Home Blog Page 114

গৌরনদীতে পরকীয়ার অভিযোগে আটক ব্যক্তি ছাত্রশিবিরের উপজেলা সেক্রেটারি

সম্প্রতি, বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পলাশ পরকীয়া করতে গিয়ে আটক হওয়ার একটি ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি ছাত্রশিবিরের কেউ নয় এমন একটি দাবি প্রচার হতে দেখা গেছে। একই দাবিতে ‘মসজিদের ইমামকে ছাত্রশিবিরের নেতা বানিয়ে অপপ্রচার’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে দৈনিক জনকণ্ঠ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশালের গৌরনদীতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক স্থানীয় এক মসজিদের ঈমাম  মো. মাইনুল ইসলাম পলাশ ফকির (২৬) ও সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে (২৫) হাতেনাতে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

প্রতিবেদনটিতে উপজেলা জামায়াতের আমিরের বক্তব্য কোট করে বলা হয়, “অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলা ছাত্রশিবিরের সদস্য নন।”

এছাড়াও, উপজেলা জামায়াতের আমিরের বরাতে বাংলাদেশ প্রতিদিন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাকে গৌরনদী উপজেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গৌরনদী

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বরিশালের গৌরনদীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার অভিযোগে আটক হওয়া ব্যক্তি মাইনুল ইসলাম পলাশ ছাত্রশিবিরের কেউ নয় এমন দাবিটি সঠিক নয়। মাইনুল ইসলাম পলাশ গৌরনদী ছাত্রশিবিরের ২০২৫ সালের চলমান কমিটির উপজেলা সেক্রেটারি। গত ৪ জানুয়ারি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি উপজেলা সেক্রেটারি হিসেবে ছিলেন। সাম্প্রতিক ঘটনার পর নৈতিকতা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ ১৫ মার্চ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Md Turjaun’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৪ জানুয়ারি প্রচারিত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির গৌরনদী উপজেলার ২০২৫ সেশনের নবনির্বাচিত কমিটির বিষয়ে ছবিসহ একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবি গৌরনদী উপজেলার ২০২৫ সেশনের নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক (মূলত সেক্রেটারি) হিসেবে মাইনুল ইসলাম পলাশ নামের ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়।

Screenshot: Md Turjaun (Facebook)

একই তথ্য পাওয়া যায় ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গৌরনদী উপজেলা’ নামের একটি ফেসবুক পেজের গত ৪ জানুয়ারির একটি পোস্টে। এই পেজটি তাদের ফেসবুক বায়োতে নিজেদের ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গৌরনদী উপজেলার একমাত্র অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

পোস্টটিতে বলা হয়, গৌরনদীতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর-২০২৫ সেশন এর উপজেলার দায়িত্বশীল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির গৌরনদী উপজেলার ২০২৫ সেশনের নবনির্বাচিত কমিটির সম্মানিত সভাপতি- মোঃ সাইফুল ইসলাম সজল এবং সেক্রেটারি মোঃ মাইনুল ইসলাম পলাশ সাথীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

পরবর্তী অনুসন্ধানে আরেক ব্যক্তির পোস্ট পাওয়া যায়, যেখানে পোস্টের ক্যাপশনে গৌরনদী উপজেলার নবগঠিত ছাত্রশিবিরের কমিটিতে সেক্রেটারি হিসেবে মাইনুল ইসলাম পলাশের নাম উল্লেখ করা হয় এবং পোস্টে সংযুক্ত ছবিতে সেক্রেটারিসহ নবনির্বাচিত কমিটির কয়েকজন সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়। ছবির ‘সেক্রেটারি’ হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তির সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে আটক ব্যক্তির চেহারার মিল বা সাদৃশ্যতা পরিলক্ষিত হয়।

Screenshot: Md Turjaun (Facebook)

এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘পবিত্র রমজানকে স্বাগত জানিয়ে গৌরনদীতে র‍্যালি’ শীর্ষক শিরোনামে ‘বাংলাদেশের খবর’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে গৌরনদী উপজেলা শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে মাইনুল ইসলাম পলাশের নামই দেখা যায়।

