ্যা আরো বাড়ছে৷ #আলহামদুলিল্লাহ’ শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওটিতে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড এর ফলে সৃষ্ট বিশালাকৃতির ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিও ইসরায়েলের তেল আবিবে ইরানের নিক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্যের নয়। বরং, এপ্রিলে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন হেনলি কলেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে The Subtitle Guy নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩০ এপ্রিল ‘Huge fire at disused Henley College building in Coventry, Oxfordshire, England’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে এটি ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রি শহরের হেনলি কলেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও বলে উল্লেখ করা হয়।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে ব্রিটিশ গণমাধ্যম BBC NEWS এর ওয়েবসাইটে গত ৩০ এপ্রিল ‘Fierce flame at former college lights up night sky’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর পারিপার্শ্বিকতার মিল রয়েছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রি শহরের অব্যবহৃত প্রাক্তন হেনলি কলেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং প্রতিবেদনে যুক্ত ছবিগুলো উক্ত ঘটনার চিত্র।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের নয়।

সুতরাং, ইরানের নিক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ইসরায়েলের তেল আবিবে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও দাবিতে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন হেনলি কলেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিশ্বের ১৯টি দেশ ড. ইউনূসের বিচার চেয়েছে শীর্ষক দাবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, “ইউনুসের বিচার চাইলো ১৯টি দেশ। জাতিসংঘের চিঠি নিয়ে দেশে ফিরবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা” শিরোনামে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার চায়নি এবং জাতিসংঘও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ উল্লেখ করতে দেখা যায়নি। এছাড়া প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও আলোচিত দাবিটির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

স্বাভাবিকভাবে কোনো দেশ অথবা দেশের সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলে কিংবা গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছাড়া হওয়া সাবেক সরকার প্রধানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে জাতিসংঘ কোনো পদক্ষেপ নিলে তা নিয়ে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ঢালাওভাবে খবর প্রচার হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের ১৯টি দেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার চেয়েছে কিংবা শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে জাতিসংঘ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শীর্ষক দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ দেশিয় অথবা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রচার হতে দেখা যায়নি।

সুতরাং, ১৯টি দেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার চেয়েছে শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s analysis

এনসিপি নেত্রী নুসরাত তাবাসসুম দাবিতে ভিন্ন নারীর এডাল্ট ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটির নারী কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম নয় বরং, ইন্টারনেট থেকে ভিন্ন এক নারীর এডাল্ট ভিডিও সংগ্রহ করে তা আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Maya Diba’ নামক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ১৮ জুন প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে অ্যাকাউন্টটি থেকে একই নারীর একই রুম থেকে ধারণকৃত এমন আরও এডাল্ট ভিডিও প্রচার করতে দেখা যায়। এমন কিছু ভিডিও দেখুন – এখানেএখানেএখানে

উক্ত অ্যাকাউন্টি থেকে নিয়মিত প্রচারিত নারীর ভিডিও ও ছবি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত নারীর চেহারার সাথে এনসিপি নেত্রী নুসরাত তাবাসসুমের চেহারার স্পষ্টত অমিল রয়েছে।

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমের নয়।

সুতরাং, ইন্টারনেটে থেকে ভিন্ন নারীর এডাল্ট ভিডিও সংগ্রহ করে তা এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুমের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Maya___20___ : Instagram Video
  • Maya___20___ : Instagram Video
  • Maya___20___ : Instagram Video
  • Maya___20___ : Instagram Video
  • Maya___20___ : Instagram Account

ঝালকাঠির কথিত নারী সমন্বয়কের ভিডিও দাবিতে ভিনদেশি নারীর এডাল্ট ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ঝালকাঠির মুখ্য সমন্বয়ক ইসরাত জাহান মিতালির দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটির নারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠির কিংবা অন্য কোনো এলাকার সমন্বয়ক নন বরং, ইন্টারনেট থেকে এক ভিনদেশি নারীর ভিডিও সংগ্রহ করে তা আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘rani_im’ নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে অ্যাকাউন্টটি থেকে নিয়মিত একই নারীর এমন ভিডিও প্রচার করতে দেখা যায়। এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে। অ্যাকাউন্টটিতে লোকেশন হিসেবে ভারতের নাম উল্লেখ রয়েছে। 

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র   আন্দোলনের কোনো নারী সমন্বয়কের নয়।

