Home Blog Page 113

জালিয়াতির কথা স্বীকার করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন ইউনূস শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “এখন নিজে শিকার করছে”।

প্রচারিত ভিডিওটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলতে শোনা যায়, “আমি জালিয়াতি করেছি, অর্থ আত্মসাৎ করেছি, অর্থ পাচার করেছি”। এছাড়াও প্রচারিত ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, সেনাপ্রধানের নির্দেশে শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া অবধি আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাড়ে ৪ লক্ষেরও অধিক বার দেখা হয়েছে এবং ৩০ হাজারেরও অধিক পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে লাইক দেওয়া হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটিতে ড. ইউনূসের স্বীকারোক্তির দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যটি আদতে ড. ইউনূসের স্বীকারোক্তির নয় বরং, তার ওপর আনীত অভিযোগ উল্লেখপূর্বক ড. ইউনূসের পুরোনো একটি ভিডিওর বক্তব্য কেটে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া, ভিন্ন ও অপ্রাসঙ্গিক ফাইল ফুটেজ প্রচার করে সেনাপ্রধানের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ড. ইউনূসের স্বীকারোক্তির দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত দৃশ্যটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ৩ মে তারিখে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়৷ উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তবে, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটিতে ড. ইউনূসের বক্তব্যটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও হিসেবে প্রতীয়মান হলেও ড. ইউনূসের ফেসবুক পেজে উক্ত ভিডিওটির দীর্ঘ সংস্করণ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ড. ইউনূস আলোচিত মন্তব্যটি করলেও তিনি স্বীকারোক্তি হিসেবে মন্তব্যটি করেননি বরং, তার ওপর আনীত অভিযোগের উল্লেখ করতে আলোচিত মন্তব্যটি করেছিলেন। 

Comparison : Rumor Scanner

তিনি বলেছিলেন, “আজকে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দুর্নীতির। আমি জালিয়াতি করেছি, অর্থ আত্মসাৎ করেছি, অর্থ পাচার করেছি এ রকম বহু ভয়াবহ শব্দ আমার অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে। আপনারা আমাকে বহুদিন থেকে চেনেন, এ অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর মতো অপরাধ কিনা আপনারাই বিবেচনা করবেন। আগে যে রকম আপনারা বিবেচনা করেছেন”। উক্ত ভিডিওটির বিষয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পেজের ক্যাপশনে বলা হয়, “আমি এক কোটি গরিব মানুষকে একটি ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি:

সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে ঢাকা জজ কোর্টে প্রবেশ করেন ড. ইউনূস। জামিন আবেদনের শুনাসি শেষে আদালত থেকে বেড়িয়ে ড. ইউনূস সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি এক কোটি গরিব মানুষকে একটি ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি। আমাকে যখন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বের করে দেয়া হয়, তখন গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ মালিকানা আমাদের সদস্যদের কাছে ছিল। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকেন, তারাই গ্রহণ করেছেন। আমি একজন কর্মচারী মাত্র, সেটা আপনারা জানতেন। আমি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক ছিলাম না কখনো। বলেন, আজকে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দুর্নীতির। আমি জালিয়াতি করেছি, অর্থ আত্মসাৎ করেছি, অর্থ পাচার করেছি এ রকম বহু ভয়াবহ শব্দ আমার অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে। আপনারা আমাকে বহুদিন থেকে চেনেন, এ অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর মতো অপরাধ কিনা আপনারাই বিবেচনা করবেন। আগে যে রকম আপনারা বিবেচনা করেছেন। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এটা আমার একার বক্তব্য নেয়ার তো দরকার নাই! দেশের মানুষের কাছে যান, তারা বলবে আদালত কি নিয়ন্ত্রিত না নিজের ইচ্ছায় চলে। আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি তো খালি আদালত থেকে আদালতে যাচ্ছি, আমাকে বলা হচ্ছে আমি জোচ্চোর, আমি জালিয়াত, আমি অর্থ আত্মসাৎকারী ইত্যাদি ইত্যাদি। তথ্য সব আপনাদের কাছে আছে, আপনারা বিচার করে বলেন, আমাকে দেখলে কি মনে হয়, আমি জোচ্চুরি করার জন্য এই ব্যবসায় নেমেছি? Video Source: Channel 24″

