চলতি বছরের ০২ জানুয়ারি টিকটকে আরজে জিন্নাত ইসলাম নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের সিনিয়র ক্রিকেটার মাহেন্দ্র সিং ধোনির একটি বক্তব্যের ভিডিও আপলোড করা হয়। ভিডিওর ওপর “সংবাদ সম্মেলনে এসে মুস্তাফিজুর রহমানকে অপমান করলো মাইনন্দ্রো ছীন ধনি” এই লাইন লিখে ভিডিওটিতে উপস্থাপক দাবি করেন, “এখানে ধোনি বলেছেন, ‘মোস্তাফিজকে নিয়ে বড় ভুল করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে মোস্তাফিজ ফর্মহীনতায় ভুগছেন। এমন মুহুর্তে আমরা না বুঝতে পেরেই তাকে দলে নিয়েছি। আসলে মোস্তাফিজকে দলে নেওয়া আমাদের ঠিক হয়নি।”
ক্রিকেট সম্পর্কে সচেতন যে কেউই হয়ত বুঝে নেবেন ধোনির এমন মন্তব্য করার কথা নয়৷ আমরাও ১ মিনিট ৭ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওর কোনো অংশেই ধোনিকে তার নিজের মুখে এমন মন্তব্য করতে দেখিনি। কিন্তু এই বিষয়টি যখন আমরা যাচাই করছি, সেসময়ের মধ্যে ভিডিওটি প্রায় ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি নেওয়া হয়েছে ইউটিউবে Desi Cricket News নামে একটি চ্যানেল থেকে। এই চ্যানেলে এক দিন আগে ভিডিওটি আপলোড করা হলে সেখান থেকে ভিডিওটি দেখেছেন মাত্র আট হাজার মানুষ। কিন্তু টিকটকে গিয়ে একই ভিডিও প্রায় ৯২ গুণ বেশিবার দেখা হয়েছে।
ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি বছরের (২০২৪) সংস্করণে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। গত বছরের ডিসেম্বরে নিলামে ২ কোটি রুপি ভিত্তি মূল্যে ফিজকে কিনে নেয় চেন্নাই। গত ১৯ মার্চ চেন্নাইয়ের ক্যাম্পে যোগ দেন কাটার মাস্টার। এর দিন তিনেক পরই শুরু হয় টুর্ণামেন্টটি। বিসিবির পক্ষ থেকে পুরো মৌসুম খেলার অনুমতি না মেলায় ০২ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি। আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা খেলতে গেলে সাধারণত সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌসুমজুড়ে আলোচনা চলে, শেয়ার হয় ছবি-ভিডিও আর নানা তথ্য। এসবের অবাধ প্রবাহের মধ্যেই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতাও গেল কয়েক বছর ধরেই দেখে এসেছে রিউমর স্ক্যানার। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে ভুয়া তথ্যের ছড়িয়ে পড়া আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
মুস্তাফিজের এবারের আইপিএল জার্নির পুরোটা সময় পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট অন্তত ১০ টি টিকটিক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে যেগুলোতে কমপক্ষে এক লাখ বার দেখা হয়েছে এমন ৪০ টি ভুয়া তথ্য সম্বলিত ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় দেড় কোটিবার। এসব ভিডিওর সবগুলোই নেওয়া হয়েছে ইউটিউবের একাধিক চ্যানেল থেকে, যারা নিয়মিতই খেলা বিষয়ক ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে৷
ধরণ একই, ভুয়া তথ্যের ভিত্তি পুরোনো ভিডিও
রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট মুস্তাফিজের এবারের আইপিএল মিশনকে ঘিরে ভাইরাল ৪০ টি ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখেছে, এসব ভিডিওতে পুরোনো কায়দাতেই ভুয়া তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পুরোনো কিংবা ভিন্ন ঘটনার সাম্প্রতিক ভিডিওকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এসব ক্ষেত্রে চেন্নাইয়ের ক্রিকেটারদের পুরোনো ভিডিও যেমন ব্যবহার করা হয়েছে তেমনি আইপিএলের অন্যান্য দলের মালিকসহ দলগুলোর ক্রিকেটারদের বিভিন্ন সময়ের মন্তব্যের ফুটেজও ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি আইপিএলের সাথে এখন সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সাবেক ক্রিকেটারের পুরোনো ভিডিওকেও মুস্তাফিজের বিষয়ে মন্তব্যের সাম্প্রতিক ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
তবে শুধু পুরোনো ভিডিওকে পুঁজি করেই যে ভুয়া তথ্যের এই স্রোত এগিয়েছে এমন নয়৷ আমরা অন্তত দুইটি প্রমাণ পেয়েছি যেখানে মুস্তাফিজের দল চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ ডোয়াইন ব্রাভোর একটি ডায়মন্ড আউটলেট উদ্বোধন এবং দলটির অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের নির্দিষ্ট ম্যাচের বিষয়ে করা মন্তব্যের সাম্প্রতিক ভিডিও ব্যবহার করেও ভুয়া তথ্যের প্রচার করা হয়েছে। এসব ভিডিওতে তারা ফিজের বিষয়ে কথা বলেছেন বলে দাবি করা হলেও আদতে এর কিছুই ঘটেনি।
ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাইরে মুস্তাফিজ নিয়ে এসব ভিডিওতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুরোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও যুক্ত করতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেসময় আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এই এক ভিডিওই দুই বার ব্যবহার করে একবার দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ফিজকে পুরো আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছেন। আরেকবার দাবি করা হয়েছে, তিনি আইপিএলে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে তাকে গাড়ি বাড়িসহ পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ শেখ হাসিনা এ যাবতকালে কাটার মাস্টারকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেছেন, এমন তথ্য মেলেনি গণমাধ্যমে।
মাহেন্দ্র সিং ধোনি চলতি বছরের আইপিএলের কোনো ম্যাচেই এখন অবধি সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। কিন্তু ফিজকে নিয়ে প্রচারিত ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট দেখেছে, ধোনির পুরোনো চারটি ভিডিও (১, ২, ৩, ৪) ব্যবহার করে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি মুস্তাফিজকে নিয়ে এসব ভিডিওতে কথা বলেছেন। কিন্তু ধোনিকে প্রকাশ্যে এখন পর্যন্ত মুস্তাফিজ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করার খবর গণমাধ্যমে আসেনি।
তবে শুধু যে পুরোনো ভিডিওকেই এসব ভুয়া ভিডিওকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হাতিয়ার বানানো হচ্ছে, তা নয়। অন্যের মুখমণ্ডলের ওপর আরেকজনের মুখমণ্ডল বসিয়ে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর সহায়তা নিয়েও এসব ভুয়া ভিডিও প্রচার হতে দেখেছি আমরা।
এ বছর মুস্তাফিজ আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে ম্যাচ সেরা হলেও সে ম্যাচ বা এরপরের কোনো ম্যাচেই তাকে ইন্টারভিউ বা সংবাদ সম্মেলনে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু ফিজ আইপিএলে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও এআই এর মাধ্যমে বানিয়ে ভুয়া তথ্যের প্রচার করা হয়েছে।
এক অ্যাকাউন্ট থেকেই প্রায় ৩৭ লাখ ভিউ
আমাদের এই অনুসন্ধানে আমরা যে ১০ টি অ্যাকাউন্ট নিয়ে কাজ করেছি, তার মধ্যে Khalid Editx নামের এক অ্যাকাউন্টেই ১৫ টি ভিডিও পাওয়া গেছে যেগুলোর ভিউ কমপক্ষে এক লাখ ছিল। এসব ভিডিও সর্বমোট দেখা হয়েছে ৩৬ লাখ ৯১ হাজারের বেশিবার। এসব ভিডিওর ১৪ টিই সংগ্রহ করা হয়েছে BD Crics Pro নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে, বাকি একটি নেওয়া হয়েছে BD Sports News নামের অপর একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রায় এক মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে যে ভিডিওটি তাতে দাবি করা হচ্ছে যে মুস্তাফিজকে গ্যালারিতে জড়িয়ে ধরেছে এক তরুণী। যে ছবিটি দিয়ে এই দাবি করা হচ্ছে তা যাচাই করে দেখা গেছে, এটি ২০২১ সালের ভিডিওর ফুটেজ। সে সময় চেন্নাইয়ের দীপক চাহার তার বান্ধবীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। সেসময় ফিজ চেন্নাইয়ের সদস্যই ছিলেন না৷
আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া ৪০ টি ভিডিওর মধ্যে টিকটকে সর্বাধিক ভাইরাল হয়েছে যে ভিডিওটি সেটি ধোনির একটি বক্তব্যের ভিডিও। ২০২১ সালে চেন্নাই সুপার কিংস প্রসঙ্গে দেওয়া এক বক্তব্যের এই ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে মুস্তাফিজের বিষয়ে ধোনির মন্তব্য দাবিতে ছড়ানো হয়েছে টিকটকে, যা ইতোমধ্যেই দেখা হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষাধিক বার।
উৎস ইউটিউব হলেও ভাইরাল টিকটকে
রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট মুস্তাফিজের এবারের আইপিএল মিশন নিয়ে যে ৪০ টি ভিডিও বিশ্লেষণ করেছে তার মধ্যে ৩৯ টিরই মূল উৎস ইউটিউব। বাকি একটি ভিডিওর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ইউটিউবের ১১ টি চ্যানেল থেকে এসব ভিডিও সংগ্রহ করে টিকটকে প্রকাশ করা হয়েছে৷ মজার বিষয় হচ্ছে, এসব ভিডিও প্রথম প্রকাশের পর ইউটিউবে সর্বমোট ২৫ লাখ ৮৫ হাজারের কিছু বেশিবার দেখা হলেও টিকটকে গিয়ে এসব ভিডিও দেখার হার প্রায় ছয় গুণ বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ১৫ হাজারের কিছু বেশি।