ফলে, আপত্তিকর অবস্থায় আটক হওয়া মাইনুল ইসলাম পলাশ গৌরনদী উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের চলমান ২০২৫ সেশনের ‘সেক্রেটারি’ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া গেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বরিশাল জেলা এর পক্ষ থেকে আটক ওই ব্যক্তির সাংগঠনিক পদ বাতিল এবং বহিষ্কার করার ঘটনা থেকে। আজ ১৫ মার্চ ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বরিশাল জেলা’ ফেসবুক পেজ থেকে ওই ব্যক্তির সাংগঠনিক পদ বাতিল ও বহিষ্কার প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করা হয়। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আটক ব্যক্তি মাইনুল ইসলাম পলাশকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ছাত্রশিবিরের উপজেলা সেক্রেটারি এবং সাথী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

Image Source: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বরিশাল জেলা (Facebook)

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বরিশাল জেলার সভাপতি আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আদর্শ, শৃঙ্খলা ও ইসলামী নৈতিকতা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার ‘সাথী’ ও উপজেলা সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পলাশকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার (বাতিল) করা হয়েছে।’

সুতরাং, গৌরনদীতে পরকীয়া করতে গিয়ে আটক হওয়া ব্যক্তি মাইনুল ইসলাম পলাশ বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের গৌরনদী উপজেলার চলমান কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়াও তিনি মসজিদের ইমাম ছিলেন বলে জানা যায়। তাই, আটক মাইনুল ইসলাম পলাশ শিবির নয়, কিংবা ইমামকে শিবির হিসেবে প্রচার করা হয়েছে কিংবা তিনি সাবেক শিবির এই দাবিগুলো মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

ভারতে মসজিদ ভাঙার দৃশ্য দাবিতে ইন্দোনেশিয়ার বিনোদন পার্ক ভাঙার ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি, ভারতে মসজিদ ভাঙার দৃশ্য দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ভারতে মসজিদ ভাঙার দৃশ্যের নয় বরং, এটি ইন্দোনেশিয়ার একটি বিনোদন পার্ক ভাঙার ভিডিও। মূলত, ভূমি অনুমোদন লঙ্ঘন ও পরিবেশগত ক্ষতির কারণে পার্কটি ভেঙে ফেলা হয়।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Syrkanala Ziem’ নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে গত ৮ মার্চ প্রকাশিত একই স্থাপনা ভাঙার ভিডিও পাওয়া যায়। টিকটকের ক্যাপশন অনুযায়ী, এটি হিবিস্ক্ক ফ্যান্টাসি নামে একটি পার্কেরর দ্বিতীয় দিনের ভাঙার কার্যক্রমের ভিডিও। এছাড়া, পোস্টে লোকেশন ট্যাগ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার পুঞ্চাক, চিয়ানজুর অঞ্চলের নাম উল্লেখ রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner. 

উক্ত টিকটক পোস্টের সূত্রে অনুসন্ধানের মাধ্যমে, ইন্দোনেশিয়ার বোগর অঞ্চলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম রাডার বোগর-এর টিকটক অ্যাকাউন্টে একই পার্কের ভাঙচুরের ভিডিও পাওয়া যায়। এছাড়া, রিজারভাসি ভিলা পুঞ্চাক নামের একটি বুকিং ওয়েবসাইটের টিকটক অ্যাকাউন্টেও ওই পার্কের ভাঙচুরের ভিডিও পাওয়া যায়, যেখানে আলোচিত স্থাপনার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু স্থাপনা ভাঙতে দেখা যায়।

তাছাড়া, পার্কটির অফিসিয়াল টিকটক অ্যাকাউন্টে গত ২৩ জানুয়ারি আপলোড করা একটি প্রচারমূলক ভিডিওতে পার্কটির অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি আলোচিত স্থাপনাটিও দেখা যায়।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার গভর্নর দেদি মুলিয়াদি গত ৬ মার্চ বোগোরের পুঞ্চাক এলাকায় অবস্থিত হিবিস্ক ফ্যান্টাসি বিনোদন পার্কটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, ভূমি অনুমোদন লঙ্ঘন ও পরিবেশগত ক্ষতির কারণে পার্কটি ভাঙা হয়েছে। পার্কটি ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়। অনুমোদিত ৪,৮০০ বর্গমিটারের জায়গায় এটি অবৈধভাবে ১৫,০০০ বর্গমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারিত করে বানানো হয়। ফলে, পার্কের অবকাঠামো বৃষ্টির স্বাভাবিক নিষ্কাশনব্যবস্থাকে ব্যাহত করে এবং পুঞ্চাক এলাকায় আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। এসব কারণে পার্কটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। (,)