এ বিষয়ে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলা’র ওয়েবসাইটে গত বছরের ০২ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ মে ২০২৪) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ জামিন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সামনে ড. ইউনূস বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দুর্নীতির। আমি জালিয়াতি করেছি, অর্থ আত্মসাৎ করেছি, অর্থ পাচার করেছি—এ রকম বহু ভয়াবহ শব্দ আমার অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে।

অর্থাৎ, এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ড. ইউনূসের উক্ত মন্তব্যটি স্বীকারোক্তিমূলক ছিল না। বরং তিনি তার ওপর আনীত অভিযোগ উল্লেখ করছিলেন। তাছাড়া, প্রচারিত দৃশ্যটিও বিগত সরকারের আমলের।

এছাড়া, সেনাপ্রধানের নির্দেশে শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন ড. ইউনূস দাবিতে প্রচারিত একটি ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে মূলধারার গণমাধ্যম সময় টিভির ওয়েবসাইটে গত বছরের ০৬ অক্টোবরে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে উক্ত ছবিটির সংযুক্তি পাওয়া যায়। ছবিটির বর্ণনায় বলা হয়, “রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: আইএসপিআর”। একইভাবে অন্যান্য ছবিগুলো রিভার্স ইমেজ সার্চ করলেও আলোচিত দাবির সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। (⁠,,,⁠)

Comparison : Rumor Scanner

পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, পুরোনো, বিকৃত ও অপ্রাসঙ্গিক ছবি ও ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে ড. ইউনূস অর্থ পাচার, আত্মসাৎ ও জালিয়াতি স্বীকার করেছেন ও সেনাপ্রধানের নির্দেশে শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সব ফরম্যাট থেকে ক্রিকেটার শান্তর অবসর নেওয়ার দাবিটি মিথ্যা

0

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি প্রচার করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত সব ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্তের সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, মজার ছলে একটি মিম পেজ থেকে আলোচিত ভুয়া দাবিটি প্রচার করা হলেও পরবর্তীতে তা আসল দাবিতে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে প্রচারিত দাবির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে নাজমুল শান্তর অবসরের দাবি সম্বলিত সংবাদ ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে ‘ঠেলাযোগ’ নামক একটি ফেসবুক পেজের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়। এরই সূত্র ধরে অনুসন্ধান করলে গত ০৬ মার্চে ‘ঠেলাযোগ’ নামক একটি ফেসবুক পেজে “Breaking News | Nazmul Hossain Shanto retired from International cricket of all Formats. Happy retirement legend.” শীর্ষক ক্যাপশনে আলোচিত সংবাদ ফটোকার্ডটি প্রচার হতে দেখা যায়৷ উক্ত ফেসবুক পোস্টটির মন্তব্য সেকশনে ঠেলাযোগ’কে লিখতে দেখা যায়, “এমন একটা নিউজের অপেক্ষায় পুরো বাংলাদেশ!”

Collage: Rumor Scanner

এছাড়া, উক্ত ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এটি প্রকৃতপক্ষে একটি মিম বা স্যাটায়ার পেজ এবং তা পেজের বায়ো’তেও উল্লেখ করা হয়েছে।

Screenshot: Facebook

তাছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলেও নাজমুল হোসেন শান্তের অবসর নেওয়ার বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং, সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নাজমুল হোসেনকে জায়গা পেতে দেখা যায়।

সুতরাং, ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত সব ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন দাবিতে প্রচারিত দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s analysis

বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগ নেতার খামারের গরু পিটিয়ে মারার দৃশ্য দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, আওয়ামী লীগ নেতাকে খুঁজে না পেয়ে তার খামারের গরুকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পিটিয়ে মেরেছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীদর আওয়ামী লীগ নেতার খামারের গরু পিটিয়ে মারার দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। প্রকৃতপক্ষে, প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের পাঞ্জাবের একটি গরুর খামারে হামলার পুরোনো দৃশ্য।

