Home Blog Page 123

আসিফ নজরুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়নি জাতিসংঘ, ভুয়া দাবি ফেসবুকে

0

সম্প্রতি, ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে জাতিসংঘ শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আসিফ নজরুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়নি জাতিসংঘ বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ব্লগস্পটের বিনামূল্যের ডোমেইন সাইট ব্যবহার করে প্রকাশিত ভুয়া সংবাদ সত্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ফেসবুক পোস্টগুলোর কমেন্টে সূত্র হিসেবে একটি সংবাদের লিংক দেওয়া হয়েছে।  

Screenshot: Facebook 

উক্ত লিংকে প্রবেশ করে দেখা যায়, এটি ব্লগস্পটের বিনামূল্যের ‘স্বাধীন নিউজ’ নামের এই ডোমেইন সাইটে ‘জাতিসংঘের নির্দেশে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের গ্রেপ্তার চূড়ান্ত’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনটি গত ০৬ মার্চ প্রকাশিত হতে দেখা যায় এবং এটিই আলোচিত দাবিটির সম্ভাব্য উৎস বলে প্রতীয়মান হয়। 

কথিত সংবাদটি পড়ে দেখা যায়, “বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এক বড় সিদ্ধান্ত এলো জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্দেশে **উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে**। তাঁর বিরুদ্ধে **রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ছড়ানো, সহিংসতা উসকে দেওয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ** আনা হয়েছে।”

জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধির বিবৃতির বরাত দিয়ে দাবি করা হয়েছে, “বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা দেখেছি, কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন। এটি বন্ধ করতেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

রিউমর স্ক্যানার জাতিসংঘের এমন কোনো বিবৃতির অস্তিত্ব পায়নি যেখানে সংস্থাটির পক্ষ থেকে আসিফ নজরুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

উক্ত দাবির বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূল ধারার গণমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রগুলোয়ও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবে এমন কোনো সংবাদ এলে হলে তা মূলধারা গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার কথা।

আসিফ নজরুল বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থান করছেন। ৫ মার্চ জেনেভায় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ওপর ‘চার্টিং দ্য পাথ ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। একই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মানবাধকার হাই কমিশনার ভলকার টুর্কও উপস্থিত ছিলেন।

সুতরাং, ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে জাতিসংঘ শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত সংবাদটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

ট্রাম্পকে ঢাকার মাফ করে দেওয়া সংক্রান্ত সংবাদ দেয়নি চ্যানেল২৪, সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার 

0

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাংলাদেশের দুজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে দেওয়ার কথা বলেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সত্য নয় বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই প্রেক্ষিতে “ট্রাম্পকে এবারের মতো মাফ করে দিলো ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা” শীর্ষক শিরোনামে মূল ধারার গণমাধ্যম চ্যানেল২৪ এর আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।   

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রাম্পকে ঢাকার মাফ করে দেওয়া সংক্রান্ত সংবাদ দেয়নি চ্যানেল২৪ বরং ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য সংক্রান্ত চ্যানেল২৪ এর একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সম্পাদনা করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে চ্যানেল২৪ এর লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ০৪ মার্চ, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে। এর সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, চ্যানেল২৪ এর ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে গত ০৪ মার্চ গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে “ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে খবর দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইন ও ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির সাথে আংশিক মিল রয়েছে।  

Comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, চ্যানেল২৪ এর এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

চ্যানেল২৪ এর এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা নিয়ে কোনো সুখবর নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ৪ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা। এই প্রতিবেদনে ট্রাম্পকে ঢাকার মাফ করে দেওয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

তবে সেদিন সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রসঙ্গেও কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের ক্ষেত্রে এ ধরনের (ট্রাম্পের) উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে মার্কিন দূতকে কেন তলব করা হবে না, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটাকে আমি কোনো উসকানিমূলক মন্তব্য বলে মনে করি না। একটি বিবৃতি দিয়েছি। আমরা দেখেছি যে এটার তেমন কোনো ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না। উনি (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) এটা তো স্পষ্ট করে বলেননি যে বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ রকম কোনো কথা তিনি বলেননি। তিনি দুই ব্যক্তি বলে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন, সেটি আমি জানি না। কাজেই এরপর আমরা কোনো বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন দেখি না।’

সুতরাং, ট্রাম্পকে এবারের মতো মাফ করে দিলো ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত চ্যানেল২৪ এর নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