সুতরাং, ইন্দোনেশিয়ার একটি বিনোদন পার্ক ভাঙার ভিডিও ভারতে মসজিদ ভাঙার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

শেখ হাসিনা মারা গেছেন দাবিতে ডেইলি ক্যাম্পাসের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, “মারা গেলেন শেখ হাসিনা দিল্লির একটি হাসপাতালে কাল রাতেই মারা যান তিনি” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম ডেইলি ক্যাম্পাসের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে  (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “মারা গেলেন শেখ হাসিনা দিল্লির একটি হাসপাতালে কাল রাতেই মারা যান তিনি” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে ডেইলি ক্যাম্পাস কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ডেইলি ক্যাম্পাসের একটি ফটোকার্ড নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে ডেইলি ক্যাম্পাসের লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ১২ মার্চ, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

ডেইলি ক্যাম্পাসের লোগো ও ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, ডেইলি ক্যাম্পাসের ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

screenshot: Facebook

তবে, আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে গত ১২ মার্চ ডেইলি ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে আলোচিত ফটোকার্ডটি ডেইলি ক্যাম্পাস প্রকাশ করেনি বলে নিশ্চিত করা হয়।

অর্থাৎ, ডেইলি ক্যাম্পাসের ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

সুতরাং, ‘মারা গেলেন শেখ হাসিনা দিল্লির একটি হাসপাতালে কাল রাতেই মারা যান তিনি’ শীর্ষক শিরোনামে ডেইলি ক্যাম্পাসের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র


মাগুরার ধর্ষিত শিশুর ধর্ষকের ফাঁসির নয়, প্রচারিত ভিডিওটি সিনেমার শ্যুটিংয়ের অংশ 

ধর্ষণের শিকার মাগুরার এক শিশুকে গত ০৬ মার্চ মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। উক্ত ঘটনার দেশজুড়ে চলনান ক্ষোভের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘শিশু বাচ্চা আসিয়া কে ধর্ষণ করার কারণে ফাঁসি’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়ার নয় বরং, সিনেমার শ্যুটিংয়ের একটি ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Story Toonz নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ‘February 20, 2025’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে, ভিডিওতে প্রচারিত দৃশ্যের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি৷ 

পরবর্তীতে, Vadaima Film নামক ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর প্রকাশিত পোস্ট একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপনে বলা হয়, একটি নতুন সিনেমা শ্যুটিং চলছে, যা দেখতে ভিড় করেছে হাজারো উৎসুক জনতা। শ্যুটিংয়ে প্রকাশ্যে হাজারো লোকের জনসমক্ষে একজন  লোককে ফাঁসিতে ঝোলানোর দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে৷ 

অর্থাৎ, ভিডিওর ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এটি বাস্তব ঘটনাও নয়, একটি শ্যুটিংয়ের দৃশ্য। 

সুতরাং, মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুটির ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়ার দৃশ্য দাবিতে একটি সিনেমার শ্যুটিংয়ের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক বাসে ডাকাত আটক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল কোনো ঘটনার নয়

সম্প্রতি, ফিল্মি স্টাইলে চলন্ত বাস থেকে ডাকাতির সময়ে ডাকাত দলকে গ্রেফতার করছে হাইওয়ে পুলিশ খুলনা শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যনার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক বাসে ডাকাত আটকের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি কোনো বাস্তব ঘটনা নয়। বরং এটি হাইওয়ে পুলিশের একটি প্রচারণামূলক অথবা জনসচেতনতামূলক ভিডিও। এই ঘটনার প্রচারণামূলক ভিডিওটি ২০২৩ সাল থেকে হাইওয়ে পুলিশের ফেসবুক পেজে পাওয়া যাচ্ছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Ishat Vlogs’ নামক ইউটিউব অ্যাউন্টে ২০২৩ সালের ২৭ মে প্রচারিত এবং ‘কনটেন্ট ইউজার 100k’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট প্রচারিত একই ঘটনার ভিন্ন দুটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Collage: Rumor Scanner

