Home Blog Page 19

ইসরায়েলি ইহুদিদের নিজেদের মধ্যে বিরোধের দৃশ্য দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিও প্রচার 

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সময়ের সংঘাতের প্রেক্ষিতে “ইজরায়েলি ইহুদিরা শেষ পর্যন্ত নিজেরা নিজেরা লাগালাগি শুরু করেছে” শীর্ষক শিরোনামসহ ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে। 

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ইসরায়েলি ইহুদিদের নিজেদের মধ্যে বিরোধের কোনো দৃশ্যের নয়। বরং, ২০২৩ সালে ইসরায়েলি পুলিশ কর্তৃক ফিলিস্তিনের পতাকা টাঙানো সিয়োনবাদবিরোধী ইহুদি পাড়ায় অভিযানের দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ‘Sabah’ এর এক্স অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ০২ নভেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

তুর্কি ভাষার প্রচারিত উক্ত ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, “ইসরায়েলের পুলিশ পশ্চিম জেরুজালেমে এমন কিছু ইহুদি নাগরিকদের ওপর হামলা চালায়, যারা সিয়োনবাদের বিরোধিতা করে এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা টাঙিয়েছিল। ওই ইহুদিরা “নেটুরেই কার্তা” নামে পরিচিত এবং ধর্মীয়ভাবে অরথোডক্স। পুলিশ তাদের ওপর সরাসরি শক্তি প্রয়োগ করে।” (অনূদিত) 

এসব তথ্যের সূত্র ধরে তুরস্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘A News’ এর ওয়েবসাইটে একই তারিখে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ০২ নভেম্বর “Israeli police attacked anti-Zionist Jews hanging the Palestinian flag” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ইসরায়েলি পুলিশ ফিলিস্তিনের পতাকা টাঙানো সিয়োনবাদবিরোধী ইহুদিদের ওপর হামলা চালায়। ফিলিস্তিনের পতাকা সরাতে সিয়োনবাদবিরোধী ইহুদি পাড়ায় অভিযান চালানো হয়। ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরোধিতা করা ইহুদিরা ইসরায়েলি পুলিশের নির্মম সহিংসতার শিকার হয়। এসময় পুলিশ সামনে যাকে পেয়েছে, তাকেই আক্রমণ করেছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়। 

এছাড়া, আলোচ্য বিষয়ে আরবি ভাষায় প্রচারিত সিরিয়ান প্রেস সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৩ সালের ০১ নভেম্বর, পশ্চিম জেরুজালেমে। এটি ইসরায়েলের ভেতরে ক্ষোভ তৈরি করেছে এবং ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মূলত ইসরায়েলি রাষ্ট্রের নীতির সমালোচনার অংশ হিসেবে। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের নয়।

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলি ইহুদিদের নিজেদের মধ্যে বিরোধের দৃশ্য দাবিতে ইসরায়েলি পুলিশের পশ্চিম জেরুজালেমে সিয়োনবাদবিরোধী চরমপন্থী ইহুদি পাড়ায় অভিযানের পুরোনো ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর দাবিটি সঠিক নয়

সম্প্রতি, একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে জুতার মালা পরিয়ে তিরস্কার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশে ৪০ বছর শিক্ষকতা করা এক হিন্দু শিক্ষককে ইসলামপন্থীরা লাঞ্ছিত করেছে।

উক্ত দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন: এখানে

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটিতে দেখা যাওয়া ব্যক্তি বাংলাদেশে ৪০ বছর শিক্ষকতা করা কোনো হিন্দু শিক্ষক নন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি আহম্মদ আলী নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। তিনি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল লক্ষ্য করা যায়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সেদিন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে এক চিকিৎসককে গণপিটুনির পর জুতার মালা পরিয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করান স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আহম্মদ আলী।

Comparison: Rumor Scanner.

