Home Blog Page 18

জামায়াতের পক্ষ নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য দাবিতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার 

0

সম্প্রতি “একজন মানুষের পক্ষে জামায়াতের জন্য যতটুকু উপকার করা সম্ভব তার সবটুকুই করেছি” শিরোনামে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য দাবিতে জাতীয় দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ‘একজন মানুষের পক্ষে জামায়াতের জন্য যতটুকু উপকার করা সম্ভব তার সবটুকুই করেছি’ বলে কোনো মন্তব্য করেননি এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ফেসবুক পেজে সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে প্রচারিত ভিন্ন একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের লোগো রয়েছে এবং আলোচিত ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৯ আগস্ট, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে। 

পরবর্তীতে, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের লোগো ও ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে, গত ১৯ আগস্টে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে “এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তাদের বয়স কম। তারা আমাদের সন্তানের বয়সী। তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে” শীর্ষক শিরোনামে সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইন ও ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির হুবহু মিল রয়েছে। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের মূল ফটোকার্ডটিতে ‘এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তাদের বয়স কম…’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘একজন মানুষের পক্ষে জামায়াতের জন্য যতটুকু উপকার করা সম্ভব তার সবটুকুই করেছি…’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে। 

Photocard Comparison By Rumor Scanner 

অর্থাৎ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

মূল ফটোকার্ড সম্বলিত দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “বিভিন্ন মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তাদের বয়স কম। তারা আমাদের সন্তানের বয়সী। তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে।” এছাড়া, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। 

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে উদ্ধৃত করে  ‘একজন মানুষের পক্ষে জামায়াতের জন্য যতটুকু উপকার করা সম্ভব তার সবটুকুই করেছি’ শিরোনামে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

পার্বত্য চট্টগ্রামে উগ্রবাদী পাহাড়ি গোষ্ঠীর বেসামরিক নাগরিক হত্যার ভিডিও দাবিতে মায়ানমারের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, পার্বত্য চট্টগ্রামে উগ্রবাদী পাহাড়ি গোষ্ঠীরা বেসামরিক নাগরিকদের জবাই করে হত্যা করছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রবাদী পাহাড়ি গোষ্ঠীদের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এসএনএ-র বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার পুরোনো ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে মায়ানমার ভিত্তিক গণমাধ্যম The 74 Media এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর Video of Shane National Army (SNA) stabbing and killing five civilians শিরোনামে (ইংরেজিতে অনুদিত) প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত প্রতিবেদনটি মূলত আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি নিয়েই। যেখানে দুজন সামরিক পোশাকধারী ব্যক্তিকে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করতে দেখা যায়। ভিডিওটির শিরোনাম ও এতে দেখতে পাওয়া টেক্সট এআই প্রযুক্তির সহায়তায় ইংরেজিতে অনুবাদের মাধ্যমে জানা যায়, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া সামরিক পোশাকধারী ব্যক্তিরা মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন স্যান ন্যাশনাল আর্মি বা এসএনএ-র সদস্য। 

Collage by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটিতে সূত্রের বরাতে জানানো হয়, ভিডিওটি ধারণকারী মোবাইল ফোনটি ২০২৩ সালে মায়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের সেজিন নামের একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, ভিডিওতে দেখে নিহতের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। নিহতরা হলেন, উ ফো সি (৬৭), কো কাউং মিয়াত থু রেইন (২০), কো জাও মিও ত্বে (২৩), উ ফো ইয়াও (৪২) এবং উ চিত সান মাউং (৩৮)।

সুতরাং, মিয়ানমারে জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এসএনএ-র বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পুরোনো ভিডিওকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে উগ্রবাদী পাহাড়ি গোষ্ঠীদের হাতে বেসামরিক নাগরিক হত্যার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