এছাড়া, অনুসন্ধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইসরাত জাহান মিতালি নামের কোনো নারী সমন্বয়ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, ইন্টারনেট থেকে এক ভিনদেশি নারীর এডাল্ট ভিডিও সংগ্রহ করে তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠির কথিত নারী সমন্বয়কের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Indrani8367: Instagram Video
  • Indrani8367: Instagram Video
  • Indrani8367: Instagram Video
  • Indrani8367: Instagram Video
  • Indrani8367: Instagram Account

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের চিত্র দাবিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও প্রচার 

মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষিতে ‘ইসরাইল দেশে দফায় দফায় চলতেছে হা*ম*লা’ শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ইসরায়েলে ইরানের হামলার চিত্রের নয় বরং ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বিমানবন্দর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নিজেকে লস এঞ্জেলেস ভিত্তিক ফটোসাংবাদিক হিসেবে পরিচয়দানকারী Jon Putman নামক ব্যক্তির টিকটক অ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, ভিডিওটি লেক এলসিনোর বিমানবন্দরের আগুন ওর্টেগা হাইওয়ে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্যের। আগুনের শিখা রাস্তার উভয় পাশ সম্পূর্ণরূপে গ্রাস করে ফেলে, যার ফলে দমকলকর্মীসহ সকলকে সরিয়ে নেওয়া হয়। উক্ত ভিডিওটি ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে তোলা।

উক্ত তথ্যাবলীর সূত্র ধরে খুঁজে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম CBS News এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর  ‘Airport Fire burns tens of thousands of acres in Orange County’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ধরণের চিত্র ও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস এঞ্জেলেসের অরেঞ্জ কাউন্টির আরসি বিমানবন্দর এলাকার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার। 

সুতরাং, ইরানের হামলায় ইসরায়েলের চিত্রের ভিডিও দাবিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ফারজানা সিথির নাচের ভিডিও দাবিতে ভারতীয় নারীর ডিপফেক ভিডিও প্রচার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচিত মুখ ফারজানা সিথি’র ভিডিও দাবিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমন স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত নাচের ভিডিওটি ফারজানা সিথির নয় বরং অঞ্জলি অরোরা নামের একজন ভারতীয় নারীর নাচের ভিডিওতে ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পাদনার মাধ্যমে ফারজানা সিথির মুখমণ্ডল বসিয়ে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে anjimaxuofficially03 ইউজারনেমের একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৫ জুন প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত ভিডিওর নারীর চেহারা ব্যতীত পোশাক, অঙ্গভঙ্গি ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির হুবহু মিল রয়েছে। এছাড়াও উক্ত ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, ভিডিওর নারীর নাম অঞ্জলি অরোরা।

Screenshot: Instagram 

ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে এটি নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ইন্সটাগ্রাম থেকে এই ভিডিওটি সংগ্রহ করে ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে অঞ্জলি অরোরা নামের নারীর মুখমণ্ডলের স্থলে ফারজানা সিথির মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে উক্ত অ্যাকাউন্টের কয়েকটি ভিডিও পর্যালোচনার মাধ্যমে বোঝা যায়, অঞ্জলি অরোরা একজন ভারতীয়। 

সুতরাং, ফারজানা সিথির নাচের ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

  • Anjali Arora Instagram Account Post
  • Anjali Arora Instagram Account Post
  • Anjali Arora Instagram Account Post
  • Rumor Scanner’s Analysis

ইরানের আক্রমণে ছিটকে পড়া ইসরায়েলি নয়, অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওটি মালয়েশিয়ার রঙ কারখানার 

মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষিতে ‘এরা কখনো ভাবছিলো গা’জা’বা’সী’দে’র মতো আকাশে উড়বে?’ শিরোনামে একটি ভিডিও ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে।

প্রচারিত ভিডিওর ক্যাপশনে ভিডিওটিতে ইরানের আক্রমণে অগ্নিকাণ্ড থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে খোলা স্থান থেকে ছিটকে উপরে উঠে নিচে পড়া কোনো বস্তুকে ইসরায়েলি ব্যক্তি বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে বিস্ফোরণে খোলা স্থান থেকে ছিটকে উপরে উঠে নিচে পড়া বস্তু ইসরায়েলি ব্যক্তি নন বরং, মালয়েশিয়ার একটি রঙ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Al-Yazidi Fly Tourism and Travel Services Agency (আরবি থেকে অনূদিত) নামক ফেসবুক পেজে গত ০২ মে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগে থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে। 

পরবর্তীতে, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে Disaster News নামক অ্যাকাউন্টে গত এপ্রিলে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির বিষয়বস্তু ও পারিপার্শ্বিকতার মিল রয়েছে।