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিনয় কাপুর নামে একটি ইনস্টাগ্রাম আইডিতে ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যার সাথে আলোচিত ভিডিওর  মিল পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টের ক্যাপশনটি ভাষান্তর করে জানা যায়, জলন্ধর জমশেদ ডেইরিতে কিছু লোক দ্বারা গরুটিকে বাজেভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ভিডিওটি পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো হয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যাতে এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়াও দেখা যায়, পোস্টে তিনি নিজেকে শ্রী গোবিন্দ গরু প্রতিরক্ষা দলের সভাপতি ও সর্বভারতীয় শিবসেনা রাষ্ট্রবাদির পাঞ্জাবের সভাপতি দাবি করেন।

Khabreistan Punjabi নামক একটি ভারতীয় গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটে গত বছরের ২৭ নভেম্বর “Jalandhar: Brutally thrashed on a mute person in a dairy, watching the VIDEO will blow your mind” (ইংরেজি অনূদিত) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Khabreistan Punjabi

উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, গরুর ওপর যুবকদের হামলার দৃশ্যটি ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর শহরে জমশেদ ডেইরির। 

এছাড়া, ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনের ওয়েবসাইট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

সুতরাং, ভারতের পাঞ্জাবে গরুর ওপর যুবকদের হামলার দৃশ্যকে বাংলাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগ নেতার খামারের গরু পিটিয়ে মারার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের মুখপাত্রের বক্তব্য দাবিতে সম্পাদিত ফটোকার্ড প্রচার

0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত বিশেষ কমিটি ইতোমধ্যে নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্য নামের একটি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ড দাবিতে একটি ফটোকার্ড প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “জাতির উদ্দেশ্যে যে বার্তা দিলেন সাত কলেজের সমন্বয়ক”। উক্ত ফটোকার্ডে দাবি করা হয়েছে, সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের মুখপাত্র আব্দুর রহমান বলেছেন, “কলেজে ভর্তি হয়ে আজ আমরা কলেজকেই বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেলেছি। এখন আমরা পাবলিকিয়ান। এখন থেকে সবাই আমাদেরকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন।”

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের মুখপাত্র আব্দুর রহমান বলেছেন, “কলেজে ভর্তি হয়ে আজ আমরা কলেজকেই বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেলেছি। এখন আমরা পাবলিকিয়ান। এখন থেকে সবাই আমাদেরকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন।” শীর্ষক দাবিতে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্য ফেসবুক পেজটি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি এবং আব্দুর রহমানও এরূপ কোনো মন্তব্য করেননি বরং, সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্য কর্তৃক প্রকাশিত ভিন্ন শিরোনামের একটি ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্য শীর্ষক ফেসবুক পেজের নামের উল্লেখ করা হয়েছে, যারা সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবিতে কাজ করে। উক্ত ফেসবুক পেজটির গত ১ মাসে প্রচারিত প্রতিটি ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করলেও আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটি পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে অনুসন্ধানে গত ০১ মার্চে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যের ফেসবুক পেজে “আজও বড় আকারে চিঠি লিখলাম, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অন্তবর্তী প্রশাসনের ঘোষণা আসে। ইনশাআল্লাহ আশাবাদী।” শীর্ষক শিরোনামে উল্লিখিত আব্দুর রহমানের বক্তব্য সম্পর্কে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ডিজাইন, বক্তার নামের ফন্ট এবং ছবির মিল রয়েছে। কিন্তু এই ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পাদনা করে “আজও বড় আকারে চিঠি লিখলাম, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অন্তবর্তী প্রশাসনের ঘোষণা আসে। ইনশাআল্লাহ আশাবাদী।” বাক্যগুলো পরিবর্তন করে “কলেজে ভর্তি হয়ে আজ আমরা কলেজকেই বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেলেছি। এখন আমরা পাবলিকিয়ান। এখন থেকে সবাই আমাদেরকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন” করা হয়েছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

এ বিষয়ে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যের ফেসবুক পেজে প্রচারিত গত ৫ মার্চের একটি পোস্টেও জানানো হয়, আলোচিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।

Screenshot : Facebook

তাছাড়া, সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের মুখপাত্র আব্দুর রহমান তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১২ মার্চে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত নিশ্চিত করে জানান, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার নাম ছবি ব্যবহার করে এসব ছাড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হলো। এ ধরনের হাবিজাবি লেখা আমি কখনোই লিখি না, শেয়ারও করি না। কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে আমার কাছে তথ্য জেনে মন্তব্য করার অনুরোধ।”

