Home Blog Page 119

গোপনে গাঁজা ও মদের ব্যবসা করেন শান্ত আয় ২ কোটি শীর্ষক সংবাদ দেয়নি যমুনা টিভি

0

সম্প্রতি “ক্রিকেটের পাশাপাশি গোপনে গাঁজা ও মদের ব্যবসা করেন শান্ত আয় ২ কোটি” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম যমুনা টিভির লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “ক্রিকেটের পাশাপাশি গোপনে গাঁজা ও মদের ব্যবসা করেন শান্ত আয় ২ কোটি” শিরোনামে যমুনা টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যমুনা টিভির ডিজাইন ব্যবহার করে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে যমুনা টিভির লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ৭ মার্চ, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে যমুনার ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি আলোচিত ফটোকার্ডটির ফন্টের সাথেও যমুনা টিভির প্রচলিত ফটোকার্ডের ফন্টের মিল পাওয়া যায়নি। 

Screenshot comparison: Rumor Scanner 

অর্থাৎ, যমুনা টিভির ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে কিওয়ার্ড সার্চ করে অন্যান্য গণমাধ্যমেও এই সংক্রান্ত দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘ক্রিকেটের পাশাপাশি গোপনে গাঁজা ও মদের ব্যবসা করেন শান্ত আয় ২ কোটি’ শীর্ষক শিরোনামে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s own analysis 

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ছবি দাবিতে ভারতীয় শিশুর ছবি প্রচার

0

গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে শিশুদের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়েছে। সম্প্রতি, তার লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থার কয়েকটি ছবির সাথে শাড়ি পরিহিত একটি বাচ্চার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, শাড়ি পরিহিত ছবিটি শিশুটির সুস্থ অবস্থায় ধারণ করা।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিটি সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হওয়া মাগুরার ৮ বছরের শিশু নয় বরং, ভারতের কোচবিহারের ভিন্ন এক শিশুর ছবি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Nandini Sarkar নামের একটি ইন্সটাগ্রাম আইডিতে গত ৩ মার্চ প্রচারিত একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Face Comparison by Rumor Scanner 

ছবিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ছবিটির সাথে উক্ত ছবির মেয়ের চেহারা, শাড়ি এবং বেকগ্রাউন্ডের হুবহু মিল রয়েছে। শুধুমাত্র ছবি দুটি ভিন্ন ভিন্ন পোজে ধারণ করা হয়েছে। 

উক্ত ইন্সটাগ্রাম আইডিটি পর্যালোচনার মাধ্যমে আইডিটিতে একই শিশুর বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায় (, ,)। যা থেকে ধারণা করা যায়, শিশুটি নন্দিনী সরকার নামের মহিলার সন্তান বা পরিবারের সদস্য। 

পরবর্তীতে ইন্সটাগ্রাম আইডিটি থেকে প্রাপ্ত একই নারীর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা যায়, তিনি ভারতের কোচবিহার অঞ্চলের নিবাসী। 

Screenshot: Facebook 

এছাড়াও গত ৩ মার্চ তার ফেসবুক প্রোফাইলেও শিশুটির শাড়ি পরিহিত একই ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুরসাথে উক্ত শিশুর কোনো সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, ভারতীয় এক শিশুর ছবিকে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হওয়ার ৮ বছরের শিশুর ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Nandini Sarkar Instagram Post
  • Nandini Sarkar Facebook Post
  • Rumor Scanner’s Analysis

পাকিস্তানে আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন নিহতের পুরোনো ঘটনা সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন নিহত ব্যক্তির ছবি সম্বলিত ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “তিনি পবিত্র মাহে রমাদান মাসে ও আজান দেওয়া অবস্থায় মারা গেছেন”।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি চলতি রমজান মাসে আজান দেওয়ার সময় সম্প্রতি নিহত হওয়ার কোনো ঘটনার নয় বরং, প্রায় এক বছর পূর্বে পাকিস্তানে আজান দেওয়ার সময় নিহত হওয়া এক পাকিস্তানি ইমামের ছবি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