Screenshot: TikTok

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি মালয়েশিয়ার সেনাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি রঙ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার চিত্র। 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম The Sun Malaysia এর ওয়েবসাইটে গত ২৫ এপ্রিল ‘Senai paint factory fire injures 3, destroys vehicles and nearby units’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই ধরনের চিত্র ও তথ্য পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি গত ২৪ এপ্রিল ঘটে এবং এতে একজন বাংলাদেশি নাগরিকসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের নয়।

সুতরাং, ইরানের আক্রমণ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণের ফলে ইসরায়েলি ব্যক্তির ছিটকে পড়ার ভিডিও দাবিতে মালয়েশিয়ার একটি রঙ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিনোদনের জন্য তৈরি কনটেন্টকে চলন্ত ট্রেনে মোবাইল ছিনতাইয়ের আসল দৃশ্য দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি, “দেখুন অবস্থা ইউনুসের কিশোর গ্যাংদের” শিরোনামসহ ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে চলন্ত ট্রেনে মোবাইল ছিনতাইয়ের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

একই দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন খবরের কাগজ (ইউটিউব)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চলন্ত ট্রেনে এক যাত্রীকে আঘাত করে হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ভিডিওটি বাস্তব কোনো ঘটনার নয়। বরং, বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি থেকে প্রাপ্ত ইমেজ রিভার্স সার্চের মাধ্যমে IMRAN Comedy GP নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৫ মে তারিখে ‘ট্রেন থেকে কিভাবে মোবাইল চুরি করে #comedy’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে থাকা ভিডিওর দৃশ্যাবলীর সাদৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 
Screenshot from Facebook by Rumor Scanner 

উপরোক্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এবং প্রাপ্ত একাউন্ট দুইটি (ফেসবুক, ইউটিউব) পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, ময়মনসিংহের গৌরীপুর এলাকার সেলিম মিয়া এবং ইমরান বিনোদনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মজার ভিডিও বানিয়ে থাকেন এবং তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন। ট্রেন থেকে মোবাইল চুরি করার ভিডিওটি ঠিক তেমনই বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা কনটেন্ট। 

এছাড়া, একই পোশাক পরিহিত অবস্থায় রেলস্টেশনে বানানো একাধিক (এক, দুই, তিন) ভিডিও তাদের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে দেখতে পাওয়া যায়। 

অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি বাস্তব কোনো ঘটনার দৃশ্য নয়। 

সুতরাং, বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা কনটেন্টকে চলন্ত ট্রেনে মোবাইল ছিনতাইয়ের বাস্তবিক দৃশ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

ঘরবাড়ি হারিয়ে মুসলিমদের এক ইসরায়েলির অভিশাপ দেওয়ার ভিডিও দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রচার

সাম্প্রতিক সময়ের ইরান-ইসরায়েলের সংঘাতের প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটিতে “ঘরবাড়ি হারিয়ে মুসলিমদের অভিশাপ দিচ্ছেন এক ইসরায়েলি”।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি ঘরবাড়ি হারিয়ে মুসলিমদের এক ইসরায়েলির অভিশাপ দেওয়ার দৃশ্যের নয় বরং, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও।

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে উক্ত ভিডিওটির সম্ভাব্য মূল ভিডিওটি “joomasr703” ইউজারনেমের একটি একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে গত ১৬ জুনে প্রচার হতে দেখা যায়।

উক্ত টিকটক অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করলে এআই দিয়ে তৈরি একাধিক ভিডিও নানাসময়ে প্রচার হতে দেখা যায়। পাশাপাশি প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে ভয়েস ও পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও খানিকটা অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়।

এছাড়া, ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে ভিডিওটির নিচের ডান কোণে ‘Veo’ নামের একটি জলছাপ দেখতে পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘Veo’ গুগলের একটি উন্নত এআই টুল, যা টেক্সট প্রম্পট থেকে ৮ সেকেন্ডের বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম। এই ভিডিওটির দৈর্ঘ্যও ৮ সেকেন্ড।

বিষয়টি আরও নিশ্চিতের জন্য এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম “Cantilux” এ ভিডিওটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৮৬ শতাংশ।

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওকে ঘরবাড়ি হারিয়ে মুসলিমদের এক ইসরায়েলির অভিশাপ দেওয়ার দৃশ্য দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • joomasr703 – TikTok Post 
  • Cantilux
  • Rumor Scanners’ analysis