সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগানোর কার্যক্রমের ছবি পোস্ট করা হয়৷ এই পোস্টের একটি পোস্টারে এক নারী পুলিশ সদস্যের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। পোস্টারে দাবি করা হয়, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার উক্ত নারী সদস্যকে ২০২৪ সালের আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতা- পুলিশের সহিংসতার সময় হত্যা করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের আগস্টে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে নিহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে কেউ নারী ছিলেন না এবং প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন এক নারী পুলিশ সদস্যের। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।
প্রকৃতপক্ষে, গণমাধ্যম সূত্রগুলোতে উক্ত থানায় হামলার ঘটনায় কোনো নারী পুলিশ সদস্য নিহত হননি। এনায়েতপুর থানার হামলা নিয়ে পরবর্তীতে মামলা হলে মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, রেহেনা পারভীন নামে একজন নারী কনস্টেবল শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। তবে তিনি জীবিত আছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রকাশিত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকায় এনায়েতপুর থানার পাশাপাশি পুরো পুলিশ বাহিনীতে কোনো নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। আলোচিত ছবির নারী পুলিশ সদস্য পৃথিবী চাকমা বর্তমানে ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে কর্মরত। তিনি নিজে ফেসবুকে পোস্ট করে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি সুস্থ আছেন এবং এনায়েতপুর থানার ঘটনার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
সুতরাং, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গর্ভবতী নারী পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রচারিত ছবির নারীর সঙ্গে উক্ত ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।
পূর্বেও একই দাবিতে একই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রিউমর স্ক্যানার এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।