অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইনশৃঙ্খলায় সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে সর্বাধিক অপতথ্য

গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এর প্রেক্ষিতে ০৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অভ্যুত্থানে ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নিয়মিত বাহিনীগুলোর সাথে সে সময় থেকেই মাঠে সক্রিয় ভূমিকায় আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে তৈরি যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত কাজ করছে। এরই মধ্যে ড. ইউনূসের সরকারের ১০০ দিন অতিবাহিত হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সবচেয়ে বেশি অপতথ্যের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপতথ্যের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। 

পরিসংখ্যান যা জানাচ্ছে 

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরবর্তী ১০০ দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি নিয়মিতই ছিল আলোচনায়। বিগত সরকার বিদায় নেওয়ার পর নাজুক পরিস্থিতিতে জানমালের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনী যেমন সক্রিয় ভূমিকায় ছিল, তেমনি চেষ্টা ছিল পুলিশকে তার কাজে ফেরানোর। এতসবের মধ্যে এসব বাহিনীকে জড়িয়ে অপতথ্যের প্রবাহও ছিল লক্ষ্য করার মতো। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রিউমর স্ক্যানার বিষয়টি নিয়ে নিরলস কাজ করে গেছে। সরকারের ১০০ দিন সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জড়িয়ে সর্বমোট ৭১টি অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এসব অপতথ্য গত ০৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। এই সময়ে একক বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে সর্বোচ্চ ৪৭টি অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার, যা সকল অপতথ্যের প্রায় ৬৬ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশের নাম। এই বাহিনীকে জড়িয়ে অপতথ্য প্রচারের সংখ্যা ১৬টি। এছাড়া, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জড়িয়েও একই সময়ে একাধিক অপতথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। 

 অপতথ্যের মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচার বেশি   

৮ আগস্ট থেকে সে মাসের পরবর্তী দিনগুলোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জড়িয়ে ২৩টি অপতথ্য ছড়ানো হয় সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। মাসের হিসেবে আগস্টেই সবচেয়ে বেশি (৩২ শতাংশ) অপতথ্যের শিকার হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো। সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য হারে কমে (১০টি) আসলেও অক্টোবরে (২১টি) ফের আগের অবস্থানের কাছাকাছি পৌঁছায় অপতথ্যের সংখ্যা। নভেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে ১৭টি অপতথ্যের শিকার হতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে এসব অপতথ্যগুলো সবচেয়ে বেশি ছড়ানো হয়েছে ফেসবুকে (৫৯টি)। প্রায় ৬৮ শতাংশ অপতথ্যের প্রবাহ লক্ষ্য করা গেছে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মাধ্যমে। এছাড়া ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবে ১৩টি, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে ৮টি এবং মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ৭টি অপতথ্য প্রচারের তথ্য পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। 

অপতথ্যগুলোর ধরণ বুঝতে এগুলোকে রিউমর স্ক্যানার দুইটি আলাদা ভাগে ভাগ করেছে৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে যায় এমন ভুল তথ্যের প্রচারকে ইতিবাচক এবং বিপক্ষে যায় এমন অপতথ্যের প্রচারকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই এসব অপতথ্য নেটিজেনদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ করে দিয়েছে। অন্যদিকে মাত্র ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুল তথ্যগুলো ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার সুযোগ রেখেছে। 

Collage: Rumor Scanner 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে শনাক্ত হওয়া এসব অপতথ্যের শিকার হওয়া বাহিনীগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) থাকলেও এই সময়ের মধ্যে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব) এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে নিয়ে কোনো অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পায়নি রিউমর স্ক্যানার। 

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি অপতথ্য   

কোটা সংস্কার আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলো ক্রমশ ভীতিকর হয়ে ওঠার মধ্যে গত ১৯ জুলাই সারা দেশে কারফিউ জারি হয় এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য সারা দেশে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। সেই থেকে মাঠে রয়েছে সেনা সদস্যরা। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিয়েছে, পুলিশের কার্যক্রমে আসে স্থবিরতা। এরপর দায়িত্বে আসে অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব বাড়ে, বাহিনীটি পায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা। কাজের পরিধি বাড়ায় বাহিনীটি নিয়মিত বিভিন্ন অভিযান চালাচ্ছে। এজন্য নিয়মিত আলোচনায় থাকার ফলে অপতথ্যের শিকারও হতে হচ্ছে সেনাবাহিনীকে। সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে একক বাহিনী হিসেবে যে ৬৬ শতাংশ অপতথ্যের শিকার হতে হয়েছে এই বাহিনীকে তার মধ্যে অক্টোবরেই সবচেয়ে বেশি (১৭টি) অপতথ্যের প্রচারে জড়ানো হয়েছে সেনাবাহিনীকে। তবে এর আগের মাসে (সেপ্টেম্বর) মাত্র পাঁচটি অপতথ্যে জড়ানো হয়েছিল বাহিনীটিকে। আগস্টের (১১টি) তুলনায় যা প্রায় ১২০ শতাংশ কম। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে প্রচার করা হয়েছে ১৪টি অপতথ্য। সেনাবাহিনীকে নিয়ে অপতথ্যের প্রচারে নিয়মিতই জড়ানো হচ্ছে বাহিনীটির প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকেও। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে জনাব ওয়াকারকে জড়িয়ে ১১টি অপতথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। 