বিএনপিকে চাঁদা না দেওয়ায় তেলবাহী গাড়িতে আগুন দেওয়ার এই দাবিটি ভুয়া

সম্প্রতি, বিএনপিকে চাঁদা না দেওয়ায় তেলবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিকে চাঁদা না দেওয়ায় তেলবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে, গত ২১ মার্চ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে লাউহাটি বাজারে তেলের দোকানে আগুনের সূত্রপাতের ঘটনায় লরিসহ আশেপাশের বেশ কিছু দোকান পুড়ে যায়। উক্ত ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানে ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘Razib Hosain’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২১ মার্চ ‘লাউহাটি বাজারে তেলের দোকানে আগুন লেগেছে তেল উঠানের পাম্প থেকে সর্ট সার্কিট থেকে।’ শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

Comparison : Rumor Scanner

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জাগোনিউজ২৪.কম -এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২১ মার্চ ‘টাঙ্গাইলে ২১ দোকান পুড়ে ছাই’ শিরোনামে প্রচারিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গত ২১ মার্চ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে লাউহাটি বাজারে আগুনের ঘটনা ঘটে। তেলের দোকানের একটি মোটরসাইকেল থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে মুহূর্তে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। 

দেশ টিভিআরটিভি, -এর ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

তবে, আজকের পত্রিকার ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে গত ২১ মার্চ ‘টাঙ্গাইলে আগুনে পুড়ল ১৮ দোকান’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের দোকানে লরি থেকে তেল নামানোর সময় আগুনের সূত্রপাত।

প্রতিবেদনগুলোতে এই ঘটনার সাথে বিএনপি কিংবা কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা উল্লেখ পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার সূত্রপাত হিসেবে ‘তেলের দোকানের একটি মোটরসাইকেল থেকে আগুনের সূত্রপাত’ কিংবা ‘তেলের দোকানে লরি থেকে তেল নামানোর সময় আগুনের সূত্রপাত।’ বলে উল্লেখ রয়েছে।

সুতরাং, বিএনপিকে চাঁদা না দেওয়ায় তেলবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেননি ঢাবি ভিসি

সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে ‘ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে দায়িত্ব ছেড়ে সব বলে দেবো; শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন ও ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন দেখুন যুগান্তর, দেশ টিভি, জিটিভি, দেশ রূপান্তর, যায়যায়দিন, ঢাকা প্রকাশ, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, বার্তা বাজার, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ টাইমস, ঠিকানা নিউজ, বিডি২৪রিপোর্ট, ফেস দ্যা পিপল, প্রতিদিনের সংবাদ, রুপালী বাংলাদেশ, স্বদেশ প্রতিদিন, এবং বিশ্ব বাংলা।  

যমুনা টেলিভিশন এবং বাংলাভিশন তাদের ফেসবুক পেজে একই দাবিতে একটি ফটোকার্ড প্রকাশ করে পরবর্তীতে সরিয়ে নেওয়া হয়। 

গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।  

অন্যান্য ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ‘ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে দায়িত্ব ছেড়ে দিবেন বলে মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, তার দেওয়া ‘এই আয়োজনে সবাই যতক্ষণ আমার হাত ধরে থাকবেন ততক্ষণ আমি মাঠে থাকবো। যেখানে আমার হাত ছেড়ে দেবেন, আমি পরিষ্কার আপনাদেরকে ডেকে বলে দিব যে এই জায়গাতে আমার বাধা হচ্ছে।’ শীর্ষক বক্তব্যটিকে গণমাধ্যমগুলোতে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।

আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার Nur Hossen-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২৩ আগস্ট করা একটি পোস্টের সন্ধান পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook 

