একটি দেশে সংবাদ বা নানা তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছাতে গণমাধ্যম তথা টেলিভিশন, পত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রযুক্তির এই যুগে টেলিভিশন এবং পত্রিকাগুলোও এখন আর তাদের চেনা গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অনলাইন দুনিয়ায় তাদেরও দেখা যায় সরব উপস্থিতি। সময়ের চাহিদা আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে নিত্য নতুন উপায়ে দর্শক এবং পাঠকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে গণমাধ্যমগুলো, বাড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি। গণমাধ্যমের সরব পরিচিতির এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে অপপ্রচারকারীরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গণমাধ্যমের নাম, লোগো, ফেসবুক ফটোকার্ডকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া এবং অপতথ্যের প্রচার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে দেখা যায়, গণমাধ্যমকে জড়িয়ে অপতথ্য প্রচারের এই হার ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা পরবর্তী সময়ে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়ে গণমাধ্যমকে জড়িয়ে ১৯৯টি ফ্যাক্টচেকে অপতথ্যগুলোরর বিষয়ে তুলে ধরেছে রিউমর স্ক্যানার। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২৫টি ফ্যাক্টচেক প্রকাশিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমকে জড়িয়ে অপতথ্যের ঘটনাগুলোয় ভুয়া ফটোকার্ড, নাম ও লোগো ব্যবহার, প্রকাশিত সংবাদের সম্পাদিত স্ক্রিনশট, সম্পাদিত ফটোকার্ড এবং প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় বিদেশি তিনটিসহ ২৮টি গণমাধ্যমকে জড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে মূলধারার টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা’র নাম। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমকে জড়িয়ে অপতথ্যের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব অপতথ্যের প্রতিটিই ফেসবুকে প্রচার হয়েছে। ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমেও।
গণমাধ্যম যখন অপতথ্য প্রচারের হাতিয়ার
বাংলাদেশে গুজবের ভয়াবহতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে এসেছে গুজব প্রচারের নিত্য নতুন কৌশল। গেল কয়েক বছর ধরেই এমনই এক কৌশল হিসেবে গণমাধ্যমকেও গুজব প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যম আদতে সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রচারই করেনি। ২০২৩ সালে গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ১৪৫টি অপতথ্য প্রচার করা হয়। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে একই কায়দায় ৩২৪টি অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এর মধ্যে গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময় অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে ০৫ আগস্টের মধ্যে ১৯৯টি অপতথ্যের প্রচার হলেও পরের প্রায় দুই মাসে ১২৫টি অপতথ্যের প্রচার করা হয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্রথম সাত মাসে গড়ে ২৮টি অপতথ্যের প্রচারে গণমাধ্যমকে জড়ানো হয়েছে। পরের দুই মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬২টিতে। এই ১২৫টি অপতথ্যের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৮টি। বাকি ৭৭টি শনাক্ত হয়েছে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
অপতথ্য প্রচারে নানা কৌশল
গত আগস্টে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে। বন্যায় ফেনীতে শিশুসহ ৪২৮ জন, নোয়াখালীতে ৩৮৫ জন এবং কুমিল্লাতে ১০৩ জন মারা গিয়েছে দাবিতে যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। আদতে যমুনা বা অন্য কোনো গণমাধ্যমে মৃত্যুর এমন কোনো সংখ্যার তথ্যই দেওয়া হয়নি।