সুতরাং, “সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের মুখপাত্র আব্দুর রহমান বলেছেন, “কলেজে ভর্তি হয়ে আজ আমরা কলেজকেই বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেলেছি। এখন আমরা পাবলিকিয়ান। এখন থেকে সবাই আমাদেরকে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন।” শীর্ষক শিরোনামে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যের প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত এবং আব্দুর রহমানের এরূপ মন্তব্য করার দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্য –  Facebook Post
  • সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্য – Facebook Post
  • Abdur Rahman – Facebook Post

উত্তরার গাউসুল আজম জামে মসজিদে ঘুষি মেরে ইমামকে হত্যার দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি, উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত গাউসুল আজম জামে মসজিদে তারাবির নামাজের পর ইমামকে আরেক মুসুল্লি ঘুষি মেরে হত্যা করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রচার করা হয়েছে। 

এক্স-এ প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরার গাউসুল আজম জামে মসজিদে আরেক মুসুল্লির ঘুষিতে ইমামের মারা যাওয়া তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, হামলার শিকার ব্যক্তি মারা যাননি। এছাড়া তিনি মসজিদটির ইমামও নন। 

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Sami Joy নামের একজন গণমাধ্যমকর্মীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে  গত ৭ মার্চ প্রচারিত একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner 

ভিডিওটির শিরোনামে গাউছুল আজম মসজিদে মারামারির ঘটনার কথা বলা হলেও উক্ত ঘটনায় কারও মারা যাওয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়নি। 

উক্ত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দৈনিক সকালের সময়-এর ওয়েবসাইটে গত ১৫ মার্চ উত্তরা ১৩ নং সেক্টর মসজিদের ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি কাটছাঁট করা ও গুজব, মুসল্লী সুস্থ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot Daily Sokaler Somoy

প্রতিবেদনটি মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি জুনায়েদ কাসেমীর বরাতে জানানো হয়, অপর মুসুল্লির ঘুষিতে লুটিয়ে পড়া ব্যক্তি পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। এছাড়াও তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওটি কাটছাট করে তৈরি করা হয়েছে। মূল ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে এক মিনিট পরেই উঠতে দেখা যায়। 

এছাড়াও প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, হামলার শিকার ব্যক্তির নাম আনোয়ারুল কিবরিয়া। উক্ত ব্যক্তির স্ত্রীও প্রতিবেদককে তার সুস্থতার কথা জানান বলে প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানতে গাউছুল আজম জামে মসজিদের অফিস সহকারী নূরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, হাতাহাতির ঘটনাটি গত ৫ মার্চ ভোরে ঘটে। এছাড়াও তিনি রিউমর স্ক্যানারকে সেদিনের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করেন। যেখানে হামলার শিকার ব্যক্তিকে পরবর্তীতে সুস্থ অবস্থায় মসজিদ থেকে হেঁটে বের হতে দেখা যায়।

পাশপাশি পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আড়ালের চোখ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১১ মার্চ একই ঘটনায় মসজিদ কমিটির দেওয়া এক বিবৃতির ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি থেকে জানা যায়, উক্ত মসজিদে সাদপন্থীদের বসা নিয়ে আরেক পক্ষের সাথে কয়েকদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব  চলমান ছিল। আনোয়ারুল কিবরিয়া সাদপন্থী হওয়ায় তার সাথে হামলাকারীর বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তিনি আনোয়ারুলকে আঘাত করেন। পরবর্তীতে উপস্থিত সবার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়। 

অর্থাৎ, হামলার শিকার ব্যক্তি মসজিদটির ইমাম নন এবং তার মারা যাওয়ার তথ্যটিও সত্য নয়। 

সুতরাং, উত্তরার গাউসুল আজম জামে মসজিদে তারাবির নামাজের পর ইমামকে ঘুষি মেরে হত্যা করা হয়েছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

ইউটিউবে ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিম’ সিনেমার পূর্ণ সংস্করণ প্রকাশের মিথ্যা দাবি প্রচার