ভিডিওর এই নারী সারজিস আলমের স্ত্রী নয়

গত ৩১ জানুয়ারি বিয়ে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারজিসের সাথে এক নারীর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করা হয় যে উক্ত নারী সারজিসের স্ত্রী।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওর এই নারী সারজিস আলমের স্ত্রী নয় বরং এই নারী গত বছরের জুলাইয়ের কোটা আন্দোলনে নিহত শহীদ সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিও থেকে জানা যায়, সে সময় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খানের কনসার্ট দেখতে আর্মি স্টেডিয়ামে যাওয়ার সময়ের দৃশ্য এটি। তবে এই ভিডিও থেকে উক্ত নারীর পরিচয় জানা যায়নি। 

Screenshot: YouTube  

পরবর্তীতে ভিডিওতে উপস্থিত থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সদস্য রায়হান আহমেদ তামীমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, উক্ত নারী জুলাইয়ের আন্দোলনে শহিদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন। নাম সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। 

রিউমর স্ক্যানার সেবন্তীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে থাকা তার ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওর নারীর চেহারার সাদৃশ্য পেয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত বছরের ১৯ জুলাই নিহত হন শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান সৈকত। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে সৈকত ছিলেন তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট। তারই বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। 

অর্থাৎ, ভিডিওতে থাকা নারী সারজিসের স্ত্রী নয়। 

তাছাড়া, সারজিস আলমের স্ত্রীর নাম কিংবা ছবি প্রকাশ করা হয়নি। তবে দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়। তিনি একজন কোরআনের হাফেজা। সবসময়ই পর্দা করে চলেন বলে জানা গেছে।

সুতরাং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারজিস আলমের সাথে এক নারীর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করা হয় যে উক্ত নারী সারজিসের স্ত্রী; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের তথ্যটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, ‘ব্রেকিং নিউজ: পদত্যাগ করলেন ডঃ ইউনুস আলহামদুলিল্লাহ। নিউজ লিংক কমেন্টে’ শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং গতকাল ৪ মার্চ তিনি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুকের উক্ত দাবির কতিপয় পোস্টে একটি ব্লগপোস্টের লিংক সূত্র হিসেবে দেওয়া হয়েছে। রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে sadhinnews247 নামের ব্লগস্পটের বিনামূল্যের ডোমেইনের এই সাইটটি একটি ভূঁইফোড় সাইট বলে প্রতীয়মান হয়। সাইটে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথিত দাবির বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে গতকাল (০৪ মার্চ)।

কথিত এই সংবাদে দাবি করা হয়, “নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড ১০ই মার্চের মধ্যে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি, ফলে অনেকে মনে করছেন তিনি এখনো সাংবিধানিকভাবে দেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। এ অবস্থায়, উপদেষ্টা পরিষদকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন কিছু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। যদি ১০ই মার্চের মধ্যে ড. ইউনূস পদত্যাগ না করেন, তাহলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।” 

তবে কথিত এই সংবাদের শিরোনামে ড. ইউনূস পদত্যাগ করেছেন এমন দাবি করা হলেও বিস্তারিত অংশে এমন কিছু উল্লেখ নেই। 

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি ওয়ার্ড সার্চ করে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘Bangladesh Television’ এর ফেসবুক পেজে ৪ মার্চ, ২০২৫ প্রকাশিত এক ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল ৪ মার্চ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ভিডিওতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সশরীরে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। 

Screenshoot: BTV Facebook Page 

একই বৈঠক নিয়ে দেশের মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে (, ,) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সশরীরে উপস্থিতির ছবি ও ভিডিও দেখতে পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি পদত্যাগ করলে এ বিষয়ে দেশের মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে ঢালাওভাবে সংবাদ প্রচার হওয়ার কথা। তবে, দেশের কোনো গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার হতে দেখা যায়নি। 

সুতরাং, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুরে জড়িত ব্যক্তি গণধোলাইয়ে নিহতের দাবিটি গুজব

0

সম্প্রতি, ‘আলহামদুলিল্লাহ ধানমন্ডি ৩২এ আঘাত করা এক কুলাঙ্গার একটু আগে প্রকাশ্যে গণধোলাই খেয়ে মারা গেছে।’- শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ধানমন্ডি ৩২ এ হামলাকারী প্রকাশ্যে গণধোলাই খেয়ে মারা গেছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং, উক্ত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নতুন সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ আত্মপ্রকাশের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনার।

