আগস্টে এনায়েতপুর থানায় হামলায় কোনো গর্ভবতী নারী পুলিশ সদস্য নিহত হননি

গত ০৩ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন ডাক দেওয়া হয়। এর সূত্র ধরে পরদিন দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ছাত্র-জনতা ও পুলিশ। ঐদিনই সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলায় ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ১৫ জন নিহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী পুলিশ সদস্য ছিলেন এবং তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে এক নারী পুলিশ সদস্যের ছবিসহ ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

সম্প্রতি, আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফেসবুক পেজ থেকে একই নারীর ছবি দিয়ে দাবিটি সামাজিক মাধ্যমে আবারও প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।

এনায়েতপুর থানায়

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে নিহত ১৫ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে কেউ নারী ছিলেন না বরং প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন এক নারী পুলিশ সদস্যের, যিনি সিরাজগঞ্জে এনায়েতপুর থানায় কর্মরতই ছিলেন না।

প্রকৃতপক্ষে, ছবির নারী পুলিশ সদস্যের নাম পৃথিবী চাকমা। তিনি মারা যাননি। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, তিনি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় নয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (উত্তর বিভাগ) এ কর্মরত আছেন। সেদিন এনায়েতপুর থানায় কোনো নারী পুলিশ সদস্য মারা না গেলেও নারী কনস্টেবল রেহেনা পারভীনকে মারধর করে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এসেছে। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

আরও পড়ুন

spot_img