মূলত, ২০২৪ সালে মাওলানা মাসউদ আজহার নামে এক পাকিস্তানি ব্যক্তি আজান দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। সেসময় তার এই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার হয়। প্রকৃতপক্ষে উক্ত ঘটনার এই ছবিটি সম্প্রতি রমজান মাসে আজান দেওয়ার সময় নিহত হওয়া এক মুয়াজ্জিনের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

সুতরাং, ২০২৪ সালে পাকিস্তানে আজান দেওয়ার সময় এক পাকিস্তানি ব্যক্তি নিহত হওয়ার ছবিকে সম্প্রতি রমজান মাসে নিহত মুয়াজ্জিনের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা। 

উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালে আজান দেওয়ার সময় ফেনীতে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবরে আলোচিত ছবিটি সংযুক্ত করে প্রচার করা হলে সেসময় এ বিষয়ে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

পতেঙ্গায় ধর্ষণ ও জিহ্বা কাটার ঘটনার ভিডিও দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার

0

সম্প্রতি একজন মারাত্মকভাবে আহত নারীর রাস্তার পাশে বসে থাকা ও তাকে পাশ থেকে মানুষজনের প্রশ্ন করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সিবিচ রাতে তাকে তার কিছু বন্ধুরা মিলে ধর্ষন করে তারপর জিব্বাহ কেটে দেয়…”

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

থ্রেডসে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রাস্তার ধারে ক্ষতবিক্ষত নারীর ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয় বরং, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কয়েক মাস পুরোনো একটি ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পতেঙ্গার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে৷

মূলত, গত ২০ জানুয়ারি গভীর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে জয়নগরের বকুলতলা থানার অন্তর্গত রথতলা এলাকায় ফাঁকা ধানক্ষেতের ধারে ইটের রাস্তায় উক্ত মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উক্ত মহিলার শরীরে অস্ত্রের কোপ ছিলো, মুখের এক দিক থেতলানো অবস্থায় ছিলো এবং বেশ কয়েকটি দাঁত ভেঙে গিয়েছিলো।

Comparison: Rumor Scanner

সুতরাং, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় সম্প্রতি বন্ধু কর্তৃক একজন নারীর ধর্ষণ এবং তার জিহ্বা কাটার দাবিতে ভারতের কয়েক মাস পুরোনো একটি ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হয়ে আসছে; যা মিথ্যা।

উল্লেখ্য যে, পূর্বেও সমজাতীয় দাবিতে আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হলে বিষয়টিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ এখনও আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে দাবিতে জাতিসংঘের নামে ভুয়া জরিপের তথ্য প্রচার 

0

সম্প্রতি ‘জাতিসংঘের এক জরিপ ২০২৫ তথ্যঅনুযায়ী বাংলাদেশে এখনো ৭৫% মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিচ্ছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ মানুষ এখনও আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিচ্ছে- এমন তথ্য সম্বলিত কোনো জরিপ ২০২৫ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশ করা হয়নি বরং পুরোনো ও ভিন্ন প্রসঙ্গের ভিডিওর মাধ্যমে ভুয়া এই দাবি প্রচার করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আল জাজিরার ইংরেজি সংস্করণের ইউটিউব চ্যানেলে ২০০৭ সালের ২৮ এপ্রিল ‘Over The World – Sheikh Hasina Wazed -27 Apr 07’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল রয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, সে সময় স্যার ডেভিড ফ্রস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেন৷ 

অর্থাৎ, উক্ত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়৷ 

জাতিসংঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো জরিপ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি৷ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটভূমি বিবেচনায় বলা যায়, এ ধরণের কোনো জরিপ জাতিসংঘ কর্তৃক করা হলে তা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হতো৷ 

সুতরাং, জাতিসংঘের ২০২৫ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ এখনও আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ার দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র

মাজারে হামলাকে হিন্দুদের বিয়ে বাড়িতে মুসলিম জনতার হামলা দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, “”আরও বলো এক বিন্তে দুটি কুসুম। রোজার মাস বলে হিন্দু বিয়ে বাড়িতে হামলা করেছে তৌহিদি জনতা।”’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।  এক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা “মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মোসলমান” কবিতাটি ব্যবহার করে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে মুসলিমরা হিন্দুদের সম্পত্তির উপর হামলা চালাচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি হিন্দুদের বাড়িতে হামলার দৃশ্যের নয় বরং, দিনাজপুরে মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘হেরাবন পাক দরবার শরীফ’ নামক ফেসবুক পেজ হতে উক্ত ঘটনার একটি ভিডিওসহ গত ০১ মার্চ প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