0

সম্প্রতি ইউটিউবে ইসলাম বিরোধী ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ চলচ্চিত্রের ৭৪ মিনিটের সম্পূর্ণ সংস্করণ আপলোড হয়েছে দাবি করে আগামী তিন দিনের জন্য Google ও YouTube ব্যবহারে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

থ্রেডসে প্রচারিত দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি ইউটিউবে  ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিম’ সিনেমার ৭৪ মিনিটের পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ প্রকাশ হয়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

মূলত, ২০১২ সালে ইউটিউবে ১৪ মিনিটের একটি ট্রেইলার প্রকাশিত হয়, যেখানে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননাকরভাবে উপস্থাপন করা হয়। এতে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা দেয়। বেশ কয়েকটি দেশ ইউটিউব সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। ২০১৪ সালে একজন অভিনেত্রী সিন্ডি লি গার্সিয়ার কপিরাইট মামলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত ইউটিউব থেকে ভিডিওটি সরানোর নির্দেশ দেয়।

তবে এক বছর পর, ২০১৫ সালের মে মাসে ফেডারেল আপিল আদালত ইউটিউবে কেবল ওই ট্রেইলারটি পুনরায় প্রকাশের অনুমতি দেয়। এরপর ইউটিউবে ১৪ মিনিটের সেই ট্রেইলার পুনরায় পোস্ট করা হলেও, এখন পর্যন্ত ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিম’ নামক কোনো পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র ইউটিউবে আপলোড হওয়ার প্রমাণ মেলেনি।

অনলাইন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অন্তত ২০১২ সাল থেকে ‘পূর্ণাঙ্গ সিনেমা রিলিজ’-এর গুজব বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালেও ইউটিউব বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে এই চলচ্চিত্রটি প্রকাশের প্রমাণ মেলেনি।সুতরাং, সম্প্রতিক সময়ে ইউটিউবে ‘ইনোসেন্স অফ মুসলিম’ নামে ৭৪ মিনিটের পূর্ণাঙ্গ সিনেমা প্রকাশের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই ছবি নিয়ে একই দাবি ইন্টারনেটে প্রচার হলে সে সময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার৷

ভারতের কেরালায় নারীর ইমামতিতে নামাজের ভিডিও বাংলাদেশের ঘটনা হিসেবে প্রচার

সম্প্রতি, একজন মহিলা নামাজের ইমামতি করছেন এমন একটি ভিডিও বাংলাদেশের ঘটনা বলে প্রচারিত হয়েছে। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে “মহিলা ইমামতি করে, পুরুষেরা পিছে নামাজ পড়ে!! আমরা কোন বাংলাদেশে আছি বর্তমানে।” শিরোনামে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয়। এটি ২০১৮ সালে ভারতের কেরালায় জুমার নামাজে এক নারীর ইমামতির ভিডিও।

ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক সাভেরার ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘In a first, Kerala women leads friday prayers’ শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।  ভিডিওটির শিরোনামে এটি ভারতের কেরালার বলে উল্লেখ করা হয়। 

Comparison: Rumor Scanner 

পরবর্তীতে, ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি কেরালার মালাপ্পুরামে কুরআন সুন্নাত সোসাইটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জামিদা শুক্রবারের নামাজে ইমামতি করেন। তিনি বলেন, ‘ইসলামে কোথাও বলা নেই যে শুধু পুরুষরাই ইমাম হতে পারেন।’ নামাজটি ভেঙ্গারায় সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে প্রায় ৮০ জন পুরুষ ও মহিলা উপস্থিত ছিলেন। 

এ বিষয়ে অন্যান্য ভারতীয় গণমাধ্যম থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়। দেখুন এখানে, এখানে। 

সুতরাং, ভারতের কেরালার জুম্মার নামাজে মহিলা ইমামতির ঘটনার পুরোনো ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

শেখ জুয়েলের ভারতীয় আধার কার্ড দাবিতে ভুয়া ছবি ভাইরাল

সম্প্রতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ভারতে নিজের আধার কার্ড বানানোর মাধ্যমে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন এমন একটি দাবি দেশের গণমাধ্যমগুলোর বরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে দেখা গেছে। দাবি করা হচ্ছে, জনাব জুয়েল আধারে তার নাম দিয়েছেন বিধান মল্লিক। বাবার নাম দিয়েছেন মুদিন্দ্রনাথ মল্লিক। 