পোস্টটিতে তিনি আরেক ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনে আলোচিত শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডের একটি স্ক্রিনশট প্রচার করে বলেন, ‘ডাকসু ভোট বাধাগ্রস্ত হলে নির্বাচনী দায়িত্ব ছেড়ে সব বলে দেবো’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি মিসলিডিং। গতকাল অর্থাৎ, ২৩ আগস্ট ঢাবির কালো দিবস উপলক্ষে টিএসসি অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় সাংবাদিকরা তাকে ডাকসু বিষয়ে কথা বলতে অনুরোধ করলে তিনি ডাকসু নিয়ে, ‘ছাত্রসংগঠনগুলোর আচরণে আমরা আশাবাদী। অনেক মতভেদ মতানৈক্য সত্তেও তারা ডাকসুতে অংশ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে- এটা আশাব্যঞ্জক। এই আয়োজনে যতক্ষণ আমার হাত ধরবেন ততক্ষণ আমি মাঠে থাকবো। আমার হাত ছেড়ে দিলে আমি পরিষ্কার সবাইকে বলে দেবো কোথায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছি।’ শীর্ষক মন্তব্য করেন বলে দাবি করেন নূর হোসেন। এছাড়াও সেসময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলেও পোস্টটিতে জানান।

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম একাত্তর টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৩ আগস্ট প্রচারিত ঢাবি উপাচার্যের সেদিনের পুরো বক্তব্যের ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনার মাধ্যমে তার বক্তব্যের কোনো অংশেই তাকে ‘ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে দায়িত্ব ছেড়ে সব বলে দেবো; শীর্ষক মন্তব্য করতে শোনা যায়না। তবে ভিডিওটির ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ড থেকে তাকে, ‘এটি এককভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কিংবা একটি নির্ধারিত মহলের বিষয় না। এই আয়োজনে সবাই যতক্ষণ আমার হাত ধরে থাকবেন ততক্ষণ আমি মাঠে থাকবো। যেখানে আমার হাত ছেড়ে দেবেন, আমি পরিষ্কার আপনাদেরকে ডেকে বলে দিব যে, এই জায়গাতে আমার বাধা হচ্ছে; পরিষ্কার কথা। এটি একটি জাতীয় দায়। যদিও এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান কিন্তু পুরো জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।’ শীর্ষক মন্তব্য করতে দেখা যায়। 

এছাড়াও উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতভাবে গণমাধ্যমে উপস্থাপনের প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাবি জনসংযোগ দফতর থেকে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়।

অর্থাৎ, এ থেকে স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান ‘ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে দায়িত্ব ছেড়ে সব বলে দেবো; শীর্ষক মন্তব্যটি করেননি। 

সুতরাং, ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান ‘ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে দায়িত্ব ছেড়ে সব বলে দেবো; শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে নয়, এটি ডিসি পদ না পেয়ে সচিবালয়ে হট্টগোলের পুরোনো ভিডিও

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সফরে গতকাল ২৩ আগস্ট দুপুরে ঢাকায় এসেছেন এবং তাঁর সফর ২৪ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে, “পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাংলাদেশে আসা নিয়ে সচিবালয়ে চলছে সচিবদের প্রতিবাদ এবং উচ্চপর্যায়ে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে চলছে বাকবিতণ্ডা” ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটির সঙ্গে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসহাক দার-এর ঢাকা সফরের কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়েরও নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৪ সালের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা। এটি সেই হট্টগোলেরই ভিডিও।

অনুসন্ধানে ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘ঢাকা পোস্ট’ -এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ‘ডিসি পদ না পেয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল’ শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে।

ভিডিওটির বিস্তারিত বর্ণনায় বলা হয়, ‘সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এবং মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুদিনে দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে হট্টগোল করেছেন উপসচিব পর্যায়ের একদল বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা………’

সেসময় সমকাল, কালবেলা, একাত্তর টিভি -এর ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ থেকেও জানা যায়,  ২০২৪ সালের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ১০ সেপ্টেম্বর করে উপসচিব পর্যায়ের একদল বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কে এম আলী আযমের কক্ষে হট্টগোল করেন।

সূতরাং, ডিসি পদ না পেয়ে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট সচিবালয়ে একদল বিক্ষুব্ধ উপসচিবের হট্টগোলের ভিডিওকে সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাংলাদেশে আসা নিয়ে সচিবালয়ে সচিবদের প্রতিবাদ ও উচ্চপর্যায়ে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে জয়লাভ নিয়ে বিএনপি নেতার বক্তব্য দাবিতে একাত্তর টিভির নামে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার 