Comparison : Rumor Scanner

পোস্টটির ক্যাপশনে বলা হয়, “দিনাজপুরে মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ কয়েক হাজার টুপি দাড়ি পাঞ্জাবী পড়া মোল্লা! সবার হাতে একটি করে লাঠি! তারা নাকি সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদ! দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের বীরাহিমপুর গ্রামে অবস্থিত রহিম শাহ ভান্ডারীর মাজার শরীফ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারা। লুট করেছে মাজারের সম্পদ! কতটা পৈশাচিক তারা, তাদেরকে দেখলেই বুঝতে পারবেন৷ ধর্ম তাদের হাতে কতটা অনিরাপদ, বুঝতে পারবেন। এই লেবাছসর্বস্ব মোল্লাদলই যে ধর্মজগতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর, বুঝতে পারবেন। এজিদি ফিতনা আজ বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে! ধর্ম রক্ষায় হুসাইনী আত্মবলিদান আজ প্রয়োজন!” সাথে  #মাজার_হামলা #ভাংচুর, #অগ্নিযোগ #লুট #চুরি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। 

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি “ঘোড়াঘাটে ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে মাজারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় তিন দিনব্যাপী ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে ‘রহিম শাহ বাবা ভান্ডারী মাজার’-এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সীরাতে মুস্তাকিম পরিষদ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এলাকায় লাঠিমিছিল কর্মসূচির পর এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।” 

এ বিষয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটে ০১ মার্চ প্রকাশিত ‘দিনাজপুরে মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ’ শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়৷ এছাড়াও উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “বিক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় রহিম শাহ বাবা ভাণ্ডারীর মাজারে প্রতি বছর ওরশের নামে গান-বাজনা, মাদক সেবনসহ অশ্লীল কর্মকাণ্ড চলে আসছে। এর প্রতিবাদ করলেও তারা সেটি বন্ধ না করে ২ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত বাৎসরিক ওরসের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে আজ লাঠি মিছিল বের করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ওরসের প্যান্ডেল ও মাজারে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে তারা।’” 

অর্থাৎ, সংবাদমাধ্যম থেকেও জানা যায় প্রচারিত ভিডিও-র হামলার ঘটনাটি মাজারের। এ হামলায় হিন্দু বাড়ির ক্ষয়ক্ষতির কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, সীরাতে মুস্তাকিম পরিষদ নামের একটি সংগঠনের রহিম শাহ বাবা ভান্ডারী মাজারে ভাঙচুরের ঘটনাকে হিন্দু বিয়ে বাড়িতে মুসলিম জনতার হামলা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাকার্ড সম্পাদনা করে প্রচার

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘Fuck ME, তবুও শেখ হাসিনার পথন চাই’ শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ড হাতে একজন নারী শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছেন। উক্ত ছবিটি প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “তাহলে ঠিক আছে!! তারা তাদের হক আদায় করে নিচ্ছে। শেখ হাসিনাকে তাড়িয়েছে এখন তাদের চো”দা দিচ্ছ না! তারা তো জুর করে ধর্ষণ করবেই। নারীরা আসলেই ছলনাময়ী কথা দিয়ে কথা রাখে না। এখানে পুরুষের কোন দোষ নাই”।

অর্থাৎ, দাবি করা হচ্ছে যে, প্রচারিত প্ল্যাকার্ডটি হাতে নিয়ে গত বছরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত প্ল্যাকার্ড সম্বলিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এক্সে প্রচারিত উক্ত প্ল্যাকার্ড সম্বলিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত নারী শিক্ষার্থীর হাতে “Fuck ME তবুও শেখ হাসিনার পথন চাই” শীর্ষক লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ডটির ছবিটি আসল নয় বরং, ২০২০ সালের ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের ভিন্ন লেখা সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ডের ছবির লেখা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত প্ল্যাকার্ডের ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