এভাবে গণমাধ্যমকে নকল করে ভুয়া ফটোকার্ড বানিয়ে অপতথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ভুয়া ফটোকার্ডের মাধ্যমে ছড়ানো ৭৮টি গুজব শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এছাড়া, কোনো ভুয়া তথ্যের সূত্র হিসেবে গণমাধ্যমের নাম বা লোগো ব্যবহার, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের স্ক্রিনশট সম্পাদনা করে ভিন্ন তথ্য জুড়ে দেওয়া, প্রকাশিত ফটোকার্ড সম্পাদনা করে প্রকৃত তথ্য পাল্টে দিয়ে ভুয়া তথ্য বসিয়ে প্রচার, গণমাধ্যমের শিরোনাম বদলে দিয়ে ভিন্ন শিরোনামে প্রচারের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তির জন্ম দিয়ে চলেছে অপপ্রচারকারীরা।
ফেসবুকে অপতথ্যের প্রচার বেশি
গণমাধ্যমগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পাঠকদের আকৃষ্ট করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব ভূমিকা পালন করছে। এর মধ্যে ফেসবুকে পাঠক এবং দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে ফটোকার্ডসহ নানা কৌশলে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে৷ রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গণমাধ্যমকে জড়িয়ে যেসব অপতথ্য প্রচার হয় তার সিংহভাগেরই উৎপত্তি বা উৎস ফেসবুকেই৷ ফেসবুক থেকে তা পরবর্তীতে টিকটক, এক্স এবং ইউটিউবের মতো প্লাটফর্মগুলোয় ছড়িয়ে পড়ছে৷ গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ের অপতথ্যের প্রচারের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ১২৫টি ঘটনার প্রতিটিই ফেসবুকে ছড়িয়েছে। সে তুলনায় অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অপতথ্যের প্রচার তেমন লক্ষ্য করা যায়নি৷ ১২৫টি অপতথ্যের মধ্যে এক্সে ৭টি, ইউটিউবে ৪টি এবং টিকটকে একটির প্রচারের প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার।
রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অপতথ্য
গণমাধ্যমকে জড়িয়ে নানা কৌশল অবলম্বনে গেল দুই মাসে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে রাজনৈতিক বিষয়ে (৪৭টি), যা মোট সংখ্যার ৩৮ শতাংশ। এছাড়া, জাতীয় বিষয়ে ৩১ শতাংশ এবং খেলাধুলা বিষয়ে ০৮ শতাংশ হারে অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে।
রাজনৈতিক যে ৪৭টি বিষয়ে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে সেসব প্রচারের ক্ষেত্রে ভুয়া ফটোকার্ড ৩৪টি, সম্পাদিত ফটোকার্ড ৬টি, সম্পাদিত স্ক্রিনশট ৩টি, সূত্র হিসেবে গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার ৩টি এবং শিরোনাম বিকৃতি করে একটি অপতথ্যের প্রচার করা হয়েছে৷ রাজনৈতিক এসব অপতথ্যের প্রচারে সবচেয়ে বেশি (২১) ব্যবহার করা হয়েছে যমুনা টিভিকে৷
সবচেয়ে বেশি শিকার যমুনা টিভি
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের সময়টায় অপতথ্য প্রচারে গণমাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৫৩ বার জড়ানো হয়েছে যমুনা টিভিকে। গণমাধ্যমটির ফটোকার্ডের ডিজাইন নকল করে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে ৪৮টি৷ বাকি পাঁচটির মধ্যে তিনটিতে ভুয়া তথ্যের সূত্র হিসেবে গণমাধ্যমটির নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সম্পাদিত ফটোকার্ড একটি এবং শিরোনাম বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে একটি ভুয়া তথ্য।
২৮টি গণমাধ্যমের এই তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১৩) অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে প্রথম আলোকে জড়িয়ে৷ পরের তিন অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে আরটিভি, কালবেলা এবং সময় টিভি। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কিত অপতথ্য ছড়াতে বিদেশি তিনটি গণমাধ্যমকেও জড়ানোর প্রমাণ মিলেছে। কাতারের আল জাজিরা, ভারতের এনডিটিভি ও আনন্দবাজারকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে একটি করে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা বিদেশি গণমাধ্যমের মধ্যে বিবিসি বাংলাকে জড়িয়েও একটি অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷
সর্বাধিক অপতথ্য ড. ইউনূসকে নিয়ে
শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর ০৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। নেতৃত্বে আসেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরুর পর থেকেই নিয়মিতই ড. ইউনূসকে জড়িয়ে নানান গুজব ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমকে জড়িয়ে অপতথ্য প্রচারের ক্ষেত্রেও ড. ইউনূসের বিষয়েই সবচেয়ে বেশি অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে৷ তাকে জড়িয়ে ২০টি অপতথ্য শনাক্ত করা হয়েছে যেগুলো প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ভুয়া সূত্র হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দুই অবস্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এই তালিকায় ৪১ জনের নাম এসেছে যাদেরকে জড়িয়ে অন্তত একটি থেকে সর্বোচ্চ ২০টি অপতথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে৷ এই তালিকায় রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের নামই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া, দল, বাহিনী বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণমাধ্যমকে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি (৫) অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের নামে। এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য হিসেবে আরো রয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (৩), বাংলাদেশ আনসার (২), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (২), ইসলামী ঐক্যজোট (২) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (১)।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমকে জড়িয়ে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক অপতথ্য ছড়ানোয় শীর্ষে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইস্যু। এই ইস্যুতে ২১টি অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এছাড়া, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ইস্যুতে ১০টি, আগস্টের বন্যা ইস্যুতে ৮টি, কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে ৬টি এবং জাতীয় সংগীত পরিবর্তন ইস্যুতে দুইটি করে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে।
গণমাধ্যম এবং নেটিজেনদের দায় কতটা?
গণমাধ্যমকে জড়িয়ে প্রচারিত অপতথ্যগুলো অনেক নেটিজেনই কোনো প্রকার সতর্কবাণী উল্লেখ ছাড়াই সার্কাজম বা ব্যাঙ্গাত্মক হিসেবে ধরে নিয়ে শেয়ার করেন৷ আদতে এভাবে অপতথ্যগুলোর প্রচার এবং প্রসারের সুযোগ ঘটে৷ গণমাধ্যমের নকল ফটোকার্ড দেখে বা কোনো পোস্টে দেওয়া তথ্যের সূত্রে গণমাধ্যমের নাম দেখেই বিষয়টি সত্য বলে ভেবে নেন, এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়। তারা সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট তথ্য বা ফটোকার্ডটি রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখার প্রয়োজনও বোধ করেননা। এতে করে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম এবং দর্শক উভয়ই প্রতারিত হোন৷ অনেক ক্ষেত্রে এসব অপতথ্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের প্রতি পাঠক এবং দর্শকদের বিশ্বাসে চিড় ধরাতে সক্ষম৷ কিছু ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের এগিয়ে যাওয়াকেও বাধাগ্রস্ত করে দিতে পারে এসব অপতথ্য৷ গণমাধ্যমগুলো ইদানিং তাদের নামে গুজব ছড়ানো হলে পরবর্তীতে তা নিয়ে পোস্ট করে জানাচ্ছে যে এটি তাদের প্রকাশিত কোনো তথ্য বা ফটোকার্ড নয়৷ তবে পদক্ষেপ হিসেবে এটিকে যথেষ্ট বলে মনে করে না রিউমর স্ক্যানার৷ গণমাধ্যমকে ভুয়া সূত্র হিসেবে দাঁড় করিয়ে অপতথ্য ছড়ানোর প্রবণতা দিনে দিনে যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের কর্তৃপক্ষকে আইনি পথেও হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছে রিউমর স্ক্যানার৷ যমুনা টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামও জানাচ্ছেন, “আমরা কিছু কিছু ঘটনায় থানায় অফিশিয়ালি অভিযোগ করেছি।” রিউমর স্ক্যানার মনে করে, আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সাপেক্ষে অপতথ্যের এই কৌশলের ভয়াবহতায় লাগাম টানা সম্ভব। শুধু গণমাধ্যমই নয়, এক্ষেত্রে সচেতন হতে পারে পাঠক-দর্শকদেরও, রাখতে হবে প্রাথমিক যাচাইয়ের মানসিকতা। গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজ, ফটোকার্ড ডিজাইন, ফন্টসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে অনেকাংশেই অপতথ্যগুলোর ফাঁদ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।