সম্প্রতি, দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমসহ ইন্টারনেটের একাধিক মাধ্যমে প্রকাশিত অসংখ্য পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতের ঘটনায় ইসরায়েলকে নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা গ্রামীণ আমেরিকার মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
উক্ত দাবিতে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশীয় সংবাদমাধ্যম বাংলা ইনসাইডার।
একই দাবিতে গণমাধ্যমসহ ফেসবু্কের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে টিকটকের কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
তাছাড়া, নিউইয়র্ক টাইমসকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটির এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে প্রকাশিত একটি ইউটিউব ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
একই ভিডিও ফেসবুকে দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
তাছাড়া, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আজ (১৮ অক্টোবর) এক আলোচনা সভায় একই দাবি করেন। দেখুন এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতের ঘটনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকার কোনো সহায়তা দেননি বরং বানোয়াট সূত্র ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে পুরো বিষয়টি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিষয়টিকে মিথ্যা বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে বাংলা ইনসাইডারের পুরো প্রতিবেদনটি পড়ে দেখেছি আমরা।
গত ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইসরায়েলের মানবিক বিপর্যয়ের কথা বলে দেশটিকে একশো কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রামীণ আমেরিকা ইসরায়েলকে এই মানবিক সহায়তা দিয়েছে। গ্রামীণ আমেরিকার কো-চেয়ার হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলা ইনসাইডারের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে দেখা যায় ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর যে সমস্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান তাদেরকে সহায়তা দিয়েছে তাদের প্রতি ইসরায়েল সরকার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। এই সহায়তা দানকারীদের তালিকায় গ্রামীণ আমেরিকা রয়েছে।
ফেসবুকের একাধিক পোস্টে রিউমর স্ক্যানার টিম এই দাবির বিষয়ে প্রকাশিত একটি পত্রিকার এ সংক্রান্ত একটি সংবাদের খণ্ডিত অংশের ছবিও ভাইরাল হতে দেখেছে।
উক্ত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রতিবেদনটির প্রতিবেদক হিসেবে মঞ্চ ডেস্ক শীর্ষক একটি নামের উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি, উক্ত প্রতিবেদনটি পড়ে বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদনের সাথে এটির পুরোপুরি মিল লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিবেদনে পত্রিকাটির নাম উল্লেখ না থাকায় কোনো পত্রিকার নামের সাথে মঞ্চ যুক্ত আছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক গত ১৪ মে প্রকাশিত দেশের পত্রিকাগুলোর তালিকায় ‘দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ’ নামে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার খোঁজ পেয়েছি আমরা।
এই নামের সূত্র ধরে পত্রিকাটির কোনো ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজের সন্ধান পাওয়া না গেলেও ফেসবুকের কতিপয় পোস্ট (১, ২) থেকে জানা যাচ্ছে, উক্ত পেপারের কাটিং এই পত্রিকারই এবং এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে গত ১৪ অক্টোবরের পত্রিকার প্রথম পাতায়।
পত্রিকাটির সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি। তার ফেসবুক প্রোফাইলে (আর্কাইভ) থাকা কাভার ফটোতে (আর্কাইভ) পত্রিকাটির প্রথম পাতার একটি ছবি শোভা পাচ্ছে। এটিতেও দেখা যাচ্ছে, প্রতিবেদন লেখকদের নামের স্থলে মঞ্চ ডেস্ক লেখা রয়েছে।