ঢাকা টাইমসের আরেক প্রতিবেদনে বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জামাল উদ্দিনের বরাতে জানানো হয়, বেরুলী বাজারে একটি চায়ের দোকানে মহানবী (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে আহম্মদ আলীকে দুপুরে আটক করে উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দেয়।

বিডিনিউজ২৪-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহম্মদ আলী নবাবপুর ইউনিয়নের তেকাটি গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।

উল্লিখিত প্রতিবেদনগুলোতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আলোচিত ব্যক্তি শিক্ষক নন এবং তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীও নন। বরং, তার নামের বানান অনুযায়ী এটা নিশ্চিত যে তিনি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী।

সুতরাং, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার অভিযোগে আহম্মদ আলী নামের এক মুসলিম ধর্মাবলম্বী অবসরপ্রাপ্ত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে জুতার মালা পরানোর ভিডিওকে বাংলাদেশে এক হিন্দু শিক্ষককে চরমপন্থীদের দ্বারা লাঞ্ছনার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৃশ্য দবিতে ২০১৪ সালের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সময়ের সংঘাতের মধ্যে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৃশ্যের নয়, বরং এটি ২০১৪ সালে ইসরায়েলি হামলায় গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুনের ঘটনার ভিডিও। 

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘euronews’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৪ সালের ২৯ জুলাই ‘Massive fire breaks out as Gaza’s only power plant hit by Israeli shelling’ শীর্ষক ক্যাপশনের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর প্রত্যেকটি দৃশ্য রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি ২০১৪ সালের ২৯ জুলাই ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের গোলায় গাজা উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ডিপোতে আঘাত হানার ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লাগা আগুনের দৃশ্য।

সেসময় একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন – এখানে, এখানে

অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ভিডিও নয়।

সুতরাং, ২০১৪ সালের ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইরানের হামলায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নির্বাচন প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার ফুয়াদের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

0

সম্প্রতি, ‘৫৪ বছর নির্বাচিত সরকার দেখেছি, আর নির্বাচন চাইনা গুলি মারি নির্বাচনকে, সেনাবাহিনী সাথে নিয়ে যেভাবে দেশ এগিয়ে নিচ্ছে ইউনুস সরকার, এভাবে ৫ বছর চললে এদেশ সােনার বাংলাদেশ হবে-ইনশা আল্লাহ’ শীর্ষক একটি তথ্য আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের ছবিসহ তার বক্তব্য হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্বাচন ও অন্তর্বর্তীকালীর সরকার প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এমন কোনো মন্তব্য করেননি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

শুরুতে আলোচিত দাবিটির সূত্রপাতের বিষয়ে অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম। ফেসবুক মনিটরিং টুলস ব্যবহার করে ‘প্রতিবাদী লেখক’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ নামক একটি গ্রুপে গত ০৬ জুন বিকাল ৪ টা ১৫  মিনিটে উক্ত দাবিতে প্রচারিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook

পরবর্তী, একই পোস্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। তবে উক্ত পোস্টগুলোতে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। 

দাবির সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আসাদুজ্জামান ফুয়াদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ এবং এবি পার্টির ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে দাবি সমর্থিত কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি।

স্বাভাবিকভাবে আলোচিত একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক পদধারী ব্যক্তি এমন কোনো মন্তব্য করলে সে বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কথা তবে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যমে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিশ্বস্ত সূত্রেও উক্ত দাবির সত্যতা মেলেনি।

সুতরাং, নির্বাচন ও অন্তর্বর্তীকালীর সরকার প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নামে প্রচারিত এই মন্তব্যটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র 

  • Rumor Scanner’s analysis.
  • Fuaad Abdullah – Facebook Account 
  • Barrister Asaduzzaman Fuaad – ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ  – Facebook Page 
  • Amar Bangladesh Party-এবি পার্টি – Facebook Page

চীনের শপিংমলে এক্সেলেটর দুর্ঘটনার দৃশ্য দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, “কিছুক্ষণ আগে চানে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শাপং মলের এক্সেলেটর হঠাৎ ভেঙে পড়ে। সূত্র-CC ক্যামেরা ফুটেজ” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি চীনের শপিংমলে এক্সেলেটর ভেঙে পড়ার দৃশ্য নয়; বরং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভুয়া ভিডিও।

ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বিশ্বস্ত গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে, ভিডিওটি কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে “motivatemove5” নামক ইউজার নেমের একটি টিকটক এ্যাকাউন্টে ২০২৫ সালের ১০ জুন ‘Elevator falls in famous shopping mall . . . . #tik_tok #collapse #tiktok #destruction #disasters #houseoftiktok #tik_tok’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর শুরু থেকে ৮ সেকেন্ড অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে। 

Screenshot: TikTok 

উক্ত ভিডিও প্রচারকারী চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, এটি একটি এআই কন্টেন্ট ক্রিয়েশন চ্যানেল। তারা বিভিন্ন ধরণের এআই ভিডিও (,,)  বানিয়ে থাকেন।

Screenshot: TikTok

বিষয়টি আরও নিশ্চিতের জন্য এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম হাইভ মডারেশনে ভিডিওটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ।

Screenshot: Hive Moderation. 

সুতরাং, এআই দিয়ে তৈরি একটি ভিডিওকে চীনের শপিংমলে এক্সেলেটর ভেঙে পড়ার দৃশ্য দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • motivatemove5 – Tiktok video
  • Rumor Scanner’s analysis.
  • Hive Moderation. 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সংবিধান নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে আলোচনার এই দাবিটি ভুয়া 

0

সম্প্রতি ‘ বাংলাদেশ সংবিধান ৩১২ অনুচ্ছেদ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শংকরের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছি। আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপরিকল্পিত বৈঠক করতে সক্ষম হয়েছি।’ শীর্ষক ক্যাপশনে কিছু ছবি Tamanna Akhter Yesman নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে তিনিই উক্ত পোস্টটি বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে প্রচার করেন ৷

পোস্টগুলো দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সংবিধান নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের  সাথে আলোচনার দৃশ্যের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রী রিম বিনতে ইব্রাহিম আল হাশিমির ভারতে সফরের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের ঘটনার ছবি। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ছবিগুলোর রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘DD News’ এর এক্স এ্যাকাউন্টে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল “EAM Dr. S. Jaishankar meets #UAE Minister of State for International Cooperation Reem Al Hashimy. Both leaders discuss further steps in the Comprehensive Strategic Partnership. Also exchanged perspectives on the regional and global situation. @MEAIndia” শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। আলোচিত দাবিতে প্রচারিত একটি ছবির সাথে উক্ত ছবিটির হুবহু মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘Emirates News Agency (WAM)’ এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল “রিম আল হাশিমি: আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং দৃঢ়।” (অনূদিত) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মাননীয় রিম বিনতে ইব্রাহিম আল হাশিমি ভারতের বন্ধুসুলভ প্রজাতন্ত্রে একটি উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ২৯ ও ৩০ এপ্রিল (২০২৪) তার এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রেক্ষাপটে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা। নয়াদিল্লিতে রিম আল হাশিমি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাননীয় ড. এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এবং তা আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব নিয়েও মতবিনিময় হয়। এই সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল নাসের আল শুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।”

এ বিষয়ে সেসময় বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম একই তথ্যসংবলিত সংবাদ (,) প্রচার করে। 

সুতরাং, ২০২৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রী রিম বিনতে ইব্রাহিম আল হাশিমির ভারত সফরের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের ঘটনার ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সংবিধান নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের  সাথে আলোচনার ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট কলেজের কথিত সমন্বয়কের এডাল্ট দৃশ্য দাবিতে ভারতীয় মডেলের ভিডিও প্রচার 

সম্প্রতি, ‘খাগড়াছড়ি ক্যান্টন ম্যান্ট কলেজের মূখ্য সমন্বয়ক নিপুনিকা চাকমার সচিত্র দেখুন’ ক্যাপশনে একটি নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওর নারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র  আন্দোলনের খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ কিংবা অন্য কোনো স্থানের সমন্বয়ক নন। বরং, ইন্টারনেট থেকে ভারতীয় এক মডেলের ভিডিও সংগ্রহ করে তা আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।  