অনুসন্ধানে আলোচিত ছবিটিতে বিডিনিউজ ২৪ এর লোগো লক্ষ্য করা যায়। উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে বিডিনিউজ ২৪ এর ফেসবুকে পেজে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চারটি ছবি যুক্ত করে প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা একটি ছবির সাথে আলোচিত ছবির হুবহু মিল রয়েছে।

Image Comparison By Rumor Scanner

উক্ত পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নতুন সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ আত্মপ্রকাশের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে হা*তাহা*তি ও ধ*স্তাধ*স্তিতে জড়ায় দুই পক্ষ। এটি সেই ঘটনায় ধারণকৃত ছবি।

উক্ত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে  প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে একই ঘটনায় যুগান্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পালটাপালটি স্লোগান, বিক্ষোভ, হাতাহাতি এবং পরে অন্তত দুই দফা মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।

এছাড়া, আলোচিত দাবির পোস্টগুলোতে ছবির ব্যক্তি ব্যক্তি নিহত হয়েছেন দাবি করা হলেও উক্ত  সংঘর্ষের ঘটনায় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দৈনিক আমাদের সময়ের সাংবাদিক আশিকুল হক রিফাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, ওইদিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এগুলো গুজব।

অর্থাৎ, প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন ঘটনার এবং ছবির সংঘর্ষের  ঘটনায় নিহত হওয়ার দাবিটি মিথ্যা। 

সুতরাং, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুরে জড়িত ব্যক্তি গণধোলাইয়ে নিহত হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ছদ্মবেশে শিশু চুরির ভাইরাল এই ভিডিওটি সাজানো

সম্প্রতি “সকলে সাবধান থাকবেন প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা ঘটতে থাকে  #fbyシvideo #bmw #facebookviral #foryouシ #viralvideochallenge @highlight” শীর্ষক দাবিতে এক বাসা থেকে শিশু চুরির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছদ্মবেশে শিশু চুরির দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সত্য কোনো ঘটনার নয় বরং, স্ক্রিপ্টেড বা অভিনীত ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘গৃহিনীর রান্নাঘর’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের ভিডিও ও ক্যাপশনের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও ও ক্যাপশনের হুবহু মিল রয়েছে৷

উক্ত ভিডিওর মন্তব্য ঘর পর্যবেক্ষণ করে ‘Popy Karmaker’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে’ শীর্ষক মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়। যার প্রতিউত্তরে ‘গৃহিনীর রান্নাঘর’ অ্যাকাউন্ট থেকে ‘Popy Karmaker আপনারা সাপোর্ট করলে এরকম আরো কিছু ভিডিও আমরা করতে পারি।’ লিখতে দেখা যায়। এছাড়া এমন আরো কিছু মন্তব্য দেখতে পাওয়া যায় 

Collage: Rumor Scanner

অর্থাৎ, ভিডিওটি মন্তব্য ঘর পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড বলে প্রতীয়মান হয়।

উক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, অ্যাকাউন্টটি থেকে নিয়মিত বিনোদনমূলক কনটেন্ট (, ) প্রচার করা হয়। 

সুতরাং, স্ক্রিপ্টেড বা সাজানো ভিডিওকে সত্য দাবিতে ছদ্মবেশে শিশু চুরির ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

  • গৃহিনীর রান্নাঘর: Facebook Account
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

ধর্মীয় পোশাকে ইফতার টেবিলে রোনালদো-জর্জিনার ভাইরাল ছবিটি ভুয়া

0

সম্প্রতি, পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও তার প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, রোনালদো সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত, আর জর্জিনা হিজাব পরে আছেন। তাদের পেছনে খাবারের টেবিলে ইফতারির আয়োজনও দেখা যাচ্ছে। ছবিটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে “রমজান মোবারক” ক্যাপশনসহ শেয়ার করা হচ্ছে।

উক্ত ছবিসহ ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ধর্মীয় পোশাকে ইফতার টেবিলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জর্জিনা রদ্রিগেজের আলোচিত ছবিটি বাস্তব নয়। বরং, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

ভাইরাল ছবিটির সত্যতা যাচাই করতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জর্জিনা রদ্রিগেজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করা হয়। তবে সেখানে সংশ্লিষ্ট ছবিটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে ‘Abdulrahman Ahmed’ নামের একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ১ মার্চ প্রকাশিত একটি পোস্টে উক্ত ছবি সম্বলিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রোফাইল পর্যালোচনায় দেখা যায়, অ্যাকাউন্টটির বায়োতে নিজেকে “ক্রিয়েটিভ এআই ডিজাইনার” হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রোফাইলে এআই দিয়ে তৈরি আরও অনেক ছবি পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে মক্কায় মেসি ও রোনালদোর ছবি, মক্কায় রোনালদো ও জর্জিনার ছবি (,,), এবং ইফতার টেবিলে রোনালদোর সঙ্গে একাধিক ফুটবল খেলোয়াড়ের সেলফি।