মূলত, ২০২০ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ দেশব্যাপী তৎকালীন সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেসময় “ধর্ষকদের পাহারাদার এ সরকার আর না।” শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ড হাতে একজন নারী শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ২০২০ সালের ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ধারণকৃত পুরোনো উক্ত প্ল্যাকার্ডটির ছবির লেখা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে “Fuck ME তবুও শেষ হাসিনার পথন চাই” শীর্ষক লেখাটি প্ল্যাকার্ডটির ছবিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

সুতরাং, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় একজন নারী শিক্ষার্থীর হাতে “Fuck ME তবুও শেষ হাসিনার পথন চাই” শীর্ষক একটি প্ল্যাকার্ড ছিল দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত হয়ে আসা এই ছবিটি সম্পাদিত।

উল্লেখ্য যে, পূর্বেও একই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টিকে সম্পাদিত হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্য দাবিতে পুরোনো দৃশ্য প্রচার

অন্তত গত ০৮ মার্চ (আন্তর্জাতিক নারী দিবসে) থেকে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়া একজন নারীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “বিশ্ব নারী দিবসে এক নারীর জন্য পুরুস্কার। ধিক্কার জানাই তোমাদের উপর। আর কত চুপ করে থাকবেন আপনারা | মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা মহিলা সেনা সদস্যকে মাইক্রোবাস এর চাপা। এয়ারপোর্ট রোড | এখন জনগণ বাদ দিয়ে আপনাদের কে টার্গেট করে নতুন মাস্টার প্ল্যান তৈরিতে সেনাদের জীবন নিচ্ছে।”

অর্থাৎ, দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনার দৃশ্যটি গত ৮ মার্চের। এছাড়াও, কিছু পোস্টে স্পষ্টত ঘটনাটি গত ৮ মার্চের দাবি করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্যটি গত ০৮ মার্চের নয় বরং অন্তত তিন মাস পুরোনো ঘটনাকে ০৮ মার্চের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবিটির সপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘রিফাত ফাহিম ভ্লগস’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও পোস্ট পাওয়া যায়। ভিডিওটি সম্পর্কে উক্ত পোস্টে বলা হয়, “তেজগাঁও (পুরাতন) বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কাছে সতর্কভাবে চালান, নিরাপদ থাকুন! (ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত)” (অনূদিত)।

প্রচারিত উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

Comparison : Rumor Scanner

অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।

এছাড়া, পোস্টটির মন্তব্য সেকশন পর্যবেক্ষণ করলে নারীটির পরবর্তী অবস্থার আপডেট দাবিতে এক আহত নারীর ছবিও সংযুক্ত করতে দেখা যায়।

Screenshot: Facebook

উক্ত ছবিটিতে উল্লিখিত নারীকে বিমানবাহিনীর পোশাক সদৃশ পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। তবে তার পরিচয় বা পদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সুতরাং, অন্তত তিন মাস পুরোনো একটি সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্যকে গত ৮ মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ঘটা সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

কথা না শুনলে হসপিটাল ভেঙ্গে দেওয়ার দাবিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে জড়িয়ে জনকণ্ঠের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার একটি হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ তুলেছেন তৃতীয় মাত্রার সঞ্চালক ও সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক জিল্লুর রহমান। তবে, সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের অভিযোগকে ‘পুরোপুরি অসত্য ও জঘন্য মিথ্যাচার’ বলে উল্লেখ করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এরই প্রেক্ষিতে ‘আমার কথা শুনবেন আমার কথায় চলবে না হলে আপনার হসপিটালটি ভেংগে দেয়া হবে গুড়িয়ে দেয়া হবে আমি এখনি লোকজন পাঠাচ্ছি।’ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম দৈনিক জনকণ্ঠের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে জনকণ্ঠের এর নামে প্রচারিত ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ),  এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ) ।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘আমার কথা শুনবেন আমার কথায় চলবে না হলে আপনার হসপিটালটি ভেংগে দেয়া হবে গুড়িয়ে দেয়া হবে আমি এখনি লোকজন পাঠাচ্ছি।’ শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠ কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে জনকণ্ঠের ডিজাইন ব্যবহার করে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে জনকণ্ঠের লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ৪ মার্চ, ২০২৫ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে জনকণ্ঠের ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

screenshot: Facebook

তবে, আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে গত ৫ মার্চ জনকণ্ঠের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে আলোচিত ফটোকার্ডটি জনকণ্ঠ প্রকাশ করেনি বলে নিশ্চিত করা হয়।