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালবেলা, জনকণ্ঠ, প্রতিদিনের বাংলাদেশ (ইউটিউব), ইত্তেফাক (ইউটিউব), ঢাকা পোস্ট (ইউটিউব), সময়ের আলো, একুশে টিভি, বৈশাখী টিভি (ফেসবুক), নতুন সময় (ইউটিউব), ফেস দ্যা পিপল (ফেসবুক), দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, আমাদের বার্তা, স্বদেশ প্রতিদিন, ঢাকা প্রকাশ। 

একই দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবের ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে এক্সের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের ভারতীয় আধার কার্ড দাবিতে প্রচারিত তথ্য সঠিক নয় বরং একাধিক উপায়ে কথিত আধার কার্ডটি ভুয়া বলে নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কথিত আধার কার্ডটি বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার। কার্ডটির বাম দিকে শেখ জুয়েলের একটি ছবি রয়েছে। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় জুয়েলের নাম ‘বিধান মল্লিক’ লেখা রয়েছে। একই ভাবে পিতার নাম ‘মুদিন্দ্রনাথ মল্লিক’ লেখা রয়েছে। জন্মতারিখ দেওয়া হয়েছে ১ জানুয়ারি ১৯৫৯। আধার কার্ড নম্বর দেওয়া হয়েছে ৮৪৪২০৫৬৭৫৭২৬। কার্ডটির ডানে একটি কিউআর কোড বসানো আছে।  

আধার কার্ডের নম্বরটি রিউমর স্ক্যানার এ সংক্রান্ত সরকারি অ্যাপে যাচাই করে দেখেছে। ভারতীয় একাধিক ফ্যাক্টচেকারের সহায়তায় যাচাই করে এই নম্বরের বিপরীতে কোনো ব্যক্তির তথ্য ডাটাবেজটিতে পাওয়া যায়নি৷ 

Collage: Rumor Scanner

অর্থাৎ, এটি যে একটি ভুয়া আধার কার্ড তা নিশ্চিত। 

আধার হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সনাক্তকরণ টুল। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দৈনিক কার্যক্রমের জন্য পরিচয় প্রমাণ হিসাবে ভারতীয়দের এটি প্রয়োজন হয়। এই কার্ড পেতে আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (ভোটারি আইডিসহ) হিসেবে, আপনার পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। রিউমর স্ক্যানার কথিত আধার কার্ডটি বিশ্লেষণে দেশটির একাধিক রাজ্যের নাগরিকের কিছু আধার কার্ডের কপি সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে। এসব আধার কার্ডের কোনোটিতেই কার্ডের সামনের অংশে পিতার নাম উল্লেখ পাওয়া যায়নি। এসব কার্ডের অন্তত তিনটিতে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে যে আধার কার্ডটি শুধু পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার হয়, নাগরিকত্বের জন্য নয়। অর্থাৎ, এটি অনেকটা বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন সনদের মতো। 

Collage: Rumor Scanner

আধারে সকলের ক্ষেত্রে পিতার নাম সামনে থাকা বা না থাকা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ভারতীয় একজন ফ্যাক্টচেকারের কাছে। তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলছিলেন, মূল ফর্ম্যাট একই। অনেকের ক্ষেত্রে যেমন আড্রেসে বাবার নাম (কার্ডের পেছনের অংশে) আছে তাই সামনে বাবার নাম লেখা নেই।” 

তিনি জানালেন, “দু ধরনের কার্ড হয়। একটা এই রকম। আধার কার্ড তৈরি হওয়ার পর প্রথমে সাধারণ একটা বড় মোটা কাগজে এরকম প্রিন্ট আউট করে দেয়। আর আপনি যদি পার্মানেন্ট একটু ভালো কোয়ালিটির কার্ড চান তাহলে বেশি টাকা খরচা করে এপ্লাই করলে এরকম Polyvinyl Chloride card দেয়।” 