0

সম্প্রতি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু “কেন্দ্র দখল করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ২৫০টির অধিক আসন পেয়ে জয়লাভ করবে বিএনপি” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে মূলধারার গণমাধ্যম একাত্তর টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে উদ্ধৃত করে একাত্তর টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রচার করেনি এবং রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও এমন কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৃতপক্ষে, এই বিএনপি নেতাকে উদ্ধৃত করে “ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ২৫০টির অধিক আসন পেয়ে জয়লাভ করবে বিএনপি” শিরোনামে একাত্তর টিভিতে ফেসবুকে পেজে প্রচারিত ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘একাত্তর’ টিভির লোগো এবং ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘১৫ আগস্ট, ২০২৫’ উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। 

উক্ত তথ্যগুলোর সূত্র ধরে একাত্তর টিভির ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করলে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, গত ০৬ জুলাই  ‘একাত্তর’ এর ফেসবুক পেজে “ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ২৫০টির অধিক আসন পেয়ে জয়লাভ করবে বিএনপি” শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। 

Photocard Comparison by Rumor Scanner 

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের লোগো, ছবি, তারিখ ও তারিখের ফন্টের মিল রয়েছে। তবে, বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মন্তব্য দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির লেখা ও লেখার ফন্টের বৈসাদৃশ্য পাওয়া যায়। একাত্তর এর উক্ত মূল ফটোকার্ডটিতে “ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ২৫০টির অধিক আসন পেয়ে জয়লাভ করবে বিএনপি” শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর সঙ্গে “কেন্দ্র দখল করে” শীর্ষক বাক্য যুক্ত করা হয়েছে। 

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় একাত্তর টিভির এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা (এডিট) করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে (যমুনা টিভি, কালের কণ্ঠ দেশ টিভি) আলোচ্য বিষয়ে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বক্তব্য সম্বলিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনগুলোতে কোথাও “কেন্দ্র দখল করে” শীর্ষক কোনো মন্তব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

অর্থাৎ, বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মন্তব্য দাবিতে “কেন্দ্র দখল করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ২৫০টির অধিক আসন পেয়ে জয়লাভ করবে বিএনপি” শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম একাত্তর টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র 

আব্দুল্লাহিল আমান আযমী নতুন সেনাপ্রধান হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি অনলাইনে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, এবার ধর্ষিতার (তনু) কারণে চাকরি গেল সেনাপ্রধানের, নতুন সেনাপ্রধান হলেন গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী।

এরূপ দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত ভিডিওটি ৬১ হাজারেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং ২ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে লাইক দেওয়া হয়েছে।

এরূপ দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি উক্ত ভিডিওটি ২ লক্ষ ৮৫ হাজারেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং ১১ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে লাইক দেওয়া হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজমের ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী নতুন সেনাপ্রধান হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে সেনাপ্রধান হিসেবে এখনও জেনারেল ওয়াকার উজ জামান দায়িত্বরত আছেন।

অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভিডিওটিতে সাংবাদিক, গায়িকা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর নবনীতা চৌধুরীর একটি ভিডিওর সংযুক্তি পাওয়া যায় যেখানে নবনীতা চৌধুরীকে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী ও বাংলাদেশের বিষয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। এছাড়াও, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে আলোচিত তনু হত্যার বিষয়েও উল্লেখ করা হয়। 

সংযুক্ত নবনীতা চৌধুরীর ভিডিওর বিষয়ে অনুসন্ধান করলে নবনীতা চৌধুরীর ইউটিউব চ্যানেলে ‘সেনাপ্রধান হচ্ছেন গোলাম আজমের ছেলে?’ শিরোনামে গত ২০ আগস্টে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। নবনীতা চৌধুরীর উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে সংযুক্ত নবনীতার ভিডিওটির সাথে তুলনা করলে মিল পাওয়া যায় এবং নিশ্চিত হওয়া যায় যে নবনীতা চৌধুরীর উক্ত ভিডিও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