এ বিষয়টি পর্যালোচনার পর, রিউমর স্ক্যানার টিম ছবিটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে। ছবিতে রোনালদোর গলায় আরবি হরফে একটি ট্যাটু দেখা যায়, তবে বাস্তবে রোনালদোর শরীরে কোনো ট্যাটু নেই। ২০১২ সালে ইতালীয় গণমাধ্যম “দিরেত্তা”-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি ট্যাটু করাই না, কারণ এটি আমাকে রক্তদান থেকে বিরত রাখতে পারে।”

ছবিটির সত্যতা সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে, রিউমর স্ক্যানার টিম ডিপফেক শনাক্তকরণ প্ল্যাটফর্ম হাইভ মোডারেশনে ছবিটি বিশ্লেষণ করে। ওয়েবসাইটটির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯২%।

Screenshot: Hive Moderation.

সুতরাং, ধর্মীয় পোশাকে ইফতার টেবিলে রোনালদো-জর্জিনার এআই দিয়ে তৈরি করা ছবি বাস্তব বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s analysis.Abdulrahman Ahmed: Instagram Post
  • Hive Moderation. 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির জনসভার মিছিল থেকে ছাত্রশিবিরের সদস্যকে অস্ত্রসহ আটকের দাবিটি ভুয়া

সম্প্রতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির জনসভায় ছাত্রশিবিরের সদস্য অস্ত্রসহ মিছিলে অবস্থান করলে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি’র জনসভায়, ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা,সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালানোর জন্য,অস্ত্র সহ মিছিলে অবস্থান করে,সাথে সাথে বিএনপি’র যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে,পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়’

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টেচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির জনসভার মিছিল থেকে ছাত্রশিবির সদস্যের অস্ত্রসহ আটক হওয়ার দাবিটি সত্য নয় বরং, গত ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল এলাকা থেকে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের ঘটনাকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিডিওতে থাকা ‘আলোকিত গৌড়’ লেখার সূত্র ধরে স্থানীয় গণমাধ্যম ‘আলোকিত গৌড়-Alokito gour’ নামক ফেসবুক পেজে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল এলাকায় সন্দেহভাজন এক কিশোর আটক’ শীর্ষক শিরোনামে আপলোডকৃত একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির মন্তব্যের ঘরে উল্লেখ করা হয়, “চাঁপাইনবাবগঞ্জে মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল এলাকায় অ’স্ত্রসহ এক ব্যক্তি আটক।

বরেণ্য ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারির মাহফিল এলাকায় সন্দেহভাজন এক যুবককে অ’স্ত্রসহ আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার ২২ ফ্রেব্রুয়ারি দুপুর পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘোড়াস্ট্যান্ড এলাকায় তাকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ওই যুবক একটি সাইকেলে করে মাহফিলের দিকে যাচ্ছিলেন। সন্দেহজনক আচরণের কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা তাকে থামিয়ে তল্লাশি চালায় এবং তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
আরও বিস্তারিত আসছে…”

Screenshot: Facebook (আলোকিত গৌড়-Alokito gour)

ভিডিওটির পোস্টের ক্যাপশন কয়েকবার এডিট করা হয়। তবে, এডিট হিস্ট্রি পর্যবেক্ষণ করে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির জনসভায় ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালানোর জন্য অস্ত্র সহ মিছিলে অবস্থান করে সাথে সাথে বিএনপির যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়’ শীর্ষক দাবির উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

Screenshot: Facebook (আলোকিত গৌড়-Alokito gour)

এছাড়াও, পেজটিতে একই বিষয়ে আরও একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook (আলোকিত গৌড়-Alokito gour)

পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বার্তা২৪ এর ওয়েবসাইটে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘আজহারির মাহফিলে অস্ত্রসহ আটক ১’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামি আলোচক মিজানুর রহমান আজহারির মাহফিল এলাকায় সন্দেহভাজন এক যুবককে অস্ত্রসহ আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুর ইউনিয়নের ঘোড়াস্ট্যান্ড এলাকায় তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক একটি সাইকেলে করে মাহফিলের দিকে যাচ্ছিলেন। সন্দেহজনক আচরণের কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা তাকে থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এসময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র (রাইফেল) উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানান, আটককৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে গত ২২ ফেব্রয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল এলাকা থেকে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের ঘটনাকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