রাজ্যভেদে আধার কার্ডের ডিজাইনে ভিন্নতা আছে জানিয়ে ভারতীয় এই ফ্যাক্টচেকার বলছিলেন, “বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে (আধার) তৈরি হয়েছে। রাজ্য ভিত্তিক ছোট বড় কিছু পরিবর্তন থাকবে। তবে মূল ফর্ম্যাট সেম। সেটা হলো সামনে ছবি, নাম, ডেট অফ বার্থ, আর আধার নম্বর। পিছনে ঠিকানা আর আধার নম্বর। কোনও ক্ষেত্রে কিউ আর কোড সামনে কোথাও পিছনে। আর হ্যাঁ, যেই রাজ্যের প্রধান ভাষা যেটা সেটাই প্রথম ভাষা হিসেবে এই কার্ডে ব্যবহার হয়। দ্বিতীয়টা সব সময় ইংরেজি।”

কথিত এই আধার কার্ডটি যে ভুয়া তা নিশ্চিত হওয়ার পর এটি দিয়ে কী ধরণের কাজ করা যাবে সে বিষয়ে ভারতীয় ফ্যাক্টচেকারের কাছে জানতে চেয়েছিল রিউমর স্ক্যানার। তিনি বলছিলেন, ভারতে জাল আধার কার্ড প্রচুর তৈরি হয়। জাল আধার কার্ড দিয়ে হোটেলে চেক ইন করে নিতে পারে। কারণ এসব জায়গায় খালি কার্ড ফটোকপি বানিয়ে রেখে দেয়। তবে সিম নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। কারণ এই ধরনের কাজ করতে গেলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করাতে হয়, ওটিপি যায় ফোনে। আধার কার্ড তৈরির সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়, মোবাইল রেজিস্টার হয়। সেখানেই OTP যায়। তবে সেটাও ক্ষেত্রবিশেষে জাল হয়।  

তিনি জানালেন, একটু বড় মাপের জালিয়াতিও হয় এই ক্ষেত্রটিতে। অনেকে জাল করে ডেটাবেসেও রেজিস্টার করিয়ে দেয় নম্বর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সব দিয়ে। তবে শেখ জুয়েলের ক্ষেত্রে ডাটাবেজে তার পরিচয়ের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলেনি। তাছাড়া এই কার্ডে পিতার নামটিও (মুদিন্দ্রনাথ মল্লিক) সন্দেহের উদ্রেক করে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে নামের মিল রেখে ভুয়া এই কার্ডে সমজাতীয় একটি নাম পিতার নাম হিসেবে যুক্ত করা হতে পারে রিউমর স্ক্যানারের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।  

ভারতে জাল আধার কার্ড তৈরিকারীদের গ্রেপ্তারের ঘটনাও রয়েছে। গেল বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া কিছু ব্যক্তিদের জাল আধার কার্ডসহ প্রয়োজনীয় জাল ডকুমেন্ট তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে বেঙ্গালুরুতে একজন গ্রেপ্তার হন। 

এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানে পরবর্তীতে শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের কথিত বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রটি যাচাই করেছে রিউমর স্ক্যানার। কথিত এই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম সেখ সালাহউদ্দিন (SHAIKH SALAHUDDIN)। বাবা সেখ আবু নাছের। মাতা- রাজিয়া খাতুন। জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৬৭। পরিচয়পত্রের নম্বর ১৯৬৭২৬৯২৬১৯০০০০৩৩। 

Screenshot: Bd Pratidin 

তবে শুরুতে খটকা লাগার বিষয় হচ্ছে, বলা হচ্ছে এই পরিচয়পত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের, তবে স্বাক্ষরে লেখা Naser। শেখ নাসের জনাব জুয়েলের পিতার নাম। পরিচয়পত্রে মূলত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষরই থাকে, পিতার নয়। এছাড়া, এই কার্ডে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নামের ইংরেজি বানানেও ভুল রয়েছে। Government কে লেখা হয়েছে Governmment। People’s কে লেখা হয়েছে Peple’s। 

রিউমর স্ক্যানার বিষয়টি অধিকতর অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে এনআইডি নম্বরটি (19672692619000033) নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যাচাই করে একই নম্বরে এনআইডি থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পায়। পরবর্তীতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায়, এই এনআইডি নম্বরটি শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলেরই। তার পিতা-মাতার নাম এবং তার জন্ম তারিখেরও মিল পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। তবে স্বাক্ষরের বিষয়টি ওপেন সোর্সে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অর্থাৎ, কথিত এনআইডিতে স্বাক্ষর বাদে বাকিসব তথ্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের মূল এনআইডিতে রয়েছে। তবে বাংলাদেশের পুরো নামের ইংরেজি বানানের ভুল দেখে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, এটি আসল এনআইডি নয়। মূল এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ভুয়া এই এনআইডির ছবি তৈরি করা হয়েছে। 