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Tanishka chauhan’ নামক ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত বছরের ১৪ মে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

পরবর্তীতে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, ভিডিওর নারীর নাম তানিশকা চাওহান। তিনি একজন মডেল। পাশাপাশি তার অ্যাকাউন্টে প্রচারিত একাধিক ভিডিও পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায়, তিনি একজন ভারতীয়। 

অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে ভিডিওটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র   আন্দোলনের কোনো নারী সমন্বয়কের নয়।

এছাড়া, অনুসন্ধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিপুনিকা চাকমা নামের কোনো নারী সমন্বয়ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট কলেজের কথিত নারী সমন্বয়কের এডাল্ট দৃশ্য দাবিতে ভারতীয় মডেলের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

ফিলিং স্টেশনে যুবকের বুকে তরুণীর আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার ভাইরাল ভিডিওটি ভারতের, বাংলাদেশের নয় 

সম্প্রতি, “সন্তান হলে এমন হও। হোক সে মেয়ে বা ছেলে। মনে রাখবেন, পুরুষরা একবার ই মরে, কাপুরুষরা বারবার মরে” শিরোনামসহ ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিলিং স্টেশনে যুবকের বুকে তরুণীর আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং, এটি ভারতের উত্তর প্রদেশের হরদই জেলার বিলগ্রাম সিএনজি স্টেশনে এক তরুণী কর্তৃক যুবকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার দৃশ্য।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওর কিছু কী ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম Times of India এর ওয়েবসাইটে গত ১৬ জুনে ‘Woman pulls gun on CNG attendant in Hardoi’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যাবলীর মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

উপরোক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম The Economic Times এর ওয়েবসাইটে একই তারিখে অর্থাৎ গত ১৬ জুন “’Itni goliyaan maarungi…’: UP Woman points gun at CNG staff after safety rule clash, CCTV video goes viral” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Rumor Scanner 

উক্ত প্রতিবেদনের বিস্তারিত অংশ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ জুন ভারতের উত্তর প্রদেশের হরদই জেলার বিলগ্রাম সিএনজি স্টেশনে শাহেদাবাদের বাসিন্দা আরিবা খান (২১), তাঁর বাবা এহসান খান, মা হুসনে বানু গাড়ির জ্বালানি ভরতে সিএনজি স্টেশনে যান। জ্বালানি ভরার সময় ফিলিং স্টেশনের পরিচারক রজনীশ কুমার নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের গাড়ি থেকে নামতে বলেন। তবে তাঁরা আপত্তি করেন। এরপর তাঁদের সঙ্গে রজনীশ কুমারের তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে রজনীশ কুমারের দিকে আরিবা খান আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন। এরপর তাঁকে তাঁর মা টেনে গাড়িতে নিয়ে যান। এই ঘটনায় পরিচারক রজনীশ কুমার, আরিবা খান, এহসান খান ও হুসনে বানুর বিরুদ্ধে বিলগ্রাম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেন। 

এছাড়া, একই বিষয়ে গত ১৭ জুন Times of India এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে হরদই জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) নীরজ জাদৌনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, আরিবা খানের হাতের আগ্নেয়াস্ত্রটি এহসান খানের নামে লাইসেন্স করা। আগ্নেয়াস্ত্রটি ২৫টি কার্তুজসহ জব্দ করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে। আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। 

অর্থাৎ, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, বরং এটি ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ফিলিং স্টেশনের দৃশ্য। 

সুতরাং, ভারতের উত্তর প্রদেশে এক তরুণী কর্তৃক যুবকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করার দৃশ্যকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের দাবিটি ভুয়া