অর্থাৎ, জনকণ্ঠের ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

সুতরাং, ‘আমার কথা শুনবেন আমার কথায় চলবে না হলে আপনার হসপিটালটি ভেংগে দেয়া হবে গুড়িয়ে দেয়া হবে আমি এখনি লোকজন পাঠাচ্ছি।’ শীর্ষক শিরোনামে জনকণ্ঠের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

শেখ হাসিনা প্রাণহানি চায়নি বলে সাময়িক সময়ের জন্য দেশের বাইরে চলে গেছে শীর্ষক মন্তব্য করেননি এই র‌্যাব কর্মকর্তা

সম্প্রতি, শেখ হাসিনা প্রাণহানি চায়নি তাই সে সাময়িক সময়ের জন্য দেশের বাইরে চলে গেছে শীর্ষক মন্তব্য র‌্যাব কর্মকর্তা করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, বরং এটি জুলাই আন্দোলনের সময়ের। ভিডিওটিতে তৎকালীন র‌্যাব ১০-এর অধিনায়ক ফরিদ উদ্দিনকে শেখ হাসিনা প্রাণহানি চাননি তাই সাময়িক সময়ের জন্য দেশের বাইরে চলে গেছেন এমন মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বায়ান্ন টিভির লোগো যুক্ত এই ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে র‌্যাব ১০-এর অধিনায়ক ফরিদ উদ্দিনকে (সাবেক) বলতে দেখা যায়, কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নাই। সমস্ত সরকার বিরোধী লোকজন এখানে আসছে রাস্তায়। এরা কারা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরা বিএনপি-জামায়াতের লোকজন।

তাকে আরও বলতে দেখা যায়, আমরা কোনো মানুষের প্রাণহানি চাইনা, এটা হচ্ছে আমাদের মূল কথা। আমরা যদি প্রাণ হানি করি তাহলে এটা ক্লিয়ার করতে আমাদের ম্যাক্সিমাম ১০ মিনিট লাগবে।

তবে, শেখ হাসিনা প্রাণহানি চায়নি তাই সে সাময়িক সময়ের জন্য দেশের বাইরে চলে গেছে শীর্ষক মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে বায়ান্ন টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ‘কোন সাধারণ শিক্ষার্থী নেই, সব বিএনপি-জামায়াতের : অধিনায়ক র‌্যাব-১০ | Rab | Quota Movement’ ক্যাপশনে প্রচারিত মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটির শুরুর ১৬ সেকেন্ড অংশের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

ভিডিওটি থেকে জানা যায়, এটি ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আন্দোলনের সময়ের ভিডিও। ভিডিওটিতে তৎকালীন র‌্যাব ১০-এর অধিনায়ক ফরিদ উদ্দিন ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে আন্দোলন ক্লিয়ার করতে ১০ মিনিট লাগবে বলেছিলেন এবং আন্দোলনে সমস্ত লোকজন বিএনপি-জামায়াতের দাবি করেছিলেন।

একই ঘটনার ভিডিও একই তারিখে আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলেও প্রকাশিত হয়।

অর্থাৎ, এই ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

তাছাড়া, র‌্যাব কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন বিষয়ে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ বলেন, ‘অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন ২ ফেব্রুয়ারি থেকে পলাতক আছেন। আমরা তাকে খুঁজছি।’

একই ধরনের তথ্য জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) রেজাউল করিম বলেন, ‘বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

সুতরাং, জুলাই আন্দোলনের সময়ের ভিডিও দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা প্রাণহানি চায়নি তাই সে সাময়িক সময়ের জন্য দেশের বাইরে চলে গেছে শীর্ষক মন্তব্য র‌্যাব কর্মকর্তা করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র