অর্থাৎ, আলোচিত প্রতিবেদনটি চট্টগ্রামের দৈনিক ‘বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ’ এর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং বাংলা ইনসাইডারের আলোচিত প্রতিবেদনটির সাথে এই প্রতিবেদনের হুবহু মিল রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার তাদের প্রতিবেদনের খবরটির বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সূত্র উল্লেখ করেনি। তবে দাবি করেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র দপ্তর একটি বিবৃতি দিয়েছে যেখানে ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর যে সমস্ত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান তাদেরকে সহায়তা দিয়েছে তাদের প্রতি ইসরায়েল সরকার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। এই সহায়তা দানকারীদের তালিকায় গ্রামীণ আমেরিকা রয়েছে। আরও বলেছে, গ্রামীণ আমেরিকার কো-চেয়ার হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আমরা শুরুতে গ্রামীণ আমেরিকার ওয়েবসাইটে গিয়ে বিষয়টি যাচাই করে দেখতে পেয়েছি, প্রতিষ্ঠানটির Board of Directors এর তালিকায় Co-Chair হিসেবে ইউনূসের নাম রয়েছে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক অলাভজনক ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী এই প্রতিষ্ঠান ২০০৮ সালে ড. ইউনূসের হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির ন্যাশনাল এম্বাসেডর হিসেবে রয়েছেন মার্কিন গায়িকা জেনিফার লোপেজ।
প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, তারা মূলত নারীদের নিয়েই কাজ করেন। অসচ্ছল এবং দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী নারীদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্রঋণসহ নানা সেবা প্রদান করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গ্রামীণ আমেরিকার ২২ টি শাখার নিকটবর্তী নাগরিকেরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি ইসরায়েল বা পূর্বে কোনো সংস্থা বা দেশকে সহায়তা প্রদানের তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেই আমরা। যেহেতু চলমান সংঘাত শুরু হয়েছে গত ০৭ অক্টোবর এবং আলোচিত দাবিটি গত ১৩ অক্টোবর প্রথম প্রকাশ্যে এসেছে। তাই উক্ত ০৭ দিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বিবৃতিগুলো পর্যালোচনা করে দেখেছি আমরা। এই দিনগুলোতে ওয়েবসাইটে ৩০ টি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে।
এর মধ্যে গত ০৭ অক্টোবর প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাচ্ছে, সেদিন এই সংঘাত শুরুর পর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং নেতারা এ ঘটনায় ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইস্যাক হেরজোগকে ফোন করেছেন। সমর্থন দেওয়া ব্যক্তিদের যে তালিকা বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে সেখানে ড. ইউনূস বা বাংলাদেশের কারো নাম নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে এমন কোনো তথ্য না পেলেও উক্ত সময়ের মধ্যে সমর্থনের জন্য বিভিন্ন দেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে কিছু টুইট এবং রিটুইট (১, ২, ৩) করতে দেখা গেছে।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত স্টেট অফ ইসরায়েলের একটি এক্স অ্যাকাউন্টে গত ১০ অক্টোবর প্রকাশিত এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলি কোম্পানি, স্বেচ্ছাসেবক এবং ব্যক্তি যারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ইসরায়েলের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান The Whistle এর ফ্যাক্টচেকার উরিয়া বার মিয়িরের সাথে যোগাযোগ করেছিল রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামীণ আমেরিকার বিষয়ে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কোনো বিবৃতির বিষয়ে তার জানা নেই৷ রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুরোধে তিনি নিজে বিষয়টি অনুসন্ধান করে এমন কোনো তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশ হওয়ার প্রমাণ পাননি। পরবর্তীতে উপরে উল্লিখিত একই টুইটের বিষয়ে আমাদের জানিয়ে বলেছেন, এটাই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিবৃতি।
রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের মূল ধারার সংবাদমাধ্যম Times of Israel এর সাংবাদিক তাল স্নাইডারের সাথে কথা বলেছে। তিনিও বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন কোনো বিবৃতির (যেখানে গ্রামীণ আমেরিকার নাম উল্লেখ আছে) বিষয়ে তার জানা নেই।
স্নাইডারের সাথে যোগাযোগের পূর্বে আমরা ইসরায়েলের একাধিক সংবাদমাধ্যমের গত কয়েকদিনের ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে সংশ্লিষ্ট দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাইনি। তাছাড়া, আলোচ্য বিবৃতিতে ইউনূস বা গ্রামীণ আমেরিকার নাম থাকলে তা বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও প্রকাশ পেত। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি। আমরা দেশের একাধিক মূল ধারার সংবাদমাধ্যমের সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা সকলেই এক বাক্যে জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো তথ্য তারা পাননি।