Comparison : Rumor Scanner

তবে নবনীতা চৌধুরী তার ভিডিওতে বলেননি যে, আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বরং এ বিষয়ে দাবি করেন, পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ক্যাচলাইন’ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যাতে আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং এক্ষেত্রে তিনি নিজের প্রশ্ন উল্লেখ করেন।

পরবর্তী অনুসন্ধানে কথিত পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ক্যাচলাইন’ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত উল্লিখিত প্রতিবেদনটি ‘East Pakistan Must Return: Pakistan’s Hour of Reckoning After 54 Years’ শিরোনামে গত ১৬ আগস্টে প্রকাশ হতে দেখা যায়। প্রতিবেদনটির এক পর্যায়ে বলা হয়, “ভারতের আধিপত্য থেকে মুক্ত বাংলাদেশে প্রফেসর ড. ইউনুস পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর ব্রিগেডিয়ার আজমির বিরুদ্ধে জারিকৃত বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং তাকে পূর্ণ সুযোগ-সুবিধাসহ অবসর প্রদান করা হয়। তবে এটিকে প্রকৃত ন্যায়বিচার বলা যায় না। আজমির মতো যোগ্য ব্যক্তির উচিত পুনর্বহাল হওয়া, চার তারকা জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ লাভ করা। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে ড. ইউনুসের উচিত তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা—উভয় পদে নিয়োগ দেওয়া, যেখানে তার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য অমূল্য হবে।” (অনূদিত)

আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির থাম্বনেল ও শুরুর অংশ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পাশে বসে কোনো একটা নথিতে স্বাক্ষর করছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। ছবিটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের অবস্থানে অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া, পেছনে থাকা রাষ্ট্রপতির পতাকায় ‘রাষ্ট্রপতি’ শব্দের বদলে ‘রাজৃপতি’ শব্দ দেখা যায় যা সাধারণত এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বা পরিমার্জিত কনটেন্টে পরিলক্ষিত হয়। 

Comparison : Rumor Scanner

এছাড়া, থাম্বনেল ও ভিডিওর শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে ফুলের মালা গলায় আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থার একটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়। উক্ত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করলেও তাতে মুহাম্মদ ইউনূসের ত্বক, অঙ্গভঙ্গিতে অস্বাভাবিকতা ও আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বুকে লেখা বিকৃত অক্ষর দেখা যায় যা সাধারণত এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বা পরিমার্জিত কনটেন্টে পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত ছবিগুলো নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে কোনো মূলধারার গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত ছবিগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে থাম্বনেল ও ভিডিওর শুরুতে সংযুক্ত প্রচারিত ছবিগুলো মূলত এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি।

এছাড়াও, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও সেনাপ্রধান পদ থেকে জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের পদত্যাগ বা নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর নিয়োগের বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে এরূপ কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তা মূলধারার গণমাধ্যমে প্রচার করা হতো।

এছাড়া, আলোচিত দাবিটি মূলত গত ২২ আগস্টে প্রচার করা হয়েছে। এদিকে গত ২১ আগস্টে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এর ফেসবুক পেজে প্রচারিত এক পোস্টে জানানো হয়, “সরকারী সফরে আজ ২১ আগস্ট ২০২৫ চীন গমন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। সফরকালে, তিনি চীনের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় করবেন। সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ২৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।”

সুতরাং, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী নতুন সেনাপ্রধান হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সাভারে সেনা বিদ্রোহের দাবিটি ভুয়া

গতকাল (২৩ আগস্ট) পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। এই সফলকে কেন্দ্র করে সাভার ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহ চলছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সাভার ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর বিদ্রোহের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং প্রচারিত ভিডিওটি সাভারেরই নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি গত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা ইসিবি চত্ত্বর এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশ ও আনসার কর্তৃক ছত্রভঙ্গ করার ভিডিও। 

অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেলে গত বছরের ২৯ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের। 