সুতরাং, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের ভারতীয় আধার কার্ড দাবিতে প্রচারিত ছবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

  • Statement from Indian Fact Checker
  • Rumor Scanner’s own investigation 

ইউনিসেফ নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 

0

সম্প্রতি ‘ইউনিসেফ নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ’ শীর্ষক শিরোনামে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছবি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুক প্রচারিত এমন বিজ্ঞপ্তি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইউনিসেফ বাংলাদেশ একসাথে ১৯৩০ পদে নিয়োগের এমন কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি বরং প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুয়া এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।

Photo: Collected from Facebook

সেখানে বলা হয়, দারিদ্র্য ও প্রান্তিক মানুষের জীবন মান উন্নয়নে আয়ারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং IUHPE এর অর্থায়নে ১২ বছর মেয়াদী প্রকল্পে শহর ও গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, পুষ্টি, মাও শিশু পরিচর্যা, শিশু স্বাস্থ্য, পথ শিশু ও প্রতিবন্ধী পূনর্বাসন, ফ্যামেলি প্লানিং টিকাদান কর্মসূচী ম্যাটানিটিক ক্লিনিক, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নারী দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বাস্ত বায়নের লক্ষ্যে কিছু সংখ্যক পুরুষ/মহিলা নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের পদের নাম, ছবি ও মোবাইল নাম্বার সহ সিভি অথবা দরখাস্ত এই ই-মেইলে [email protected] পাঠাতে হবে।’

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রদর্শিত ইমেইল এড্রেসটি ([email protected]) লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এটি ইউনিসেফের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল নয়, বরং এটি একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট; যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে। 

পরবর্তীতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে প্রদর্শিত ইমেইল ঠিকানাটি যাচাই করে দেখা যায় এটি এমন [email protected]

Screenshot: unicef.org

অর্থাৎ প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রদর্শিত ইমেইল ঠিকানাটি ইউনিসেফের অফিশিয়াল ইমেইল ঠিকানা নয়।

এছাড়া ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ‘ইউনিসেফ নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ’ শীর্ষক কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ইউনিসেফের মূল ওয়েবসাইটের জব সেকশনে গিয়ে এমন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কিত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Screenshot: unicef.org

তবে ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ৫ মে “চাকরির প্রতারণা থেকে সাবধান” শীর্ষক শিরোনামে একটি ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Facebook 

উক্ত পোস্টে ইউনিসেফ জানায়, ইউনিসেফ কখনই চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন প্রকারের অর্থ গ্রহণ করে না। চাকরির জন্য ইউনিসেফের গ্লোবাল ক্যারিয়ার ওয়েবসাইট এবং পরিচিত সংবাদপত্রে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইমেইলের মাধ্যমে কখনই সিভি গ্রহণ করা হয় না। তাই চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করার আগে ভালো করে যাচাই করে অ্যাপ্লাই করার কথা বলা হয়। এ নিয়ে কোন সন্দেহ থাকলে [email protected] শীর্ষক ইমেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

সুতরাং, ‘ইউনিসেফ নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ’ শীর্ষক শিরোনামে ফেসবুকে প্রচারিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভু্ুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র

আইপিএলে দল পাওয়া প্রসঙ্গে ক্রিকেটার শান্তকে জড়িয়ে যমুনা টিভির নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, “আইপিএলে দল পেলেন শান্ত খেলবেন বেঙ্গালুরুর হয়ে” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে  (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আইপিএলে দল পাওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে যমুনা টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যমুনা টিভির ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ১২ মার্চ, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

যমুনা টিভির লোগো ও ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, যমুনা টিভির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও, আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে যমুনা টিভির প্রচলিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

Photocard Comparison by Rumor Scanner

অর্থাৎ, যমুনা টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, আইপিএলে দল পাওয়া প্রসঙ্গে ক্রিকেটার শান্তকে জড়িয়ে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র