তবে, ভিডিও দুটিতে ডাকাত ধরার পড়ার দৃশ্য দাবি করা হলেও ভিডিও দুটি পর্যবেক্ষণ করে তা কোনো শ্যুটিংয়ের ভিডিও বলে প্রতীয়মান হয়।

পরবর্তীতে, ‘HIGHWAY POLICE’ এর ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট “হাইওয়ে পুলিশ কুইক রেসপন্সে মাত্র ১০ মিনিটে সর্বদা যে কোন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়” শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির একটি ফ্রেমের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত একটি ভিডিওর ফ্রেমের সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, এটি একটি প্রচারণামূলক অথবা জনসচেতনতামূলক ভিডিও। 

সুতরাং, হাইওয়ে পুলিশের পুরোনো একটি প্রচারণামূলক অথবা জনসচেতনতামূলক ভিডিওকে সাম্প্রতিক আসল ঘটনা দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অংশগ্রহণের নয়, প্রচারিত ছবিটি ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণের 

0

০৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে সম্প্রতি ‘নারী দিবসের শুভেচ্ছা। মুক্তিযুদ্ধে নারী।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷ প্রচারিত ছবিতে পেছনে মানুষের জটলার সামনে মাটিয়ে শুয়ে একদল নারীকে আগ্নেয়াস্ত্রের নিশানা তাক করতে দেখা যাচ্ছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের নয় বরং, ১৯৬৪-৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালীন সময়ের একটি প্রশিক্ষণের ছবিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম The Register-Guard এর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর ‘Today in History, Oct. 28’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়৷ উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত একটি ছবির সাথে প্রচারিত ছবিটির মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। 

Comparison: Rumor Scanner 

প্রতিবেদনে ব্যবহৃত এপি ফটোর সৌজন্যে ছবিটির বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় সে বছরের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা শহরে গৃহিণী ও কলেজ শিক্ষার্থীসহ নারীরা তাদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে রাইফেল শ্যুটিং অনুশীলন করে, ছবিটি ওই সময়ের। কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় শুরু হওয়া এই দেশব্যাপী অভিযানে সকল নাগরিককে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

পরবর্তীতে, যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম Savannah Morning News এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর ‘Photos: Today in History, Oct. 28’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত আলোচিত ছবিটির অনুরূপ ছবির বিবরণী থেকেও একই তথ্য জানা যায়৷ 

অর্থাৎ, প্রচারিত ছবিটি ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন ছবি নয়৷ 

সুতরাং, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অংশগ্রহণের ছবি দাবিতে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণের ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা৷  

তথ্যসূত্র

ইরাকের বাজারে নারীদের দাসী হিসেবে বেচাকেনার ভিডিও দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি সাজানো 

সম্প্রতি “ইরাকের বাজারে এভাবেই নারীদের বেচাকেনা হয়েছে দাসী হিসেবে। আলহামদুলিল্লাহ। পুর্ব পাকিস্থানের বাজারে কবে পাওয়া যাবে?” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইরাকের বাজারে নারীদের দাসী হিসেবে বেচাকেনার দৃশ্যের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সত্য কোনো ঘটনার নয় বরং, স্ক্রিপ্টেড বা অভিনীত ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটির কিছু কী ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘aryan.rafiq.artway’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টের ভিডিওর ৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ড অংশ থেকে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির  মিল রয়েছে৷

Video Comparison: Rumor Scanner

উক্ত পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ভিডিওটি ২০২৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া ‘The Unheard Screams Of The Ezidkhan Angels’ নামক একটি মঞ্চ নাটকের দৃশ্য। ক্যাপশনে নাটকে অভিনয় করা মডেলদের নামও উল্লেখ করা হয়। 

