বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের পথ ধরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে গত ০৫ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার দায়িত্ব নেওয়ার আগে পরে একটি দাবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে যাতে দাবি করা হচ্ছে, ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ইউটিউব ভিডিও এখানে (আর্কাইভ)।।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের ঘটনায় আলোচিত দাবিটি প্রচার হতে শুরু করে ইন্টারনেটে যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুনরায় প্রচার করা হচ্ছে। তবে বানোয়াট সূত্র ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে বিষয়টি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিষয়টিকে মিথ্যা বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ইনসাইডার এর একটি প্রতিবেদন এবং ‘দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ’ নামে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণের প্রতিবেদনের মাধ্যমে উক্ত দাবিটি প্রচার হয়ে আসছে।
এসব প্রতিবেদনে খবরটির বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সূত্র উল্লেখ না করে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র দপ্তর একটি বিবৃতি দিয়েছে যেখানে ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর যে সমস্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান তাদেরকে সহায়তা দিয়েছে তাদের প্রতি ইসরায়েল সরকার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। এই সহায়তা দানকারীদের তালিকায় গ্রামীণ আমেরিকা রয়েছে। আরও বলেছে, গ্রামীণ আমেরিকার কো-চেয়ার হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রিউমর স্ক্যানার দীর্ঘ অনুসন্ধানে জেনেছে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সে সময়ে প্রকাশিত কোনো বিবৃতিতে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। উক্ত দাবি সম্বলিত কোনো বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া, ইসরায়েলের গণমাধ্যম এবং ফ্যাক্টচেকারও এমন কোনো সহায়তার বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন। একই সাথে, ইউনূস সেন্টারও বিষয়টি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে দাবিটি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সেসময় ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।