সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘Fuck ME, তবুও শেখ হাসিনার পথন চাই’ শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ড হাতে একজন নারী শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছেন। উক্ত ছবিটি প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “তাহলে ঠিক আছে!! তারা তাদের হক আদায় করে নিচ্ছে। শেখ হাসিনাকে তাড়িয়েছে এখন তাদের চো”দা দিচ্ছ না! তারা তো জুর করে ধর্ষণ করবেই। নারীরা আসলেই ছলনাময়ী কথা দিয়ে কথা রাখে না। এখানে পুরুষের কোন দোষ নাই”।
অর্থাৎ, দাবি করা হচ্ছে যে, প্রচারিত প্ল্যাকার্ডটি হাতে নিয়ে গত বছরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত প্ল্যাকার্ড সম্বলিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
এক্সে প্রচারিত উক্ত প্ল্যাকার্ড সম্বলিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত নারী শিক্ষার্থীর হাতে “Fuck ME তবুও শেখ হাসিনার পথন চাই” শীর্ষক লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ডটির ছবিটি আসল নয় বরং, ২০২০ সালের ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের ভিন্ন লেখা সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ডের ছবির লেখা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত প্ল্যাকার্ডের ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
মূলত, ২০২০ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ দেশব্যাপী তৎকালীন সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেসময় “ধর্ষকদের পাহারাদার এ সরকার আর না।” শীর্ষক লেখা সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ড হাতে একজন নারী শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ২০২০ সালের ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ধারণকৃত পুরোনো উক্ত প্ল্যাকার্ডটির ছবির লেখা ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে “Fuck ME তবুও শেষ হাসিনার পথন চাই” শীর্ষক লেখাটি প্ল্যাকার্ডটির ছবিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সুতরাং, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় একজন নারী শিক্ষার্থীর হাতে “Fuck ME তবুও শেষ হাসিনার পথন চাই” শীর্ষক একটি প্ল্যাকার্ড ছিল দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত হয়ে আসা এই ছবিটি সম্পাদিত।
উল্লেখ্য যে, পূর্বেও একই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টিকে সম্পাদিত হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।