Screenshot: Instagram

পরবর্তীতে, উক্ত পোস্টে মডেলদের নামের শুরুতে ‘Sami Al-Ali’এর নাম ইনস্টাগ্রামে সার্চ করলে একটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত অ্যাকাউন্টের ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওর ব্যক্তির চেহারার মিল রয়েছে। 

Photo Comparison: Rumor Scanner

এছাড়া, উক্ত ভিডিওটি প্রচারকারীর ইনস্টাগ্রাম আইডিটি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায় ‘Aryan Rafiq’ একজন কুর্দিস্তানী নারী ভিজুয়াল আর্টিস্ট।

Screenshot: Instagram 

অর্থাৎ, উপরোক্ত তথ্য প্রমাণ থেকে এটি নিশ্চিত যে, আলোচিত ভিডিওটি একটি নাটকের দৃশ্যের।

সুতরাং, স্ক্রিপ্টেড বা সাজানো ভিডিওকে  ইরাকের বাজারে নারীদের দাসী হিসেবে বেচাকেনার বাস্তব ঘটনার ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

দুবাইয়ে শিশু ধর্ষণের ১৫ মিনিটের মধ্যে ধর্ষকের শাস্তি কার্যকরের দাবিটি সত্য নয়

সম্প্রতি, দুবাইয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার বিভাগ মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই ধর্ষককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায়, আকাশি রঙের পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে মাটিতে শুইয়ে গুলি করা হচ্ছে। পরে, তার নিথর দেহ একটি ক্রেনের সাহায্যে দঁড়ি দিয়ে জনসমক্ষে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইন্সটাগ্রামে প্রচারতি দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারতি দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি দুবাইয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় ১৫ মিনিটের মধ্যে ধর্ষকের শাস্তি কার্যকরের দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, এই দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ২০১৭ সালে ইয়েমেনে ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্যের। এছাড়া, ধর্ষণের মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে নয়, বরং অপরাধ সংঘটনের দেড় বছরেরও বেশি সময় পর অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

দাবিকৃত ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক ছবির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমের দৃশ্য ও ঘটনার মিল রয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ১৪ আগস্ট ইয়েমেনের সানা শহরে ৪ বছর বয়সী মেয়েশিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ২২ বছর বয়সী ব্যক্তি হুসেইন আল-সাকেতকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সানার তাহরির স্কয়ারে সাকেতকে উপুড় করে শুইয়ে গুলি করা হয়। এক পুলিশ সদস্য তার পিঠে পাঁচটি গুলি চালায়, এবং মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার মৃতদেহ একটি ক্রেনের সাহায্যে ঝুলিয়ে প্রদর্শন করা হয়।

একই ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শিশুটির বাবা ও মায়ের বক্তব্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে শিশুটির মায়ের বরাতে বলা হয়, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে অভিযুক্ত হুসেইন আল-সাকেত ৪ বছর বয়সী মেয়েটিকে অপহরণ করে। শিশুটির মা গণমাধ্যমটিকে বলেন, “আমি খুবই খুশি যে হত্যাকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এত দীর্ঘ সময় – এক বছর আট মাস – পার হয়ে গেলেও আমি স্বস্তি অনুভব করছি। বিচার সম্পন্ন হওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও পরিতৃপ্ত। আমি জানি, আমার নিষ্পাপ মেয়ে সাফা এখন শান্তিতে এবং স্বর্গে রয়েছে।”

অর্থাৎ, ঘটনাটি দুবাইয়ের নয়, বরং ইয়েমেনের এবং ধর্ষণের ১৫ মিনিটের মধ্যে নয়, বরং প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় পর অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

সুতরাং, সম্প্রতি দুবাইয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে ধর্ষকের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রসঙ্গে কালবেলার নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

0

সম্প্রতি, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলার ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে  (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে কালবেলা কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে কালবেলার ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে কালবেলার লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ ১৪ মার্চ, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।

কালবেলার লোগো ও ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, কালবেলার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া, কালবেলার পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামের লেখার ধরণেরও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। 

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, কালবেলা এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদ থেকে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রসঙ্গে কালবেলার নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র