সম্প্রতি ‘জার্মানিতে অনুমতি পেল আজানের। আজ থেকে জার্মানির প্রত্যেকটা মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান হবে। আলহামদুলিল্লাহ।’ শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জার্মানিতে সম্প্রতি সকল মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজানের অনুমতি দেওয়া শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং জার্মানির কয়েকটি শহরে আগে থেকেই লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার অনুমতি আছে এবং পূর্বে অনুমতি পাওয়ার পর ২০২২ সালের অক্টোবরে কোলন শহরের সেন্ট্রাল মসজিদে শুধু জুমআর নামাজের আজান লাউডস্পিকারে দেওয়ার বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের বাংলা সংস্করণে ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর ‘জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদে প্রথমবারের মতো আযান প্রচার’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জার্মানির বিভিন্ন শহরের মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান প্রচারের অনুমতি রয়েছে। তবে কোলন কর্তৃপক্ষ এই মসজিদটিকে ২০২১ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে আজান প্রচারের অনুমতি দেয়।
পাশাপাশি, দেশীয় গণমাধ্যম যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর ‘জার্মানির কোলনে মাইকে জুমার নামাজের আজান দেওয়ার অনুমতি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জার্মানির কোলন শহরের সেন্ট্রাল মসজিদে শুক্রবার মাইকে জুমআর নামাজের আজান দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। কয়েক মাস আগেই মাইকে জুমআর আজান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কিন্তু বিভিন্ন বিতর্কের কারণে তা এতদিন চূড়ান্ত হয়নি।
মূলত, জার্মানির বিভিন্ন শহরে আগে থেকেই লাউডস্পিকারের আজান দেয়ার অনুমতি ছিল। তবে ২০২১ সালে “কোলন” কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট কিছু শর্তে শুধু শহরের সেন্ট্রাল মসজিদে কেবল জুমআর নামাজের আজান লাউডস্পিকারে দেওয়ার অনুমতি দিলেও বিভিন্ন কারণে পরবর্তীতে তা কার্যকর করা যায়নি। ২০২২ সালের অক্টোবরে কোলন শহরে একটি মসজিদে লাউডস্পিকারে শুধু জুমআর আজানের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি জার্মানিতে সকল মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে শীর্ষক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিষয়টি পূর্বেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হলে সে সময় বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।