তাছাড়া, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ হয় গত ২৫ ফেব্রয়ারি। যেখানে আলোচিত ভিডিওটি তার দুইদিন আগ থেকে অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইন্টারনেটে বিদ্যমান রয়েছে।

সুতরাং, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মিজানুর রহমান আজহারির মাহফিল এলাকা থেকে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির আটক হওয়ার ঘটনাকে বিএনপির জনসভার মিছিল থেকে  ছাত্রশিবির সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ময়মনসিংহে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যকার উত্তেজনার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, ‘This is today’s Bangladesh under the captivity of Muhammad Yunus and his Islamist-jihadist cronies. The country is gradually heading towards a Caliphate.’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

অর্থাৎ, দাবি করা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার ইসলামপন্থী-জিহাদি দোসরদের বন্দীত্বে এই হলো আজকের বাংলাদেশের চিত্র, দেশটি ধীরে ধীরে খিলাফতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

উক্ত দাবিতে এক্সে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটির সাথে ধর্মীয় উগ্রপন্থার কোনো সংযোগ নেই বরং, ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিএনপির নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Fahad Ahmed Khan Jcd’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১ মার্চ প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে থাকা পাঁচটি ভিডিওর মধ্যে একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, এটি ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিএনপির নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে নিজের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির ঘটনার।

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক ইনকিলাব এর ওয়েবসাইটে গত ২ মার্চ প্রকাশিত ‘নান্দাইলে সংবর্ধনা নিতে এসে তোপের মুখে এলাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নান্দাইলে সংবর্ধনা নিতে এসে স্থানীয় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে এলাকা ছেড়েছেন উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী। শনিবার (১ মার্চ) সকালে নান্দাইলের নিজ বাড়ির সামনে বহিরাগত এনে অস্ত্রের মহড়া দেন তিনি। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাহারায় নান্দাইল ত্যাগ করেন তিনি।

জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইয়াসের খান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও এনামুল কাদিরকে সদস্য সচিব করে নান্দাইল উপজেলা বিএনপির ১১২ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সাবেক মেয়র আজিজুল ইসলাম পিকুলকে আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর রফিকুজ্জামান মনিরকে সদস্য সচিব করে নান্দাইল পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরদিন থেকেই শুরু হয় লাগাতার আন্দোলন। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কমিটি ঘোষণার ১৮ দিন পার হলেও নেতাকর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। কমিটি বাতিলের দাবিতে লাগাতার প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আন্দোলনের মুখে উপজেলায় আনন্দ মিছিল কিংবা যৌথসভা করতে পারেননি নতুন কমিটির নেতারা।

এছাড়া এই ঘটনায় কালবেলার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

সুতরাং, ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিএনপির নতুন কমিটিকে কেন্দ্র সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির  ভিডিওকে দেশে ইসলামিক উগ্রপন্থার উত্থান দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

জয়ের টাকা ও মোদির কথায় গুজব ছড়িয়েছি শীর্ষক ময়ূখের স্বীকারোক্তির এই ভিডিওটি ডিপফেক

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলার সঞ্চালক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের রিপাবলিক বাংলার টিভি চ্যানেলে স্বীকারোক্তি সদৃশ একটি ভিডিও প্রচার করে ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, “সজীব ওয়াজেদ জয়ের টাকা পেয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়িয়েছি: ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ”।

ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের কথিত স্বীকারোক্তির উক্ত ভিডিওটিতে তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি এতদিন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার নিয়ে যা যা বলেছেন সব মিথ্যা। বাংলাদেশ নিয়ে তিনি ইচ্ছেকৃতভাবে গুজব ছড়িয়েছেন যা সাংবাদিকতার জন্যেও লজ্জার। সত্যি বলতে কি বাংলাদেশের হিন্দুরা যে সম্মান ও অধিকার পায় তা ভারতের মুসলিমরা স্বপ্নেও পায় না। এছাড়াও তাকে বলতে শোনা যায় তিনি এসব মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের টাকা পেয়ে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির নির্দেশে প্রচার করেছেন।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়ের টাকা পেয়ে ও নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে বাংলাদেশ বিষয়ে গুজব ছড়িয়েছেন জানিয়ে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের স্বীকারোক্তির এই ভিডিওটি আসল নয় বরং, ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় রিপাবলিক বাংলায় ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের একটি ভিডিওতে ভুয়া অডিও সংযুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ এরূপ স্বীকারোক্তি কোন প্রেক্ষাপটে, কখন দিয়েছেন সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। এছাড়া, এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণও মেলেনি।