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি অপতথ্যের প্রচার দেখা গেছে ফেসবুকেই (৩৭টি)। এছাড়া ইউটিউবে ১০টি, টিকটকে ৭টি এবং এক্সে ৫টি অপতথ্যের প্রচার দেখা গেছে। 

রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই এসব অপতথ্য নেটিজেনদের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ করে দিয়েছে। অন্যদিকে মাত্র ১৭ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুল তথ্যগুলো বাহিনীটির প্রতি ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার সুযোগ রেখেছে। 

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ছড়ানো অপতথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে সেনাবাহিনীর নামে সবচেয়ে বেশি অপতথ্যের প্রচার ঘটেছে। গত ০৮ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন হিসেবে ব্যবহার হওয়া রাষ্ট্র্রীয় অতিথি ভবন যমুনাকে কেন্দ্র করে এবং ড. ইউনূস ও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে একদিনে ছয়টি অপতথ্য শনাক্ত করে রিউমর স্ক্যানার। 

এছাড়া, এক্সে সাম্প্রদায়িক অপতথ্যের প্রচারে ভারতীয় অ্যাকাউন্টগুলোর নিয়মিত শিকার হয়ে ওঠেছে সেনাবাহিনী। এর বাইরে ইউটিউবে থাম্বনেইলে পুরোনো ও ভিন্ন প্রসঙ্গের ভিডিও, সমন্বয়ক এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন ব্যক্তিদের গ্রেফতারের ভুয়া দাবির মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে অপতথ্যে জড়ানো হয়েছে।  

পুলিশের নিহতের সংখ্যা নিয়ে ক্রমাগত অপতথ্য 

আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের বিদায়ের পরপরই দেশে পুলিশের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের সংস্কার প্রক্রিয়া আলোচনায় আসে। বাহিনীটিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে শুরু করে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশকে জড়িয়ে সে মাসেই সবচেয়ে বেশি (৭টি) অপতথ্যের প্রচার দেখা গেছে। পরের তিন মাসে (১৫ নভেম্বর পর্যন্ত) তা কমে সমান সংখ্যক তিনটি করে অপতথ্যের প্রচার করা হয়েছে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পান মো. ময়নুল ইসলাম। তাকে জড়িয়েও দুইটি অপতথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। এছাড়া, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গ্রেফতার হয়েছেন শীর্ষক ভুয়া একটি দাবি শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

পুলিশকে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি অপতথ্যের প্রচার দেখা গেছে ফেসবুকেই (১৪টি)। এছাড়া ইউটিউবে তিনটি, টিকটকে এবং এক্সে একটি করে অপতথ্যের প্রচার দেখা গেছে। 

রিউমর স্ক্যানার বিশ্লেষণে দেখেছে, ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই এসব অপতথ্য নেটিজেনদের মধ্যে পুলিশের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ করে দিয়েছে। অন্যদিকে মাত্র ছয় শতাংশ ক্ষেত্রে ভুল তথ্যগুলো বাহিনীটির প্রতি ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার সুযোগ রেখেছে।

পুলিশের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অপতথ্যের প্রচারে কাজে লাগানো হয়েছে মৃত্যুর ভুয়া তথ্য। গত ০৩ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলায় ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে নিহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী পুলিশ সদস্য ছিলেন এবং তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে এক নারী পুলিশ সদস্যের ছবিসহ ফেসবুকে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে জানায়, এনায়েতপুরে নিহত ১৫ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে কেউ নারী ছিলেন না এবং প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন এক নারী পুলিশ সদস্যের। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। এই গুজবের প্রচার তবু থামেনি। গত ১৩ আগস্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রচারিত শেখ হাসিনার লিখিত বক্তব্যে এবং ১৪ আগস্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের একটি টুইট পোস্টে এবং অক্টোবরে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফেসবুক পেজ থেকেও দাবিটি প্রচার হতে দেখে রিউমর স্ক্যানার। এছাড়া ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দ্বারা ৩২০৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন শীর্ষক একটি ভুয়া দাবিও যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদভিত্তিক   ম্যাগাজিন টাইম এর বরাতে ইন্টারনেট প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা হিসেবে প্রমাণ করে রিউমর স্ক্যানার।   

অন্যান্য বাহিনীগুলোর ক্ষেত্রে কম

গত ২৫ আগস্ট চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করে আনসার। পরে আনসার সদস্যদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে সংঘর্ষের ঘটনায় আনসার সদস্যদের মৃত্যুর ভুয়া দাবি প্রচার করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব ভুয়া তথ্য প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে পুরোনো মৃতদেহের ছবিও। এই এক ইস্যুতে পাঁচটি অপতথ্য শনাক্ত করে রিউমর স্ক্যানার। নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টিকারী এসব অপতথ্যের সবকটিই ছড়িয়েছে ফেসবুকে।

এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জড়িয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে দুইটি অপতথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে একটি সেপ্টেম্বরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় এবং অন্যটি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আজমত উল্লা খান বিজিবির হাতে আটকের ঘটনার ভুয়া দাবি। এগুলোর মধ্যে একটি শুধু ফেসবুকে এবং আরেকটি ফেসবুক এবং এক্সে প্রচার করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশের ভেতরে ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরতে বাঁধা দিচ্ছে শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত ভিডিওটি ২১ লাখ বারেরও বেশি দেখা হয়। তবে দাবিটি ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করে রিউমর স্ক্যানার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে নৌবাহিনীকে নিয়ে এই একটি ভুয়া তথ্যই প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

আরও পড়ুন

spot_img