এসব ভিডিওর মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ টি ভিডিওর উৎস BD Crics Pro নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল। প্রায় সাড়ে ৬০ হাজার সাবস্ক্রাইবারের এই চ্যানেলটির বয়স এখনও এক বছরও হয়নি, খোলা হয়েছে গত বছরের ১৯ অক্টোবর। এরই মধ্যে চ্যানেলটিতে প্রায় ১১০০ ভিডিও আপলোড করা হয়েছে যার মধ্যে চলতি বছর ১৭টি ভিডিও ভুয়া হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
জড়ানো হচ্ছে নানা শ্রেণির পরিচিত মুখদের
মুস্তাফিজুর রহমান চলতি বছর আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে নয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন৷ ভুয়া তথ্য ছড়াতে তার দলের সদস্যদেরই বেশি জড়ানো হয়েছে এ সংক্রান্ত ভিডিওগুলোতে, শতকরা হিসেবে যা প্রায় ৪৮ শতাংশ। চেন্নাইয়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে মুস্তাফিজের সাথে জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি ভুয়া তথ্যের শিকার হয়েছেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটারকে ১২ টি ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে ভুয়া তথ্যের হাতিয়ার হিসেবে। এসব ভিডিওতে কখনো তার পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে, কখনো বা তিনি বিসিবি সভাপতিকে ফোন দিয়েছেন বলে ভুয়া তথ্য দেওয়া হয়েছে। ভুয়া তথ্যের প্রবাহ থেকে রক্ষা পাননি ধোনির স্ত্রী সাক্ষী সিংও। সম্পাদিত একটি ছবির মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ম্যাচ জেতায় তিনি মুস্তাফিজকে জড়িয়ে ধরেছেন। এই ভিডিওটি ইউটিউব-টিকটক মিলিয়ে দেখা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বার। চেন্নাই সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দলটির বোলিং কোচ ডোয়াইন ব্রাভো, অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে জড়িয়ে একটি করে এবং দলের আরেক ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজাকে জড়িয়ে দুইটি ভুয়া ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। এর বাইরে আইপিএলের আরও তিনটি দলের (কলকাতা নাইট রাইডার্স, পাঞ্জাব কিংস, গুজরাত টাইটান্স) সাথে ফিজকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বাংলাদেশের ক্রিকেটার মাশরাফি মর্তুজা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের নামও এসেছে এসব ভুয়া ভিডিওতে।
অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সামান্যই
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্যের ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্লাটফর্মগুলোর কারিগররা সবসময়ই সচেষ্ট বলে দাবি করে আসছেন৷ টিকটক কর্তৃপক্ষ তাদের গ্লোবাল ফ্যাক্টচেকিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেটা ঠিক কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে৷ কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই প্লাটফর্মে যে পরিমাণ ব্যবহারকারী বেড়েছে সে তুলনায় ভুয়া তথ্যের প্রবাহ বন্ধের কার্যক্রম খুবই অপ্রতুল। মাসের পর মাস ভুয়া তথ্য সম্বলিত ভিডিওগুলো এই প্লাটফর্মে থেকে যাওয়া সে প্রমাণই দিচ্ছে। অন্যদিকে ইউটিউবে এখন পর্যন্ত ফ্যাক্টচেক পদ্ধতি চালু না হওয়ায় গুজবের আতুড়ঘর হয়ে উঠছে ভিডিও দেখার বহু পুরোনো এই প্লাটফর্ম। আগে থান্বনেইল এবং চটকদার শিরোনামে ভুয়া তথ্যের ভিডিওতে এই প্লাটফর্ম সয়লাব হলেও সাম্প্রতিক সময়ে নতুন নতুন খেলাধুলা বিষয়ক চ্যানেলের মাধ্যমে ভুয়া ভিডিওর প্রচার ও প্রসার ঘটছে এখানে৷ ইউটিউবের আনুষ্ঠানিক কোনো ফ্যাক্টচেক প্রোগ্রাম না থাকার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে অবাধে ভুয়া তথ্যের প্রচার ঘটানো হচ্ছে এই প্লাটফর্মে৷ ভুয়া ভিডিওর প্রচার যে এই প্লাটফর্মেই সীমাবদ্ধ থাকছে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেসব ভিডিও নানা কায়দায় চলে যাচ্ছে ফেসবুকে, টিকটকে। ইউজার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কম সময়েই লাখ লাখ মানুষের নিকট পৌঁছে যাচ্ছে সেসব ভিডিও৷