সম্প্রতি, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মর্মুর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করবে শীর্ষক দাবিতে Tamanna Akhter Yesman নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। উক্ত ছবি ও ভিডিও সম্বলিত পোস্টটিতে আরও দাবি করা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আওয়ামী লীগকে ৭৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে একই দাবি প্রচার হতে দেখা যায়।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিও ও ছবির সাথে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ ইস্যুর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রকৃতপক্ষে, ২০২২ সালে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস দমন কমিটির প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সাথে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বৈঠকের দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টে থাকা ভিডিওটি যাচাইয়ের চেষ্টা করে রিউমর স্ক্যানার। উক্ত ভিডিওটি থেকে প্রাপ্ত কিছু কী ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতির ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবরে ‘Heads of Delegations of the UN Security Council’s Counter Terrorism Committee called on President’ শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ৬ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওর শুরুর অংশের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে থাকা পোস্টের ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম Hindustan Times এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবরে ‘President: India has a national commitment to fight terrorism’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবাদবিরোধী কমিটির (CTC) বিশেষ বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান তুলে ধরেন। সেসময় তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

অর্থাৎ, উক্ত ভিডিও এবং ছবির সঙ্গে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

তাছাড়া, কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিংবা বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনায় আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণার খবর প্রকাশিত হয়নি।

পাশাপাশি, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ৭৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শীর্ষক দাবির পক্ষেও কোনো প্রমাণ বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ মে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত এমন ব্যক্তি বা সত্তা এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এই অধ্যাদেশের আলোকে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীর বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।

সুতরাং, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বৈঠকের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

দেশব্যাপী কালবেলায় সাংবাদিক প্রয়োজন দাবিতে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার

0

সম্প্রতি, সারাদেশে সাংবাদিক প্রয়োজন দাবিতে ‘কালবেলা পত্রিকা নিয়োগ বিভাগ’ নামক ফেসবুক পেজ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিমূলক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

প্রাচরিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে কাজের সুযোগ রয়েছে এমন উল্লেখিত পদ হলো-

১. স্টাফ রিপোর্টার

২. ক্রাইম রিপোর্টার

৩.বিশেষ প্রতিনিধি

৪. ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

৫. মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার

এছাড়াও, তথ্যের জন্য ‘01714660983’ নাম্বারে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কল করতে বলা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কালবেলায় সারাদেশে সাংবাদিক প্রয়োজন দাবিতে নিয়োগ সংক্রান্ত পোস্টটি ভুয়া বরং, প্রতারণার উদ্দেশ্যে কালবেলার নাম ব্যহার করে আলোচিত পোস্টটি প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টটিতে থাকা নাম্বারে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে, কালবেলার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করেও এ সংক্রান্ত কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তবে, কালবেলার ফেসবুক পেজে আলোচিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে গত ১৯ জুন “কালবেলার নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি” শীর্ষক শিরোনামে একটি ফটোকার্ড পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ফটোকার্ড সম্বলিত পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া একই শিরোনামে গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা ‘কালবেলা’র নাম ব্যবহার করে প্রতারণামূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছড়ানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘কালবেলা পত্রিকা নিয়োগ বিভাগ’ নামে একটি পেজ থেকে এ ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সারা দেশে প্রিন্ট ও অনলাইন বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে দৈনিক কালবেলা। স্টাফ রিপোর্টার, ক্রাইম রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার পদে কাজের সুযোগ রয়েছে। তথ্যের জন্য ০১৭১৪ ৬৬০৯৮৩ নম্বরে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কল করতে বলা হয়েছে।’

আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এ বিষয়ে জানতে উল্লেখিত নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। অন্য প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে নিজেকে হাসিব নামে পরিচয় দেন। সে সময় তিনি জানান, তিনি কালবেলার সহসম্পাদক। এ সময় তিনি চাকরিপ্রার্থীকে পেজের ইনবক্সে সিভি পাঠাতে বলেন। এ ছাড়া সরাসরি সিভি দিতে চাইলে তিনি এর সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার ডকুমেন্টস এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে বলেন।’

প্রতিবেদনটিতে শেষে বলা হয়, ‘এ বিষয়ে কালবেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সম্প্রতি কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। কালবেলার সব তথ্য পেতে পত্রিকাটির ভেরিফায়েড পেজগুলোতে যুক্ত থাকুন।’

সুতরাং, কালবেলায় সারাদেশে সাংবাদিক প্রয়োজন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র