সম্প্রতি, “আপার শোকে কর্ণফুলি টানেলও অঝোরে কাঁদছে….” ক্যাপশনে জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠের একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জনকণ্ঠের ফাটোকার্ডে থাকা ছবিটি কর্ণফুলী টানেলের নয় বরং বান্দরবান বাস টার্মিনাল টানেলের।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ফটোকার্ডে থাকা জনকণ্ঠের লোগোর সূত্র ধরে জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠের ফেসবুক পেজে ২০২৫ সালের ১৯ আগস্ট প্রচারিত “তিন বছর না যেতেই ঝরনার মত পানি পড়ছে দৃষ্টিনন্দন টানেলে” শীর্ষক ফটোকার্ডটি খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ফটোকার্ডের মন্তব্য ঘরে পাওয়া একই শিরোনামের প্রচারিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত বান্দরবানের বর্তমান বাসস্ট্যান্ড থেকে হাফেজঘোনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল যাওয়ার পথে নির্মিত ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য টানেলটি তিন বছর না যেতেই বিভিন্ন অংশে ফাটল সৃষ্টি হয়ে ঝরনার মত পানি বের হচ্ছে। এ টানেলটিতে বিগত সরকারের আমলে উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের যোগসাজশে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অর্থাৎ, কর্ণফুলী টানেল নয়, জনকণ্ঠের সংবাদে উক্ত ছবিটি বান্দরবান বাস টার্মিনাল টানেলের বলা হয়েছে।
সুতরাং, জনকণ্ঠের ফটোকার্ডে থাকা বান্দরবান বাস টার্মিনাল টানেলে পানি চুইয়ে পড়ার ছবিকে কর্ণফুলী টানেলের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।