পরবর্তীতে রিউমর স্ক্যানার টিম সরাসরি যোগাযোগ করে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লায়র হাইয়াতের সাথে। লায়র রিউমর স্ক্যানারের সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বলেছেন, ইউনূস কর্তৃক ইসরায়েলকে সহায়তার বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম জানলাম। তাছাড়া, ইসরায়েল দাতাগোষ্ঠীর কোনো সহায়তার বিষয় জনসম্মুখে প্রকাশ করে না।
রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টি নিয়ে ইউনূস সেন্টারের সাথেও কথা বলেছে। ড. ইউনূসের বিষয়ে মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে রিউমর স্ক্যানার টিমকে আলোচিত সংবাদটি মিথ্যা বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি রিউমর স্ক্যানারকে জানিয়েছে, বিষয়টি গভীর উদ্বেগজনক কারণ ভুয়া এই সংবাদটি ড. ইউনূসের সুনামকে ইচ্ছাকৃতভাবে কলঙ্কিত করছে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলকে ড. ইউনূসের সহায়তার বিষয়টি মার্কিন সংবাদমাধ্যম The New York Times এ প্রকাশিত হয়েছে শীর্ষক দাবিতে যে সংবাদের স্ক্রিনশটটি প্রচার করা হয়েছে তা ভিন্ন একটি সংবাদকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে বিকৃত করে তৈরি করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
গত ১৪ অক্টোবর নিউইয়র্ক টাইমসে On the Front Lines, an Israeli University Grieves and Readies for War শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের ফিচার এবং শিরোনামে বদলে দিয়ে ফিচারে ইউনূসের ছবি এবং শিরোনামে ‘Nobel laureate Yunus stands by the affected Israelis’ শীর্ষক বাক্য বসিয়ে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু মূল সংবাদের সাব হেডলাইনে থাকা “At Ben-Gurion University of the Negev, dorms turned into barracks and medical students manned emergency rooms. Dozens from the university community were killed in the Hamas attacks.” বাক্যটি অস্পষ্টভাবে এডিট করা স্ক্রিনশটেও দেখা যাচ্ছে।
তাছাড়া, নিউইয়র্ক টাইমসে কিওয়ার্ড সার্চ করে এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ প্রকাশের তথ্য পায়নি রিউমর স্ক্যানার।
মূলত, গত ০৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাত ইস্যুতে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা গ্রামীণ আমেরিকার মাধ্যমে দেশটিকে ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস শীর্ষক একটি দাবি ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমসহ প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ইনসাইডারের গত ১৩ অক্টোবরের একটি প্রতিবেদন থেকে আলোচিত দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে। উক্ত প্রতিবেদনে দাবিটির পক্ষে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতির বিষয়ে বলা হলেও মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত কোনো বিবৃতিতে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। উক্ত দাবি সম্বলিত কোনো বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া, ইসরায়েলের গণমাধ্যম এবং ফ্যাক্টচেকারও এমন কোনো সহায়তার বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন। একই সাথে, ইউনূস সেন্টারও বিষয়টি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে ইন্টারনেটে একাধিক ভুল তথ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে সেসব বিষয়ে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। দেখুন এখানে।
সুতরাং, হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের ঘটনায় ইসরায়েলকে ড. ইউনূস ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছেন দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচারিত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Israeli Ministry of Foreign Affairs: X Tweet
- Statement from Lior Haiat, Spokesperson of the Israeli Ministry of Foreign Affairs
- Statement from Tal Schneider, TOI
- Statement from Yunus Centre
- Statement from Uria Ber-Meir, Fact Checker, Israel
- Rumor Scanner’s own investigation