প্রতিদিনের বাংলাদেশের ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে পুরো ভিডিওর কোনো অংশে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে, একটি অংশে ‘অনলাইন সিটি সড়ক, ইসিবি চত্ত্বর, মাটিকাটা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট’ লিখা যুক্ত একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়।

Screenshot: Protidiner Bangladesh YouTube Channel 

পরবর্তীতে, গুগল ম্যাপে বিশ্লেষণে উক্ত স্থানটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থিত বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যা সাভার ক্যান্টনমেন্ট থেকে অন্তত ২৩ কিলোমিটার দূরে

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, গত বছরের জুলাই মাসে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশ ও আনসার সদস্য কর্তৃক ছত্রভঙ্গ করার দৃশ্যকে সম্প্রতি সাভার ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর বিদ্রোহ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর মিছিল দাবিতে ছাত্রলীগের মিছিলের পুরোনো ভিডিও প্রচার 

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সফরে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে ঢাকায় এসেছেন। এরই প্রেক্ষিতে, “পাকিস্তানী উপ-প্রধানমন্ত্রী কে শুভেচ্ছা জানতে যাচ্ছে জিন্নার রেখে যাওয়া কিছু বাঙালি জা’র’জ সন্তান” ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে উক্ত দাবিতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কোনো মিছিল অনুষ্ঠিত হয়নি বরং, গত ১৬ জুন শাহবাগ ও কাটাবন এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কিছু কী ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৫ সালের ১৬ জুন প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি হুবহু মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মিছিলের ভিডিও। 

উল্লিখিত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র কি ওয়ার্ড সার্চ করে একই দিনে জাতীয় দৈনিক কালবেলার ওয়েবসাইটে “নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ১” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৬ জুন (সোমবার) ভোরে রাজধানীর শাহবাগ ও কাটাবন মোড় মধ্যবর্তী এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। মিছিল চলাকালে শাহবাগ সড়ক সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু হলের পকেট গেটের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সেসময় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ (,,) প্রচার করা হয়। 

সুতরাং, গত জুন মাসে রাজধানীর শাহবাগ ও কাটাবন এলাকায় ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ভিডিওকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশে মিছিল দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়নি, প্রধান উপদেষ্টাকে জড়িয়ে বানোয়াট দাবি

0

সম্প্রতি ‘অবশেষে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত! পিআর পদ্ধতিতে ভোট ঐক্যমত না হলে গণভোট’ শিরোনামে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছবিযুক্ত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘পিআর পদ্ধতিতে ভোট ঐক্যমত না হলে গণভোট’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস করেননি। প্রকৃতপক্ষে, কোনোরকম নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই বানোয়াট এই উক্তিটি তার নামে প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া, পিআর পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়েছে এমন কোনো তথ্যও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে তাতে কোনোপ্রকার তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে কোনো গণমাধ্যমের লোগো বা নামেরও উল্লেখ পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো গণমাধ্যম কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করে থাকলে, প্রচারিত ফটোকার্ডে গণমাধ্যমটির নাম বা লোগোর সংযুক্তি থাকে৷ 

প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত তথ্যের সমর্থনে কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

গত ২৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সাক্ষাতের প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের সাথে তার কথা বলার একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, প্রধান উপদেষ্টার সাথে তার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিভিন্ন আলাপ হলেও নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তার সাথে কোনো আলাপ হয়নি। এছাড়াও আগামী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে তাকে কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বিষয়ে গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট রাজশাহীর লোক প্রশাসন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজশাহীর অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জানান, “আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। যেহেতু এটা সংবিধানে নেই সেহেতু এর বাইরে তারা যেতে পারবেন না। এ নিয়ে রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক চললেও নির্বাচন কমিশনের এগুলো কাজ নয়।” তবে আইন পরিবর্তন হলে এই পদ্ধতিতে ভোট হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

অর্থাৎ, আসন্ন নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি অনুরণ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এ-সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি৷ 

সুতরাং, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য পিআর পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়েছে দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে জড়িয়ে প্রচারিত তথ্যটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র