তবে, অনুসন্ধানে রিপাবলিক বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে “বাংলায় সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু হবে। এপারেও গ্রেটার বাংলাদেশ?” শীর্ষক শিরোনামে ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বরে প্রচারিত ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ উপস্থাপিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনে ময়ূখের পরিধেয় পোশাক, টাই, পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে ৪ মিনিট ও ৬ মিনিট পরবর্তী দৃশ্যের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায় এবং লক্ষ্য করা যায় এই দুই অংশের দৃশ্য আলোচিত দাবিতে প্রচারিত স্বীকারোক্তির ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্য মূলত উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের দুইটি অংশ থেকেই নেওয়া হয়েছে। 

Comparison : Rumor Scanner

কিন্তু, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের উক্ত আসল প্রতিবেদনে আলোচিত দাবির অনুরূপ কোনো কথাই ময়ূখকে বলতে শোনা যায়নি। উক্ত ভিডিওতে ময়ূখ বরং ভারতের ‘পুরমন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম’ এর সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বিষয়ে একটি বক্তব্য এবং বাংলাদেশের মাওলানা নূর হোসেনের বক্তব্য দাবিতে একটি বক্তব্য বিশ্লেষণ করেছেন। বিশ্লেষণে তিনি ভারতে হিন্দুরা বিপদে আছে দাবি করে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের অবস্থানের সমালোচনা করেন। তাছাড়া, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে সংযুক্ত অডিও এর সাথে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের অঙ্গভঙ্গির কিছুটা অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায় যেটি মূল ভিডিওতে পরিলক্ষিত হয়নি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটির সম্ভাব্য মূল ভিডিও আরটিনিউজ২৪ বিডি নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির বর্ণনা অংশ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিও কনটেন্টটি পরিবর্তিত বা কৃত্রিম এবং এর শব্দ বা ভিজ্যুয়াল উল্লেখযোগ্যভাবে সম্পাদিত বা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে বলে লেবেল করা হয়েছে। 

Screenshot: YouTube

এই চ্যানেলের অধীনে থাকা ফেসবুক পেজেও আলোচিত ভিডিওটি পোস্ট করেছে। তবে সেখানে এরূপ কোনো লেবেল বা সতর্কতা দেওয়া হয়নি বরং, আসল দাবিতেই পোস্ট করা হয়েছে।

এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, মূলত ভারতের ‘পুরমন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম’ এর সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বিষয়ে একটি বক্তব্য ও মাওলানা নূর হোসেনের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে ভারতে হিন্দুরা বিপদে আছে দাবি করে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদের অবস্থানকে ময়ূখের সমালোচনা করার ভিডিওটির দৃশ্য নিয়ে তাতে ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের ভুয়া অডিও সংযুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। 

এই ইউটিউব চ্যানেল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, তারা নিয়মিতভাবে এআই এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এমন ভুয়া কনটেন্ট প্রচার করে থাকে। উক্ত ফেসবুক পেজটি থেকে এর আগে এরকম একাধিক এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও আসল দাবিতে প্রচার করা হলে সে বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

উল্লেখ্য যে, ডিপফেক হল বাস্তবসম্মত দেখতে কিন্তু নকল বা কিছুটা পরিবর্তিত কন্টেন্ট যা ভিডিও বা অডিওর উপাদান সম্পাদনা করে তৈরি করা হয়। ডিপফেক ভিডিওতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে একজন ব্যক্তির মুখের অবয়ব বা ভয়েসকে অন্য কারোর সাথে বা নিজেরই ভুয়া ভিন্ন ঘটনার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই প্রযুক্তির সহায়তায় একজন ব্যক্তির এমন কিছু ভিডিও বা অডিও কন্টেন্ট তৈরি করা সম্ভব যা তিনি নিজে বলেননি বা করেননি।

সুতরাং, সজীব ওয়াজেদ জয়ের টাকা পেয়ে ও নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে বাংলাদেশ বিষয়ে গুজব ছড়িয়েছেন জানিয়ে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিওটি ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র